Skip to content

 

Wait...❤😘 Show love? ⬇⬇⬇

মৌমাছির হুলে যে সব রোগ সারে, মৌমাছির হুল প্রয়োগ চিকিৎসা পদ্ধতি, মৌমাছির বিষ সংগ্রহ প্রণালী ও মৌমাছি পালনে আর্থিক দিক (২০১৮) মৌমাছির অজানা কথা, মৌমাছি সম্পর্কে অজানা তথ্য

মৌমাছির অপকারিতা, মৌমাছির অজানা কথা, মৌমাছি সম্পর্কে অজানা তথ্য, মৌমাছি আমাদের কী উপকার করে? মৌমাছি উপযোগিতা, মৌমাছি উপকার, মৌমাছির উপকারিতা ও অপকারিতা, মৌমাছি কামড়ালে কি করা উচিত, মৌমাছি কামড় দিলে কি করা উচিত, মৌমাছি কামড়ের ওষুধ, মৌমাছি কামড়ানোর ওষুধ, মৌমাছি কামড়ের ঔষধ।

মৌমাছির অপকারিতা, মৌমাছির অজানা কথা, মৌমাছি সম্পর্কে অজানা তথ্য, মৌমাছি আমাদের কী উপকার করে? মৌমাছি উপযোগিতা, মৌমাছি উপকার, মৌমাছির উপকারিতা ও অপকারিতা, মৌমাছি কামড়ালে কি করা উচিত, মৌমাছি কামড় দিলে কি করা উচিত, মৌমাছি কামড়ের ওষুধ, মৌমাছি কামড়ানোর ওষুধ, মৌমাছি কামড়ের ঔষধ।

মৌমাছি হুলঃ

→ হুল শ্রমিক মৌমাছির ৮.৯ এবং ১০ নং সেগমেন্টে অবস্থিত। এই হুলের সামনের দিকের নাম ল্যানসেট। এর ওপর দিকে মুখ করে অনেকগুলো দাঁত আছে।

→ মৌমাছি যখন হুল বিঁধিয়ে দেয় তখন ল্যানসেট আক্রান্ত দেহের ভেতর ঢুকে এবং পেশীর চাপের দরুণ ক্রমশঃ আরও গভীরে চলে যায়। পরে মৌমাছি যখন হুল বের করার চেষ্টা করে তখন সে আর আক্রান্ত দেহ থেকে টেনে বার করতে পারে না। কারণ ল্যানসেটের আগের দিকে ওপরের পানে মুখ করে যে সব দাঁত আছে তা ল্যানসেটের আক্রান্ত দেহ থেকে বেরিয়ে আসতে বাধা দেয়। হুল টেনে বের করবার চেষ্টা চলাবার সময় স্টাইলেই বিষ থলির ওপর চাপ দেয়, ফলে বিষ বের হয়ে আসে।

→ বিষ বেরিয়ে আসার সময় এময় এসিড গ্ল্যান্ড-এর এসিযের সাথে মিশে স্টাইলেটের ভেতর দিয়ে ল্যানসেটে চলে আসে। অবশেষে এই বিষ আক্রান্ত দেহে প্রবেশ করে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি করে।

→ মৌমাছি হুল তুলেনেবোর জন্য যখন ক্রমাগত সৃষ্টি করে। মৌমাছি হুল তুলে নেবার জন্য যখন ক্রমাগত চেষ্টা করে তখন বিষ থলি, এসিড, গ্লান্ড স্টাইলেট এবং ল্যান্‌সেট আক্রান্ত দেহ থেকে ছিঁড়ে থেকে যায়। এই বিচ্ছিন্ন হুলকে আক্রান্ত দেহ থেকে তুলে না নেওয়া পর্যন্ত মৌমাছিরা বিষ থলির সংকোচন ও প্রসারণের মাধ্যমে অনবরত বিষ সরবরাহ করতে থাকে। এই কারণে শ্রমিক মৌমছিরা দেহ থেকে হুল বিচ্ছিন্ন অর্থাৎ ছিঁড়ে যাবার পর তার কয়েক ঘন্টা পরেই মৃত্যু হয়।

