Skip to content

 

Wait...❤😘 Show love? ⬇⬇⬇

বিভিন্ন মাছের পোনা চেনার উপায় ও মজুদ পুকুরে মাছ চাষ পদ্ধতি

মাছের পোনা চেনার উপায় ও মজুদ পুকুরে মাছ চাষ পদ্ধতি

বিভিন্ন মাছের পোনা চেনার উপায়

রুই: দেহ কিছুটা লম্বাটে। লেজের গোড়ায় কালো গোল চিহ্ন থাকে। পাখনার প্রান্ত ভাগ সামান্য লালচে। উপরের ঠোঁট সামনের দিকে বাড়ানো ও খাঁজযুক্ত।

কাতলা: দেহের তুলনায় মাথা বড়। লেজের গোড়ায় কালো গোল চিহ্ন থাকে না। পিঠের, লেজের ও পায়ুপাখনা ধূসর বর্ণের। মুখ চওড়া, ঠোঁট পুরু কিন্তু খাঁজযুক্ত নয়।

মৃগেল: দেহ সরু ও লম্বা। লেজের গোড়ায় চারকোনা আকৃতির কালো চিহ্ন থাকে। দেহের উপর লম্বালম্বি ফিতার মতো হালকা কালো দাগ থাকে। লেজের পাখনা লাল রঙের। ঠোঁট সমান, শুঁড় আছে। মুখ নিচের দিকে বাঁকানো।

সিল্ভার্ কার্প: দেখতে অনেকটা চাপিলার মতো। দেহ চ্যাপ্টা, রং উজ্জ্বল সাদা, পাখনা ধূসর বর্ণের। পিঠের পাখনা ছোট।

কমন্ কার্প: দেহ চওড়া, সামান্য সোনালি বর্ণের। পিঠের পাখনা প্রায় লেজ পর্যন্ত বিস্তৃত। মাথা ছোট, পিঠ উঁচু। পিঠের পাখনায় শক্ত কাঁটা থাকে। ঠোঁটে দু জোড়া শুঁড় আছে।

মজুদ পুকুরে মাছ চাষ

মাছ চাষ একটি লাভজনক বিনিয়োগ। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সংস্কৃতি, উপকরণের প্রাপ্যতা, প্রযুক্তি সম্পর্কে জ্ঞান ও বাজার ব্যবস্থার উপর ভিত্তি করে ভিন্ন ভিন্ন চাষ পদ্ধতি গড়ে উঠেছে। পুকুরে মাছ চাষ পদ্ধতিকে সাধারণত ৩ ভাগে ভাগ করা হয়। যথা: ১. সনাতন পদ্ধতির মাছ চাষ, ২. আধা নিবিড় মাছ চাষ এবং ৩. নিবিড় মাছ চাষ।

১. সনাতন পদ্ধতির মাছ চাষ

এ পদ্ধতিতে পুকুরে কিছু মাছের পোনা ছাড়া হয়। পুকুরে কোনো সার বা খাবার দেওয়া হয় না। মাটি ও পানির উর্বরতায় পানিতে যে প্রাকৃতিক খাদ্য তৈরি হয়, মাছ তাই খেয়ে জীবন ধারণ করে। অন্য কোনো পরিচর্যা করা হয় না।

See also  (18 টি) মাছের রোগ ও তার কারণ, লক্ষণ, চিকিৎসা, প্রতিষেধক/প্রতিকার#আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ#চাষ মাছ চাষ করার সহজ উপায়#মাছ চাষের পদ্ধতি#মাছ চাষের নিয়ম

২. আধা নিবিড় মাছ চাষ

যথাযথ পুকুর প্রস্তুতি, প্রজাতি ভিত্তিক সঠিক সংখ্যায় পোনা মজুদ, আংশিক সার প্রয়োগ ও মাঝে মাঝে খাদ্য সরবরাহ করে মাছ চাষ করাকে আধা নিবিড় মাছ চাষ, বলে। এ পদ্ধতিতে পুকুরের বিভিন্ন স্তরে প্রাকৃতিক খাদ্যের পুরোপুরি ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন প্রজাতির পোনা নির্দিষ্ট সংখ্যায় ছাড়া হয়। প্রাকৃতিক খাদ্যের যোগান দেওয়ার জন্য পুকুরে সার প্রয়োগ করা হয় এবং পাশাপাশি কিছুটা সম্পূরক খাবার দেওয়া হয়।

৩. নিবিড় মাছ চাষ

কোনো পুকুর বা জলাশয় হতে কম সময়ে অধিক উৎপাদন পাওয়ার লক্ষ্যে যথাযথ পুকুর প্রস্তুতকরণ, প্রজাতিভিত্তিক সঠিক সংখ্যক ও স্বাস্থ্যবান পোনা মজুদ,পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক খাদ্যের যোগান দেওয়ার জন্য নিয়মিত সার প্রয়োগ, সুষম পুষ্টির জন্য পরিমিত সম্পূরক খাদ্য সরবরাহ, পানির গুণাগুণ নিয়ন্ত্রণ এবং উন্নত ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করে যে পদ্ধতিতে মাছ চাষ করা হয় তাকে ‘নিবিড় মাছ চাষ’ বলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright Notice

কপি করা নিষিদ্ধ!