মেরাজ কি বা কাকে বলে?
আমাদের নবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আল্লাহ তা’আলা একদা রাত্রে জাগরিত অবস্থায় স্ব-শরীরে মক্কা শরীফ থেকে বায়তুল মুকাদ্দাস পর্যন্ত নিয়ে যান।
সেখান থেকে সাত আসমানের উপর এবং সেখান থেকেও আরও উপরে যতদূর আল্লাহর ইচ্ছা নিয়ে যান। সেখানে আল্লাহর সাথে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কথাবার্তা বলেন।
তখনই পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের বিধান দেয়া হয় এবং সেই রাতেই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবার দুনিয়াতে প্রত্যাবর্তন করেন। একে মেরাজ বলে।
আরশ কুরছী কি?
‘আরশ’ অর্থ চেয়ার বা আসন। আল্লাহ যেমন, তাঁর আরশ এবং কুরছীও তেমনই শানের হয়ে থাকবে। সপ্তম আসমানের উপর আরশ ও কুরছী অবস্থিত।
হাদীসের বর্ণনা অনুযায়ী আরশ কুরছী এত বিশাল যে, তা সমগ্র আকাশ ও জমিনকে পরিবেষ্টন করে রেখেছে।
এখানে উল্লেখ্য যে, আল্লাহ পাক কোন মাখ্লূকের ন্যায় উঠা-বসা করেন না এবং তিনি কোন নির্দিষ্ট স্থানে সীমাবদ্ধ নন।
মাখলূকের কোন কার্যকলাপ ও আচার-আচরণের সাথে আল্লাহর কোন কার্যকলাপ ও আচার-আচরণের তুলনা হয় না। তারপরও তাঁর আরশ কুরছী থাকার কি অর্থ, তা অনুধাবন করা মানব জ্ঞানের উর্ধ্বে। আমাদেরকে শুধু আরশ কুরছী সম্বন্ধে আকীদা বিশ্বাস রাখতে হবে।
আল্লাহর দীদার কি?
আল্লাহর দীদার বা আল্লাহকে দেখা সম্বন্ধে ইসলামের আকীদা হলো দুনিয়ায় থেকে জাগ্রত অবস্থায় এই চর্ম চক্ষুর দ্বারা কেউ আল্লাহকে দেখতে পারেনি এবং পারবে না। তবে বেহেশতবাসীগণ বেহেশতে গিয়ে আল্লাহর দীদার (দর্শন) লাভ করবেন।
বেহেশতের অন্যান্য নেয়ামতের তুলনায় এই নেয়ামত (আল্লাহর দীদার) সর্বাপেক্ষা উৎকৃষ্ট ও উপাদেয় মনে হবে। উল্লেখ্য যে, স্বপ্নে আল্লাহ্কে দেখা যায়, তবে সেটাকে দুনিয়ার চর্ম চক্ষু দ্বারা দেখা বলা হয় না।
পোষ্টটি লিখতে নিম্নক্তো বই/লেখকের লিখনী থেকে সাহায্য নেওয়া হয়েছে: আহকামে জিন্দেগী (মাকতাবাতুল আবরার প্রকাশনী) মাওলানা মুহাম্মদ হেমায়েত উদ্দীন শায়খুল হাদীস, জামেয়া ইসলামিয়া আরার্বিয়া, তাঁতী বাজার, ঢাকা-১১০০ মুহাদ্দিছ, জামিয়া ইসলমিয়া দারুল উূলুম মাদানিয়া, ৩১২, দক্ষীণ যাত্রাবাড়ি, ঢাকা-১২৩৬