Skip to content

 

Wait...❤😘 Show love? ⬇⬇⬇

রান্না-বান্না ও খাবার/খাদ্য হিসেবে পশু-পাখি সম্পর্কিত মাসআলা মাসায়েল

রান্না-বান্না ও খাবার/খাদ্য হিসেবে পশু-পাখি সম্পর্কিত মাসআলা মাসায়েল

বিষয়: রান্না-বান্না ও খাবার/খাদ্য হিসেবে পশু-পাখি সম্পর্কিত মাসআলা মাসায়েল।
হ্যাশট্যাগ: #রান্না-বান্না সম্পর্কিত মাসায়েল #যে সব পশু পাখী খাওয়া জায়েয ও হালাল #যেসব পশু পাখী খাওয়া জায়েয নয় #হালাল পশু পাখীর যা যা খাওয়া নাজায়েয #মাছ ও পানির অন্যান্য প্রাণী সম্পর্কিত মাসায়েল #জবাই করার মাসায়েল

রান্না-বান্না সম্পর্কিত মাসায়েল

* মহিলাদের জন্য ঘরের কাজ করা, রান্না-বান্না করা বা চাকর নওকর থাকলে এসব কাজে তাদের সহযোগিতা করা বা তত্ত্বাবধান করাও ইবাদতের শামিল এবং এতে তাদের ছওয়াব হয়ে থাকে। মহিলাদের এসব কাজ ছওয়াব মনে করে করা উচিত। স্বামীর চাকর-নওকরের ব্যবস্থা করার সঙ্গতি না থাকলে এবং স্ত্রী রান্না-বান্না করতে সক্ষম হলে রান্না-বান্না করা তার উপর নৈতিক ওয়াজিব।

* রান্না-বান্না করার জন্য চাউল, আটা ইত্যাদি মেপে নিবে। তবে মূল পাত্রে কি পরিমাণ অবশিষ্ট থাকল সেটা মেপে দেখবে না, তাহলে বরকত কমে যাবে।

* যখন গোসল ফরয সে অবস্থায়ও রান্না-বান্না করাতে কোন দোষ নেই।

* বিসমিল্লাহ বলে রান্না-বান্না শুরু করবে।

* গোবরের জ্বালানী দিয়ে রান্না-বান্না করা জায়েয।

* গোবর বা মনুষ্য মল থেকে তৈরী গ্যাস দ্বারা রান্না করা জায়েয। ( فتاوی رحیمیہ ج/6)

* রান্না শেষ হওয়ার পর চুলার আগুন নিভিয়ে রাখবে, যাতে করে অন্য কিছুতে আগুন লাগতে না পারে। গ্যাসের চুলা হলেও নিভিয়ে রাখবে। একটা ম্যাচের শলাকা বাঁচানোর জন্য গ্যাস জ্বালিয়ে রাখলে অপব্যয়ের গোনাহ হবে। অপব্যয় করা কবীরা গোনাহ।

* রান্না শেষ হওয়ার পর খাদ্য খাবার ঢেকে রাখবে।

যে সব পশু পাখী খাওয়া জায়েয ও হালাল

যে সব পশু পাখী পাঞ্জা দ্বারা শিকার ধরে খায়না তা (জবাই করে) খাওয়া জায়েয ও হালাল। যেমন পশুর মধ্যে গরু, মহিষ, উট, ছাগল, ভেড়া, হরিণ, উভয় প্রকারের খরগোস, বন্য গরু এবং পাখীর মধ্যে হাঁস, মুরগি, বন্যহাস, বন্যমুরগি, ময়না, টিয়াপাখী, বক, সারস, চড়ুই, পানকৌড়ি, কবুতর ইত্যাদি। ঘোড়া

See also  বিয়ে/বিবাহের সকল মাসআলা মাসায়েল

খাওয়া জায়েয তবে মাকরূহ। যে সব মুরগি খোলা থাকে এবং নাপাক খেয়ে বেড়ায় তাদেরকে তিনদিন না বেঁধে রেখে খাওয়া মাকরূহ।

