প্রিয় খামারিয়ান ভায়েরা আপনারা কিছু প্রশ্ন করছেন যার মধ্যে রয়েছে- মুরগির ঘর তৈরির নিয়ম, মুরগির ঘর বানানো, মুরগির ঘর কিভাবে বানায়, মুরগির ঘর ব্যবস্থাপনা, মুরগির খামার করার নিয়ম, মুরগির খামার পদ্ধতি, ইত্যাদি, ইত্যাদি। যেহেতু প্রশ্নগুলো প্রায় একই তাই, তো আজকের পোষ্ট এ সকল প্রশ্নের উত্তর একত্রে দেওয়ার চেষ্টা করব। পোষ্টটি মুরগির খামার প্রশিক্ষণ সিরিজ এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তো চলুন শুরু করি-
মুরগির খামার করতে মুরগির ঘরঃ
যে কোন জীবিত প্রাণীর লালন পালনের ব্যাপারে বাসস্থানের গুরুত্ব অত্যাধিক। দেশি জাতের জন্যে যাই হোক না কেনো উন্নত বিদেশি জাতের হাস-মুরগির পালনের ব্যাপারে বাসস্থান ব্যবস্থার দিকে অত্যন্ত সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
মুরগির ঘর তৈরির নিয়মঃ
উন্নত জাতের মোরগ মুরগি পালন করার জন্য স্বাস্থ্য সম্মত বাসস্থানেরর একান্ত দরকার। কেননা আধুনিক উপায়ে আবদ্ধ অবস্থায় ঘরে মোরগ মুরগি পালন করা হয়। বাসস্থানের আকার, আয়তন ইত্যাদি মুরগির সংখ্যা ও পালনের উপর নির্ভর করে। মুরগির ঘর বা বাসস্থানের যে সব সুযোগ-সুবিধা থাকা দরকার তা হলো-
- ১. সমতল ভূমি হতে কিছু উঁচু জায়গায় মুরগির ঘর করা উচিত।
- ২. বাসস্থান থেকে কিছু দূরে মুরগির ঘর তৈরী করা উচিত।
- ৩. নিচু ও স্যাঁত স্যাঁতে জায়গায় কখনও মুরগির ঘর| তৈরী করা উচিত নয়।
- ৪. মুরগির ঘর আলো-বাতাসময় জায়গায় তৈরী করা উচিত চারপাশে যেন খোলামেলা থাকে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
- ৫. মুরগির ঘরের সাথে যোগাযোগের জন্য ভালো রাস্তা থাকা দরকার।
- ৬. মুরগির ঘরে পানীয় জলের সুব্যস্থা থাকা খুবই দরকার।
- ৭. মুরগির ঘরে বিদ্যুৎ বা ইলেকট্রিকের ব্যবস্থা থাকলে ভালো হয়।
- ৮. মুরগির খামারের কাছাকাছি রোগ চিকিৎসার সুব্যবস্থা থাকা চাই।
- ৯. মুরগির খাবার এবং উৎপাদিত দ্রব্য বাজারজাত করার সুব্যবস্থা থাকা উচিৎ।
- ১০. মুরগির খামারে বন্যার সময় যেন পানি না উঠে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।.

মুরগির ঘর বানানোঃ
মুরগির ঘর দক্ষিণ অথবা পূর্বমূখী হওয়া উচিত। মুরগির ঘরে যাতে আলো বাতাস ঢুকতে পারে এবং যাতে ভালোভাবে বাতাস চলাচল করতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত। শক্ত চাল ও বেড়া দিয়ে মুরগির ঘর তৈরী করা উচিত। ঝড়-বৃষ্টি, শেয়াল, বন বিড়াল, চোরডাকাত ইত্যাদি যেন মুরগির কোন ক্ষতি করতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখে মুরগির ঘর তৈরী করা উচিত। বাঁশ, চাটাই, ছন ও খড়ের সাহায্যে অল্প খরচে মুরগির ঘর তৈরী করা যায়।
