বিষয়: যিকিরের সুন্নাত ও আদব সমূহ।
হ্যাশট্যাগ: #যিকিরের সুন্নাত ও আদব সমূহ
যিকিরের সুন্নাত ও আদব সমূহ
১. যিকিরের জন্য উযূ থাকা শর্ত নয় তবে উযূ-র সাথে যিকির করলে যিকিরের আছর বেশী হয় এবং নূরানিয়্যাত হাছিল হয়।
২. কেবলামুখী হয়ে যিকিরে বসা-উত্তম
৩. হুজুরে কল্ব বা একাগ্রতার সাথে যিকির করতে হবে।
৪. এই একীনের সাথে যিকির করবে যে, আল্লাহ আমার যিকির শুনছেন, তাই আল্লাহ্র রহমত ও মহব্বতের সাথে যিকির করতে হবে।
৫. এখলাসের সাথে যিকির করতে হবে।
৬. যিক্রে খফী বা অনুচ্চস্বরে যিকির করা উত্তম। তবে রিয়ার সম্ভাবনা না থাকলে এবং কারও নিদ্রা, ইবাদত বা জরুরী কাজে ব্যাঘাত না ঘটলে যিকরে জলী বা উচ্চস্বরে যিকির করাও জায়েয বরং কোন কোন মাশায়েখ উক্ত শর্ত স্বাপেক্ষে সেটাকেই উত্তম বলেছেন। কেননা উচ্চস্বরে যিকির করার মধ্যে মনোযোগ নিবদ্ধ থাকা, ওয়াছওয়াছা হ্রাস পাওয়া এবং যিকিরের আওয়াজের বরকত ছড়িয়ে পড়া প্রভৃতি বহুবিধ ফায়দা রয়েছে। তবে খুব বেশী উচ্চস্বরে না হওয়া চাই এবং উচ্চস্বরে করাকে ছওয়াবের বা ইবাদতের মনে না করা চাই।
৭. শুধু সংখ্যা পূরণ করার নিয়তে নয় বরং যিকির দ্বারা ফায়দা ও বরকত লাভ হবে এই নিয়তে যিকির করতে হবে, অন্যথায় যিকিরের বরকত লাভ হবে না।
৮. যে শব্দের দ্বারা যিকির করবে তার অর্থের দিকে খেয়াল রাখবে।
৯. পীর/মুর্শিদের নির্দেশ মোতাবেক যিকির করবে। আর নিজের থেকে যিকির করলে তার জন্য সময় ও সংখ্যা নির্ধারণ করে নেয়া উত্তম।
কয়েকটি বিশেষ যিকির
১. কুরআন তিলাওয়াত।
২. লা ইলাহা ইল্লাল্লহ। (لا اله الا الله)
৩. সুবহানাল্লাহ ওয়াল হামদুলিল্লাহ ওয়ালা ইলাহা ইল্লাহু আল্লাহু আকবার। (سبحان الله والحمد لله ولا إله إلا الله والله أكبر)
৪. সুবহানাল্লহি ওয়াবিহামদিহী, সুবহানাল্লহিল আযীম। (سبحان الله وبحمده سبحان الله العظيم)
৫. তাসবীহে ফাতেমী। একবার হজরত ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ৩টি তাসবিহ পড়ার নসিহত পেশ করেন। এ তাসবিহগুলোকে তাসবিহে ফাতেমি বলা হয়। আর তাহলো- سُبْحَانَ الله (সুবহানাল্লাহ ৩৩ বার) اَلْحَمْدُ لِلّه (আল-হামদুলিল্লাহ ৩৩ বার) اَللهُ اَكْبَر (আল্লাহু আকবার ৩৩/৩৪বার)
৬. আল্লাহ, আল্লাহ বলা।
সমাপ্ত: যিকিরের সুন্নাত ও আদব সমূহ।
সূত্র: আহকামে যিন্দেগী।