বিষয়: ঋণ সম্পর্কিত আদব ও মাসআলা মাসায়েল।
হ্যাশট্যাগ: ঋণ সম্পর্কিত আদব ও মাসআলা মাসায়েল।
ঋণ সম্পর্কিত আদব ও মাসআলা মাসায়েল
* যথাসম্ভব ঋণ গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
* এমন ব্যক্তির নিকট ঋণ চাওয়া ঠিক নয়, যার ব্যাপারে বোঝা যায় যে, অনিচ্ছা সত্ত্বেও সে ভক্তি বা লজ্জা বা চাপ ইত্যাদির কারণে অস্বীকার করতে পারবে না। যার ব্যাপারে নিশ্চিত জানা আছে যে, অনিচ্ছা হলে স্বাধীনভাবে সে অস্বীকৃতি জানিয়ে দিতে কুণ্ঠিত হবে না- এরূপ লোকের নিকট ঋণ চাওয়াতে দোষ নেই।
* ঋণ গ্রহণ করলে সেটা পরিশোধের সময় নির্দিষ্ট করে নিবে }
* ঋণ নিলে সেটা স্মরণ রাখার জন্য লিখে রাখবে।
* যতদ্রুত সম্ভব ঋণ পরিশোধ করে দেয়া প্রয়োজন, কেননা ঋণ পরিশোধ না করে মৃত্যুবরণ করলে তার রূহ ঝুলন্ত অবস্থায় থাকে-জান্নাতে প্রবেশ করতে পারে না।
* পাওনাদার নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেও চাওয়ার অধিকার রাখে।
* পাওনাদার শক্ত কিছু বললেও তা সহ্য করতে হবে।
* সাধ্য থাকা সত্ত্বেও ঋণ পরিশোধ না করা বা আজ-কাল বলে টালবাহানা করা জুলুম।
* ঋণ গ্রহণকারী ব্যক্তি অস্বচ্ছল হলে তাকে সময় সুযোগ দেয়া উচিত- পেরেশান করা উচিত নয়। পারলে ঋণ পুরোটা বা তার কিয়দাংশ মাফ করে দিবে। তাহলে আল্লাহ তা’আলাও কিয়ামতের কষ্ট থেকে মুক্তি দিবেন।
* ঋণ গ্রহণকারী যদি ঋণ পরিশোধের ভার এমন কোন লোকের উপর ন্যস্ত করতে চায় যার থেকে উসূল করা যাবে বলে আশা করা যায়, তাহলে সেটা মেনে নিবে। অহেতুক জিদ ধরা ঠিক নয়।
* খারাব মাল দ্বারা ঋণ পরিশোধ করবে না বরং ভালটার দ্বারা পরিশোধ করা উত্তম।
* পাওনাদার ঋণ বুঝে পাওয়ার সময় ঋণ গ্রহণকারীকে দোয়া দিবে এবং তার শোকর আদায় করবে।
* ঋণ পরিশোধ করলে তাও লিখে রাখবে।
* বিশ্বাস ও ভক্তির সাথে নিম্নের দোয়াটি পড়লে ইনশাআল্লাহ ঋণ আদায় হয়ে যাবে-
اللهم اكفني بحلالك عن حرامك وأغنني بفضلك عمن سواك –
অর্থ : হে আল্লাহ, হারাম হতে বাঁচিয়ে তোমার হালাম রুযী দ্বারা আমার অভাব পূরণ কর এবং তোমার অনুগ্রহ দ্বারা অন্যের মুখাপেক্ষী হওয়া থেকে আমাকে রক্ষা কর। (তিরমিযী ও মুস্তাদরকে হাকিম)
* সামর্থ থাকা সত্ত্বেও ঋণ পরিশোধ না করলে মামলা করে বা প্রকাশ্যে কিংবা গোপনে যে কোনভাবে পাওনা উসূল করে নেয়া পাওনাদারের জন্য জায়েয। এরূপ অবস্থায় দেনাদারকে শক্ত কথা বলাও জায়েয।
সমাপ্ত: ঋণ সম্পর্কিত আদব ও মাসআলা মাসায়েল।
সূত্র: আহকামে যিন্দেগী।