⭐⭐⭐⭐⭐ বিষয়: ১৯টি ধাপে মাছ চাষ করার সহজ উপায়? মাছ চাষ করার উপায়? মাছ চাষ কিভাবে করা যায়? মাছ চাষের পদ্ধতি? আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষ
হ্যাশট্যাগ:#মাছ চাষের পদ্ধতি#মাছ চাষ করার উপায়#মাছ চাষ কিভাবে করা যায়#মাছ চাষ করার সহজ উপায়#আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষ
বন্ধুরা একই বাক্য বার বার উলেল্খ করার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত হবে আমরা না চাইতেও এমটা করতে বাধ্য হয়েছি, কারণ একনা না কররে এই পোষ্টটি হয়নো আপনাকছে পৌছাতো না। যাই যো নাকেন, এই পোষ্ট দ্বারা আপনি অনেক উপকৃত হবেন আমি নিশ্চিত। তাই আশা করি পোষ্টটির শেষ অবধি খামারিয়ান সাথেই থ্কবেন।
ফসল উৎপাদনের জন্য কৃষি জমিকে যেমন প্রস্তুত করতে হয়, মাছ চাষ করতে হলে পুকুরকেও তেমনি প্রস্তুত করতে হয়। আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষ/মাছ চাষের পদ্ধতি/মাছ/চাষ করার উপায়/মাছ চাষ কিভাবে করা যায়/মাছ চাষ করার সহজ উপায়গুলো পর্যায়ক্রমে বর্ণনা করা হলো:
মাছ চাষের পদ্ধতি ধাপ-১: পুকুর সংস্কার
পুকুর সংস্কার বলতে পুকুর পরিষ্কার, পাড় মেরামত ও তলদেশ ঠিক করাকে বুঝায়। এসব কাজ যত দ্রুত সম্ভব সতর্কভাবে করতে হবে। প্রয়োজনীয় লোকবল কাজে লাগাতে হবে।
মাছ চাষের পদ্ধতি ধাপ-২: তলদেশ সংস্কার
পুকুরের তলদেশ যদি অসমান থাকে তবে তা সমান করে নিতে হবে। নতুবা জাল টানতে অসুবিধে হবে। অনেক সময় পুকুরের তলায় অনেক কাদামাটি থাকে। এতে পানি ঘোলা দেখায়। পানি বেশি ঘোলা হলে সূর্যের আলো পুকুরের তলায় পৌছাতে পারে না। তখন পুকুরে প্রাকৃতিক খাদ্যপ্রস্তুত হতে পারে না। কাদামাটির জন্য পুকুরের তলায় বিষাক্ত গ্যাস সৃষ্টি হয়। ফলে পানি দূষিত হয়ে যায়, অক্সিজেনের অভাব হয়। কাদামাটির পরিমাণ ৪০ সেন্টিমিটারের বেশি হলে তবে তা তুলে ফেলতে হবে।
মাছ চাষের পদ্ধতি ধাপ-৩: পাড় মেরামত
পুকুরের পাড় উঁচু এবং বন্যামুক্ত হতে হবে। পাড় যদি ভাঙা বা অসমান থাকে তা মেরামত করতে হবে। পুকুর পাড়ে যেন বড় গাছপালা না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বড় গাছপালার ডালপালা পানিতে সূর্যের আলো পড়তে বাধা সৃষ্টি করে।
মাছ চাষের পদ্ধতি ধাপ-৪: আগাছা ও শেওলা দমন
পানিতে স্বাভাবিক নিয়মে আগাছা ও শেওলা জন্মাবেই। এগুলো পোনার জন্য খুব ক্ষতিকর। আগাছা ও শেওলা তুলে পুকুর পরিষ্কার করতে হবে। আগাছা পুকুরে সূর্যের আলো পৌঁছাতে বাধা দেয়। পুকুরে রোগ-জীবাণু ছড়ায়, পোনার চলাচলে অসুবিধে সৃষ্টি করে।
