Skip to content

 

Wait...❤😘 Show love? ⬇⬇⬇

যানবাহনের ভাড়া/নেয়া সম্পর্কিত মাসআলা মাসায়েল

যানবাহনের ভাড়া_নেয়া সম্পর্কিত মাসআলা মাসায়েল

বিষয়: যানবাহনের ভাড়া/নেয়া সম্পর্কিত মাসআলা মাসায়েল।
সূত্র: যানবাহনের ভাড়া/নেয়া সম্পর্কিত মাসআলা মাসায়েল।

যানবাহনের ভাড়া/নেয়া সম্পর্কিত মাসআলা মাসায়েল

* কোন যানবাহন ভাড়া (রিজার্ভ) নিয়ে তার স্বাভাবিক ক্যাপাসিটির বাইরে লোক/মাল বোঝাই করা যাবে না। তবে মালিক যদি চায় বা সম্মত হয় তাহলে তার সে অধিকার আছে। (ইসলামী ফেকাহঃ ৩য়)

* কোথাও যাতায়াতের জন্য রিক্সা মোটর বা অন্য কোন যানবাহন ভাড়া নেয়ার পর মতের পরিবর্তন হলে রিক্সা বা মোটর ফেরত দেয়া যায়। কিন্তু রিক্সার প্রচুর সময় ব্যয় করে থাকলে অথবা মোটরে কিছু পথ অতিক্রম করে থাকলে ঐ সময়ের মজুরী/জ্বালানীর দাম দিতে হবে।

* যে পর্যন্ত যাওয়ার ভাড়া করা হয়েছে অথবা টিকেট নেয়া হয়েছে যাত্রী তার চেয়ে বেশী গেলে তাকে আনুপাতিক হারে জরিমানা (অতিরিক্ত ভাড়া) দিতে হবে।

* যানবাহন কোন নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে দেয়ার শর্তে ভাড়া নেয়ার পর পথে তা নষ্ট/অকেজো হয়ে পড়লে ওয়াদাকৃত স্থানে পৌঁছে দেয়া মালিকের দায়িত্ব। যদি যাত্রীদের বিলম্ব/অপেক্ষা করার অবকাশ না থাকে, তাহলে যে পরিমাণ পথ সে অতিক্রম করেছে তার ভাড়া পরিশোধ করে অন্য যানবাহনে যেতে পারবে। মালিক ভাড়া অগ্রিম নিয়ে থাকলে তার কর্তব্য বাকীটুকু ফেরত দেয়া। (ইসলামী ফেকাহঃ ৩য়)

* কেউ মোটর, রিক্সা বা কোন যানবাহন ভাড়া নিলে কি কাজের জন্য, কি মাল বহন করার জন্য এবং তা কত সময় বা কত দূরত্বের জন্য তা পরিষ্কার ভাবে বলে নিতে হবে। যাতে পরে কোন বিরোধ/সংঘর্ষ দেখা না দেয়। (প্রাগুক্ত)

* ভাড়াটিয়া শেষ পর্যন্ত ভাড়া না নিলে অথবা যানবাহন ব্যবহার না করলে গৃহীত অগ্রিম টাকা মালিকের হবে-এই শর্তে ভাড়ার অগ্রিম লেন-দেন জায়েয নেই। (প্রাগুক্ত)

* রেলগাড়ী, ট্রাক, ঠেলাগাড়ী প্রভৃতিতে যে ধরনের ও যে পরিমাণ মালামাল বোঝাই করার অর্ডার নেয়া হয়েছে বা যার চুক্তি হয়েছে, তার চেয়ে বেশী পরিমাণ দ্রব্য বোঝাই করা জায়েয নয়। এমনিভাবে যাত্রীর সাথে যে পরিমাণ মাল নেয়ার সুযোগ কর্তৃপক্ষ দেয়, চুরি করে তার চেয়ে বেশী নেয়া জায়েয নয়। (প্রাগুক্ত)

* কারও মালামাল নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে দেয়ার অর্ডার নিলে সেখানে পৌঁছে দেয়া এবং পৌঁছানো পর্যন্ত ভাঙ্গাচোরা ও নষ্ট হওয়ার যাবতীয় দায়িত্ব যানবাহনওয়ালার উপর বর্তায়। আর কোন জীবজন্তু পাঠালে তার খাদ্য, মাছ পাঠালে তাতে বরফ দেয়া অথবা ডিম পাঠালে তা শীতল রাখার ব্যবস্থা করা মালিকের উপর বর্তাবে। মোটকথা-মালামালের নিরাপত্তার দায়িত্ব যানবাহন কর্তৃপক্ষের এবং সংরক্ষণের দায়িত্ব মালিকের। (প্রাগুক্ত)

* নির্দিষ্ট সময় বা নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছার জন্য কোন যানবাহন রিজার্ভ করলে বা ট্রেনের সিট রিজার্ভ করলে উক্ত সময়ের মধ্যে বা সে দুরত্বের মধ্যে অন্য কাউকে চড়তে না দেয়ার অধিকার এসে যায়। (ইসলামী ফেকাহঃ ৩য়)

সমাপ্ত: যানবাহনের ভাড়া/নেয়া সম্পর্কিত মাসআলা মাসায়েল।
সূত্র: আহকামে জিন্দেগী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright Notice

কপি করা নিষিদ্ধ!