বিশেষজ্ঞদের মতে, কাঁচা রসুনের যত উপকার, প্রক্রিয়াকরণের পরে তা আর তত থাকে না৷ যেমন, কাঁচা রসুন কাটলে বা বাটলে যে ঝাঁঝালো গন্ধ বেরোয় তার মূলে আছে অ্যালিসিন৷ শরীরে বেশি ঢুকলে সে বিষক্রিয়া ঘটায়৷ আর পরিমাণ মত রসুন খেলে তা ওষুধের মতো কাজ করে৷
রসুন কাটা বা বাটার পর সঙ্গে সঙ্গে খেয়ে না নিলে এর গুণাগুণ আস্তে আস্তে উবে যায়৷ সে জন্যই রসুন শুকিয়ে বা রান্নায় দিয়ে খেলে উপকার কমে যায়৷ প্যাকেটের রসুন বাটা বা সাপ্লিমেন্টেও এই উপকার থাকে না৷ তাই স্বাস্থ্যের জন্য কাঁচা রসুন খাওয়াই অনেক বেশি উপকারি।
তাই, সবচেয়ে ভালো ফল পেতে গেলে সাপলিমেন্ট না খেয়ে খেতে হবে কাঁচা রসুন৷
সবার ক্ষেত্রে কিন্তু রসুন উপকারী নয়। কারো কারো জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে রসুন। যেমন- খালি পেটে রসুন খেলে অনেকের ডায়রিয়া হতে পারে। আবার গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে রসুন খাওয়া বিপজ্জনক হতে পারে।
রসুন খেলে আমাদের শরীরে নিম্নক্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান প্রবেশ করে:
- এই রসুনে রয়েছে থিয়ামিন (ভিটামিন বি১)
- রিবোফ্লাবিন (ভিটামিন বি২)
- নায়াসিন (ভিটামিন বি৩)
- প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড (ভিটামিন বি৫)
- ভিটামিন বি৬
- ফোলেট (ভিটামিন বি৯)
- সেলেনিয়াম।
রসুন খেলে ক্যানসার প্রতিরোধে দারুণ কাজ করে
সেলেনিয়াম ক্যানসার প্রতিরোধে দারুণ কাজ করে।
রসুনের মধ্যে রয়েছে এলিসিন নামে এক জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা ক্যানসারসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দূর করতে কার্যকর। এই এলিসিন নামে যে কম্পাউন্ড রসুনে পাওয়া যায়, তার কারণে রসুনকে সুপারফুডে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এলিসিন নামক উপাদান থাকার কারণে রসুনকে সুপারফুডে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
প্রাচীন ইতিহাস ঘেঁটে দেখলে জানতে পারবেন, তখন রসুন কিন্তু শুধু বিভিন্ন অসুখ সারানোর জন্যই ব্যবহার হতো। মিসরীয়, ব্যাবিলনীয়, গ্রিক, রোমান ও চৈনিক সভ্যতায় ওষুধ হিসেবে রসুন ব্যবহারের নিদর্শন পাওয়া গেছে। এমনকি সকালে খালি পেটে রসুন চিবানোও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো
রসুন খেলে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি পায়
রসুনের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফাঙ্গাল গুণ একে অনেকটা ওষুধের মতোই তৈরি করেছে, যার দরুন রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
খালি পেটে রসুন খেলে এই উপকার বেশি। বর্তমানে এই অতিমারি পরিস্থিতিতে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধিতে খুব জরুরি, তাই প্রতিদিন দুই কোয়া রসুন খেতে পারেন।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও রসুন একটি অনন্য ওষুধ। এতে উপস্থিত ভিটামিন সি, বি৬ এবং অন্যান্য মিনারেল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে।
রসুন খেলে রক্ত সঞ্চালনক্ষমতা বাড়ে
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে দুই কোয়া রসুন খেলে রক্ত সঞ্চালনক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, যার দরুণ রক্ত বাধাগ্রস্ত হয়ে যেসব রোগের সৃষ্টি করে, তা আর হতে পারে না।
রসুন খেলে কি বীর্য ঘন হয়?
