আলোচ্য বিষয়- মুরগি পালনের পদ্ধতিগুলো সম্পর্কে, তারের জালের খাঁচায় মুরগি পালন করার পদ্ধতি কি? মেঝেতে মুরগি পালন পদ্ধতি কি?, লিটার কিভাবে তৈরী করার পদ্ধতি ও লিটারের পরিচর্যাগুলো সম্পর্কে।
হ্যলো খামারিয়ানগণ, আজকের পোষ্টটিতে আপনাকে স্বাগতম, তো চলুন শুরু করা যাক-
মুরগি পালনের বিভিন্ন পদ্ধতিঃ
১. স্বাধীনভাবে মুরগি পালন
বাড়ির আস পাশে অথবা খামারে পর্যাপ্ত জমি থাকলে স্বাধীনভাবে মুরগি চরিয়ে পালন করা যায়। মুরগিরা স্বাধীনভাবে বাড়ির আনাচে কানাচে ঘুরে অথবা খামারের চারণভূমি হতে পোকা মাকড়, পাথরকুচি বা কাকর, কাঁচা শাকসবজি ঘাস ইত্যাদি কুড়িয়ে খায়। মুরগির স্বাস্থ্য ভালো থাকে। বাড়িতে ২৫ বা ৩০টি মুরগি এই পদ্ধতিতে পালা যায়। খাদ্যের দৈনন্দিন উচ্ছিষ্টের সাথে সামান্য কিছু সুষম খাদ্য বা “ম্যাশ” খাদ্যের ব্যবস্থা এবং রাত্রির জন্য স্বাস্থ্য সম্মত একটি ঘর করতে পারলে খুব অল্প খরচে হাঁস মুরগি পালার উৎকৃষ্ট উপায়। এই উপায়ে মুরগি পালার কিছু অসুবিধা দেখা দেয় যেমন-
- ১. দিন দিন লোক সংখ্যানুপাতে জমির পরিমাণ সীমিত হয়ে যাচ্ছে। মুরগিদের স্বাধীনভাবে চরে খাওয়ার স্থান সীমিত হয়ে যাচ্ছে।
- ২. প্রতিবেশীরা বিরক্ত বোধ করেন। মুরগি হারিয়ে যাবার বা বন্যপ্রাণীতে ক্ষতি করার সম্ভাবনা থাকে।
- ৩. বাড়ির আঙ্গীনাতে বা পার্শবর্তী জমিতে শাকসব্জি বা ফসল করলে মুরগিতে তা নষ্ট করে এবং জমিতে কীটনাষক ঔষধ প্রয়োগের ফলে তা তাদের মৃত্যুর কারণ হয়।
- ৪. ঘরের আঙ্গীনা নোংরা করে, ফাঁক পেলে বা ডিম পাড়ার জন্য ঘরে ঢুকে উৎপাত করে। ডিম পাড়ার নির্দ্দিষ্ট কোন স্থান থাকে না ফলে ডিম নষ্ট হয়।
- ৫. রোগ বিস্তার লাভ অতি সহজেই ঘটে। বিদেশি মুরগি ছেড়ে পাললে যেমন কম ডিম দেয় তেমনি তাড়া তাড়ি রোগাকান্ত হয়ে মারা যায়।
২. অর্দ্ধস্বাধীন ভাবে মুরগি পালন
বাড়িতে অল্প কিছুটা খালিস্থান খাকলে ঐ স্থান ঘিরে মুরগি পালা যায়। খামারে মুরগিরর ঘরের সাথে তারের জাল দিয়ে ঘিরে রান তৈরী করা হয়। মুরগিরা দিনের বেলায় রানের মধ্যে চরে। অনেকে আবার রান এমন ভাবে তৈরী করেন যে রান ২/৩ ভাগে বা প্লটে বিভক্ত থাকে। এক এক প্লটে বা ভাগে পর্যায়ক্রমে শাকসব্জি চাষ করেন এবং মুরগিদের তার মধ্যে ছেড়ে দিলে তারা তা খায়। এই পদ্ধতিতেও আবার কিছুটা প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয় যেমন-
- ১. আজকাল আর রান করার জন্য অনেক সময় বাড়িতে বা খামারে পর্যাপ্ত স্থান থাকে না।
- ২. রানের খুটিতে অনেক সময় কাক বা বন্য পাখী এসে বসে এবং সংক্রামক রোগ ছড়ায়।
- ৩. রানে খাবার চেয়ে তারা পা দিয়ে আচড়িয়ে নষ্ট করে বেশি।
- ৪. আবদ্ধ অবস্থায় মুরগি পালন শহর বা শহরতলিতে জমির মূল্য অনেক বেশি। হাঁস মুরগির খামার করা এক বিরাট সমস্যা। এহেন পরিস্থিতেতে স্বল্পস্থানে মুরগি পালার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