মাছ চাষের পদ্ধতি ধাপ-৫: রাক্ষুসে মাছ নিধন
যে সব পুকুর শুকিয়ে যায় সেগুলোতে রাক্ষুসে মাছ আপনা-আপনিই ধ্বংস হয়ে যায়। কিন্তু যে সব পুকুর শুকায় না সেগুলো হতে নিচের যে কোনো একটি পদ্ধতির দ্বারা রাক্ষুসে মাছ নিধন করা যায়। জমির আগাছা ফসলের ক্ষতি করে তেমনি রাক্ষুসে মাছ পুকুরে চাষযোগ্য মাছের পোনা খেয়ে ফেলে। শোল, বোয়াল, গজার, টাকি প্রভৃতি রাক্ষুসে স্বভাবের মাছ।
মাছ চাষের পদ্ধতি ধাপ-৬: রোটেনন্ পদ্ধতি
রোটেনন্ পাউডার, মাছ মারার বিষ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। শতক প্রতি ৩০ সেন্টিমিটার গড় গভীরতা পানিতে ৩৫ গ্রাম পাউডার দিতে হবে। পুকুরের গড় গভীরতা এবং আয়তন অনুযায়ী রোটেনন্ পাউডার বালতির মধ্যে পানিতে খুব ভালো করে গুলাতে হবে। এ সময় পরিষ্কার কাপড় দিয়ে নাক ও মুখ ঢেকে রাখতে হবে। তারপর সমস্ত পুকুরের ছিটিয়ে দিতে হবে। ছিটানোর পর জাল টেনে সমস্ত পুকুর ওলট-পালট করে দিতে হবে। মাছ ভাসতে শুরু করলে আবার জাল টেনে মাছ তুলে ফেলতে হবে। রোটেননের বিষক্রিয়া ৭ দিন পর্যন্ত থাকে। অর্থাৎ ৭ দিন পর্যন্ত ঐ পুকুরের পানি ব্যবহার করা যাবে না। রোটেনন্ ব্যবহারের পরও ঐ মাছ খাওয়া যায়।
মাছ চাষের পদ্ধতি ধাপ-৭: পানি সেচ পদ্ধতি
যে সব পুকুরের পানি সম্পূর্ণরূপে শুকিয়ে যায় না, রাক্ষুসে মাছ নিধন করার জন্য সেসব পুকুরের পানি সেচের মাধ্যমে শুকাতে হবে। শ্যালো মেশিন দ্বারা পানি সেচে ফেলে দিয়ে মাছ ধরতে হবে। তারপর কড়া রোদে পুকুর শুকাতে হয়। পুকুর সেচের কাজটি বর্ষার পূর্বে অর্থাৎ ফাল্গুন থেকে বৈশাখ মাসে করা সবচেয়ে ভালো। কারণ, এতে সূর্যের তাপে পুকুরের তলার মাটি শুকিয়ে যায় এবং ক্ষতিকারক কীটপতঙ্গ ধ্বংস হয়ে যায়।
মাছ চাষের পদ্ধতি ধাপ-৮: বিষ প্রয়োগ পদ্ধতি
যেসব পুকুরে পানি সম্পূর্ণরূপে শুকিয়ে যায় না, সেসব পুকুরে রাক্ষুসে মাছ নিধন করার জন্য বিষ প্রয়োগ করতে হয়। বিষ অনেক প্রকারের আছে। কিন্তু ট্যাবলেট আছে যেগুলো মাছ মারার জন্য পুকুরে ব্যবহার করা হয়। ফস্টসিন্ তেমনি একটি ট্যাব্লেট। প্রতিটি ট্যাবলেটের ওজন ৩ গ্রাম। শতক প্রতি ৩০ সেন্টিমিটার পানির গড় গভীরতায় ১টি ট্যাবলেট হিসেবে সমস্ত পুকুরে ছিটিয়ে দিতে হয়। তারপর জাল টেনে পানি ওলট-পালট করে দিতে হয়। ট্যাব্লেট ছিটানোর ১-২ ঘণ্টা পর মাছ মরে ভাসতে শুরু করবে। যে পুকুরে এ বিষ দেওয়া হবে, সে পুকুরের পানি ৭-১০ দিন ব্যবহার করা যাবে না। ফস্টক্সিন্ খুব বিষাক্ত। তাই এটি কৌটা থেকে বের করার আগে কোনো কাপড় দিয়ে নাক ভালো করে বেঁধে নিতে হবে।
