বিষয়: দুরূদ শরীফের বিধি-বিধান প্রসঙ্গ।
হ্যাশট্যাগ: #দুরূদ শরীফের বিধি-বিধান প্রসঙ্গ।
দুরূদ শরীফের বিধি-বিধান প্রসঙ্গ
* হযরত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নাম উচ্চারণ করলে বা শুনলে দুরূদ শরীফ পাঠ করতে হয়। জীবনে অন্ততঃ একবার দুরূদ শরীফ পাঠ করা ফরয।
* যদি কোন মজলিসে একাধিক বার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নাম মোবারক উল্লেখ করা হয় তাহলে একবার দুরূদ পাঠ করা ওয়াজিব, অবশিষ্ট বারগুলোতে মোস্তাহাব।
* খতীব খুতবার মধ্যে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নাম উল্লেখ করলে কিংবা excing আয়াত পাঠ করলে জিহ্বা নাড়ানো ব্যতীরেকে মনে মনে দুরূদ পাঠ করে নিবে।
* দুরূদ শরীফ পাঠ করার জন্য উযূ থাকা জরুরী নয়। থাকলে ভাল।
* উঠা-বসা, হাটা-চলা, সর্বাবস্থায় দুরূদ শরীফ পাঠ করা যায়। দুরূদ পাঠের সময় শরীরে ঝাঁকুনী দেয়া বা আওয়াজ উচ্চ করা মুর্খতা।
* ওয়াজের সময় শ্রোতাদের সম্মিলিত ভাবে জোর আওয়াজে দুরূদ শরীফ পাঠ করা মাকরূহ।
* দুরূদে তাজ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত নয়। অতএব এর ফযীলতে যা লেখা হয় তা ভিত্তিহীন। তদুপরি তার মধ্যে কিছু শিকপূর্ণ কথা রয়েছে। অতএব তা পরিত্যাজ্য। পড়তে হলে সেই অংশ বাদ দিয়ে পড়া যায়।
* ছোট এবং বড় দুরূদের মধ্যে যেটাই ভাল লাগবে সেটাই পড়বে।
* সাধারণ ভাবে ’সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ বললেই দুরূদ ও সালাম হয়ে যায়।
* সংক্ষেপে চাইলে নিম্নের দুরূদ শরীফ পাঠ করা যায়-
اللهم صل على محمدن النبي الأمي والهـ
* যে কোন বিপদে বা সমস্যার সম্মুখীন হলে দুরূদে নারিয়া ৪৪৪৪ (চার হাজার চারশত চুয়াল্লিশ বার) একই উযুতে একই বৈঠকে যে কোন সংখ্যক লোক মনোযোগ সহকারে পাঠ করলে আল্লাহ তা’আলা উক্ত বিপদ থেকে মুক্তি দেন ও সমস্যার সমাধান করে দেন। এটা বুযুর্গদের পরীক্ষিত আমল, হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত নয়। অতএব এটাকে সুন্নাত তরীকা মনে করা যাবে না।
দুরূদে নারিয়া এই :
اللهم صل صلاة كاملة وسلم سلاما تاما على سيدنا محمدن الذي تنحل به العقد، وتنفرج به الكرب، وتقضى به الحوائج، وتنال به الرغائب، وحسن الخواتم ، ويستسقى الغمام بوجهه الكريم، وعلى اله وصحبه في كل لمحة ونفس بعدد كل معلوم لك
সমাপ্ত: দুরূদ শরীফের বিধি-বিধান প্রসঙ্গ।
সূত্র: আহকামে যিন্দেগী।