* কোন ইবাদত জাতীয় মান্নত মানলে যদি যে উদ্দেশ্যে মান্নত করেছে সে উদ্দেশ্য পূর্ণ হয় তাহলে ঐ মান্নত পূরা করা ওয়াজিব। উদ্দেশ্য পূর্ণ না হলে মান্নত আদায় করা ওয়াজিব হয় না। আর কোন উদ্দেশ্য ব্যতীত এমনিতেই আল্লাহর নাম নিয়ে কোন কিছুর মাত করলে তা পূর্ণ করা ওয়াজিব।
* শরী’আতের খেলাফ মান্নত মানলে তা পূর্ণ করা যাবে না, যেমন মাযারে কোন কিছু দেয়ার মান্নত করলে বা নাচ গানের মান্নত করলে ইত্যাদি 1
* মীলাদের মান্নত মানলে সে মান্নত বাতিল-তা পুরা করার দরকার নেই।
* নির্দিষ্ট গরু, বকরী বা মুরগি মান্নত করলে সেটাই দিতে হবে। আর যদি নির্দিষ্ট করে না বলে, তাহলে কুরবানীর উপযুক্ত যে কোন গরু বা খাশী দিতে হবে।
* নির্দিষ্ট কোন স্থানে দেয়ার মান্নত করলে সেখানেই দেয়া জরুরী নয়, যেমন মক্কা শরীফে বা মদীনায় দেয়ার মান্নত করলে সেখানেই দেয়া জরুরী নয়- অন্য স্থানেও দেয়া যাবে।
* নির্দিষ্ট কোন দিনে বা নির্দিষ্ট কোন মিসকীনকে দেয়ার মান্নত করলে সেই নির্দিষ্ট দিনে বা সেই নির্দিষ্ট মিসকীনকে দেয়া জরুরী নয়- অন্য যে কোন দিন বা অন্য যে কোন মিসকীনকে দিলেও চলবে।
* নির্দিষ্ট কোন মসজিদে নামায পড়ার মান্নত করলে সে মসজিদেই নামায পড়া জরুরী নয়, বরং যে কোন মসজিদে নামায পড়লে মান্নত আদায় হয়ে যাবে।
* যদি কেউ মান্নত করে যে, দশ জন হাফেজ বা দশজন আলেমকে খাওয়াব, তাহলে হাফেজ বা আলেমকে খাওয়ানো জরুরী নয়-দশজন মিসকীনকে খাওয়ালেও চলবে।
* যে কয়জন মিসকীনকে খাওয়ানোর মান্নত করবে সে ক্ষেত্রে দেখতে হবে তার নিয়ত কি ছিল; যদি এক ওয়াক্ত খাওয়ানোর নিয়ত থাকে তাহলে এক ওয়াক্ত খাওয়ালেই চলবে। আর যদি দুই ওয়াক্ত খাওয়ানোর নিয়ত থাকে বা কিছু নিয়ত ঠিক করে না বলে থাকে তাহলে দুই ওয়াক্ত পেট ভরে খাওয়াতে হবে।
* যদি এক বা আকাধিক মিসকীনকে কোন পরিমাণ নির্দিষ্ট না করেই চাউল ডাউল ইত্যাদি দেয়ার মান্নত করে থাকে, তাহলে প্রত্যেক মিসকীনকে একটি সদকায়ে ফিতর-এর পরিমাণ দিতে হবে।
* যদি রোযার মান্নত করে থাকে তাহলে এ সম্পর্কে জানার খামারিয়ান.কম সার্স করুন, আলাদা পোষ্ট রয়েছে।
* এক আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারও নামে মান্নত মানা দুরস্ত নয়।