Skip to content

 

Wait...❤😘 Show love? ⬇⬇⬇

ওয়াকফ, সদকায়ে জারিয়া এবং ওছিয়াত এর মাসআলা মাসায়েল

ওয়াকফ, সদকায়ে জারিয়া এবং ওছিয়াত এর মাসআলা মাসায়েল

বিষয়: ওয়াকফ, সদকায়ে জারিয়া এবং এর মাসআলা মাসায়েল।
হ্যাশট্যাগ: #ওয়াকফ, সদকায়ে জারিয়া এবং এর মাসআলা মাসায়েল।

ওয়াকফ ও সদকায়ে জারিয়া এর মাসআলা মাসায়েল

* জায়গা-জমি, বাড়ি, বাগান ইত্যাদি আল্লাহর নামে এই মর্মে ওয়াক্ফ করা যে, এতে মসজিদ/মাদ্রাসা প্রভৃতি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হবে কিংবা এতে গরীব দুঃখীরা, ইসলামের সেবকরা থাকবে কিংবা এর আয় থেকে তারা ভোগ করবে- এরূপ করাকে ‘সদকায়ে জারিয়া’ বলে। অন্যান্য সব ইবাদত বন্দেগীর ছওয়াব মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ হয়ে যায় কিন্তু সদকায়ে জারিয়ার ছওয়াব যতদিন ঐ সম্পত্তি থাকবে এবং যতদিন গরীব দুঃখীর উপকার ও ইসলামের খেদমত হতে থাকবে কিয়ামত পর্যন্ত দাতার আমলনামায় ছওয়াব লেখা হতে থাকবে।

* ওয়াক্ফ সম্পত্তিতে যেন কোনরূপ খেয়ানত না হয় বা বে-জায়গায় খরচ না হয় সে জন্য একজন মুতাওয়াল্লী নিযুক্ত করা দরকার, যদিও মুতাওয়াল্লী নিযুক্ত করা ছাড়াও ওয়াক্ফ করা সহীহ। মুতাওয়াল্লীর গুণাবলী ও যোগ্যতা সম্পর্কে বিগত পোষ্টে বর্ণনা করা হয়েছে।

* ওয়াক্ফকারী যদি নিজের জীবিত কাল পর্যন্ত নিজেই মুতাওয়াল্লী থাকতে চায় তাও জায়েয আছে।

* ওয়াক্ফকারী যদি এই শর্ত করে যে, যত দিন আমি জীবিত থাকব, ততদিন এই সম্পত্তির রক্ষণাবেক্ষণ আমি নিজেই করব এবং এর আয়ের এক চতুর্থাংশ বা অর্ধেক বা আমার প্রয়োজন পরিমাণ আমি রাখব (অবশিষ্ট অমুক অমুক দ্বীনী কাজে ব্যয় হবে) তবে এরূপ ওয়াক্ফ করা এবং শর্ত অনুযায়ী আয়ের অংশ গ্রহণ করাও দুরন্ত আছে।

* ওয়াক্ফকারী যদি শর্ত করে যে, এই ওয়াক্ফ সম্পত্তির আয় থেকে এত অংশ বা এত টাকা আগে আমার আওলাদ পাবে, (বাকী যা কিছু থাকবে তা অমুক অমুক দ্বীনী কাজে ব্যয় হবে) তবে তাও দুরস্ত আছে। আওলাদকে উক্ত পরিমাণই দেয়া হবে।

* মাদ্রাসা মসজিদে টাকা-পয়সা বা মাল-আসবাব দান করা এবং তালিবে ইলমদেরকে সাহায্য সহযোগিতা করাও সদকায়ে জারিয়ার অন্তর্ভুক্ত। বিঃ দ্রঃ ওয়াক্ফ সম্পত্তির অন্যান্য মাসায়েল ৩৫২-৩৫৪ পৃষ্ঠায় বর্ণিত হয়েছে।

ওছিয়াত

* নিজের মাল বা সম্পত্তির এক তৃতীয়াংশের অধিক ওছিয়াত করা যাবেনা। এক তৃতীয়াংশের অধিকের জন্য ওছিয়াত করলেও তার ওছিয়াত এক তৃতীয়াংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হবে, ওছিয়াত সম্পূৰ্ণ হোক বা না হোক।

