Skip to content

 

Wait...❤😘 Show love? ⬇⬇⬇

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন কত

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন কত?

২০২৩ সাল এর তথ্য অনুযায়ী, একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন 25 হাজার থেকে শুরু করে 10 লক্ষ টাকা অবধি হয়।

আমি নারায়নগঞ্জের একটি নিট কম্পোজিট ফ্যাক্টরিতে ইন্টার্নশীপ করেছি, সেখানে আমি সাধারনত-

একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন বেতন 25 হাজার থেকে 10 লক্ষ টাকা অবধি দেখেছি। উক্ত ফ্যাক্টরিতে 2023 সালে টেক্সটাইল ডাইং এর জিএম বেতন ৯ লক্ষ টাকা (৯০০০০০) এবং ডাইং এর এজিএম এর বেতন ৪.৫ লক্ষ টাকা (৪৫০০০০) ছিল।

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন ভালো পেতে বা ভালো টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার হতে হলে কি দরকার?

১. একজন টেক্সটাইল গ্রেজুয়েট কে যে কোন সেকশনে কাজ করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। যেমন মেজর আপনার যাই হোক সব বিষয়ে অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

২. লং ডিউটি ডিউরেশনে অভ্যস্ত থাকতে হবে। যেমন ৮,১২,১৪,২৪ ঘন্টা।

৩. প্রচুর মেমোরাইজিং পাওয়ার থাকতে হবে যাতে সব বিষয়ে দ্রুত আপডেট দিতে পারেন।

৪. একই  ৫০-১০০ মানুষ নিয়ন্ত্রন করার কাজ করানোর মতো ম্যানেজিং ক্যাপাসিটি থাকতে হবে।

৫. টেকনিকাল নলেজ শার্প হয়ে হবে যাতে প্রব্লেম গুলি রেক্টিফিকেশন এর আইডিয়া জেনারেট করা যায়।

৬.  একজন জেন্টেল ম্যান হতে হবে যাতে অবস্থার প্রয়োজনে নিজেকে সব চেয়ে রাগী এবং সবচেয়ে ভদ্র ভাবে উপস্থাপন করতে পারেন।

৭. ফাইবার টু শিপমেন্ট পর্যন্ত সব কিছুর ডিপলি আইডিয়া থাকতে হবে। 

৮. অফিসিয়াল কাজ গুলি যেমন রেসিপ ক্যালকুলেশন, প্রডাকশন ক্যাল্কুলেশন, প্লানিং, লে আউট, ব্রেক ডাউন , ইফেসিয়েন্সি ক্যালকুলেশন  এই কাজ গুলি পারতে হবে।

৯. ভাষা গত দক্ষতা থাকতে হবে যেনো যে কোন সময় ফেরেইনার সহ যে কোন কর্তা ব্যাক্তির সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

১০. ফ্লোরে পরিচালিত সকল মেশিন নিজ হাতে চালানোর অভ্যাস, অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

১১. কাজ বুঝে নেয়া, তা করা, কাজ বুজিয়ে দেয়ার ভালো দক্ষতা থাকতে হবে।

১২. কোয়ালিটি আর সেড এর টলারেন্স বুঝতে হবে যেমন কি হলে চলবে কি হলে চলবে না।

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন কেন এত বেশি হয়?

শুধু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন দেখে লোভে না পড়ে, আরও যে বিষয়গুলো আপনাকে জানতে হবে-

১. টেক্সটাইল এর চাকুরীর জন্য প্রচুর ধৈর্যশীল হতে হবে, কিছু স্বাভাবিক বিষয় মেনে নিয়েই কাজ করতে হবে, বিষয় গুলি টেক্সটাইল এর কমন টার্ম এইগুলি তে রিয়েক্ট করার সুযোগ নেই আপনি চান আর নাইবা চান টেক্সটাইলে গার্মেন্টসে কাজ করলে এর মুখোমুখি হতেই হবে , এতে ওভার রিয়েক্ট না করে বিষয় গুলি কে বাস্তব মেনে উপভোগ করুন তা হলে টেক্সটাইল জব আপনার জন্য উপভোগ্য হবে।

টেক্সটাইল জবের বিষয় গুলির অবস্থা বা বাস্তবতাঃ

  • # ১২-১৪ ঘন্টা ডিউটি।
  • # বছর পর পর ইনক্রিমেন্ট।
  • # কম ইনক্রিমেন্ট।
  • # কলিগ এর বেশি ইনক্রিমেন্ট।
  • # বেশি প্ররিশ্রম কিন্তু প্রাপ্তি শুন্য।
  • # টাইমলি স্যালারি না পাওয়া।
  • # কথায় কথায় চাকুরী চলে যাওয়া।
  • # চাকুরী না পাওয়া। 
  • # সিনিয়র এর বকা।
  • # সিনিয়র এর কটাক্ষ।
  • # শো কজ  
  • # নন টেকের দাপট

