Skip to content

 

Wait...❤😘 Show love? ⬇⬇⬇

যদি আল্লাহ সবই জানেন তাহলে তিনি সবকিছু সৃষ্টি করতে গেলেন কেন? আল্লাহ খারাপ কাজ/কথা সৃষ্টি করলেন কেন? ভাল একজন সত্ত্বা কি খারাপ কিছু সৃষ্টি করতে পারে? আল্লাহ অবিশ্বাসীদের অন্তর তালাবদ্ধ করে রেখেছেন কেন?

যদি আল্লাহ সবই জানেন তাহলে তিনি সবকিছু সৃষ্টি করতে গেলেন কেন? আল্লাহ খারাপ কাজ/কথা সৃষ্টি করলেন কেন? ভাল একজন সত্ত্বা কি খারাপ কিছু সৃষ্টি করতে পারে? আল্লাহ অবিশ্বাসীদের অন্তর তালাবদ্ধ করে রেখেছেন কেন?

নাস্তিক মুক্তমনার প্রশ্ন ও তার উত্তর :-
🛑যদি আল্লাহ সবই জানেন তাহলে তিনি সবকিছু সৃষ্টি করতে গেলেন কেন?
🛑আল্লাহ খারাপ কাজ/কথা সৃষ্টি করলেন কেন? ভাল একজন সত্ত্বা কি খারাপ কিছু সৃষ্টি করতে পারে?
🛑আল্লাহ অবিশ্বাসীদের অন্তর তালাবদ্ধ করে রেখেছেন কেন?

🔷উত্তর :-

(১) নং প্রশ্নের উত্তর

জান্নাতে যাওয়া যাদের নিশ্চিত তাদের জান্নাতে দিলে তারা যে কিছু ভাল কাজ করে, কিছু ত্যাগের বিনিময়ে, প্রচেষ্টার বিনিময়ে জান্নাত পেয়েছে সেটা থাকত না। কিন্তু দুনিয়ার জীবন পার হয়ে যখন মানুষকে জান্নাতে দেয়া হবে, তার বুঝতে পারবে তারা কতটুকু কষ্ট করেছে আর তার বদলে কত বড় পুরষ্কার পেয়েছে। আর জাহান্নামীদের সরাসরি জাহান্নামে দিলে তারা আপত্তি তুলত, আল্লাহ অন্যায় বিচার করেছেন। দুনিয়াতে সময় কাটানোর ফলে তারা নিজেদের অন্যায়টা তারা বুঝতে পারবে। কেন সত্যের খোঁজ করেনি, সত্যটা পেয়েও মানেনি – এমর্মে আফসোস করতে থাকবে। আমরা জাহান্নামের শারীরিক শাস্তির বর্ণনা পড়ে ভয় পাই, কিন্তু সেখানে কি পরিমাণ মানসিক যন্ত্রণা আছে তা কী ভেবে দেখেছি? ‘কেন ঐ খারাপ কাজটা করেছিলাম’ ‘কেন ঐ ভাল কাজটা করিনি’ – এই পরিতাপের মানসিক যন্ত্রণা এত ভয়াবহ যে মানুষ সারা জীবনে করা একটা ভুলের হিসেব না মেটাতে পারে আত্মহত্যা করে। কিন্তু সারাটা জীবন যখন মিথ্যা হয়ে যায়, সারাটা জীবন যখন পরিতাপের কারণ হয়ে যায় তখন অনুভূতিটা কি ভীষণ ভয়াবহ ভাবা যায়?

(২) নং প্রশ্নের উত্তর

আল্লাহ যা সৃষ্টি করেছেন তা হয় – ‘পুরোপুরি ভালো’ অথবা ‘অল্প খারাপ বেশি ভালো’; এর মানে আল্লাহ খারাপ কোন কিছু সৃষ্টি করেননি। তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার কিছুর কোন খারাপ দিক থাকতে পারে কিন্তু সেটারও ভালো দিক অনেক বেশি। একটা হাদিসে আমরা এই প্রমাণ পাই।