মাছ চাষের পদ্ধতি ধাপ-৯: চুন প্রয়োগ
মাছ চাষের জন্য পুকুর প্রস্তুত করার সময় চুন প্রয়োগ একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। চুন দেওয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে, যেনো পরিমাণ মতো চুন দেওয়া যায়। চুন চারদিক থেকে ছড়িয়ে দিতে হবে।
চুন প্রয়োগের উপকার: চুন প্রয়োগে অনেক উপকার হয়। যেমন ; ক. ক্ষতিকর রোগ-জীবাণু ধ্বংস হয়। খ. মাটি ও পানির গুণাগুণ ঠিক থাকে। গ. মাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
চুনের পরিমাণ: পুকুরে প্রতি শতকে ১ কেজি হারে চুন প্রয়োগ করতে হয়। যদি পুকুর শুকনা হয় তবে তলায় চুন ছিটিয়ে দিতে হয়। পুকুরে পানি থাকলে চুন আগে গুলে ঠাণ্ডা করে সমস্ত পুকুরে ছিটিয়ে দিতে হয়।
মাছ চাষের পদ্ধতি ধাপ-১০: সার প্রয়োগ
পোনার স্বাভাবিক খাবার তৈরির জন্য সার প্রয়োগ করতে হয়। সার দু প্রকার। যথা – ক. জৈব সার ও খ. অজৈব সার বা রাসায়নিক সার।
চুন দেওয়ার ৫-৭ দিন পর জৈব সার হিসেবে প্রতি শতকে ৫-৭ কেজি গোবর সার দিতে হয়। আর অজৈব সার প্রতি শতকে ২০০ গ্রাম ইউরিয়া, ১০০ গ্রাম টি.এস.পি দিতে হয়।
পুকুরের পানির রং যদি সবুজ বা বাদামি রঙের হয়, তাহলে বুঝতে হবে পুকুরের পানিতে প্রচুর প্রাকৃতিক খাবার আছে।
মাছ চাষের পদ্ধতি ধাপ-১১: ক্ষতিকর পোকা দমন
পোনার পুকুরে সার দেওয়ার পর সাধারণত হাঁস পোকাসহ বড় ধরনের কীটপতঙ্গ জন্মে। তারা মাছের পোনা খেয়ে ফেলে বা খাদ্যের জন্য পোনার সাথে প্রতিযোগিতা করে। তাই পুকুরে পোনা মজুদের পূর্বে এসব ক্ষতিকর পোকা মেরে ফেলতে হবে। প্রতিষেধক হিসেবে ডিপ্প্টারেক্স, সুমিথিয়ন্, কেরোসিন্ ব্যবহার করা যায়। এসব কীটনাশক ব্যবহার করলে পোনার খাবার ছোট প্রাণিকণা বেঁচে থাকবে। কিন্তু ক্ষতিকারক কীটপতঙ্গ মারা যাবে।
মাছ চাষের পদ্ধতি ধাপ-১২: হররা টানা
ক্ষতিকারক কীটপতঙ্গ মেরে ফেলার পর পুকুরে কয়েকবার হররা টানা উচিত। এতে পুকুরের তলার বিষাক্ত গ্যাস বের হয়ে যায়। হররা আমাদের দেশিয় জিনিস। একটা মোটা বাঁশের দুই প্রান্তে দড়ি বেঁধে বাঁশটি পুকুরের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত টানা হয়। বাঁশটি পুকুরের তলদেশের মাটি আলোড়িত করে দেয়। এতে ক্ষতিকর বিষাক্ত গ্যাস বের হয়।
মাছ চাষের পদ্ধতি ধাপ-১৩: পোনা মজুদকরণ
সার প্রয়োগের ৭ দিন পর পোনা মজুদ করতে হয়। পুকুরে পোনা ছাড়াকেই পোনা মজুদকরণ বলা হয়।