মুরগির ঘর যে কোন লম্বার হতে পারে, তবে ব্যবস্থাপনার সুবিধার্থে ৮০ ফুট পর্যন্ত করা যায়। চওড়া ১২-১৫ ফুট করলে ভালো হয়। কোন অবস্থাতে চওড়া ২০ ফুটের বেশি হওয়া উচিত নয়। মুরগির ঘরের মেঝে জমি থেকে ১ ফুট উঁচু করে তৈরী করতে হয়। ঘরে দিন রাত আলোর ব্যবস্থা করা গেলে মুরগি তাড়াতাড়ি বাড়ে। মুরগির আরাম আয়েশের জন্য প্রতি ঘরে একটি মাচা থাকা দরকার। মাচার উপরে বসে মুরগি বিশ্রাম করে। সাধারণতঃ মাচা ১৫ ইঞ্চি বা ৪০ সেঃমিটার উঁচুতে করা হয়। মুরগির ঘরে সর্বদা খাবার ও পানির পাত্র মজুবত রাখতে হয়।
মুরগির ঘর কিভাবে বানায়ঃ
মুরগি প্রতি জায়গার পরিমাণ
ডিমপাড়া মুরগির জন্য ঘরে ২ থেকে ২.৫ বর্গফুট এবং ব্রয়লার ও ককরেল মুরগির জন্য ১ বর্গফুট, এবং বাচ্চার জন্য ০.৫ বর্গফুট জায়গার প্রয়োজন। একটি ২০ ফুট লম্বা ১০ ফুট চওড়া ঘরে ১০০ টি ডিম পাড়া মুরগি বা ২০০টি ব্রয়লার মুরগির পালন করা যেতে পারে। ছাড়া অবস্থায় অর্থাৎ যে সব মুরগির সারাদিন চড়ে বেড়ায় রাত্রে থাকার জন্য মুরগি প্রতি ১ বর্গফুট জায়গা হলেই চলবে। মুরগির প্রতিটি বাচ্চার জন্য ৬-১০ বর্গ ইঞ্চি, সপ্তাহ প্রতি ১০ বর্গ ইঞ্চি করে জায়গা বাড়াতে হয়। শেষ, পর্যন্ত প্রতি বাচ্চার জন্য ১৪৪-১৫০ বর্গ ইঞ্চি জায়গা লাগবে।
ঘরের পিলার বা খুঁটি
ইটের, তালকাঠ কিংবা শাল কাঠ বা বাঁশ দিয়ে পিলার তৈরী করা যেতে পারে। পিলারের দূরত্ব বেশি না করাই ভালো। ধারের খুঁটি ৬-৮ ফুট এবং মাঝ খুঁটি ১১-১৩ ফুট উঁচু করা যায়।
ঘরের মেঝ তৈরী
মুরগির ঘরের মেঝ সমতল ভূমি থেকে দেড় থেকে দু ফুট উঁচু করে তৈরী করা উচিত। মুরগির ঘরের মেঝে যাতে স্যাঁত স্যাতে না হয় সে দিকে অবশ্যই নজর দিতে হবে। ইট বিছিয়ে সিমেন্টে বালি দিয়ে পাকা করে বা কাঠের বা বাঁশের পাটাতন বা মাচা করে মুরগির ঘরের মেঝ তৈরী করা যায়। গ্রামে মুরগির ঘরের মেঝে ৪ ইঞ্চি বালি বিছিয়ে তৈরী করলে স্যাত স্যাতে হবে না। বালির উপর পাটখড়ি বা চাটাই দিয়ে তার উপর লিটার অর্থাৎ কাঠের গুড়ো বা তুষ বিছিয়ে দিতে হয়। সপ্তাহে একবার এ লিটার ওলট পালট করে দেয়া উচিত।
চার পাশের দেয়াল
মেঝ থেকে পাশের দেয়ালের উচ্চতা ১.৫ থেকে ২ ফুট হওয়া উচিত। দেয়াল এমনভাবে তৈরী করতে হবে যাতে জীব জন্তুর আক্রমণ থেকে মোরগ মুরগিকে রক্ষা করা যায়। বাইরের খুব ঠাণ্ডা বা খুব গরম বাতাস সোজাসোজি যাতে মুরগির গায়ে না লাগে সেদিকে লক্ষ্য রাখা উচিত।
তারের জালের উচ্চতা
চার পাশের দেয়াল থেকে ৪-৬ ফুট উঁচু করে করা যেতে পারে। মুরগির ঘরে যত বেশি বাতাস চলাচল করতে পারে লিটার তত বেশি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকে।
ঘরের ছাদ বা চাল
মুরগির ঘরের চাল পাকা বা টিনের টালি বা খড়ের বা ছনের করা যেতে পারে। পাকা চাল ছাড়া চালা দোচালা বা চারচালা করে অন্তত ৫ ফুট ঢাল দিয়ে তৈরী করা যায়। বর্ষাকালে যাতে বৃষ্টির পানি ঘরে না ঢুকে তার জন্য দু পার্শ্বে অন্ততঃ ২-৩ ফুট বাড়তি সানসাইটের ব্যবস্থা করা উচিত।
তীব্র ঠাণ্ডা বা গরম থেকে মুরগিকে রক্ষার জন্য বাইরের দিকে বস্তার বা চটের পর্দার ব্যবস্থা করতে হবে যাতে প্রয়োজনে খোলা বা বন্ধ করা যায়। টালি বা সানসেট এর চালা করলে গ্রীষ্ম কালে গরমের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য চালার নিচে বাঁশের মাচার উপর শিলিং তৈরী করা উচিত।