* নিজের ওয়ারিছ (যে তার পরিত্যক্ত সম্পত্তি থেকে অংশ পাবে)-এর জন্য ওছিয়াত করা যায় না। অবশ্য যদি অন্যান্য ওয়ারিছরা এতে সম্মত থাকে তাহলে উক্ত ওয়ারিছ ওছিয়াত দ্বারা অংশ পেতে পারে অথবা যদি উক্ত ওয়ারিছ হকদার হওয়ার সত্ত্বেও অন্য কোন কারণে মীরাছ থেকে বঞ্চিত হয়ে গিয়ে থাকে, তাহলেও সে ওছিয়াত অনুযায়ী অংশ পাবে, যেমন দাদা জীবিত থাকাকালীন অবস্থায় পিতা ইন্তেকাল করলে নাতি দাদার সম্পত্তি থেকে অংশ পায় না কিন্তু দাদা ওছিয়াত করে গেলে তখন উক্ত নাতি ওছিয়াত অনুযায়ী অংশ পাবে।

* কোন মাকরূহ বা হারাম কাজের জন্য ওছিয়াত করে গেলে তা পূরণ করা হবে না।

* ওয়াছিয়াতকারীর মৃত্যুর পর কাফন-দাফনের ব্যয় ও ঋণ পরিশোধের পর অবশিষ্ট অর্থ থেকে ওছিয়াত পূর্ণ করা হবে। দাফন-কাফনের ব্যয় ও ঋণ

পরিশোধের পর অবশিষ্ট না থাকলে ওছিয়াত পূরা করা হবে না।

* কেউ কোন দ্রব্য বা শস্য সদকা করার ওছিয়াত করলে সে দ্রব্যের দামও সদকা করা যায়।

* কাউকে নিজের বাড়িতে বিনা ভাড়ায় থাকতে দেয়ার ওছিয়াত করলে সে ওছিয়াত জায়েয আছে কিন্তু যদি একটি মাত্র বাড়ি রেখে যায় তাহলে সে ওছিয়াত এক তৃতীয়াংশের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে অর্থাৎ, তাকে উক্ত বাড়ীর এক তৃতীয়াংশের মধ্যে থাকতে দেয়া হবে, বাকী অংশ ওয়ারিছদের জন্য।

* যতদিন কোন লোক জীবিত থাকবে, তার নিজের ওছিয়াত ফিরিয়ে নেয়ার অধিকারও বাকী থাকবে।

* যদি কেউ ওছিয়াত করে যে, অমুক ব্যক্তি আমার জানাজা পড়াবে বা আমাকে অমুক স্থানে দাফন করবে, তাহলে এসব ওছিয়াত পূরণ করা ওয়াজিব নয়, তবে অন্য কোন শরী’আত সম্মত বাধা না থাকলে পূরণ করাতে কোন অসুবিধা নেই।

* কারও অনাদায়ী যাকাত, অনাদায়ী হজ্জ থাকলে তা আদায় করার বা নামায রোযা বাকী থাকলে তার ফেদিয়া আদায় করার ওছিয়াত করে যাওয়া ওয়াজিব। এরূপ ওছিয়াত করে গেলে তার দাফন-কাফন ও ঋণ পরিশোধের পর যে পরিমাণ সম্পদ উদ্বৃত্ত থাকবে তার এক তৃতীয়াংশের মধ্য হতে তা আদায় করা হবে। যদি এক তৃতীয়াংশের মধ্যে তা আদায় না হয় তাহলে তা আদায় করা না করা ওয়ারিছদের ইচ্ছাধীন থাকবে। নামাযের ফেদিয়া’, ‘রোযার ফেদিয়া’, ‘বদলী হজ্জ’ ইত্যাদি পরিচ্ছেদে এসব সম্পর্কে পৃথক পৃথক ভাবে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

সমাপ্ত: ওয়াকফ, সদকায়ে জারিয়া এবং এর মাসআলা মাসায়েল।
সূত্র: আহকামে যিন্দেগী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright Notice

কপি করা নিষিদ্ধ!