Skip to content

 

Wait...❤😘 Show love? ⬇⬇⬇

(20টি) মুরগির শরীরের বিভিন্ন অংশের নাম ও কাজের বর্ণনা

মুরগির শরীরের বিভিন্ন অংশের নাম + মোরগের শরীরের বিভিন্ন অংশের নাম

প্রিয় খামারিয়ান সদস্য বৃন্দ, আজকে আমরা, মুরগির শরীরের বিভিন্ন অংশের নাম ও কাজের বর্ণনা করব, আপনারা যারা মুরগির পালন খামার/ফার্ম করতে চান বা অথবা করছেন আশা করি উভয় পক্ষেরই নলেজ আরও মজবুদ হবে। সফল হতে অবশ্যই প্রচুর পড়তে হবে ও শিখতে হবে। চলুন শুরু করি।

মুরগির শরীরের বিভিন্ন অংশের নামঃ (অভ্যন্তরিন)

মুরগির শরীরের বিভিন্ন অংশের নাম

মোরগের শরীরের বিভিন্ন অংশের নামঃ (বাহ্যিক)

মোরগের শরীরের বিভিন্ন অংশের নাম

মোরগ ও মুরগির শরীরের বিভিন্ন অংশের নামঃ (বর্ণনা)

মুরগি পালনে ও চিকিৎসা সফলতা লাভ করতে হলে এর দেহের বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীন বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সম্বন্ধে জানা দরকার। সাথে সাথে জানা দরকার প্রতিটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গের নানাবিধ কাজ সম্বন্ধে ৷

প্রিয় খামারিয়ানগণ আপনাদের জন্য মুরগির শরীরের বিভিন্ন অংশের নাম নিচে বর্ণনা করা।

১. কংকাল

দেহের মধ্যে হাড়ের তৈরী অংশকে কংকাল বলা হয়। এর গঠনের ওপর সকল শ্রেণীর কাঠামো নির্ভর করে। এটা প্রধানতঃ হাড় এবং কার্টিলেজ দ্বারা তৈরী। প্রধানতঃ ক্যালসিয়াম কার্বনেট দিয়ে কংকাল তৈরী। মুরগির কংকাল বেশ শক্ত হালকা। যত রকমের প্রাণী রয়েছে, তার মধ্যে এদের কংকাল বোধহয় সবচেয়ে সাদা। কংকালটি ছোট বড় নানা মাপের হাড় দিয়ে তৈরী যার প্রত্যেকটির বিশেষ বিশেষ কাজও রয়েছে। এটি আবার দুটি ভাগে বিভক্ত—একটি অ্যাক্সিল, অপরটি এপেণ্ডিকুলার। অ্যাক্সিল বলতে মাথা, ঘাড়, পাঁজর, পিঠ এবং লেজের অংশকে বোঝায়। আর এপেণ্ডিকুলার হলো ডানা এবং পা। হাড়ের নানা রকমের কাজ রয়েছে। গোল হাড়, শক্ত হওয়ার ফলে কাজের তীব্রতাকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম। লম্বা হাড়ের মধ্যে রয়েছে রক্ত সৃষ্টি করার উপাদান। নরম হাড়গুলো থাকে শক্ত হাড়ের পেছনে আর কাজ করে ধাক্কা-নিরোধক স্প্রিং অথবা গদি হিসাবে।

২. দেহের অস্থি সংযুক্তি

মুরগি দেহের হাড়গুলোতে নানা ধরনের সংযুক্তি রয়েছে। প্রকৃতির দ্বারা নির্ধারিত যে ধরনের কাজ এই সংযোগগুলোকে করতে হয়। সহজেই তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়।

ক. কব্জা গ্রন্থি (Hinge Joints)

খ. গুলি এবং কোটর গ্রন্থি (Ball and Socket Joints)

গ. ধীর চলন গ্রন্থি (Gliding Joints)

কব্জা গ্রন্থিগুলো মুরগিদেহে সেই সমস্ত জায়গায় রয়েছে যেখানে প্রত্যঙ্গগুলো একদিকে নড়াচড়া করে। যে সমস্ত প্রত্যঙ্গ এক বা তার বেশি দিকে চালিত করতে হয়, সেগুলো বল এবং কোটরগ্রন্থি দ্বারা যুক্ত থাকে। মুরগির ডানার সংযোগকে বলে ধীর চলন গ্রন্থি।