→ মধুর কথা মধুর মতো লাগবে এটা স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু যন্ত্রণাদায়ক হুলের কথা কেন মানুষের কাছে মধুর মতো লাগবে। সেকথা আলোচনা করা হচ্ছে।

→ মৌমাছিরা হুলের বিষ হচ্ছে স্বচ্ছ, তীব্র গন্ধ যুক্ত এবং জলীয় পদার্থ বিশেষ। শ্বাস তেতো আর পানীয় জলের থেকে একটু ভারী।

→ কারণ এই বিষের মধ্যে রয়েছে তিন রকমের এসিড। ওই সমস্ত এসিডগুলো হলো, ফরমিক, অথেকিরিক এবং হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড। এই তিনটি অ্যাসিড ছাড়াও অন্যান্য দ্রব্যের মধ্যে হআছে হিস্টামিন, কোলিন, ট্রিপটোফেন ও সালফার অর্থাৎ গন্ধক।

→ মৌমাছর বিষের ঔষধীর গুণের কারণ সম্ভবতঃ ফসফেট অফ ম্যাগনেসিয়াম-এর উপস্থিতি। এ ছাড়া তামা ও চুন জাতীয় পদার্থ কিছু পাওয়া গেছে। মৌমাছির বিষ ঠাণ্ডা ও গরম প্রতিরোধক।

→ অ্যান্টিসেপ্‌টিক অর্থাৎ বিষ নাশক হিসেবে মৌমাছির হুল অত্যন্ত মূল্যবান। বিশেষজ্ঞদের মতে সর্বাধিক প্রয়োজনীয় অ্যন্টিসেপ্‌টিকগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।

→ মৌমাছির হুল মানুষের শরীরে বিঁধিয়ে দেবার সময় স্বচ্ছ এক ফোঁটা বিষয় ঢেলে দেয়। এর ঔষধীর গুণ বহু। তাছাড়া আমাদের শরীরে এর প্রতিক্রিয়া অন্যান্য ওষুধের তুলনায় খুব তাড়াতাড়ি হয়।

→ অবশ্য মৌমাছির হুল বিভিন্ন মানুষের শরীরে বিভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। শিশু, নারী এবং বৃদ্ধদের পক্ষে একটু বেশি কষ্টদায়ক হয়। একসাথে ২০০ থেকে ৩০০ টি মৌমাছির হুল বেশি যন্ত্রণার সৃষ্টি করলেও মারাত্মক নয়। তবে একসাথে ৫০০ টি বেশি হুল মানুষর শরীর বিঁধে গেলে মানুষ মারা যেতে পারে। এটা ঘটবে এপিস ইন্ডিকা হুল বিঁধিয়ে দিলে। তবে ডাঁস বা বুনো মৌমাছির ১২টি হুল মানুষের মৃত্যুরন কারণ হতে পারে।

See also  মধু এবং মোমঃ মধুর রাসায়নিক উপাদান, পুষ্টিকর খাদ্য হিসাবে মধু, ওষুধ হিসেবে মধুর ব্যবহার, ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ও অন্যবিধাভাবে মধু, বিশুদ্ধ বা পরিশোধিত মধু পেতে হলে- মধু শোধন পদ্ধতি, মধু সংরক্ষণ ব্যবস্থা ও মধুর মান, মৌচাকের মোমের বিভিন্ন ব্যবহার, চাক থেকে মোম তৈরির পদ্ধতি

→ কিছুক্ষেত্রে একটিমাত্র হুল মানুষের শরীরে খুবই খারাপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। এর প্রভাবে জ্বর মাথাধরা এবং বমিও হতে পারে।

→ যে সমস্ত মৌমাছিকে পালন করা হয় তাদের হুলে বিশেষ কোনও প্রতিক্রিয়া হয় না। অভ্যস্ত শরীরে হুলের যন্ত্রণা হয় না। বললেই চলে। সাধারণত এক বা দু বছরের মধ্যেই শরীর মজবুত হয়ে যায়।