পোনা সরাসরি পুকুরে ছাড়া ঠিক নয়। কারণ, যে পাত্রে পোনা ছিল সেটার পানির তাপমাত্রা এবং পুকুরের পানির তাপমাত্রা এক রকম হয় না। এ অবস্থায় পোনা পুকুরে না ছেড়ে পোনার পাত্র বা পলিব্যাগ আংশিকভাবে কিছুক্ষণ পুকুরে ডুবিয়ে রাখতে হবে। আস্তে আস্তে পুকুরের পানি পাত্রের পানির সাথে মেশাতে হবে।
এভাবে এক সময় পাত্রের পানির তাপমাত্রা এবং পুকুরের পানির তাপমাত্রার সমান হবে। তখন পাত্রটিকে কাত করে পুকুরের পানিতে ডুবিয়ে রাখতে হবে। যেন পোনাগুলো ইচ্ছেমতো বের হয় পুকুরের পানিতে চলে যেতে পারে। সকাল ও সন্ধ্যায় পুকুরের পানি ঠাণ্ডা থাকে। তখনই পোনা ছাড়ার উপযুক্ত সময়।
মাছ চাষের পদ্ধতি ধাপ-১৪: পোনা মজুদের পরবর্তী সার প্রয়োগ পদ্ধতি
পুকুরে মাছের পোনা মজুদ করার পরদিন থেকে প্রতি সপ্তাহে নিম্ন হারে সার দিতে হবে:
অজৈব সারের মধ্যে শুধু টি.এস.পি সার রাতে পানিতে ভিজিয়ে সকালে ইউরিয়া ও জৈব সার একত্রে মিশিয়ে পুকুরে ছিটিয়ে দিতে হবে।
- ১ম সপ্তাহে: প্রতি শতকে ১০০ গ্রাম ইউরিয়া ও ৫০ গ্রাম টি.এস.পি।
- ২য় সপ্তাহে: প্রতি শতকে ৪-৫ কেজি গোবর বা ৩-৪ কেটি মুরগির বিষ্ঠা।
- ৩য় সপ্তাহে: প্রতি শতকে ১০০ গ্রাম ইউরিয়া ও ৫০ গ্রাম টি.এস.পি।
- ৪ র্থ সপ্তাহে: প্রতি শতকে ৪-৫ কেজি গোবর সার।
মাছ চাষের পদ্ধতি ধাপ-১৫: পানিতে মাছের খাদ্য পরীক্ষা
পুকুরে চাহিদা তুলনায় মাছের খাদ্য বেশি বা সার বেশি বা কম হলে পানির গুণাগুণ নষ্ট হয়, মাছের ক্ষতি হয়। সেজন্য পুকুরের পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার আছে কি না তা পরীক্ষা করা দরকার।
১ম পরীক্ষা:
পানিতে কনুই পর্যন্ত হাত ডুবানোর পর যদি হাতের তালু দেখা না যায়, তাহলে বুঝতে হবে পানিতে পর্যাপ্ত খাবার আছে। হাতের তালু দেখা গেলে খাবারের অভাব বুঝাতে হবে। এ অবস্থায় পুকুরে সার দিতে হবে।
২য় পরীক্ষা:
অল্প পরিমাণ পানি কাচের গ্লাসে নিয়ে পানির দিকে তাকালে যদি এতে খুব ছোট ছোট শ্যাওলা দেখা যায়, তাহলে বুঝতে হবে বেশ খাবার আছে। আর যদি কেবল পানি দেখা যায়, তাহলে বুঝতে হবে খাবার নেই। এ অবস্থায় প্রয়োজনীয় সার দিতে হবে।
মাছ চাষের পদ্ধতি ধাপ-১৬: খাদ্য যোগান
পুকুরে যে সার প্রয়োগ করা হয় অনেক সময় তাতে পর্যাপ্ত খাবার জন্মায় না। সে জন্য পুকুরে বাইরে থেকে খাবার দিতে হয়। মাছের খাদ্য হিসেবে পুকুরে বাইরে থেকে যে খাবার সরবরাহ করা হয় তাকে ‘সম্পূরক খাদ্য’ বলে।
আমাদের খাদ্যে ৬ ধরনের উপাদান আছে। যেমন- আমিষ, শর্করা, চর্বি, ভিটামিন, লবণ ও পানি। এ উপাদানগুলো দেহের বৃদ্ধি সাধন, ক্ষয়পূরণ, তাপ ও শক্তি উৎপাদন প্রভৃতি কাজে ব্যবহৃত হয়। মাছের খাদ্যেও এ সব উপাদান আছে।
