Skip to content

 

Wait...❤😘 Show love? ⬇⬇⬇

তালাক সংক্রান্ত সকল মাসআলা মাসায়েল

তালাক সংক্রান্ত সকল মাসআলা মাসায়েল

বিষয়: তালাক সংক্রান্ত সকল মাসআলা মাসায়েল।
হ্যাশট্যাগ: #তালাক সংক্রান্ত সকল মাসআলা মাসায়েল।

তালাক দেয়ার মাসায়েল

* নিতান্ত অপারগতা ছাড়া তালাক দেয়া জুলুম ও অন্যায়।

* নিতান্ত ঠেকা ব্যতীত স্বামীর নিকট তালাক চাওয়া মহাপাপ।

* কোন কল্যাণ ও প্রয়োজনে তালাক দেয়া মোবাহ বা জায়েয।

* স্ত্রী যদি স্বামীর জন্য কষ্টদায়ক হয় বা স্ত্রী নামায সম্পূর্ণ পরিত্যাগ- কারিণী হয় বা স্বামীর অবাধ্য হয় তাহলে সে স্ত্রীকে তালাক দেয়া মোস্তাহাব বা উত্তম। বোঝানো সত্ত্বেও যে স্ত্রী অশ্লীল কাজে লিপ্ত হয় তাকেও তালাক দেয়া মোস্তাহাব।

* স্বামীর পক্ষ থেকে স্ত্রীর হক আদায় করতে অক্ষমতা দেখা দিলে তালাক দেয়া ওয়াজিব। তবে স্ত্রী তার হক মাফ করে দিলে ওয়াজিব থাকে না।

* নিজের কানে শোনা যায় এতটুকু শব্দে তালাক দিলেই তালাক হয়ে যায়, স্ত্রীর বা অন্য কারও শোনা যাওয়া জরুরী নয়।

* হাসি ঠাট্টা করে বা রাগের মুহূর্তে বা নেশা পান করে মাতাল অবস্থায় তালাক দিলেও তালাক হয়ে যায়।

* তালাক দেয়ার ক্ষমতা স্বামী ব্যতীত অন্য কারও নেই। অবশ্য স্বামী কাউকে (স্ত্রীকে বা অন্য কাউকে) তালাক দেয়ার ক্ষমতা দিলে সে তালাক দিতে পারে

* হায়েয নেফাসের অবস্থায় তালাক দিলে তালাক হয়ে যায়। তবে হায়েয নেফাসের অবস্থায় তালাক দেয়া গোনাহ।

* এক সঙ্গে তিন তালাক দেয়া হারাম ও গোনাহে কবীরা। তবে এক সঙ্গে তিন তালাক দিলেও তিন তালাক হয়ে যাবে এবং স্ত্রী তার জন্য সম্পূর্ণ হারাম হয়ে যাবে। এমতাবস্থায় নিয়ম মাফিক অন্য স্বামীর ঘর হয়ে ঘুরে না আসলে আর তাকে স্ত্রী হিসেবে রাখার বা বিবাহ করার উপায় থাকবে না।

* কারও চাপ, জোর-জবরদস্ত্রী বা হুমকির মুখে তালাক দিলেও তালাক হয়ে যাবে।

বিঃ দ্রঃ তালাকের বিভিন্ন শব্দ এবং তালাকের বিভিন্ন প্রকার রয়েছে। তালাকের শব্দ ও প্রকারের পার্থক্যের ভিত্তিতে হুকুমেরও পার্থক্য হয়ে থাকে। তাই তালাক সম্পর্কিত কোন ঘটনা ঘটলে মুফতী সাহেবদের নিকট থেকে সমাধান জেনে নিতে হবে। তালাক দেয়ার নিয়মঃ

See also  ব্যাক্তিগত অর্থ সম্পদ, সঞ্চয় ও সংরক্ষণ সম্পর্কে মাসআলা মাসায়েল

তালাক দেয়ার তিনটি নিয়ম, যথাঃ (১) অতি উত্তম, (২) উত্তম এবং (৩) বিদআত ও হারাম।

১। তালাক দেয়ার অতি উত্তম নিয়ম হলঃ স্ত্রী যখন হায়েয থেকে পাক হবে তখন (অর্থাৎ, তহুর বা পাকীর সময়ে) এক তালাক দিবে এবং শর্ত এই যে, এ তহুরের মধ্যে তার সাথে সহবাস হতে পারবে না। এর পরবর্তী হায়েয থেকে তার ইদ্দত শুরু হবে এবং তিন হায়েয অতিবাহিত হলে তার ইদ্দত শেষ হবে। এই ইদ্দতের মধ্যে আর কোন তালাক দিবে না। ইদ্দত শেষ হলে বিবাহ ভেঙ্গে যাবে।

২। তালাক দেয়ার উত্তম নিয়ম হলঃ স্ত্রী হায়েয থেকে পাক হলে তহুরের মধ্যে এক তালাক দিবে। তারপর হায়েয গিয়ে দ্বিতীয় তহুর এলে তাতে আর এক তালাক দিবে। তারপর তৃতীয় তহুরে আর এক তালাক দিবে। এভাবে তিন তহুরে তিন তালাক দিবে এবং ঐ সময়ের মধ্যে ঐ স্ত্রীর সাথে সহবাস করবে না।

৩। তালাকের বিদআত ও হারাম নিয়ম হলঃ উপরোক্ত নিয়মদ্বয়ের বিপরীত নিয়মে তালাক দেয়া। যেমন এক সঙ্গে তিন তালাক দেয়া বা হায়েযের সময় তালাক দেয়া বা যে তহুরে সহবাস হয়েছে সেই তহুরে তালাক দেয়া। এ সব অবস্থায় তালাক দিলে তালাক হয়ে যায়, তবে গোনাহ হয়।