৩. মাংসপেশী ব্যবস্থা

মুরগির দেহে সাধারণভাবে তিন ধরনের পেশী দেখতে পাওয়া যায়।

১. ঐচ্ছিক।

২. অনৈচ্ছিক।

৩. হৃৎপিণ্ড সম্বন্ধীয়।

ঐচ্ছিক পেশীগুলো হাড়ের ওপর থাকে। এদের কাজ চামড়ার নীচে থেকে পালককে ধরে রাখা। অন্ত্রের এবং অন্যান্য অভ্যন্তরীণ পেশীকে অনৈচ্ছিক পেশী বলা হয়। কারণ ইচ্ছের দ্বারা এদের নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। হৃদযন্ত্রের পেশীও অনৈচ্ছিক। তবে সেটা দেখতে গাঢ় লাল।

See also  মুরগি পালন প্রশিক্ষণ সিরিজঃ বাছাইযোগ্য মোরগ-মুরগির লক্ষণ, ভালো খারাপ মুরগি চেনার উপায় + বাজে মুরগি বাছাই ছাঁটাই

৪. পরিপাক ক্রিয়া

প্রত্যেকটি জীবের বাঁচার জন্য খাদ্যদ্রব্য একান্ত প্রয়োজন। আবার সেইসাথে তা হজম হওয়া দরকার। এই হজমের কাজটি নানা জটিল পদ্ধতির মাধ্যমে সুসম্পন্ন হয়ে শেষে দেহের মধ্যে বিভিন্ন ঘাটতি পূরণ করে থাকে। পরিপাক ক্রিয়া শুরু মুখ থেকে এবং শেষ হয় অস্ত্রে গিয়ে।

৫. পরিপাক ব্যবস্থা

এদের ঠোঁট এমনভাবে তৈরী যে কোন একটি ক্ষুদ্র কণাকে মাটি থেকে তুলে নিতে পারে। আর জিভের আকৃতি তীরের মতো। এর দুটো দিক পিছনের দিকে চলে গেছে-যার কাজ খাদ্যকে গলা দিয়ে খাদ্যনালীতে পাঠিয়ে দেওয়া। খাদ্যনালী শ্বাসনালীর ঠিক পিছনে থাকে। এই নালী দিয়ে খাদ্য পাকস্থলীতে চলে যায়।

৬. রক্ষণাগার বা খাদ্যথলি

পাকস্থলী ভর্তি থাকলে সেই সময় মুরগি বিভিন্ন অংশ যা-কিছু খায়, সেগুলো খাদ্যথলিতে জমা থাকে। প্রয়োজনমতো এখান থেকে খাদ্য খায়। খাদ্যনালীর অপরদিকে এর অবস্থান।

৭. কন্দাকৃতি দেহযন্ত্র

রক্ষণাগারে খাদ্য মজুত হবার পর সেটি কন্দাকৃতি দেহযন্ত্রে প্রবেশ করে। এর ভেতরটা খুব মসৃণ এবং পেশীস্তর দিয়ে ঘেরা। পাকাশয় গ্রন্থি থেকে যে রস বার হয়, তাকে পাচকরস বলে। এর কাজ খাদ্যপ্রাণকে বিভাজন করা।

৮. দ্বিতীয় পাকস্থলী

কন্দাকৃতি দেহযন্ত্র থেকে খাদ্য এসে প্রবেশ করে দ্বিতীয় পাকস্থলীতে যে সমস্ত কঠিন খাদ্য মুরগি খায় সেটি এসে এখানে জমা হয়। এই যন্ত্রটির কাজ হলো খাদ্যকে গুড়িয়ে দেওয়া।

৯. অন্ত্র

মুরগির দেহে অন্ত্রের তিনটি ভাগ রয়েছে। (১) ক্ষুদ্রান্ত্রের প্রথম অংশ, (২) ক্ষুদ্রান্ত্র, (৩) বৃহৎ অন্ত্র। দ্বিতীয় পাকস্থলী থেকে খাদ্য যায় অন্ত্রনালীতে। ক্ষুদ্রান্ত্রে প্যানক্রিয়াস এবং যকৃৎ থেকে বের হওয়া রস খাদ্যকে সম্পূর্ণভাবে হজমের কাজে সাহায্য করে। এরপর খাদ্য বৃহৎ অন্ত্রে গিয়ে তার প্রধান অংশটুকু শোষিত হয়ে দেহের বৃদ্ধি ঘটাতে কাজে লাগে।