রসুলুল্লাহ (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যেখানে তার সাহাবাদের নিয়ে বসতেন সেখানে একটা ছোট ছেলে খেলা করত। ছেলেটার বাবা রসুলের সাহাবাদের সাথে বসে রসুল (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কথা শুনতেন। বেশ কয়েকদিন ধরে তিনি দেখলেন যে সেই লোক আর সেই বাচ্চা কেউই আসে না। তিনি সাহাবাদের জিজ্ঞেস করে জানলেন যে ঐ বাচ্চাটা মারা গেছে আর সেজন্য ঐ লোকটা এত কষ্ট পেয়েছে যে সে আসছে না। রসুল (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তখন ঐ লোকটার সাথে কথা বললেন। তিনি লোকটাকে জানালেন যে যদি রসুল (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দু’আ করেন তবে ঐ বাচ্চাটাকে আল্লাহ আবার জীবন ফিরিয়ে দেবেন। তবে লোকটি যদি ধৈর্য ধরে তবে ঐ বাচ্চাটি তাকে জান্নাতে নিয়ে যাবে। ( সুনানে নাসাঈ)

মৃত্যু একটা কষ্টকর ব্যাপার তা ঠিক কিন্তু জান্নাতে যাওয়ার আনন্দের তুলনায় মৃত্যু কিছুই নয়। তাই আমাদের কাছে কোন জিনিস খারাপ মনে হলেও আসলে সেটা খারাপ না, তার ভালো কোন দিক আছে। কিন্তু আমরা মানুষেরা সময়ের খুব ছোট একটা অংশ দেখতে পাই বলে আমরা কখনই আল্লাহর সব কাজের কারণ বুঝতে পারবো না। শয়তানকে যদি সৃষ্টি না করা হত, তাহলে মানুষ দুনিয়াতে পরীক্ষাও দিতে পারত না, জান্নাতের মত অকল্পনীয় একটা পুরষ্কারও পেত না। তাই শয়তান আপাত দৃষ্টিতে ‘খারাপ’ হলেও আদতে সে আমাদের জান্নাতে যাওয়ার একটা পরীক্ষা মাত্র।

(৩) নং প্রশ্নের উত্তর

আল্লাহ অবিশ্বাসীদের অন্তর তালাবদ্ধ করে রেখেছেন বলে তারা সত্যটা বুঝতে পারছে না। বরং ব্যাপারটা উলটো; কুর’আনের যত জায়গায় অন্তর তালাবাদ্ধ করার কথা এসেছে সবখানেই কোন অপরাধে আল্লাহ মোহর মেরেছেন তা বলে দিয়েছেন। যেমন সুরা বাকারার শুরুতে আল্লাহ ‘আল্লাযিনা কাফারু’ অর্থাৎ যারা অবিশ্বাস করেছে – একথা বলে তাদের অপরাধ স্পষ্ট করে নিয়েছেন। তারপর তিনি আপন রসুলকে এই বলে সান্তনা দিচ্ছেন যে, এমন মানুষদের সাবধান করা আর না করার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই, কারণ তারা তাদের অবিশ্বাসের উপর এতটাই দৃঢ়প্রত্তিজ্ঞ যে আল্লাহ তাদের অন্তরে তালা মেরে দিয়েছেন; শ্রবণ-দৃষ্টিশক্তিতে পর্দা দিয়ে রেখেছেন। সুতরাং এ ধরণের মানুষের সাথে সময় নষ্ট করার দরকার নেই, তাদের প্রত্যাখ্যানে ব্যাথিত হবারও কিছু নেই।

মজার ব্যাপার হচ্ছে একজন অবিশ্বাসী যখন দাবী করে তার অন্তরে মোহর আছে সুতরাং তার কোন দোষ নেই তখন আসলে সে নিজেই নিজের অন্তরে মোহর মেরে নিল। মোহর তো আর ভারতীয় গরুর গায়ের সিল না যে সেটা বাইরে থেকে দেখা যাবে। আর অবিশ্বাসীদের কাছে আল্লাহ ওয়াহীর মাধ্যমে কোন তালিকাও পাঠিয়ে দেননি যেখানে সে তার নামটা খুজে পেয়েছে। আল্লাহ যাকে খুশী বিভ্রান্ত করেন এই আয়াতের মাধ্যমে যারা বিভ্রান্ত হতে চায় তারা বিভ্রান্তদের দলে যোগ দেয়। অথচ একই আয়াতে যে আল্লাহ যাকে খুশী হিদায়াত করেন বলে উল্লেখ করেছেন সেটা অবিশ্বাসীদের চোখ এড়িয়ে যায়। কিন্তু বিশ্বাসীরা যখন এই আয়াত পড়ে তখন তারা আশায় বুক বাঁধে – এই পৃথিবীর নানা মতবাদের ডামাডোলে আল্লাহ আমাকে সত্য পথটা নিশ্চয়ই দেখাবেন।

সর্বোপরি আল্লাহই ভাল জানেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright Notice

কপি করা নিষিদ্ধ!