ইদ্দতের মাসায়েল

স্ত্রী তালাক প্রাপ্তা হলে বা তার স্বামীর মৃত্যু হলে যে সময়ের জন্য উক্ত স্ত্রীকে এক বাড়ীতে থাকতে হয়, অন্যত্র যেতে পারে না বা অন্য কোথাও বিবাহ বসতে পারে না তাকে “ইদ্দত” বলে। ইদ্দতের মাসায়েল নিম্নরূপঃ

* স্ত্রী তালাক প্রাপ্তা হলে তালাকের তারিখের পর পূর্ণ তিন হায়েয অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত উক্ত স্ত্রীর পক্ষে অন্যত্র বিবাহ বসা হারাম।

* উক্ত ইদ্দতের সময়ে তাকে স্বামীর বাড়ীতেই নির্জন বাসস্থানে থাকতে হবে।

* উক্ত স্ত্রী বয়স কম হওয়ার কারণে বা বৃদ্ধ হওয়ার কারণে হায়েয না আসলে তিন হায়েযের পরিবর্তে পূর্ণ তিন মাস উপরোক্ত নিয়মে ইদ্দত পালন করতে হবে।

See also  রোজা সম্পর্কে যত প্রশ্ন

* গর্ভাবস্থায় তালাক হলে সন্তান প্রসব হওয়া মাত্রই ইদ্দত শেষ হয়ে যাবে, চাই যত তাড়াতাড়ি প্রসব হোক কেন।

* হায়েযের অবস্থায় তালাক হলে সে হায়েযকে ইদ্দতের মধ্যে ধরা যাবে না। সে হায়েয বাদ দিয়ে পরবর্তী পূর্ণ তিন হায়েয ইদ্দত পালন করতে হবে।

* যদি কোন স্ত্রীর সাথে স্বামীর সহবাস বা নির্জনবাস হওয়ার পূর্বেই স্বামী তাকে তালাক দিয়ে দেয়, তাহলে তাকে ইদ্দত পালন করতে হয় না।

* তালাকে বায়েন হলে ইদ্দত পালন করার সময় (পূর্ব) স্বামী থেকে সতর্কতার সাথে পূর্ণ মাত্রায় পর্দা রক্ষা করে চলতে হবে। তবে স্বামী কর্তৃক অবৈধভাবে আক্রান্ত হওয়ার প্রবল আশংকা থাকলে সেখান থেকে সরে অন্যত্র গিয়ে ইদ্দত পালন করাই সমীচীন হবে।

* কোন বিবাহ যদি অবৈধ হয় এবং সহবাসও হয় তাহলে ঐ পুরুষ যখন তাকে পরিত্যাগ করবে তখন থেকে ইদ্দত পালন করতে হবে।

* যে স্ত্রীর স্বামী মারা যায় তার ইদ্দত হল চার মাস দশ দিন আর গর্ভবতী হলে তার ইদ্দত সন্তান প্রসব হওয়া পর্যন্ত।

* স্বামীর মৃত্যু হলে মৃত্যুকালে স্ত্রী যে বাড়ীতে ছিল ইদ্দত পালন করার সময় দিবারাত্রি সে বাড়ীতেই থাকতে হবে। অবশ্য গরীব হলে এবং বাইরে গিয়ে কাজকর্ম ব্যতিরেকে খাওয়া পরার ব্যবস্থা না থাকলে দিনের বেলায় কাজের জন্য বাইরে যেতে পারবে, কিন্তু রাতের বেলায় সে বাড়ীতেই থাকতে হবে। বাড়ীতে নিজেদের একাধিক ঘর বা একাধিক কামরা থাকলে যে কোন ঘর বা যে কোন কামরায় থাকতে পারবে। নির্দিষ্ট একটি স্থানেই আবদ্ধ থাকা জরুরী নয়। বাড়ির বারান্দা বা উঠানেও বের হতে পারবে।

* স্বামীর মৃত্যু চাঁদের প্রথম তারিখে হলে চাঁদের হিসেবে চার মাস দশ দিন ধরা হবে। আর চাঁদের প্রথম তারিখ ছাড়া অন্য যে কোন তারিখে মৃত্যু হলে ৩০ দিনের চার মাস এবং তারপর ১০ দিন অর্থাৎ, ১৩০ দিন ইদ্দত পালন করবে। স্ত্রী ঋতুবতী বা গর্ভবতী না হলে যদি তাকে তালাক দেয়া হয়, তাহলে চাঁদের ১ম তারিখে তালাক হলে চাঁদের হিসেবে তিন মাস আর অন্য তারিখে তালাক হলে ৩০ দিনের তিন মাস অর্থাৎ, ৯০ দিন ইদ্দত ধরা হবে।

See also  কাফন দাফনের নিয়ম, কাফন দাফন পদ্ধতি ও কাফন দাফনের pdf (জানাজার নামাজের নিয়ম, জানাজার নামাজের দোয়া)

* স্বামীর মৃত্যু সংবাদ পেতে দেরী হলে সংবাদ পাওয়ার পূর্বে যে সময় অতিবাহিত হয়েছে সেটাও ইদ্দতের ভিতর অতিবাহিত হয়েছে ধরা হবে আর ইদ্দতের পূর্ণ সময় অতিবাহিত হওয়ার পর সংবাদ পেলে আর তাকে ইদ্দত পালন করতে হবে না- তার ইদ্দত ইতিমধ্যে পূর্ণ হয়ে গেছে ধরা হবে।

সমাপ্ত: তালাক সংক্রান্ত সকল মাসআলা মাসায়েল
সূত্র: আহকামে যিন্দেগী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright Notice

কপি করা নিষিদ্ধ!