১০. মলনালী

খাদ্যের অসার অংশ যেটা মুরগির দেহের কোন কাজে লাগে না, সেটা মলের আকারে এই জায়গায় জমা হয়।

১১. ক্লোয়াকা

জমা হওয়া মল এই জায়গা দিয়ে দেহের বাইরে আসে। মুরগির ডিমও বাইরে আসে এই জায়গা দিয়ে। মিলনের সময় মোরগের বীর্য ক্লোয়াকা দিয়ে প্রবাহিত হয়। এর অপর একটি নাম পায়ু।

কয়েকটি প্রয়োজনীয় দেহযন্ত্র

১২. যকৃৎ

ইংরাজীতে একে লীভার বলে। মুরগির দেহের এটি একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় যন্ত্র। দেহের রক্ত যখন অস্ত্র থেকে ফিরে যায় তখন দেহটা যকৃতের মাধ্যমে জীবাণুমুক্ত হয়। অনেক ক্ষেত্রে রক্তকে জীবাণুমুক্ত করতে গিয়ে যকৃৎ নিজেই ব্যাধির দ্বারা আক্রান্ত হয়। রোগে আক্রান্ত যকৃৎ তার স্বাভাবিক রং গাঢ় চকলেট থেকে পরিবর্তিত হয়ে অন্য রং ধারণ করে।

১৩. অগ্ন্যাশয়

এটিও একটি জীবনরক্ষাকারী দেহযন্ত্র। আকার অনেকটা ত্রিভুজের মতো এবং দেখতে গোলাপী আভাযুক্ত সাদা। এমন কয়েকটি রস এর থেকে বার হয় যা ভুক্ত খাদ্যকে হজমে সাহায্য করে।

১৩. পিত্তকোষ

এটি যকৃতের দক্ষিণ দিকে থাকে, দেখতে সবুজ ও আকারে ছোট। পচন রোধ ছাড়াও এটি হজমে সাহায্য করে এবং শরীরে চর্বি জমলে এই রসের মধ্যে যে লবণ থাকে, সেটা চর্বিকে ভেংগে রক্তসঞ্চালনে সাহায্য করে।

See also  মুরগির বাচ্চা পালনের নিয়ম + মুরগির বাচ্চার খাবার তালিকা + মুরগির বাচ্চা ব্রুডিং করার নিয়ম

১৪. প্লীহা

প্লীহাটি আকারে গোল এবং দেখতে লাল রংয়ের! প্রধান কাজ হলো রক্তের মধ্যে প্রতিষেধক পদার্থ এবং শ্বেত ও রক্তকণিকার সৃষ্টি করা।

১৫. কিডনী

মুরগি বা মোরগ উভয়ের দেহের দুটি কিড্‌নি থাকে। এর থেকে দুটি মুত্রনালী বার হয়ে দু- দিক থেকে এসে ক্লোয়াকাতে শেষ হয়েছে। এর প্রধান কাজ হচ্ছে রক্তের ছাঁকনির কাজ করা। দেহের সব আবর্জন অথবা অপ্রয়োজনীয় পদার্থ রক্ত থেকে ছেঁকে নিয়ে মূত্রের সাথে বার করে দেয়।