→ এপিস মৌমাছির ৩০০ টি হুল শরীরে প্রবেশ করলে ওকোন শিশুর মৃত্যুর ঘটনার কথা শোনা যায়নি। এমন কি দেখা গেছে গর্ভবর্তী মাকে মৌমাছি হুল বিধিয়ে দিলে পরবর্তী কালে ওই মায়ের শিশু সন্তান বহু রোগের হাত থেকে মুক্তি পায়।

মৌমাছি কামড়ালে কি করা উচিত মৌমাছি কামড় দিলে কি করা উচিত মৌমাছি কামড়ের ওষুধ মৌমাছি মৌমাছির হুলে যে সব রোগ সারে, মৌমাছির হুল প্রয়োগ চিকিৎসা পদ্ধতি, মৌমাছির বিষ সংগ্রহ প্রণালী ও মৌমাছি পালনে আর্থিক দিক (২০১৮) মৌমাছির অজানা কথা, মৌমাছি সম্পর্কে অজানা তথ্য কৃষি মৌমাছি চাষ মৌমাছি চাষ

মৌমাছির হুলে যে সব রোগ সারেঃ

১. বাত :

→ এই রোগ সম্পূর্ণভাবে কোনও ওষুধেই ভালো হয় না। তবে মৌমাছির হুল বাতের ওষুধ হিসেবে অদ্বিতীয়।

→ বিভিন্ন দেশে বাতে আক্রান্ত রোগী চমৎকার এবং স্থায়ীভাবে উপকার পেয়েছেন এবং পাচ্ছেন।

→ বিভিন্ন ধরনের বাত রয়েছ। সব ধরনের বাতেই মৌমাছির হুল ভালো কাজ দেয়।

→ পাশ্চাত্য দেশের অধিকাংশ চিকিৎসকের অভিমত, আগামী দিনে মৌমাছির হুলের মাধ্যমে চিকিৎসায় বাত রোগ আরোগ্যের ক্ষেত্রে স্থায়ী এবং ফলপ্রদ ওষুধ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবার উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে।

২. স্নায়ুপ্রদাহ ও স্বায়ু মূল :

→ মৌমাছির হুলের দ্বারা বিভিন্ন স্নায়ুবিক রোগের চিকিৎসা সম্বন্ধে সুন্দর অভিজ্ঞতা আমাদের দেশে বহু মানুষের রয়েছে। প্রাকৃতিক চিকিৎসকরা বহু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এই তথ্য সঠিক বলে জানিয়েছেন।

→ বহু ক্ষেত্রে দেখা গেছে সায়টিকা বা নিউরলজিয়ার রোগী একমাত্র মৌমাছির হুলের দ্বারাই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়েছেন।

৩. চর্মরোগ :

→ বিভিন্ন রোগীর ক্ষেত্রে পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে, হুল যাবতীয় চর্মরোগের পক্ষে অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য।

মৌমাছির অপকারিতা মৌমাছির অজানা কথা মৌমাছি সম্পর্কে অজানা তথ্য মৌমাছি আমাদের কী উপকার 2 মৌমাছির হুলে যে সব রোগ সারে, মৌমাছির হুল প্রয়োগ চিকিৎসা পদ্ধতি, মৌমাছির বিষ সংগ্রহ প্রণালী ও মৌমাছি পালনে আর্থিক দিক (২০১৮) মৌমাছির অজানা কথা, মৌমাছি সম্পর্কে অজানা তথ্য কৃষি মৌমাছি চাষ মৌমাছি চাষ

৪. ম্যালেরিয়া :

→ মাত্র দশটা মৌমাছির হুলই ম্যালেরিয়া সম্পূর্ণ ভালো করতে পারে। এটা বর্তমান অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা শাস্ত্র দ্বারা পরীক্ষিত।

৫. চক্ষুরোগ :