যেসব পশু পাখী খাওয়া জায়েয নয়

যে সব পশু পাখী পাঞ্জা দ্বারা শিকার ধরে খায় বা যাদের খাদ্য শুধু নাপাক বস্তু, সেসব পশু পাখী খাওয়া জায়েয নয়। যেমন বাঘ, সিংহ, চিতাবাঘ, শিয়াল, কুকুর, বিড়াল, বানর, বেজী, গাধা, খূচর, সজারু কচ্ছপ, গুইসাপ, বাজ, চিল, শিকরা, শকুন, ঈগল, কাল কাক ইত্যাদি! (বেহেশতী জেওর)

হালাল পশু পাখীর যা যা খাওয়া নাজায়েয

হালাল পশু পাখীর নিম্নোক্ত জিনিসগুলো খাওয়া জায়েয নয়ঃ

পেশাব, পায়খানা, প্রবাহিত রক্ত, পিত্ত, মূত্রথলি, অণ্ডকোষ, পুরুষাঙ্গ, স্ত্রী লিঙ্গ, পায়খানার রাস্তা, শরীরের অতিরিক্ত মাংসগ্রন্থি যেমন টিউমার ইত্যাদি ও মেরুদণ্ডের হাড়ের মগজ। কোন কোন আলেমের মতে মেরুদণ্ডের হাড়ের মগজ মাকরূহ তানযীহী আবার কেউ কেউ বলেছেন এটা মাকরূহ হওয়ার কোন কারণ নেই। তবে সতর্কতা হল তা না খাওয়া। কোন কোন রেওয়ায়েত অনুযায়ী গুর্দা খাওয়া মাকরূহ তানযীহী। হালাল জানোয়ারের নাড়ীভুঁড়ি খাওয়া জায়েয।

মাছ ও পানির অন্যান্য প্রাণী সম্পর্কিত মাসায়েল

* পানির প্রাণীর মধ্যে মাছ (সব ধরনের মাছ) খাওয়া জায়েয।

* মাছ খাওয়া হালাল হওয়ার জন্য জবেহ করা শর্ত নয়।

* যে মাছ আপনা আপনি মরে চিৎ হয়ে ভেসে ওঠে তা খাওয়া জায়েয নয়। তবে গরমের কারণে, আঘাতের কারণে, চাপাচাপির কারণে, ঔষধ দেয়ার কারণে বা কিছু খাওয়ার কারণে যদি মরে ভেসেও ওঠে, তবুও তা খাওয়া জায়েয। কিংবা স্বাভাবিকভাবে মরে ভেসে উঠেছে কিন্তু চিৎ হয়নি বরং পিঠ এখনও উপরের দিকে রয়েছে তাহলেও খাওয়া জায়েয।

* ছোট মাছ হলেও তার পেটের মল আবর্জনা ইত্যাদি পরিষ্কার করা ব্যতীত খাওয়া জায়েয নয়।

* শুটকি মাছ খাওয়া জায়েয।

* কোন কোন আলেম চিংড়ি মাছকে পানির পোকা আখ্যায়িত করে তা খাওয়াকে মাকরূহ বলেছেন। আবার অনেকের মতে মাকরূহ নয়। আমাদের দেশে সমাজে এটাকে মাছ বলা হয় এবং মাছ মনে করা হয় তাই আমাদের ফতওয়া মতে তা খাওয়া মাকরূহ নয়।

See also  তায়াম্মুম করার নিয়ম, তাইয়াম্মুমের মাসআলা মাসায়েল

* কচ্ছপ, কাঁকড়া, ঝিনুক, শামুক, বেঙ ইত্যাদি খাওয়া জায়েয নয়।

* পানির প্রাণীর মধ্যে মাছ ব্যতীত অন্য প্রাণী যেমন কুমির, শুশুক জলহস্তি, সিন্ধুঘোটক ইত্যাদি খাওয়া জায়েয নয়। হাঙ্গর খাওয়া বিতর্কিত, অতএব তা পরিহার করাই শ্রেয়।

* পানির কোন পোকা মাকড় খাওয়া জায়েয নয়।

জবাই করার মাসায়েল

* জবাইকারীর মুসলমান হওয়া শর্ত- কাফেরের জবাই করা জন্তু খাওয়া হারাম।

* মুসলমান পুরুষ হোক বা মহিলা উভয়ের জবাই খাওয়া হালাল।

* নাবালেগ ছেলে মেয়ে জবাই করতে জানলে এবং বিসমিল্লাহ (আল্লাহ্র নাম) বললে তার জবাই খাওয়া হালাল।

