🛑নাস্তিক মুক্তমনার প্রশ্ন:
ইসলাম সত্যি সত্যি সত্য ধর্ম হলে মুসলিমরা ইসলামের সমালোচনার জন্য এত ভীত-সন্ত্রস্ত কেন! সত্যকে কি ডিফেন্ড করার দরকার আছে?
🔷জবাব:
মুসলিমরা ইসলামের সমালোচনার জন্য মোটেও ভীত-সন্ত্রস্ত নয়। তারাই বরং সমালোচনা ও বিতর্ককে সবচেয়ে বেশী উৎসাহিত করে। একটি প্রমাণ হিসেবে ইউটিউবের ভিডিওগুলো দেখা যেতে পারে। তবে ইসলামের সমালোচনা বলতে কেউ যদি মুহাম্মদ (সাঃ)-এর মাথায় বোমা পেঁচিয়ে হিটলার, বিন লাদেন, টেররিজম, ও সুইসাইড বোম্বিং এর সাথে সম্পৃক্ত করা বুঝায় – তাঁর বিরুদ্ধে সর্বকালের সর্বনিকৃষ্ট ভাষায় গালিগালাজ ও ব্যঙ্গ-চিত্র আঁকা বুঝায় – দিন-রাত চব্বিশ ঘণ্টা তাঁর বেডরুমে উঁকি-ঝুঁকি বুঝায় – একটি অভিযোগের বারবার জবাব দেয়া সত্ত্বেও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে নামে-বেনামে-ছদ্মনামে একই মদ বারবার গেলানো বুঝায় — সেক্ষেত্রে দু’খান কথা আছে মিয়া ভাই। যুক্তি ও বুদ্ধিমত্তা লোপ পেলেই কেবল ব্যঙ্গাত্মক ও জংলি ভাষার আশ্রয় নিতে হয়। আর হ্যাঁ, সত্য ও সুন্দরকেই মানুষ ডিফেন্ড করে, মিথ্যা বা কুৎসিতকে নয়। যে বাড়িতে যত বেশী সম্পদ থাকে সেই বাড়ির প্রোটেকশনের ব্যবস্থাও তত বেশী উন্নত ও জোরালো হয়। সম্পদ না থাকলে প্রোটেকশনের কোন প্রশ্নই ওঠে না! প্রাসাদকেই প্রোটেকশন দেয়া হয়, বস্তিকে নয়। প্রেসিডেন্ট ও প্রধান মন্ত্রীকেই প্রোটেকশন দেয়া হয়, বস্তির টোকাইকে নয়। ঐশ্বরিয়া রাইকেই প্রোটেকশন দেয়া হয়, ছমিরন বিবিকে নয়। ফল-মূল ও ফুলের বাগানকেই প্রোটেকশন দেয়া হয়, আগাছাকে নয়। কুকুর-শূয়রেরা হীরা-মনি-মুক্তাকে প্রোটেকশন দেয়ার প্রয়োজন মনে করে না বলে মানুষও সেগুলোকে প্রোটেকশন দেয়ার প্রয়োজন মনে করবে না – এ তো নিছক অজ্ঞতা মিয়া ভাই!
যারা সমতল ও অনড় পৃথিবীর তত্ত্বে বিশ্বাস করে তাদের সামনে যতই যুক্তি-প্রমাণ হাজির করা হোক না কেন, তাদের কাছে পৃথিবীকে সমতল ও অনড়ই মনে হয়। কারণ সেটিই তাদের বিশ্বাস বা অবস্থান। অনুরূপভাবে, যারা একদম শুরু থেকে ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আদা-জল খেয়ে অপপ্রচার শুরু করেছে তাদেরকে যতই যুক্তি-প্রমাণ দেয়া হোক না কেন, তারা তাদের প্রাথমিক অবস্থান থেকে এক চুল পরিমাণও সামনে-পেছনে-ডানে-বামে নড়বে না। কারণ তাদের উদ্দেশ্যই হচ্ছে মিথ্যা-প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে সাদাকে কালো বানানো।