→ চোখের রোগ সারানো দৃষ্টি শক্তি ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে মৌমাছির হুলের মূল্যবান অবদান রয়েছে। বিশেষ করে আইরিটিস্ ও আইরিডো সাইক্লিটিস এই দুটি রোগের খুব ভালো ওষুধ।

৬. গলগণ্ড :

→ পাশ্চাত্য দেশে অভিজ্ঞ মৌমাছি পালকদের লেখা বিভিন্ন পুস্তকে বলা হয়েছে মৌমাছির হুলের সাহায্য গলগণ্ড রোগ সেরে গেছে। চিকিৎসা শুরু করার কয়েকদিন পর দেখা যায় গলার থলির ফুলো অংশ ধীরে ধীরে মিলিয়ে যাচ্ছে।

৭. উচ্চ রক্তচাপ :

→ মৌমাছির হুলের দ্বারা রক্ত চাপের উপসম হয়। বহু রোগীর রোগ সম্পূর্ণ নিরাময় হওয়ার মাধ্যমে ইই তথ্য আজ সত্য রূপে প্রমাণিত হয়েছে; তাছাড়া মৌমাছি পালকরা এসব রোগ থেকে সম্পূর্ণভাবে মুক্ত থাকে।

মৌমাছি কামড়ালে কি করা উচিত মৌমাছি কামড় দিলে কি করা উচিত মৌমাছি কামড়ের ওষুধ মৌমাছি 3 মৌমাছির হুলে যে সব রোগ সারে, মৌমাছির হুল প্রয়োগ চিকিৎসা পদ্ধতি, মৌমাছির বিষ সংগ্রহ প্রণালী ও মৌমাছি পালনে আর্থিক দিক (২০১৮) মৌমাছির অজানা কথা, মৌমাছি সম্পর্কে অজানা তথ্য কৃষি মৌমাছি চাষ মৌমাছি চাষ

মৌমাছির হুল প্রয়োগ চিকিৎসা পদ্ধতিঃ

→ একটি লোহার তৈরি চিমটির সাহায্য মৌমাছির ধরে রোগীর শরীরের ওপর সামান্য চাপ দিলেই মাছি হুল ফুটিয়ে দেবে। অবশ্য এই কাজটি করার আগে শরীরের যে অংশে হুল ফোঁটানো হবে সেই জায়গাটা সামান্য গরম জলে সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলতেহবে।

→ হুল বিঁধিয়ে দিয়ে মৌমাছি নিজ থেকে উড়ে চলে যাবে। কিছুক্ষণ পরে অর্থাৎ বিষ শরীরে ঢুকে গেলে হুল টেনে বার করে দিতে হবে।

→ আঙুলের নখ দিয়ে বেঁছে নিলেই হুলের কোনও অংশ শরীরের মধ্যে থাকবে না। কেবল প্রয়োজনীয় বিষটুকুই শরীরের মধ্যে থেকে যাবে।

→ বিষয়ের থলিটি কখন শেষ হবে সেটা খালি চোখেই দেখা যাবে। তেমন প্রয়োজন বোধ করলে নির্দেষ কোনও মলম আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে দেওয়া চলবে।

→ নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী হুল প্রয়োগ করা দরকার। প্রথম যে দিন শুরু করা হবে সেই দিন একটি হুল ডান হাতের ওপর দিকে, দ্বিতীয় দিন হুল বাঁ হাতের ওপর দিকে ও বাঁ উরুতে, তৃতীয় দিনে তিনটি হুল ডান উরুতে ডান হাতে যে জায়গাটায় প্রথমটি দেওয়া হয়েছিল তার নিচে ও বাঁ হাতে একইভাবে এমন করে প্রতিদিন একটি করে বাড়িয়ে হুল ফোঁটাতে হবে।

See also  মৌমাছিদের জাতঃ মৌমাছি কত প্রকার ও কি কি? কোন মৌমাছি পালন করা উচিত? মৌমাছি খামারে মৌমাছি ও মধু চাষ।

→ ডান হাত, বাঁ হাত, ডান উরু, বাঁ উরু এইভাবে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে হুল প্রয়োগ করা দরকার। এইভাবে মোট ১০ দিন ধরে ৫৫ টি হুল ফোঁটানোর পর একটি কোর্স শেষ হবে।