আবদ্ধস্থানে মুরগি পাললে চরার জন্য স্থান প্রয়োজন হয়না। সীমাবদ্ধ ঘরের মধ্যে মুরগিদের আবদ্ধ করে রাখতে হয়। মুরগিদের চলাফেরার জন্য ঘরের মধ্যে পর্যাপ্ত স্থান থাকতে হবে। ঘরগুলো সাধারণতঃ দক্ষিণ বা পূর্বমুখী হবে যেন সামান্য হলেও সূর্যকিরণ ঘরে ঢুকতে পারে। খাদ্যের জন্য বিশেষভাবে সজাগ হতে হবে যেন খাদ্য সুষম হয়। প্রচুর পরিমাণে কাঁচা শাকসব্জি দিতে হবে অথবা খাদ্যে ভিটামিন খাদ্য মিশিয়ে দিতে হবে যেন ভিটামিন বা খাদ্য প্রাণের ঘাটতি না পড়ে।
ঘরের ছাদে, বারান্দায় বা বাড়ির ছোট্ট আঙ্গিনাতে এই প্রথায় মুরগি পালা খুবই সহজ। বড় বড় খামারে আজকাল এই প্রথা চালু হয়েছে। এই প্রথায় মুরগির বিশেষভাবে পরিচর্যার প্রয়োজন। ঘরের মধ্যে পরিবেশনকারীকেও ঘরে ঢুকায় বিশেষভাবে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে খামারের জন্য আলাদা পোষাকে ঢুকায় ব্যবস্থা থাকলে রোগ বিস্তার করতে পারে না। আবদ্ধ অবস্থায় আবার দুই উপায়ে মুরগি পালা যায়। যেমন-
(১) তারের জালের খাচায় মুরগি পালন। (২) মেঝেতে মুরগি পালন।

৩. তারের জালের খাঁচায় মুরগি পালন
আবদ্ধ অবস্থায় তারের খাঁচা করে মুরগি পালা যায়। আধা হতে এক ইঞ্চি ম্যাস বা ফাঁক তারের জালের সাহায্যে এই খাঁচা তৈরী করতে হয়। ঘরের মেঝে বা নিচের দিকে তারের চাল থাকাতে পায়খানা করলে নিচে পড়ে যায়। নিচের টিনের বা কাঠের ট্রে দেওয়া থাকলে ময়লা তারের মধ্যে জমা হয়। সপ্তাহে ২ দিন ট্রে পরিষ্কার করে ফেলতে হয়।
খাঁচার তলা একটু সামনের দিকে ঢালু করে তৈরী করতে হয়। ফলে ডিম পাড়লে গড়িয়ে চলে আসতে পারে এবং খাবার পাত্রের নিচে জমা হয়। খাঁচার সাথে পানি ও খাবার পাত্র এমন ভাবে দেওয়া হয় যে, মুরগি গ্রিলের ফাঁক দিয়ে গলা বের করে পানি এবং খাবার খেতে পারে। আমাদের দেশের পরিবেশ ১৮ লম্বা ১৮ ইঞ্চি চওড়া ও ১৮´ উচ্চতা বিশিষ্ট একটি খাঁচায় সর্বাধিক ৪টা মুরগি পালা যায়। এই প্রথাকে তারের জালের খাঁচায় “ব্যাটারী” প্রথা বলে। ঘরের বারান্দায় এই প্রথায় মুরগি পালাতে খুব সুবিধা।
খাঁচা ছোট হওয়াতে মোরগ রাখা অসুবিধা। মোরগ না হলে মুরগিতে ডিম কম পাড়ে না, কিন্তু ডিমে বাচ্চা হয় না। মোরগ ছাড়া ডিম বেশিদিন রাখা যায়। এই প্রথায় বাচ্চা ফোটানোর জন্য ডিম তৈরী করতে হলে খাঁচার আকার বড় করতে হবে। প্রতি মুরগির জন্য ৩ বর্গফুট স্থান দিতে হয়। অর্থাৎ ৩ ফুট চওড়া ১০ ফুট লম্বা এবং ২ ফুট উচ্চতা বিশিষ্টি একটি খাঁচায় ১০টি মুরগি ও একটি মোরগ রাখা যায়। বাচ্চা ফুটানো ডিম তৈরীর জন্য। খাঁচায় কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমেও বাচ্চা ফোটানোর জন্য ডিম উৎপাদন করা যায়।
আজকাল বড় বড় খামারে খাঁচায় মুরগি পালা প্রথা চালু আছে। খাঁচার মেঝে সামনের দিকে ঢালু করে তৈরী করার ফরে ডিম পাড়ার সাথে সাথে চালু তারের জালের উপর দিয়ে গড়িয়ে এসে খাবার পাত্রের নিচে জমা হয়।