মুরগির ঘর ব্যবস্হাপনাঃ
পানির পাত্র
থালার উপরে মাটির কলসী বা টিনের কোটা উল্টা করে বসিয়ে মুরগির পানির পাত্র তৈরী করা যায়। টিনের কৌটা দুই ধারে ছিদ্র করে নিতে হবে যাতে পানি থালার কানা থেকে একটু নিচে থাকে ৷ গ্রীষ্মকালে মাটির কলসী শীত কালে টিনের কৌটা ব্যবহার করা ভালো। প্রতিদিন পানির পাত্র ভালো ভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে তার পর পাত্রে পানি দিতে হবে।
পানি সরবরাহ
মুরগির বয়স, জাত, ওজন, খাদ্য গ্রহণ, তাপমাত্রার ওপর ভিত্তি করে পানি সরবরাহের তারতম্য হয়ে থাকে। অনেকের মতে বাচ্চা অবস্থায় (২-৫ মাস) প্রতিটি দৈনিক ৮০-১২০ সিসি. বাড়ন্ত বয়স (২-৫ মাস) পর্যন্ত ২০০ সিসি এবং প্রাপ্ত বয়ষ্ক মুরগিকে গড়ে ৩০০ সিসি পানি সরবরাহ করা উচিত।
মুরগির ঘরের স্বাস্থ্য বিধি
স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য নুতন বা পুরাতন ঘরকে রোগজীবাণুমুক্ত করা প্রয়োজন। ব্রয়লার মুরগি যারা পালন করেন তাঁদের এই দিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হবে। ব্রয়লার মুরগির ঘর ভালোভাবে রোগজীবাণুমুক্ত না করলে প্রথম ৩/৪ বার যে রকম দেহের বৃদ্ধি এবং ওজন পাওয়া যায় পরবর্তীকালে তার সেই বৃদ্ধি এবং ওজন আস্তে আস্তে কমতে থাকে।
পুরাতন ঘর হলে সব লিটার, বের করে বেশ কিছুটা দূরে চাপা দিয়ে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ পুরাতন লিটারে নানা রকম রোগজীবাণু থাকে। ১০ ভাগ শক্তির ফিনাইল পানি দিয়ে মেঝে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। নুতন বা পুরাতন ঘরের মেঝে, চাপপাশের দেওয়াল, তারের জাল, খুঁটি, সিলিৎ ইলেকট্রিকের সরঞ্জাম ভালো করে ঝেড়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। মেঝে এবং পাশের দেয়ালে ব্রাশ বা অন্য কিছুর সাহায্যে ঘষে সব ময়লা পরিষ্কার করে ফেলতে হবে।
মুরগির ঘরে আলো ব্যবস্থাপনা
মুরগির দেহের সঠিক বৃদ্ধি এবং তাড়াতাড়ি ডিম উৎপাদনের জন্য ঘরে আলো বা লাইটের ব্যবস্থা করার প্রয়োজন হয়। আলোর সময় যদি সঠিক না হয় তাহলে উৎপাদন হ্রাস পায়। বিভিন্ন ব্রিডের মুরগির জন্য আলোর প্রয়োজনের তারতম্য হয়। মুরগির ঘরে দুই উপায়ে প্রয়োজনীয় আলো সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। দিনের আলো ও কৃত্রিম আলোর সাহায্যে মুরগির ঘরে আলোর ব্যবস্থা করা যায়। কৃত্রিম উপায়ে আলো ইলেকট্রিক বাল্ব বা কেরোসিনেরর বাতির সাহায্যে দেয়া যায়। তবে কৃত্রিম আলোর জন্য বিদ্যুৎ ব্যবহার করাই সুবিধাজনক।
একটি ৪০ ওয়াট বাল্বের সাহায্যে ১০০ বর্গফুট জায়গায় আলো দেয়া যায়। মুরগির ঘরে একটি বাল্ব থেকে আর একটি বাল্বের দূরত্ব ১০ ফুট রাখা দরকার। যেখানে কৃত্রিম আলোর ব্যবস্থা নেই সেখানে ৩০০ কাণ্ডেল পাওয়ার হ্যাজাক লাইটের সাহায্যে ১৫০ বর্গফুট জায়গায় আলো ব্যবস্থা করা যায়। হ্যাজাক লাইট মেঝ থেকে ৩ ফুট উঁচু জায়গায় বসাতে হয়। ব্রয়লার ও ককরেল মুরগির ঘরে আলোর ব্যবস্থা