→ চার থেকে পাঁচ দিন পর দ্বিতীয় কোর্স শুরু হবে প্রতিদিন তিনটি করে হুল প্রয়োগ করে। মোট ছয় সপ্তাহধরে দ্বিতীয় কোর্স চলবে।

→ এই সময় ১৪০ থেকে ১৫০ টি হুল রোগীর শরীরে প্রয়োগ করতে হবে। এইভাবে ১৮০ থেকে ২০০ টি হুল ফোঁটাবার পর চিকিৎসা বন্ধ করা দরকার। এর মধ্যে রোগী যদি কোনওরূপ সুফল না পায় তাহলে বুঝতে হবে হুল প্রয়োগের মাধ্যমে ওই রোগী ব্যাধির হাত থেকে রেহাই পাবে না।

→ দেখা গেছে রোগ নিরাময়ে জন্য হুল প্রয়োগ করলে রোগীর দেহ ফুলে ওঠে না খুব একটা যন্ত্রনা করে না। বাত, সায়টিকা বা স্নায়বিক রোগেিক একসাথে ২০ থেকে ৩০ টি হুল ফুটিয়ে দিয়েও রোগীর কোনও রকম যন্ত্রণা হয়নি। অবশ্য যে স্থানটিতে হুল ফোটানো হয়েছে সেই স্থানটি সামান্য ফুলে যেতে পারে।

→ বর্তমানে রুশ দেশে ছোট আকারের বাক্সে মৌমাছি নিয়ে গিয়ে রোগীর বাড়িতে চিকিৎসা করা হচ্ছে। বিভিন্ন হাসপাতালে মৌমছির হুলের বিষ ইনজেকশনের মতো ব্যবহার করেও বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা করা হচ্ছে।

→ অন্যান্য প্রচলিত বিভিন্ন চিকিৎসার মতো হুলের মাধ্যমে চিকিৎসার সময়েও যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। প্রথম হুল প্রয়োগ করবার পরই রোগীর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা দরকার। খারাপ কোনও প্রতিক্রিয়া দেখা দিলেই আর হুল প্রয়োগ করা উচিত হবে না। সেক্ষেত্রে অভিজ্ঞ কোনও মৌমাছি পালক অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা দরকার।

মৌমাছির অপকারিতা মৌমাছির অজানা কথা মৌমাছি সম্পর্কে অজানা তথ্য মৌমাছি আমাদের কী উপকার মৌমাছির হুলে যে সব রোগ সারে, মৌমাছির হুল প্রয়োগ চিকিৎসা পদ্ধতি, মৌমাছির বিষ সংগ্রহ প্রণালী ও মৌমাছি পালনে আর্থিক দিক (২০১৮) মৌমাছির অজানা কথা, মৌমাছি সম্পর্কে অজানা তথ্য কৃষি মৌমাছি চাষ মৌমাছি চাষ

মৌমাছির বিষ সংগ্রহ প্রণালীঃ

১. প্রথম পদ্ধতি :

→ মৌমাছি জন্মবার ১৪ থেকে ১৫ দিনের মাথায় হুলে বিষ আসে। অর্থাৎ জন্ম মুহূর্তে বিষ থাকে না। এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের অভিমত, একটা মৌমাছির ০.০৮৫ মিলিগ্রাম বিষ হয়। অবশ্য ঋতু অনুসারে হুলেতে বিষেয়ের পরিমাণ বাড়ে ও কমে। বসন্ত এবং গ্রীষ্মকালে হুলে বিষ বেশি থাকে। অন্য ঋতুতে বিশে করে শীতকালে বিষের পরিমাণ কমে যায়। মৌমাছিদের খাদ্যের তারতম্যের জন্য প্রধানতঃ এমন হয়। মৌমাছির হুল থেকে বিষ সংগ্রহের একটা পদ্ধতি রয়েছে। পদ্ধতি অনুসরণ করে বিষ সংগ্রহ করা দরকার।