আমাদের দেশে চাউলের কুঁড়া, গমের ভূষি, সরিষার খইল এবং তিলের খইল সাধারণত মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
মাছ চাষের পদ্ধতি ধাপ-১৭: স্বাস্থ্য বৃদ্ধি পরীক্ষা ও পোনা পর্যবেক্ষণ
প্রতি মাসে পুকুরে জাল টেনে দেখতে হবে যে—
- মাছের সাধারণ বৃদ্ধি ঠিকমতো হচ্ছে কি না।
- শরীরে রোগের কোনো চিহ্ন আছে কি না। যেমন- পায়ে অতিরিক্ত আঠালো পিচ্ছিল পর্দায় বা ক্ষত চিহ্ন।
- স্বাভাবিক রং ফ্যাকাশে হওয়া।
- চামড়া ও পাখনা ক্ষয়ে যাওয়া।
- ফুলকা ক্ষয়ে যাওয়া।
- পেট ফোলা।
- আঁশ ওঠা বা পড়ে যাওয়া।
মাছ চাষের পদ্ধতি ধাপ-১৮: পোনা মাছের সংগ্রহ
বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি খামার কৃত্রিম উপায়ে উৎপাদিত পোনা পাওয়া যায়। তাছাড়াও প্রাকৃতিক উপায়ে উৎপন্ন পোনা হালদা, পদ্মা, যমুনা এবং ব্রহ্মপুত্র নদীতে পাওয়া যায়। এসব নদীতে গ্রীষ্মের শেষে এবং বর্ষাকালে বেশ কিছু পরিমাণ চাষোপযোগী কার্প জাতীয় মাছের পোনা পাওয়া যায়। কেবল হালদা নদীতেই ডিম পোনা পাওয়া যায়। অন্য নদীগুলোতে রেণু ও ধানী পোনা পাওয়া যায়।
মাছ চাষের পদ্ধতি ধাপ-১৯: মাছ আহরণ
পুকুর থেকে মাছ জাল দিয়ে ধরাকে ‘আহরণ করা’ বলা হয়। মাছের দেহের বৃদ্ধি এবং পুকুরের উৎপাদনের ওপর লক্ষ্য রেখে মাছ আহরণ করতে হয়। মাছের দেহের বৃদ্ধি নির্ভর করে। যেমন:
- মাছের ঘনত্ব বা পুকুরে মাছের পরিমাণ।
- মাটির উর্বরতা।
- পানির গুণাগুণ।
- খাবার প্রয়োগ।
- পুকুর ব্যবস্থাপনা।
প্রত্যেক পুকুরের নির্দিষ্ট পরিমাণ মাছ ধারণের ক্ষমতা রয়েছে। এর বেশি হলে মাছের দেহের বৃদ্ধি কমতে থাকে। তখন মাছ শুধু বেঁধে থাকার জন্য প্রাকৃতিক খাবার খায়। মাছের গড় বদ্ধি একেবারেই থেমে যায়।
শ্রাবণ-ভাদ্র মাসে পোনা ছাড়া হলে সেগুলো অগ্রহায়ণ পর্যন্ত খুব তাড়াতাড়ি বাড়ে। শীতে মাছের দেহের বৃদ্ধি কমে যায়। গরমের সময় মাছ খুব তাড়াতাড়ি বাড়ে।
মাছ আহরণের সময় নিম্নের বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে:
- বাজারে মাছের চাহিদা।
- সিল্ভার্ কার্প, গ্রাস্ কার্প এবং মিরর্ কার্প ৫ থেকে ৬ মাসের মধ্যেই ১ কেজি ওজনের হয়। কাজেই সেগুলোর প্রথমে বাজারজাত করতে হবে।
- বড় মাছ যে অনুপাতে ধরা হবে, সে অনুপাতে পোনা ছাড়তে হবে।
- মাছ আহরণের সঙ্গে সঙ্গে পোনা ছাড়লে লাভ অনেক বেশি পাওয়া যায়।
- বছরে একবার সমস্ত মাছ আহরণ করতে হবে।
- বাজার দর ও চাহিদার দিকে লক্ষ্য রেখে সময় ঠিক করতে হবে।