Skip to content

 

Wait...❤😘 Show love? ⬇⬇⬇

পৃথিবী কি সাতটি? যদিও বিজ্ঞানীরা বলছে যে , পৃথিবীর মত গ্রহ একাধিক থাকতে পারে। তবে সেটা হবে প্রায় ৪০ বিলিওন। কিন্তু কুরআন বলছে মাত্র ৭ টি?

পৃথিবী কি সাতটি ? যদিও বিজ্ঞানীরা বলছে যে , পৃথিবীর মত গ্রহ একাধিক থাকতে পারে । তবে সেটা হবে প্রায় ৪০ বিলিওন । কিন্তু কুরআন বলছে মাত্র ৭ টি ?

প্রশ্নঃ পৃথিবী কি সাতটি? যদিও বিজ্ঞানীরা বলছে যে , পৃথিবীর মত গ্রহ একাধিক থাকতে পারে। তবে সেটা হবে প্রায় ৪০ বিলিওন। কিন্তু কুরআন বলছে মাত্র ৭ টি?

🔷জবাবঃ
আজকের নয়। বরং সেই প্রাচীন কাল থেকেই সৃষ্টির রহস্য মানুষের মাথাচাড়া দিয়ে উঠে। একের পর এক রহস্যর সমাধান দিতেঈছিলেন বহু , গণিতবীদ , বিজ্ঞানী , দার্শনিক যাদের কথা বললে বাঘা বাঘা বিজ্ঞানীরাও তাদের প্রতি নিজেদের শ্রদ্ধা নিবেদন করে। সেই রহস্যর অনেক সমাধান কুরআনে তুলে ধরা হয়েছে এটা সকলে বিশ্বাস করুক অথবা না করুক কিন্তু এটাই সত্য।

কুরআনের ৬৫ নাম্বার সুরার ১২ নাম্বার আয়াতে বলা হচ্ছে :

⦁ اللَّهُ الَّذِي خَلَقَ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ وَمِنَ الْأَرْضِ مِثْلَهُنَّ يَتَنَزَّلُ الْأَمْرُ بَيْنَهُنَّ لِتَعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ وَأَنَّ اللَّهَ قَدْ أَحَاطَ بِكُلِّ شَيْءٍ عِلْمًا
⦁ আল্লাহই সৃষ্টি করেছেন সপ্ত আকাশ এবং পৃথিবীও সেই পরিমাণ। ওগুলির মধ্যে নেমে আসে তাঁর নির্দেশ; ফলে তোমরা বুঝতে পার যে, আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্বশক্তিমান এবং জ্ঞানে আল্লাহ সব কিছুকে পরিবেষ্টন করে রয়েছেন।[1]

কিন্তু এ কেমন কথা? পৃথিবী তো মাত্র একটা। এখানে দেখি সাতটা পৃথিবীর কথা বলা হচ্ছে। আর বিজ্ঞানীদের মতে পৃথিবীর মত আরও ৪০ বিলিওন পৃথিবী সৌরজগতে আছে। এখানে কিন্তু কোনভাবে কুরআন কে ঠিক বলে প্রমাণ করা যাচ্ছেনা। আসলে ব্যাপারটা এরকম না। আমাদের নিজেদের মত করে কুরআন পড়লে তো আর বুঝা যাবেনা। কুরআনে কোন আয়াত কি হিসেবে বলা হয়েছে কি বুঝানো হয়েছে সেটা সবচেয়ে ভালো জানবে সে যার সামনে কুরআন নাযিল হয়েছে। আর এইটা জানতে হলে আমাদের দেখতে হবে হাদিসে সাহাবি অথবা নবীর স্টেটমেন্ট কি। আচ্ছা সাহাবি বা নবী সাঃ এর স্টেটমেন্ট পাবার আগে আমরা দেখে নেই যে , তাফসিরে বলা হচ্ছে যে ,

⦁ আহসানুল বায়ানঃ [1] أَيْ: خَلَقَ مِنَ الأَرْضِ مِثْلَهُنَّ সাত আসমানের ন্যায় সাত যমীনও আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন। কেউ কেউ এর অর্থ করেছেন, সাতটি প্রদেশ। তবে এ কথা ঠিক নয়। বরং যেভাবে উপর্যুপরি বা একটির পর একটি সাতটি আসমান রয়েছে ( অর্থাৎ লেয়ার , স্তরে – স্তরে ) , অনুরূপ সাতটি যমীনও রয়েছে ( তবকে , স্তরে , লেয়ারে )। এগুলোর মধ্যে দূরত্ব ও ব্যবধানও আছে এবং প্রত্যেক যমীনে আল্লাহর সৃষ্টি আবাদ রয়েছে। (ক্বুরত্ববী) বহু হাদীস দ্বারা এ কথার সমর্থনও হয়। যেমন, নবী (সাঃ) বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি যুলুম করে বিঘত পরিমাণ যমীন আত্মসাৎ করবে, কিয়ামতের দিন সাত তবক , স্তর , লেয়ার যমীনকে তার গলায় ঝুলিয়ে দেওয়া হবে।’’ (মুসলিম, বাণিজ্য অধ্যায়, যুলুম করা হারাম পরিচ্ছেদ) সহীহ বুখারীর শব্দাবলী হল, (خُسِفَ بِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِلَى سَبْعِ أَرَضِينَ) ‘‘কিয়ামতের দিন তাকে সপ্ত যমীনের নীচ পর্যন্ত ধসিয়ে দেওয়া হবে। (বুখারী, মাযালিম অধ্যায়, যমীন আত্মসাৎ করার পাপ পরিচ্ছেদ)[2]