২. টেক্সটাইল জবে চাপে কাজ করার দক্ষতা থাকতে হবে, যেমন লোক লাগে ৩ জন আছেন আপনি এক জন সব কাজ আপনাকেই করতে হবে, এক্সকিউজ চলবে না।

৩. টেক্সটাইল এর কথা কাজ মনে রাখার অসাধারণ ক্ষমতা থাকতে হবে যেমন : সিনিয়র কিছু বলার সাথে সাথে তার উত্তর যেনো তারা পান,  এখানে উত্তর দিতে পারলে আপনি কাজ করেন বলে বিবেচিত হবে।

৪. এখানে মানুষ কে ম্যানেজ করা বা বোঝানো দক্ষতা থাকতে হবে,  সমস্যা হলে সিনিয়র দের সামনে ভয়হীন ভাবে কথা বলতে হবে কথা মুখে বাধা যাবে না আর চুপ থাকা মানে আপনার নিজের উপর দোষ চাপিয়ে নেয়া।

৫. মানুষ এর সাথে সুসম্পর্ক থাকতে হবে যা দিয়ে বিপদে মানুষ এর সহায়তা পেতে পারবেন,  নতুন নতুন সম্পর্ক তৈরি করবেন যাতে তাদের সাথে সাথে নতুন সুযোগ তৈরি করা হয়।

৬. না বলে জব ছেড়ে যাওয়া যাবে না, জব থাকা অবস্থায় অন্য জব খুঁজতে হবে।

৭.  সিনিয়র এবং রিপোর্টিং বস কে সব সময় চাপ মুক্ত রাখতে জবে এবং তার প্রতি লয়াল থাকতে হবে,  কারন আপনার সুপারিশ করার ইনক্রিমেন্ট, প্রমশোন তার উপর নির্ভর করে। তাই তার সাথে সুসম্পর্ক রাখতে হবে।

৮. রানিং ফেক্টরীতে এমন ভাবে থাকতে হবে যেনো কোন বদনাম না থাকে কারন অন্য ফেক্টরীতে জব এর জন্য গেলে তারা আগে প্রিভিয়াস ফেক্টরীতে ইনকয়ারি করায়, তাই প্ররিশ্রমি হিসেবে নিজেকে প্রমান করতে হবে।

৯. ফেক্টরীতে কাজের ক্ষত্রে নিজের ভুমিকা নিউট্রাল রাখতে হবে কারো কথা কাওকে বলা যাবে না তা হলে সবার কাছে শত্রু হিসেবে পরিগনিত হতে হবে,  কেও বিশ্বাস করবে না।

১০. ফেক্টরীতে কাজ করার সময় নিজের হাতে সকল প্রকার ডকুমেন্ট এর কপি এবং নোট বাসায়  ব্যাকআপ রেখে দিতে হবে যেনো অন্য ফেক্টরীতে নিজের পোর্টফলিও গুলি দেখাতে পারেন।

১১. ফেক্টরির যাওয়ার পেছনে মুল কারন হলো চুরি, মারামারি, নারী ঘটিত কারন এই গুলি থেকে দুরে থাকুন।

১২. সমস্যা হওয়ার সাথে তা সিনিয়রদের ইনফর্ম করতে হবে, দোষ নিজের গায়ে নেয়া যাবে না।

১৩. চাকুরী থেকে যাওয়ার সময় রিজাইন দিয়ে যাবেন না বলে চলে গেলে কোম্পানির ল অনুযায়ী আপনি ওই ফেক্টরিতে আর ঢুকতে পারবেন না  ,  নতুন ফেক্টরির নাম ঢোকার আগে কাওকে বলবেন না এতে আপনার নেগেটিভ তথ্য অগ্রিম সেখানে চলে যেতে পারে।

১৪. ঘনো  ঘনো  চাকুরী পরিবর্তন করা যাবে না।

১৫. যা মাসে ফাইল সার্ভিস ফাইল হেড অফিসে যাবে ইনক্রিমেন্ট, প্রমশোন এর জন্য তার দুই মাস আগে কাজ না করলেও করতে হবে ম্যানেজার, GM এর সাথে ভালো সম্পর্ক রাখতে হবে।

১৬. বুদ্ধিমানের কাজ হলো নতুন জব হলে রানিং ফেক্টরিতে ২ দিন ছুটি নিয়ে নতুন ফেক্টরীতে ২ দিন ডিউটি করে দেখতে হবে পরিবেশ ভালো লাগে কিনা। তার পর জব এর সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

১৭. ফেক্টরির সাইকোলজি অনুযায়ী ভুল করলে নিয়ম অনুযায়ী দোষ জুনিয়র অন্যের উপর চাপিয়ে দেয়া হবে সেখানে বিচারে চুপ থাকা মানে আপনার দোষ তাই এমন ভাবে উপস্থাপন করতে হবে যেনো এটি আপনার দোষ বলে মনে না হয়।