৪. মেঝেতে মুরগি পালনঃ
মেঝেতে মুরগি পালন আবার দুই ভাগে বিভক্ত।
(১) লিটার প্রথা। ও (২) ডিপ—লিটার প্রথা।
লিটার প্রথা
লিটার কথার অর্থ পশু পাখির বিছানা। মেঝেতে ধানের তুষ কাঠের গুড়া বা যে কোন খড় পাতা চূর্ণ করে ২/৩ ইঞ্চি পুরু করে মেঝেতে বিছিয়ে দিতে হয়। এর ফলে মুরগির পায়খানা মেঝের সাথে লেগে যায় না। ফলে ঘর পরিস্কার করতে সুবিধা হয়। ঘর শুকনা থাকে।
ডিপ লিটার প্রথা
খড়ের উপড়ে থাকতে থাকতে মুরগিতে পায়খানা করে এবং নোংরা পরিবেশ সৃষ্টি করে ফেলবে। পরিস্কার ঘরের চেয়ে মুরগি এই পরিবেশে আরো স্বাচ্ছন্দ অনুভব করবে। মেঝেতে পুরু করে বিছানা তৈরী করা হয় বলে ইংরেজীতে একে ডিপ লিটার বলে।
হাঁস মুরগি পালন বা খামার প্রতিষ্ঠার প্রধান অন্তরায় হচ্ছে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও প্রত্যহ ঘর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন। প্রতিদিন হাঁস মুরগির ঘর পরিস্কার না করলে এক অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সৃষ্টি হয় এবং দুর্গন্ধে ঐ ঘরের কাছে যাওয়া দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। এতে সহজেই তারা রোগাক্রান্ত হয়ে মরতে শুরু করে। বর্তমানে ডিপলিটার পদ্ধতিতে হাঁস মুরগি পালা পৃথিবীর সর্বাধিক সহজ উপায়। এই প্রথা ব্যবহারের সুবিধা অনেক। যেমন-
১. প্রত্যহ ঘর পরিস্কার করার প্রয়োজন পড়ে না। সপ্তাহান্তে একবার করে লিটার উল্টে পাল্টে দিতে হয়। ২. এই প্রথায় ঘর শুখনা থাকে এবং ডিমের গায়ে কোন প্রকার ময়লা লাগে না।
৩. মুরগির পায়খানা লিটারের সাথে মিশে যায় ও সাথে সাথে শুকিয়ে যায় এবং দুর্গন্ধ মুক্ত থাকে।
৪. অল্প খরচে বেশি মুরগি পালা যায়।
৫. মুরগির খারাপ অভ্যাসজনিত রোগ হতে রক্ষা করে। যেমন-পায়ের নখ ঠোকানো, পালক ঠোকানো, স্বজাতীয় মাংস ঠোকানো, এবং ডিম খেয়ে ফেলা।
৬. এই প্রথায় মুরগির শরীরে উকুন জন্মে না। মুরগি লিটারের সাহায্যে গোসল করে এবং লিটার গায়ের উকুন ধ্বংস করে।
৭. লিটারের মধ্যে কিছু কিছু গম ছড়িয়ে দিতে হয়। মুরগি এই সমস্ত গম খুটে খায় এবং পা দিয়ে লিটার আচড়াতে থাকে। এতে তাদের শরীরের ব্যায়াম হয়।
৮. ঘর পরিস্কার না করার জন্য যে মজুর ও সময় বাচে তা খামারের অন্যান্য কাজে ব্যবহার করা যায়।
৯. এই প্রথায় মুরগির স্বাস্থ্য ভালো থাকে। শীতের দিনে লিটার মুরগির জন্য আরামদায়ক এবং গরমের দিনেও খুব উপকারী। লিটারের ভিতরে উত্তাপ বাইরের আবহাওয়ার তুলনায় অনেক কম।
১০. ডিপ লিটার যদি ঠিক মত তৈরী করা হয় তাহলে মৃত্যুহার অত্যাধিক কম থাকে এবং মুরগি অত্যাধিক স্বাচ্ছন্দ অনুভব করে।