* জবাই করার সময় জন্তু ও জবাইকারী উভয়ের মুখ কেবলার দিকে থাকা সুন্নাতে মুআক্কাদা।

* জবাই করার সময় জবাইকারী কর্তৃক আল্লাহ্র নাম উচ্চারণ করা শর্ত। বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার বলে সাধারণতঃ এ শর্ত পূরণ করা হয়। ইচ্ছাকৃত বিসমিল্লাহ না বললে বা অন্য কোন বাক্যে আল্লাহ্র নাম না নিলে সে জন্তু খাওয়া হারাম হয়ে যায়। তবে ভুলে ছুটে গেলে খাওয়া দুরস্ত আছে।

* জবাইর মধ্যে জানোয়ারের চারটা রগ কাটতে হবে। তিনটা রগ কাটলেও দুরস্ত আছে। তিনটার কম কাটলে সে জন্তু মৃত বলে গণ্য এবং হারাম হয়ে যাবে। রগ চারটি এইঃ শ্বাসনালী, খাদ্য নালী ও দুইটা শাহরগ।

* ধারাল ছুরি দ্বারা জবাই করা উত্তম। ভোঁতা বা কম ধারাল ছুরি দ্বারা জবাই করা মাকরূহ।

* ছুরির অভাবে ধারাল পাথর, বাঁশ বা আখের ধারাল বাক্লা দ্বারা জবাই করা দুরস্ত আছে।

* পাথরের আঘাতে, বন্ধুকের গুলিতে মারা গেলে খাওয়া দুরস্ত নয়। তবে বন্ধুকের গুলি পাথরের আঘাত লাগার পর মরে যাওয়ার জবাই করতে পারলে তা খাওয়া জায়েয।

* দাঁত বা নখ দ্বারা জবাই করা দুরস্ত নয়।

* জবাই করার সময় জানোয়ারের মাথা সম্পূর্ণ আলাদা হয়ে গেলেও তা খাওয়া দুরস্ত আছে। তবে ইচ্ছাকৃতভাবে এরূপ কেটে আলাদা করে দেয়া মাকরূহ। তবে এরূপ জানোয়ার খাওয়া মাকরূহ নয়।

See also  হজ্জ এর A টু Z সকল নিয়ম, হজ্জ কত প্রকার? কোন হজ্জে কি কি করতে হয়? কি কি করা যায় না? হজ্জের সকল নিয়মনীতি ও মাসায়েল

* জবাই করার পর জানোয়ার ঠাণ্ডা হওয়ার পূর্বে চামড়া খসানো, হাত পা কাটা বা ভাঙ্গা কিংবা সমস্ত গলা কেটে দেয়া মাকরূহ।

* গোসল ওয়াজিব বা উযূ নেই- এমন অবস্থায়ও জবাই করা যায়। ( شامی واحسن الفتاوی جے)

* হাঁস, মুরগি ইত্যাদির পালক ছাড়ানোর জন্য ফুটন্ত পানিতে হাস মুরগিকে যদি এতক্ষণ রাখা হয় যাতে তার পেটের নাপাকী গোশতের মধ্যে ভেদ করার প্রবল ধারণা হয়, তাহলে তার গোশত নাপাক হয়ে যায়- পাক করার আর কোন উপায় থাকে না। অবশ্য পানি যদি ফুটতে না থাকে শুধু গরম হয় তাহলে তাতে দীর্ঘক্ষণ চুবিয়ে রাখলেও অসুবিধা নেই কিংবা ফুটন্ত পানিতে চুবিয়ে সাথে সাথে উঠিয়ে ফেললেও অসুবিধা নেই।

* জবাই করার পূর্বে প্রাণীকে ক্ষুধার্থ রাখা জুলুম।

সমাপ্ত: রান্না-বান্না ও খাবার/খাদ্য হিসেবে পশু-পাখি সম্পর্কিত মাসআলা মাসায়েল।
সূত্র: আহকামে যিন্দেগী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright Notice

কপি করা নিষিদ্ধ!