→ একটা কাচের জারে (গ্লাস জার) অনেকগুলো মৌমাছি নিয়ে ইথার ভেজানো ফিল্টার পেপার দিয়ে মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ইথারের বাষ্পে মৌমাছি উত্তেজিত হয়ে গেলে হুল থেকে ফোঁটার আকারে বিষ বের হয়ে আসে। পরে অবশ্য জল দিয়ে ধুয়ে নিতে হয়। এই কাজটি করার উদ্দেশ্য হলো জল মেশানো বিষ শুকিয়ে নিলে অনেকদিন ধরে বিষয়ের কার্যকারিতা বজায় রাখা সম্ভব হয়। এরপর মৌমাছিকে কিছুক্ষণ রোদে শুকিয়ে নিয়ে চাকে ছেড়ে দিলে বেশিরভাগ মৌমাছি বেঁচে যায়। হিসেব করে দেখা গেছে, প্রতি এক হাজার মৌমাছির কাছে থেকে৫০ থেকে ৭৮০ মিলিগ্রাম বিষ সংগ্রহ করা যায়।

২. দ্বিতীয় পদ্ধতি :

→ একটা বাক্সের ভেতরে অনেকগুলো মৌমাছি রেখে এবং তাদের কোনও ক্ষতি না করেই বিষয় সংগ্রহ করা যায়। তবে বাক্সটা হার্ড বোর্ডের তৈরি হওয়া দরকার। বাক্সের ভেতর কয়েক হাজার মৌমাছিকে সরাসরি চাক থেকে ছেড়ে দেওয়া সম্ভব হবে। বাক্স থেকে মৌমাছি বের হবার জন্য কয়েকটা সরু পথ বাক্সে রাখা দরকার। বন্ধ বাক্স থেকে তারা যখন সেই সরু পথ দিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসবে তখন পথ সংকীর্ণ হওয়াতে মৌমাছির গায়ে বেশ চাপ পড়বে। ফলে হুল থেকে বিষ বের হয়ে সংকীর্ণ পথের ঠিক নিচেতে রাখা কাঁচের গ্লাসে জমা হবে কাচের গ্লাস অবশ্যই হার্ড বোর্ডের বাক্সের থাকবে। এই পদ্ধতিতে বিষ সংগ্রহ কররে মৌমাছির হুল তাদের শরীরে ঠিকই থেকে যাবে। ফলে মাছির মৃত্যুর আশংকা থাকবে না। এইভাবে পনের দিন অন্তরএকই মৌমাছির কাছ থেকে বিষ সংগ্রহ করা যায়। এতে মৌমাছির কোন ক্ষতিই হয় না।

See also  আধুনিক পদ্ধতিতে মৌমাছি পালনে মৌমাছিদের কি কি পরিচর্যা করতে হয়? মৌমাছি পালনের পরিবেশ, গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ ও শীতকালের পরিচর্যাঃ মৌমাছি ও মধু চাষের মৌমাছি খামারে মৌমাছি পালনের পরিবেশ কেমন হওয়া উচিত?

→ মৌমাছির শরীর থেকে বিষ বের করার জন্য আরও একটি পদ্ধতি রয়েছে। এটা বটম বোর্ডের হওপর বিদ্যুৎ চালিত ব্যাটারির সাহায্য করা যেতে পারে। বিষয় নিষ্কাশন যন্ত্রের মাধ্যমে বিষ সংগ্রহ করা। এই যন্ত্রের কাজ হলো মৌমাছির শরীরে বিদ্যুৎ সংস্পর্শজনিত শিহরণ সৃষ্টি করে বিষ বের করে নেওয়া। এই পদ্ধতির বিষ বের করা ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গিতে চলে।