১৬. রক্ত এবং তার চলাচল ব্যবস্থা

একে বলা হয় দেহযন্ত্র গঠনের জীবন্ত উপাদান জৈব। মোট ওজনের যেটি হলো শতকরা হিসাবে পাঁচ ভাগ। এর মূল উপাদান হলো প্লাজমা বা রক্তের জলীয় ভাগ। জীব বিজ্ঞানীদের মতামত অনুসারে প্রায় চল্লিশ লক্ষ রক্তকণিকা আর পনরো থেকে ত্রিশ হাজার শ্বেতকণিকা এর মধ্যে থাকে। শ্বেতকণিকার কাজ হচ্ছে জীবাণুকে মেরে ফেলা এবং দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলা। মুরগির দেহে হৃৎপিণ্ড নামক যন্ত্রটি রক্ত চলাচলের ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা গ্রহণ করে থাকে। এটা দেখতে একটা ফাঁপা থলির মতো। তার মধ্যে একটা ভাগ বা পার্টিশন রয়েছে। ডান এবং বাঁ দিক এই নামেই ওরা পরিচিত। এক অংশ থেকে রক্ত সোজা অন্য অংশে যায় না। ডানদিকের ঘরে দূষিত রক্ত এবং বাঁদিকের ঘরে বিশুদ্ধ রক্ত এসে জমা হয়।

মানুষের মতোই হৃদপিণ্ডের কাজ সারা শরীরে বিশুদ্ধ রক্ত নানা শিরা-উপশিরাতে ছড়িয়ে দেওয়া। ঠিক সেই কারণেই হৃৎপিণ্ডের বাঁদিকের অংশে থাকে একটি মহাধমনী। এটা হলো এক দিকের অর্থাৎ বাঁদিকের অংশের কাজ। অপর দিক অর্থাৎ ডানদিকের কাজ হলো অপরিষ্কার রক্ত অপর একটি মহাশিরা দিয়ে এখানে ফিরে আসে। অবশ্য হৃৎপিণ্ডের ডানদিকের রক্ত যায় ফুসফুসে। এর কাজ হলো দুষিত রক্তকে পরিষ্কার করে বাঁদিকের ঘরে ফিরিয়ে দেওয়া। এইভাবেই চলে মুরগির দেহে রক্ত-চলাচলের কাজ।

১৭. শ্বাস-প্রশ্বাস প্রণালী

শ্বাস-প্রশ্বাস প্রণালীর প্রধান কাজ হলো রক্ত থেকে বিভিন্ন অবাঞ্চিত গ্যাসকে বার করে দিয়ে, তার জায়গায় অক্সিজেন সমেত অন্যান্য গ্যাসকে আবার রক্তের মধ্যে নিয়ে আসা। মুরগির শ্বাস-প্রশ্বাস প্রণালী অন্যান্য জীবজন্তুর থেকে একটু আলাদা ধরনের। প্রশ্বাসের থেকে শ্বাস গ্রহণই বেশি জোরালো। এদের ফুসফুস আবার স্থিতিস্থাপক নয়, বরঞ্চ বুকের সাথে কঠিনভাবে আবদ্ধ।

এদের শ্বাস-প্রশ্বাসের কাজকে মোট চারটি ভাগে ভাগ করা চলে। প্রথম কাজ শুরু হয় নাকের মধ্যে খোলা একটা জায়গা দিয়ে। তারপর শুরু শ্বাসনালী। এই শ্বাসনালীর প্রান্তে থাকে একটা স্বরযন্ত্র। এর সাহায্যে মুরগি ডাকে এবং আমরা সেটা শুনতে পাই। শ্বাসনালী দুটি ভাগে বিভক্ত। তবে শেষ পর্যন্ত দুটো ভাগই ফুসফুসের সাথে মিশেছে। ফুসফুস থাকে বুকের মধ্যে। এটি সংখ্যায় দুটি এখানে হৃৎপিণ্ড থেকে দূষিত রক্ত আসে এবং বিশুদ্ধ বাতাসের সাথে মিশে প্রথমে শোধিত হয় এবং পরে সেটা আবার হৃৎপিণ্ড ফিরে যায়।

১৮. মুরগির উৎপাদন ব্যবস্থা ও প্রজনন যন্ত্র

মুরগির প্রজনন ব্যবস্থার মধ্যে দুটি জিনিস হলো প্রধান। বাচ্চা মুরগিদের ডান ও বাঁ দিকে দু টো জরায়ু রয়েছে। বয়স বাড়লে অর্থাৎ পরিণত বয়সে ওদের বাঁ দিকের জরায়ুটি কাজ করতে থাকে। কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে দু টো জরায়ুকে একই সাথে কাজ করতে দেখা গেছে। এটা স্বাভাবিক নিয়ম নয়। এরই মধ্যে ছোট-ছোট দানার মতো অপুষ্ট বীজাণু থাকে। সংখ্যায় এরা এক হাজার থেকে দেড় হাজারেরও বেশি। যাদের ক্ষেত্রে তারতম্য ঘটে, দানা গিয়ে দাঁড়ায় তিন হাজারের কাছাকাছি। এই দানাই একটি করে পুষ্ট হয় এবং ডিম্ববাহী নালীতে নেমে এসে শেষে মুরগি ডিম পাড়ে। দ্বিতীয় অবস্থায় ওটা ডিম্বনালীর মুখ পার হয়ে ডিম্বণালীতে নেমে আসে।