হাদিসে এসেছে :

⦁ বনু ইব্‌রাহীম (রহঃ) … সালিম (রহঃ) তাঁর পিতা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যাক্তি অন্যায়ভাবে সামাণ্য পরিমাণ জমিও নিয়ে নিবে, কিয়ামতের দিন তাকে সাত স্তর যমীনের নীচ পর্যন্ত ধসিয়ে দেওয়া হবে।[3]
এখানে খুব স্পষ্টভাবে বলা হচ্ছে যে , সাতটি লেয়ারের কথা বলা হয়েছে। কেননা তাফসির থেকে আমরা জানতে পারি যে , সাত আসমান যেমন একের পর এক উপরে উপরে সৃষ্টি করা হয়েছে অনুরূপভাবে সাতটি জমিও একের পর এক উপরে – উপরে অথবা নিচে – নিচে সৃষ্টি করা হয়েছে। এবং এইটা নিশ্চিত হই আমরা উপরের হাদিস দেখে অর্থাৎ এখানে কোন বৈপরীত্য পাওয়া যাচ্ছেনা বরং তাফসির আর হাদিস দুটোই একই কথা বলছে। আমরা বিষয়টা একটু স্পষ্ট হই।

আসমান যে , স্তরে স্তরে বা সাতটি আসমান যে , সৃষ্টি করা হয়েছে সেই সাতটি আসমান কিন্তু একটির পর একটি এভাবে। সাতটি আসমান কিন্তু সাত জায়গায় ছড়িয়ে নেই বরং একটির পর একটিতে রয়েছে। ঠিক তেমনি সাতটি জমিনও সাত জায়গায় নেই বরং একটি জায়গা তেই আছে স্তরে স্তরে যা আমরা হাদিসে মাধ্যমে জানতে পারি। অর্থাৎ ব্যাপারটা এরকম যে , সাতটি আসমান একের পর এক যেভাবে রয়েছে ঠিক সাতটি যমীন বা লেয়ার পৃথিবীর মাঝে রয়েছে একের পর এক। সেটা সাত জায়গায় ছড়িয়ে নেই। বরং একই জায়গায় সাতটি লেয়ার একেরপর এক বিরাজ করছে যা আমরা হাদিস এবং তাফসিরের মাধ্যমে জানতে পারি।

এখন আসি বিজ্ঞান এই সাত লেয়ার প্রসঙ্গে কি বলে। মূলত পৃথিবীর যে সাতটি স্তর আছে সেগুলো ধাপে ধাপে বিশ্লেষণ করতে চলছি :

1. The Solid Inner Core: এটি হচ্ছে সবচেয়ে শক্ত একটি স্তর যা পৃথিবী থেকে 5,150 – 6,370 kilometer গভীরে
2. The Liquid Outer core: এটি হচ্ছে গলিত একধরণের স্তর যেখানে অনেক পদার্থ গলিত অবস্থায় বিরাজ করে। এবং এটি পৃথিবীর 2,890 – 5,150 kilometer গভীরে
3. The “D” Layer: এটি পৃথিবীর ভরের ৩%। এবং এটি 2,700 – 2,890 kilometers গভীরে। এটি 200 থেকে 300 kilometer পুরু বা মোটা।
4. Lower Mantle:এটি পৃথিবীর ভরের 49.2%। এবং এটি 650 – 2,890 kilometer গভীরে।
5. Middle Mantle (Transition region): এটির গভীরতা 400 – 650 kilometer।
6. Upper Mantle: এটির গভীরতা 10 – 400 kilometer
7. Lithosphere: এটি হচ্ছে সবশেষ স্তর যেখানে আমরা চলাফেরা করি। যেখানে পাহাড় পর্বত রয়েছে। যেখানে আমরা চলাফেরা করতে পারি।

নিচের লিঙ্কের চিত্রটি দেখুনঃ
https://bit.ly/2ZRYdkH
নিচের আরেকটি চিত্র দেখুন যেখানে পৃথিবীর সাতটি স্তরের কথা এসেছে ( Beatty, 1990) .হতে সংরক্ষিত। [4]
https://bit.ly/2ZRYdkH

তথ্যসূত্রঃ
1.সুরা তলাক আয়াত ১২
2. তাফসিরে আহসানুল বায়ান – সুরা তলাক আয়াত ১২
3. গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ৩৮ হাদিস নম্বরঃ ২২৯২ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
4. Multiple References:
Beatty, J. K. and A. Chaikin, eds. The New Solar System. Massachusetts: Sky Publishing, 3rd Edition, 1990. Press,
Frank and Raymond Siever. Earth. New York: W. H. Freeman and Company, 1986. Seeds,
Michael A. Horizons. Belmont, California: Wadsworth, 1995.
El-Najjar, Zaghloul. Treasures In The Sunnah: A Scientific Approach: Cairo, Al-Falah Foundation, 2004.
5. বিস্তারিত জানতে পড়তে পারেন – The Seven Earths:https://www.islamreligion.com/…/en/the_seven_earths_299_en.…

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright Notice

কপি করা নিষিদ্ধ!