ব্রয়লার করেল মুরগির ক্ষেত্রে দিনের আলো এবং রাত্রে কৃত্রিম আলো মিলিয়ে ২৩ ঘণ্টা আলো দিতে হয়। প্রথম দিন থেকে পর পর ৩/৪ দিন প্রথমে ৫ মিঃ তারপর ১০ মিঃ তারপর ১৫ মিঃ ও ৩০ মিঃ এই ভাবে কারেন্ট থাকাকালীন সময়ে সুইচ অফ করে অন্ধকারে রাখার ব্যবস্থা করা যায়। বিকালে সূর্যের আলো কমে যাওয়ার আগেই কৃত্রিম আলো জ্বালিয়ে দিতে হবে এবং সকালে দিনের আলো ভালো ভাবে ফুটে উঠলে আলো নিভিয়ে দিতে হবে।
লেয়ার বা ডিম পাড়া মুরগির ঘরে আলোর ব্যবস্থা
লেয়ার মুরগির বাচ্চা পালনের প্রথম সপ্তাহ ২৪ ঘণ্টা আলো থাকার ব্যবস্থা নেয়া দরকার। প্রথম তিন সপ্তাহ ব্রুডারের আলোতেই ঘরে কৃত্রিম আলোর কাজ হয়ে যায়। চতুর্থ সপ্তাহে ক্রুডার সরিয়ে নেবার পর ঘরে কৃত্রিম আলোর ব্যবস্থা করতে হয়। লেয়ার মুরগির সে সব বাচ্চা ১লা-এপ্রিল থেকে ৩১শে আগষ্টের মধ্যে জন্মাবে তাদের জন্য তিন সপ্তাহের পর থেকে ২০ সপ্তাহ পর্যন্ত শুধু দিনের আলো ছাড়া কৃত্রিম আলোর দরকার হয় না। ২১ সপ্তাহ থেকে কৃত্রিম আলো দেবার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।
প্রথম ৩ সপ্তাহ লেয়ার মুরগি সব বাচ্চার জন্য কৃত্রিম আলোর ব্যবস্থা করতে হবে। যে সব বাচ্চা ১লা সেপ্টেম্বর থেকে ৩১শে মার্চের মধ্যে জন্মবে তাদের চতুর্থ সপ্তাহ থেকে দিনের আলো ও কৃত্রিম আলো মিলিয়ে ১৮ ঘণ্টা আলোর ব্যবস্থা করতে হবে। তারপর প্রতি সপ্তাহে তার আগের সপ্তাহের তুলনায় রাত্রে পনের মিনিট পূর্বে কৃত্রিম আলো নিভিয়ে দিতে হবে। এই ভাবে প্রতি সপ্তাহে কমিয়ে ২০ সপ্তাহ পর্যন্ত যেতে হবে।
২০ সপ্তাহে দিনের আলো কৃত্রিম আলো মিলিয়ে ১৪ ঘণ্টা আলোর প্রয়োজন। এরপর সব মুরগিকে যে মাসে জন্ম হোক না কেন একুশ সপ্তাহ থেকে প্রতি সপ্তাহের ১৪ ঘণ্টার সাথে আলো পনর মিনিট হারে কৃত্রিম আলোর ব্যবস্থা করতে হবে। তা হলে আলো মিলিয়ে মোট ১৬ ঘণ্টা হবে। ২৯ সপ্তাহ থেকে ৫০ সপ্তাহ পর্যন্ত একই ভাবে মোট ১৬ ঘণ্টা আলোর ব্যবস্থা করতে হবে। এরপর একান্ন সপ্তাহ থেকে প্রতি সপ্তাহে ১৫ মিনিট করে বাড়িয়ে চুয়ান্ন সপ্তাহে মোট আলোর সময় মোট ১৭ ঘণ্টা করতে হবে। লেয়ার মুরগিকে ডিমপাড়া অবস্থায় ১৭ ঘণ্টার বেশি আলো দেয়া উচিত নয়। তাহা না হলে ডিমের উৎপাদন কমে যাবে।
সমাপ্ত: আজকের পোষ্টটি এখানেই শেষ করছি। আপনারা জানতে পেরেছেন যে মুরগির ঘর তৈরির নিয়ম, মুরগির ঘর বানানো, মুরগির ঘর কিভাবে বানায়, মুরগির ঘর ব্যবস্থাপনা, মুরগির খামার করার নিয়ম, মুরগির খামার পদ্ধতি গুলো কি মেনে করতে হয়।
মুরগির খামার প্রশিক্ষণ সিরিজ এর অংশ হিসেবে আরও পর্ব আসবে, উক্ত পর্বগুলো পড়তে খামারিয়ান.কম কে স্মনণে রাখুন। প্রয়োজনে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে রাখুন, এতে আপনি ফেসবুকেও আমাদের খুঁজে পাবেন।