Skip to content

 

Wait...❤😘 Show love? ⬇⬇⬇

ইসলামের আলোকে, বিপদ-আপদ ও বালা-মুছীবতের সময় যা যা করণীয় + ভাল অবস্থায় বা সুখের অবস্থায় যা যা করণীয়

ইসলামের আলোকে, বিপদ-আপদ ও বালা-মুছীবতের সময় যা যা করণীয় + ভাল অবস্থায় বা সুখের অবস্থায় যা যা করণীয়

বিষয়: ইসলামের আলোকে, বিপদ-আপদ ও বালা-মুছীবতের সময় যা যা করণীয় + ভাল অবস্থায় বা সুখের অবস্থায় যা যা করণীয়।
হ্যাশট্যাগ: #বিপদ-আপদ ও বালা-মুছীবতের সময় যা যা করণীয় #ভাল অবস্থায় বা সুখের অবস্থায় যা যা করণীয়।

বিপদ-আপদ ও বালা-মুছীবতের সময় যা যা করণীয়

* মানুষের উপর বিপদ-আপদ ও বালা-মুছীবত কখনও তার পাপের কারণে এসে থাকে। এটা এ জন্যে এসে থাকে যেন সে ভবিষ্যতে পাপের ব্যাপারে সতর্ক হয়ে যায়। অতএব এ বিপদ-আপদ তার প্রতি এক প্রকার রহমত। আবার কখনও বিপদ-মুছীবত তার পরীক্ষা স্বরূপ এবং তার দরজা বুলন্দ করার জন্যও এসে থাকে। এটাও তার প্রতি আল্লাহর রহমত। তবে বিপদ-আপদ আসলে এটা নিজের পাপের কারণেই এসেছে তাই মনে করতে হবে এবং সে প্রেক্ষিতে বিনয়ী হতে হবে এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে আর বিপদ থেকে পরিত্রাণ চাইতে হবে। এ কথা বলা যাবে না কিংবা মনে করা যাবে না যে, আমার পরীক্ষা চলছে, কেননা এরূপ বলা বা মনে করার দ্বারা এটা প্রতীয়মান হতে পারে যে, আমার পাপ নেই। অতএব পাপের কারণে আমার এ বিপদ ঘটেনি বরং আমি পরীক্ষা দিয়ে মর্যাদা বুলন্দ হওয়ার পর্যায়ে পৌঁছে গেছি। এটা এক ধরনের বড়ায়ী বা অহংকারের শামিল হয়ে যেতে পারে। সারকথা-

(ক) বিপদ-আপদকে আল্লাহর রহমত মনে করতে হবে।

(খ) তা নিজের পাপের কারণে ঘটেছে ভেবে আল্লাহর কাছে বিনয়ী হতে হবে।

(গ) পরিত্রাণের জন্য দোয়া করতে হবে। আল্লাহর নিকট বিপদ চেয়ে নেয়া ঠিক নয়।

(ঘ) সবর করতে হবে, বে-সবরী ও হাহুতাশ করা যাবে না।

* যে কোন সমস্যা ও বিপদ মুছীবত দেখা দিলে দুই রাকআত সালাতুল হাজত নামায পড়ে আল্লাহর নিকট তা থেকে পরিত্রাণের জন্য দোয়া করা সুন্নাত। বিপদ-আপদ বা সমস্যা দেখা দিলে সেই পেরেশানীতে পড়ে আল্লাহ থেকে বিমুখ হওয়া এবং ইবাদত ও আল্লাহ্ স্মরণ থেকে পিছিয়ে পড়া অন্যায়।

* ছোট-বড় যে কোন ধরনের বিপদ দেখা দিলে এমনকি শরীরে কাঁটাবিদ্ধ হলেও নিম্নোক্ত দোয়া পাঠ করবে-

إنا لله وانا اليه راجعون – اللهم اجرني في مصيبتي واخلف لي خيرا منها ۔ (مسلم کتاب الجنائز)

অর্থঃ আমরাতো আল্লাহরই, আমরা তাঁরই কাছে ফিরে যাবো। হে আল্লাহ, এই মুছীবতে তুমি আমাকে প্রতিদান দিও এবং তার স্থলে তার চেয়ে উত্তম বদলা দান কর।

* কোন কিছু হারিয়ে গেলে ৪১ বার ইন্না লিল্লাহি অইন্না ইলাইহি রাজিউন পড়া অত্যন্ত ফলদায়ক এবং এটা পরীক্ষিত আমল।

* কোন রোগ-ব্যাধি হলে চিকিৎসা করাবে। চিকিৎসা করা মোস্তাহাব।

* কোন বিষয়ে মনে দুশ্চিন্তা বা পেরেশানী থাকলে কিংবা অশান্তির মধ্যে পড়লে পাঠ করবে-

