Skip to content

 

ছাগী বা মেয়ে ছাগলের যত্ন কিভাবে নিবেন? আধুনিক পদ্ধতিতে ছাগল পালন প্রশিক্ষণ

ছাগী বা মেয়ে ছাগলের যত্ন কিভাবে নিবেন? আধুনিক পদ্ধতিতে ছাগল পালন প্রশিক্ষণ
ছাগী বা মেয়ে ছাগলের যত্ন কিভাবে নিবেন? আধুনিক পদ্ধতিতে ছাগল পালন প্রশিক্ষণ

ড্রাই পিরিয়ডঃ

বাচ্চা দুধ খাওয়া ছেড়ে দেওয়ার পর হতে পুনরায় প্রজনন করার পূর্ব পর্যন্ত (পরবর্তী গর্ভধারণকাল পর্যন্ত) সময়কে ছাগীর ড্রাই পিরিয়ড বলে। এ সময়ে দেহ রক্ষা, পর্যাপ্ত হরমোন নিঃসরণ এবং দেহের ক্ষয় পূরণের নিমিত্ত ছাগীকে পর্যাপ্ত পরিমান পুষ্টিকর সুষম খাদ্য সরবরাহ করতে হবে

গর্ভকালীন সময়ঃ

(01) সুস্থ, সবল ও স্বাস্থ্যবান বাচ্চা উৎপাদনের লক্ষ্যে ছাগীকে গর্ভকালীন সময়ে উপযুক্ত পরিমান উন্নতমানের খাবার এবং উপযুক্ত যত্রু নেওয়া জরুরী | এ সময়ে ছাগীকে স্বাভাবিক খাদ্যের পাশাপাশি ভিটামিন ও.মিনারেল সরবরাহ করতে হবে।

(02) গর্ভস্থ ভ্রণের দেহের দুই তৃতীয়াংশ বৃদ্ধি ঘটে গর্ভধারণের শেষ সপ্তাহে।তাই এসময়ে আমিষের চাহিদা তিনগুন হয় | এসময়ে ভ্রূণের বৃদ্ধি ও ছাগীর স্তনের বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্তপরিমানে উন্নত মানের খাবার দিতে হবে।

(03) বাচ্চা প্রসবের দুই সপ্তাহ পূর্ব হতে ছাগীকে পৃথক রাখার ব্যবস্থা করতে হবে |

(04) এসময় মাচার উপর বা উঁচু স্থানে ছাগীকে উঠতে না দেওয়া ভাল।

(05) দিনে ঘর সংলগ্ন খোঁয়াড় অথবা উঠানে ছায়ার মধ্যে ছাগীকে রাখতে হবে।

(06) গর্ভবতী ছাগীকে শুকনা ও পরিস্কার পরিচ্ছন স্থানে রাখতে হবে।

(07) রাতে মাটিতে শুকনো ও পরিস্কার খড় বা চট বিছিয়ে বিছানা তৈরী করে দিতে হবে।

প্রসবকালীন সময়ঃ

(01) প্রসবের পূর্বে ছাগীর ওলান এবং লেজের চারপাশের পশম পরিস্কার করতে হবে |

(02) এসময় দানাদার খাদ্য সরবরাহ কমিয়ে দিতে হবে বা বন্ধ করতে হবে।

(03) প্রসব ঘর অবশ্যই পরিস্কার পরিচ্ছন্ন, শুকনা এবং জীবানুমুক্ত রাখতে হবে।

(04) প্রসুতি ছাগী ও সদ্যজাত বাচ্চার জন্য মেঝেতে বিছানা/বেডিং এর ব্যবস্থা করতে হবে।

(05) প্রসবের ঘরে পর্যাপ্ত আলো বাতাসের ব্যবস্থা করতে হবে।

(06) অত্যন্ত শীতের মধ্যে সদ্যজাত বাচ্চাকে যেন উষ্ণ রাখা যায় সে সুযোগ থাকতে হবে।

See also  ছাগলের ঠান্ডা জ্বর এর চিকিৎসা। ছাগলের জ্বরের ঔষধ ও ছাগলের ঠান্ডার ঔষধের নাম

দুধ প্রদানকালীন সময়ঃ

(01) প্রসবের পর ছাগীর প্রয়োজনের উপর লক্ষ্য রেখে খাদ্যের পরিমান প্রয়োজন অনুসারে বৃদ্ধি করা আবশ্যক।

(02) গাভীর দুধের চেয়ে ছাগীর দুধে প্রোটিন ও চর্বির শতকরা পরিমান বেশি থাকে বিধায় দুগ্ধবতী ছাগীকে পর্যাপ্ত পরিমান প্রোটিন ও ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার প্রদান করতে হবে।

(03) দুগ্ধবতী ছাগীর হাইপোক্যালসেমিয়া প্রতিরোধ করার জন্য খাদ্যে প্রয়োজনীয় পরিমানে ক্যালসিয়াম সরবরাহ করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright Notice

কপি করা নিষিদ্ধ!