মৌমাছির অপকারিতা মৌমাছির অজানা কথা মৌমাছি সম্পর্কে অজানা তথ্য মৌমাছি আমাদের কী উপকার 3 মৌমাছির হুলে যে সব রোগ সারে, মৌমাছির হুল প্রয়োগ চিকিৎসা পদ্ধতি, মৌমাছির বিষ সংগ্রহ প্রণালী ও মৌমাছি পালনে আর্থিক দিক (২০১৮) মৌমাছির অজানা কথা, মৌমাছি সম্পর্কে অজানা তথ্য কৃষি মৌমাছি চাষ মৌমাছি চাষ

মৌমাছি পালনে আর্থিক দিকঃ (২০১৮ সাল)

→ একজন কিশোর-কিশোরী বা তরুণ-তরুণীর পক্ষে দুটি মৌ-বাক্স পরিচর্যা করা এমন কিছু কঠিন ব্যাপার নয়। মৌ-বাক্স বাড়ির বারান্দায়, কি ঘরের ভেতরও রাখা যায়। বর্ষা কিছুদিন ছাড়া খোরাকী বাবদ এমন কিছু খরচ করতে হয় না মৌমছিদের জন্য।

→ আগেই আলোচনা করা হয়েছে মৌ-বাক্স, মৌমাছি এবং বিভিন্ন সাজ সরঞ্জাম, বিভিন্ন মৌপালক প্রতিষ্ঠান ও সমবায় সমিতি থেকে কিনতে পাওয়া যায়। মোম ছাঁচের দাম খুবই বেশি। সব সময়ে তা বাজারে পাওয়া যায় না।

→ তবে মোম ছাঁদ ব্যবহার না করলেও কিছু আসে যায় না। ফ্রেমের ভিতরের অংশে গলা মোমের প্রলেপ লাগিয়ে, মৌচাকের টুকরো বেঁধে দিলেই মৌমাছিরা তাড়াতাড়ি চাক নির্মান করতে পারে। মুখ ঢাকা পর্দা, হাত মোজা বা দস্তানা, রাণী বন্ধ জাল, রাণী পিঞ্জর ইত্যাদি। অব্যবহৃত কাপড়-চোপড় ও তারের জাল কিনে তারই সাহায্যে নিজেরাই তৈরি করে নেওয়া হযেতে পারে। সুতরাং মৌমাছি পালনের প্রথম অবস্থায় প্রথম শিক্ষার্থীর মোট অর্থের প্রয়োজন ৭০০ টাকা মাত্র।

→ আবার বন বাদাড়ের মৌচাক থেকে মৌমাছি সংগ্রহ করে নিতে পারলে মাত্র ৪০০ টাকা। কাঠ কিনে বাক্স তৈরি করিয়ে নিতে পারলে টাকার পরিমাণ আরও কমে যেতে পারে। একটি মৌ-বাক্স থেকে বছরের অন্তত ৫/৬ কেজিখাঁটি মধু পাওয়া যাবেই। বছরে খরচ বাদে লাভ ৫,০০০-৭,০০০ টাকা।

→ আর্থিক দিক থেকে বিচার করলে মৌমাছি পালনের প্রথম বৎসরে তেমন কিছু লাভ নাও হতে পারে। কিন্তু একটা কথা। একটি বাক্সের মৌমাছি থেকেই ভবিষ্যতে বাক্সে সংখ্যা বৃদ্ধি করা বিচিত্র নয়। তখন আর্থিক লাভ সুনিশ্চিত। তা ছাড়াও মৌমাছি পালনের একটি মধুর দিক আছে। মৌমাছি পালনে পাওয়া যাবে খাঁটি মধু। সেই মধু আপনার বন্ধু বান্ধবীকে উপহার দিলে সৌহার্দ্য বন্ধন আরও গাঢ় হবে।

প্রিয় পাঠক, আশা করি কিছু মৌমাছির অজানা কথা, মৌমাছি সম্পর্কে অজানা তথ্য উপহার দিতে পেরেছি, যা আপনি আগে জানতেন না এবং এতেই আমাদের স্বার্ধকতা। আজকের পোষ্ট এখানেই শেষ, দেখা হবে পরের কোন আলোচনায়। খামারিয়ান এর সাথেই থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright Notice

কপি করা নিষিদ্ধ!