১৮.     যে কোন বিষয় এর ডকুমেন্ট রাখুন পারলে লিখিত বা সাইন নিয়ে কাপড় যে কোন মুহুর্তে নির্দেশ দাতা অস্বীকার করতে পারে। এর জন্য চাকুরী চলে যেতে পারে।

১৯. ফ্লোরে তখনি দাম পাবেন যখন আপনি এমন কাজ পারেন যা ফ্লোরে অন্য কেও পারে না তখনি আপনার ডিমান্ড বাড়বে।

২০. দায়িত্ব নিতে পারলে জবাব দিহিতা করতে পারলে আপনার দাম অবশ্যাই বাড়বে। 

২১. টেক্সটাইল সেক্টরে লেগে থাকতে হবে কারন সিনিয়র চলে গেলে জুনিয়র দের থেকে প্রমশোন দিয়ে উপরে উঠিয়ে আনা হয় অনেক কে।

২২. বড় ফেক্টরীতে থাকলে সুবিধা নিজের মুল্যায়ন হয়, বড় ফেক্টরি থেকে ছোট ফেক্টরিতে গেলে ভালো বেতন এবং পোস্ট পাওয়া যায়।

২৩. লোকাল ফেক্টরীতে কাজের স্টেন্ডার্ড নেই তাই এখানে জব করলে কাজের গুনগত মান কমে যায়।

২৪. মার্চেডাইজার হলে ভালো বায়ার এর কাজ করতে হবে আর স্পেসিফিক বায়ার ম্যানেজ করার অভিজ্ঞাতা অর্জন করতে হবে।

২৫. মার্চেন্ডাইজিং আর মার্কেটিং হলে মার্কেটিং এ চয়েস করুন।

২৬. ক্যারিয়ার প্রডাকশন দিয়ে শুরু করুন, তাহলে মার্কেটিং, মার্চেন্ডাজিং, IE, ওয়াস কোথাও জবের সমস্যা হবে না।

২৭. টেক্সটাইল এর ক্যারিয়ার ডেভলপ করার জন্য কন্টিনিউয়াস প্রফেশনাল ট্রেইনিং, সেমিনার গুলিতে অংশ গ্রহন করতে হবে।

২৮. আন কমন সেক্টর গুলিতে ঢোকার চেস্টা করুন কারন এতে প্রতিযোগী কম আর ক্রাইসিসে নিজের ডিমান্ড নিজে বাড়ানো যায়, সেক্টর গুলি হলোঃ

  • ওয়ার্প নীটিং
  • হোম টেক্সটাইল
  • গার্মেন্টস ওয়াস
  • প্রিন্টিং
  • নন ওভেন

২৯. টেক্সটাইল এর বাস্তবতা হলো যদি আপনার হাতে  জব না থাকে অন্য খানে এপ্লাই করলে আপনাকে বলবে ” আমরা এতো দিতে পারবো ” আপনার দুর্বলতার সুযোগ নেবে।

যদি হাতে জব থাকে তবে বলবে ” আপনি কতো হলে আসবেন ” এখানে আপনি এক জায়গায় আছেন বিধায় আপনার দুর্বলতার সুযোগ নেয়ার স্কোপ নেই।

৩০. টেক্সটাইল গার্মেন্টস এর জব ইন্সটিটিউশন ফেক্ট নয় আপনি ফ্লোর কন্ট্রোল করতে পারেন কিনা আর কাজ দিয়ে সিনিয়র দের সাপোর্ট দিতে পারেন কিনা এটার মুল্যায়ন হবে। আপনি যদি এটি করতে পারেন তারাই আপনাকে খুজে নিবে।

৩১. কারনে অকারনে কারন দর্শানোর দরখাস্ত লিখার প্রেক্টিস করতে হবে,  মাঝে মাঝে এডমিনে তলব করবে সমস্যা নিয়ে তাদের সাথে লজিক্যাল ডিবেট করার প্রস্তুতি থাকতে হবে সব সময়।

৩২. অবসর সময় গুলিতে অন্য ফেক্টরি গুলির খোজ খবর নেবেন, চাকুরীর স্কোপ, পরিচিত লোক, ফ্যাসিলিটি ইত্যাদির খোজ রাখতে পারেন।

আশা করি, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন কত এবং ভালো পেতে বা ভালো টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার হতে হলে কি দরকার? তা জানাতে পেরেছি। ভবিষ্যতে আরও এই ধরণের কন্টে পেতে আমাদরে ওয়েবসাইট কে স্মরণ রাখুন ও নিয়মিত ভিজিট করবেন। আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright Notice

কপি করা নিষিদ্ধ!