حسبي الله ونعم الوكيل – (ابو داود – كتاب الاذکار)

অর্থঃ আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট এবং তিনিই উত্তম তত্ত্বাবধায়ক।

অথবা পড়বে-

(مستدرك حاكم) – يا حي يا قيوم برحمتك أستغيث

অর্থঃ হে চিরঞ্জীব, হে সবকিছু ধারণকারী, আমি তোমার রহমতের ওছীলা দিয়ে তোমার কাছে ফরিয়াদ করছি।

অথবা পড়বে-

لا إله إلا أنت سبحنك إني كنت من الظالمين – ( ترمذى ومستدرك حاكم)

অর্থঃ হে আল্লাহ, তুমি ছাড়া কোন মা’বূদ নেই, তুমি অতি পবিত্র। আর আমি অবশ্যই গোনাহগারদের অন্তর্ভুক্ত।

* শত্রুর বা কোন দুষ্ট লোকের দ্বারা ক্ষতির ভয় হলে এই দোয়া পড়বে-

اللهم إنا نجعلك في نحورهم ونعوذ بك من شرورهم – (ابو داود — کتاب الصلوة)

অথঃ হে আল্লাহ, আমি তোমাকে তাদের মোকবিলায় দাঁড় করাচ্ছি এবং তাদের অনিষ্ঠ থেকে তোমার কাছে পানাহ চাচ্ছি!

* শত্রু ঘিরে ফেললে পড়বে-

اللهم استر عوراتنا وامن روعاتنا ۔ (حصن حصین)

অর্থঃ হে আল্লাহ, আমাদের ইজ্জত-আব্রু রক্ষা কর এবং ভয়ভীতি থেকে আমাদেরকে নিরাপত্তা দান কর।

* কোন আপনজন মারা গেলে তখন কি করণীয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানার খামারিয়ান.কম এর আলাদা পোষ্ট রয়েছে।

* প্রচণ্ড মেঘ দেখলে পড়বে-

اللهم إني أعوذبك من شرها، اللهم صيبا نافعا۔ (ابو داود- کتاب الادب)

অর্থাৎ, হে আল্লাহ, এই মেঘের সাথে যে অনিষ্টকারিতা রয়েছে তা থেকে আমরা তোমার কাছে পানাহ চাই। হে আল্লাহ! আমাদের জন্য উপকারী বৃষ্টি বর্ষণ কর।

* বিদুৎ চমকাতে দেখলে বা বজ্রপাতের শব্দ শুনলে পড়বে-

اللهم لاتقتلنا بغضبك ولا تهلكنا بعذابك وعافنا قبل ذالك – (رواه الحاكم في المستدرك وقال صحيح الاسناد واقره عليه الذهبي في التلخيص)

অর্থাৎ, হে আল্লাহ! তোমার গজব দিয়ে আমাদেরকে মেরে ফেল না, তোমার আযাব দিয়ে আমাদেরকে ধ্বংস করে দিও না। তার আগে আমাদেরকে শান্তি দাও।

* ভয়ংকর তুফান ও ঘূর্ণিবার্তা আসলে সে দিকে মুখ করে দু হাটু ফেলে বসে এই দোয়া পড়বে-

اللهم اجعلها رحمة ولا تجعلها عذابا اللهم اجعلها رياحا ولا تجعلها ريحا

অর্থাৎ, হে আল্লাহ! এই বাতাসকে রহমত বানাও, আযাব বানিও না, এবং একে উপকারী বাতাস বানাও, অপকারী বাতাস বানিও না।

* অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হতে থাকলে পড়বে-

اللهم حوالينا ولا علينا، اللهم على الأكام والظراب وبطون الأودية ومنابت الشجر

অর্থঃ হে আল্লাহ, এই বৃষ্টি আমাদের আশে পাশে বর্ষণ কর, আমাদের উপর বর্ষণ করো না। হে আল্লাহ! উচ্চস্থান, বনজঙ্গল, পাহাড় প্রণালী ও বৃক্ষ উৎপাদনের স্থান সমূহের উপর বর্ষণ কর।

* কোন জায়গায় অগ্নিকাণ্ড হতে দেখলে পড়বে “আল্লাহু আকবার”, অথবা পড়বে-

ينار كوني بردا وسلاما على إبراهيم ۔ (الانبياء : ۲۹)