১১. ডিপ লিটারে প্রাণীজ আমিষ তৈরী হয়। বি২ বি১২ ও ভিটামিন তৈরী হয় যা মুরগির স্বাস্থ্যের জন্য অত্যাবশ্যকীয়। ডিপ লিটারে নাইট্রোজেন শতকরা ২.৬ হতে ৩.০০ ভাগ, ফসফরাস ২.৭৩ ভাগ, পটাশ ২.৩ ভাগ, ম্যাগনেশিয়াম-০.৬৫ ভাগ, সোডিয়াম ০.৬৩ ভাগ, ক্যালসিয়াম-২.৭০ ভাগ, রিবোল্ফাডিন বা ভিটামিন বি প্রতি পাউণ্ডে ৪.৫ মিলিগ্রাম, নিয়াসিন ৪.৫ মিলিগ্রাম/পাউণ্ড এবং ভিটামিন বি প্রতি পাউণ্ডে ১১৮ মিলিগ্রাম পাওয়া যায়।
১২. ডিপ লিটার কৃষি কাজের জন্য উৎকৃষ্ট সার এবং ১ কেজি ডিপ-লিটার সার প্রায় ১০ কেজি গোবর সারের সমান। মুরগিপ্রতি বৎসরে প্রায় ৩৫ কেজি ডিপ-লিটার জৈব সার তৈরী হয়।
ডিপ লিটার তৈরী করার পদ্ধতি
করাতের গুড়া (Saw dust), ধানের তুষ (Rice bran),গমের খড় বিচালি ইত্যাদি চুর্ণ করে কেটে। কিম্বা যে কোন খড় বা পাতা চূর্ণ করে কেটে এসবের যে কোনটি অথবা ক’য়েকটির সংমিশ্রণে ডিপ লিটার তৈরী করা যায়। ঘরের মেঝে হতে চারি পার্শে ২-৩ ফুট উঁচু কাঠ, কাঁচা দেওয়ালে অথবা ইটের দেওয়াল দিয়ে ঘেরা থাকতে হবে। দরজার নিচের দিকের এক ফুট আটকানো থাকতে হবে। তা না হলে লিটার বাইরে ছড়িয়ে পড়বে।
শুকনো ঘরের মেঝেতে ৬ ইঞ্চি পুরু করে উল্লেখিত উপকরণের যে কোনটি সহজ লভ্য হিসাবে ভালোভাবে রৌদ্রে শুকিয়ে বিছিয়ে দিতে হবে। যে সমস্ত অঞ্চলে স্বাভাবিক বৃষ্টি পাত হয় সেখানে সাধারণত মার্চ এপ্রিল অথবা সেপ্টেম্বর অক্টোবর মাসে এই লিটার তৈরী করতে হয়। ভীষণ শীতে অথবা বর্ষাকালে লিটার তৈরী করা ঠিক নয়।
যদি এই সময়ে আদৌ লিটার তৈরী করতে হয় তাহলে প্রথমে কিছু পরিমাণ পুরানো লিটার মেঝেতে বিছিয়ে নিতে হয়। তারপর নতুন ভালোভাবে শুকনো লিটার সামগ্রী ব্যবহার করেত হবে। লিটার ১২ ইঞ্চির বেশি এবং ৬ ইঞ্চির কম হওয়া উচিৎ নয়। সাধারণত ২ মাস পরে লিটার তার সুফল দিতে শুরু করে। এই সময় লিটারকে বিল্ড আপ লিটার বলে।
লিটারের পরিচর্যা
লিটার সামান্য ভিজা বা স্যাতসেতে হলে প্রতি ৮ -১০ বর্গফুটে ৫০০ গ্রাম শুকনো গুড়াচুন ব্যবহার করতে হবে। চুনের পরিবর্তে সুপার ফসফেট ব্যবহার করা যায়। জিপসাম বা লাইমষ্টোন ব্যবহার করেও ইস্পিত লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব। পানির পাত্রের চারি পাশে পানি ছড়িয়ে পড়ে লিটার ভিজে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ভিজা লিটার সাথে সাথে তুলে ফেলে চুন, জিপসাম বা সুপার ফসফেট ব্যবহার করতে হবে।
সাধারণত বাচ্চার ৪ সপ্তাহ বয়স হলেই ডিপ লিটারে পালতে হয়। লিটারে উপরে ঘুমালে শ্বাস-যন্ত্রে ও নালীতে এক প্রকার রোগের সম্ভাবনা থাকে। ঘরে বিকল্প ব্যবস্থা থাকলে মুরগি তাতে ঘুমায় বা বিশ্রাম নেয়। লিটার তৈরী হতে ২ মাস সময় লাগে। দুই মাসের পূর্বে লিটারকে ফ্রেশ লিটার বলে। দুই মাস হলে বিল্ড আপ লিটার বলে। কমপক্ষে ৬ মাস না হলে লিটারের সমস্ত গুনাগুন প্রস্ফুটিত হয়না। সাধারণত৭/৮ বৎসর পর্যন্ত একই ঘরে লিটার না পাল্টে ব্যবহার করা যায়। তবে প্রতি বৎসর একবার লিটার পাল্টে ফেলা ভালো।