See also  (৮টি) হাঁস মুরগির রোগ ও প্রতিকার pdf, হাঁস মুরগির রোগ ও চিকিৎসা, হাঁস মুরগির ওষুধ, হাঁস মুরগি পালন প্রশিক্ষণ

এটাকে তৃতীয় অবস্থা বলা যেতে পারে। এটা লম্বায় প্রায় ৬০ সেন্টিমিটার হয়। ডিম্বনালীটির পাঁচটি ভাগ রয়েছে। তার মধ্যে চতুর্থ পর্যায়ে এসে ডিমটি সম্পূর্ণ হয়। এখানে ডিমের খোলার যাবতীয় পদার্থ এসে জড় হয়ে তাকে সম্পূর্ণ করে। একেবারে শেষ ভাগের নাম যোনিনালী। এই পথটি খোলা সমেত ডিমকে যোনিদ্বারে অর্থাৎ ক্লোয়াকায় নিয়ে আসে। মুরগিদেহের ভেতর একটি ডিম পূর্ণতা লাভ করতে সময় নেয় পুরো একদিন বা ২৪ ঘণ্টার থেকে সামান্য কিছু বেশি। যোনিনালীতে থাকে মাত্র দু -তিন ঘন্টা, বাকি সময় কাটে জরায়ুতে। ভেতরের কুসুম ডিমের সাদা অংশ এবং শেষে ওপরের আবরণ হিসাবে রক্ত খোলা সবই সম্পন্ন হয় জরায়ুর মধ্যে। মোরগের সাথে মুরগির মিলনের ফলে যোনিদ্বারে মোরগের যে বীর্যপাত হয়, তার থেকে শুক্রকীট বেরিয়ে মুরগির ডিম্বনালীতে প্রবেশ করে। এখানেই শুক্রকীট মিলিত হয় ওভামের সাথে। এইভাবে মিলনের ফলে যে ডিম পাই, তাকে তা দেবার পর বাচ্চা বার হয়। এরই নাম উর্বর ডিম। দ্বিতীয় প্রকারের ডিম হলো-অনুর্বর ডিম। মোরগের সাথে মুরগির মিলন না ঘটলেও ডিম পাওয়া যায়। ডিমে তা দিলেও বাচ্চা বার হয় না। সেই কারণে এর নাম অনুর্বর ডিম |

১৯. মোরগের অন্ডোকোষ ও জননেন্দ্রিয়

মোরগের জননেন্দ্রিয় দুটি ভাগে বিভক্ত। একটির নাম শুক্রথলি, অপরটি পুরুষাঙ্গ। এদের শুক্রথলি দেহের ভেতরে একটি কক্ষের মধ্যে থাকে। এখান থেকে ‘ভাস্ ডেফারেন্স’ নামে একটা নল এসে মোরগের পুরুষাঙ্গের সাথে মিলিত হয়েছে। এই নল দিয়েই শুক্রথলি থেকে পুং-বীজ পুরুষাঙ্গে আসে এবং মুরগির যোনিদ্বারে পতিত হয়। প্রকৃতপক্ষে মোরগের কোন লিঙ্গ নেই—যা আছে তাকে উদ্ভেদ বলা হয়। এটাই লিঙ্গের কাজ করে থাকে। পুং-বীজ যখন মুরগির জননেন্দ্রিয় থেকে ডিম্বনালীতে যায় তখন চর্বির মতো এক ধরনের পদার্থের সাথে মিশে গিয়ে এর থেকে খাবার যোগাড় করে নেয়। এই সময় পুং-বীজের মিলন ঘটে এবং জীবনচক্র চালু হয়ে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright Notice

কপি করা নিষিদ্ধ!