অর্থঃ হে আগুন, তুমি ইবরাহীমের জন্য ঠান্ডা এবং শান্তিদায়ক হয়ে যাও।

অন্যকে বিপদ-আপদ ও মুছীবতগ্রস্ত দেখলে যা যা করণীয়

* কোন মুসলমানের বিপদ-মুছীবতে খুশি নয় বরং সমবেদনা প্রকাশ করতে হবে।

* কাউকে বিপদগ্রস্ত দেখলে তাকে সান্ত্বনা দেয়া সুন্নাত।

* কাউকে বিপদগ্রস্ত দেখলে তার সাহায্যে এগিয়ে যাওয়া কর্তব্য।

* কাউকে কোন মুছীবত, পেরেশানী বা খারাপ অবস্থায় দেখলে পড়বে-

الحمد لله الذي عافاني مما ابتلاك به وفضلني على كثير ممن خلق تفضيلا ۔ (رواه الترمذي وقال حديث حسن غريب )

অর্থঃ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমাকে ঐ অবস্থা থেকে রক্ষা করেছেন, যে অবস্থায় তোমাকে ফেলেছেন।

তবে দোয়াটি এমনভাবে পড়বে না যে, উক্ত মুছীবতগ্রস্ত ব্যক্তি বুঝতে পারে।

* কেউ রোগগ্রস্ত হলে তার শুশ্রুষা করা সুন্নাত।

* কারও আপন জন মারা গেলে তাকে সান্ত্বনা জানাবে এবং শোক প্রকাশ করবে।

নিজের ভাল অবস্থায় বা সুখের অবস্থায় যা যা করণীয়

* সুখের অবস্থায় আল্লাহ্কে ভুলে যাওয়া, বে-পরোয়া হয়ে যাওয়া এবং ইবাদতে গাফেল হওয়া চরম না শুকরী। বরং সুখের অবস্থায় নেয়ামতের শোকর স্বরূপ বেশী বেশী আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন হওয়া উচিত।

* কোন বিশেষ সুসংবাদ প্রাপ্ত হলে বা সুখের কিছু ঘটলে সাজদায়ে শোকর বা নামাযে শোকর আদায় করার নিয়ম রয়েছে। খামারিয়ান.কম এ সার্স করলে পাবেন।

* ধন-সম্পদ, জ্ঞান-বুদ্ধি, মান-সম্মান প্রভৃতি যে কোন নেয়ামত প্রাপ্ত হলে সেটা আল্লাহর অনুগ্রহে ঘটেছে মনে করতে হবে। নিজের বাহু বলে হয়েছে ভেবে অহংকার বোধ করা অন্যায়।

* কেউ কোন সুসংবাদ নিয়ে এলে তাকে এনআম (পুরষ্কার) দেয়া নবীদের সুন্নাত।

* খুশির কিছু ঘটলে বন্ধু-বান্ধব প্রভৃতি লোকদেরকে দাওয়াত করে খাওয়ানো সুন্নাত। হযরত ওমর ফারুক (রাঃ) সূরা বাকারা পড়ে শেষ করার পর খুশিতে উট জবাই করে লোকদেরকে খাওয়ান।

* কোন পছন্দনীয় জিনিস দেখলে পড়বে-

الحمد لله الذي بنعمته تتم الصالحات – (رواه الحاكم في المستدرك وفال صحيح الاسناد)

অর্থঃ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যার দানে যাবতীয় সৎকর্ম পূর্ণত্ব লাভ করে।

* নতুন ফসল দেখলে পড়বে-

اللهم بارك لنا فيه ولا تضره

অর্থাৎ, হে আল্লাহ! তুমি এতে বরকত দান কর এবং একে নষ্ট কর না।

অন্যের ভাল অবস্থা দেখলে যা যা করণীয়

* কোন মুসলমানের সুখের কিছু দেখলে কিংবা ভাল কিছু হলে তাতে নিজেকেও সুখী বোধ করা এবং সেটা প্রকাশ করা উচিত।

* কোন মুসলমানের ভাল কিছু হলে সেটা ধ্বংস হওয়ার কামনা করা অন্যায়। বরং এরূপ চেতনা ভিতরে এলে তার নেয়ামত আরও বৃদ্ধি পাক এরূপ দু’আ করতে হবে, তাহলে সে চেতনা দূরীভূত হয়ে যাবে।

* কোন মুসলমানকে হাসতে দেখলে পড়বে-

أضحك الله سنگ ۔ (ابو داود – کتاب الادب)

অর্থাৎ, আল্লাহ তোমাকে হাস্যোজ্জ্বল রাখুন।

সমাপ্ত: ইসলামের আলোকে, বিপদ-আপদ ও বালা-মুছীবতের সময় যা যা করণীয় + ভাল অবস্থায় বা সুখের অবস্থায় যা যা করণীয়।
সূত্র: আহকামে যিন্দেগী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright Notice

কপি করা নিষিদ্ধ!