বিষয়: তওবা এস্তেগফারের নিয়ম পদ্ধতি।
হ্যাশট্যাগ: #তওবা এস্তেগফারের নিয়ম পদ্ধতি।
তওবা এস্তেগফারের নিয়ম পদ্ধতি
* তওবা অর্থ গোনাহ থেকে আনুগত্যের দিকে এবং গাফলত থেকে আল্লাহ্র স্মরণের দিকে ফিরে আসা। আর এস্তেগফার অর্থ ক্ষমা চাওয়া।
* প্রত্যেক বান্দার উপর তার পাপ থেকে তওবা-এস্তেগফার করা ওয়াজিব তওবার জন্য মোট পাঁচটি কাজ করতে হবে :
১. খাঁটি অন্তরে তওবা করতে হবে। অর্থাৎ, শুধুমাত্র আল্লাহর আযাবের ভয়
ও তাঁর নির্দেশের মহত্বকে সামনে রেখে তওবা করতে হবে।
২. অতীত পাপের প্রতি অনুতপ্ত ও লজ্জিত হতে হবে।
৩. উক্ত পাপ থেকে এখনই বিরত হতে হবে।
৪. ভবিষ্যতে উক্ত পাপ না করার জন্য মনে মনে দৃঢ় সংকল্প করতে হবে।
৫. আল্লাহ্র হক বা বান্দার হক নষ্ট হয়ে থাকলে তার সংশোধন ও প্রতিকার করতে হবে।
* যেমন নামায, রোযা, হজ্জ, যাকাত ইত্যাদি আল্লাহর হক আদায় না করে থাকলে তা আদায় করতে হবে। আর বান্দার হকের মধ্যে অর্থ সম্পদ বিষয়ক হক নষ্ট করে থাকলে উক্ত অর্থ বা উক্ত পরিমাণ অর্থ হকদারের নিকট বা তার মৃত্যু হয়ে থাকলে তার উত্তরাধিকারীর নিকট ফেরত দিতে হবে। তা সম্ভব না হলে তাদের থেকে মাফ করিয়ে নিতে হবে আর অর্থ সম্পদ ব্যতীত অন্য কোন হক নষ্ট করে থাকলে যেমন গীবত বা গালিগালাজ করে থাকলে বা মুখে কিংবা কথায় কষ্ট দিয়ে থাকলে তার থেকে মাফ করিয়ে নিতে হবে। কোন ফিতনার আশংকা না থাকলে উক্ত অন্যায় উল্লেখ পূর্বক ক্ষমা চাইতে হবে, অন্যথায় অন্যায় উল্লেখ করা ছাড়াই ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে। তার মধ্যেও ফেতনার আশংকা থাকলে শুধু আল্লাহ্র কাছে ক্ষমা চেয়ে নিবে। নেক কাজ করবে এবং দান সদকা করবে। আর হকদার ব্যক্তি মৃত হলে তার উদ্দেশ্যে কিছু সদকা করে দিবে।
বিঃ দ্রঃ উপরোল্লেখিত পাঁচটি বিষয় পূর্ণ করা ব্যতীত শুধু গতানুগতিক ভাবে মুখে তওবা/এস্তেগফারের বাক্য আওড়ালেই তওবা হয়ে যায় না। যদিও শুধু তওবার বাক্য মুখে আওড়ানোটাও এতেবারে ফায়দা থেকে খালি নয়।
সমাপ্ত: তওবা এস্তেগফারের নিয়ম পদ্ধতি।
সূত্র: আহকামে যিন্দেগী।