পুরুষের যৌনক্ষমতা নানান কারণে কমে যেতে পারে, সে ক্ষেত্রে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে দুই কোয়া রসুন খেলে ধীরে ধীরে যৌনক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
এটা নিয়ে মানুষের মধ্যে দুই ধরনের মতামত থাকলেও পুরুষের যৌন ক্ষমতার মূল উৎস হচ্ছে রক্তের সাবলীল গতি। রসুনে এই কাজ করে বলেই যৌনক্ষমতার কথা বলা হয়ে থাকে।
রসুনের অনেক উপকারিতার মধ্যে অন্যতম হলোো সেক্স বা যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি। মূলত পুরুষের যৌন ক্ষমতা বাড়াতে রসুন দারুণ ভূমিকা রাখে। এ বিষয়ে মানুষের ভিন্ন মতামত থাকলেও রসুন এ ক্ষেত্রে খুবই কার্যকর।
যৌন মিলনের ক্ষেত্রে পুরুষের শক্তির মূল উৎস হলোো রক্তের গতি। আর রসুন রক্তের সাবলীল গতি বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
একারনেই বলা হয় যে, রসুন সেক্স বা যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। এছাড়াও পুরুষের বীর্য তৈরীতে রসুনের ভূমিকা রয়েছে।
রসুন খেলে হৃৎপিণ্ডের শক্তি বাড়ে
যাঁরা হৃদপিণ্ডের ছোটখাটো সমস্যা নিয়ে বিব্রত আছেন, মাঝেমধ্যে বুকের বাঁ পাশে ব্যথা অনুভূত হয়, সিঁড়ি বেয়ে উঠতে কষ্ট হয়, তাঁদের জন্য প্রতিদিন সকালে খালি পেটে দুই কোয়া রসুন পানি দিয়ে গিলে খেয়ে ফেলতে হবে, এতে করে হৃদপিণ্ড শক্তিশালী হবে, রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধির কারণে হৃদপিণ্ডের ব্লকগুলো আর বাড়বে না এবং ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে পারবে না, বুকের ব্যথা কমে যাবে, সিঁড়ি বেয়ে উঠতে কষ্ট হবে না।
রসুন খেলে কি প্রেসার কমে?
হ্যা, উচ্চ রক্তচাপ কমানোর জন্য অনেক পথ্যের অন্যতম রসুন। শরীরের এলডিএল বেড়ে যাওয়ার কারণে রক্তচাপ বেড়ে যায়, প্রতিদিন দুই কোয়া রসুন সকালে খালি পেটে খেলে উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যা থাকবে না।
রসুন খেলে সংক্রমণ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়
মানুষের শরীরে যেকোনো সময়ে সংক্রমণ ঘটতে পারে। সংক্রামক রোগ এমন একটি অবস্থা, যার কোনো পূর্বলক্ষণ থাকে না। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে দুই কোয়া রসুন খেলে শরীর সংক্রমণ প্রতিরোধ করে।
ফুসফুসে বিভিন্ন কারণে সংক্রমণ হতে পারে। অ্যালার্জি সমস্যা, ঠান্ডা লাগার প্রবণতা থেকে ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটতে পারে, যা থেকে মুক্তি পেতে রসুন পিষে রস খেলে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রোধ করে, সঙ্গে হলোুদগুঁড়া গরম পানি দিয়ে চায়ের মতো খেলে সংক্রমণ থাকে না। আর প্রতিদিন দুই কোয়া রসুন খালি পেটে খাওয়া ফুসফুসের সংক্রমণ রোধে অত্যন্ত কার্যকর।
অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের মাত্রাও বেশি থাকে কাঁচা রসুনে। ফলে অ্যালঝাইমার ও ডিমেনসিয়ার প্রকোপ কমে৷ সংক্রমণজনিত অসুখ-বিসুখ কম হয়৷ বাড়ে আয়ু৷
যে সমস্ত হৃদরোগে আক্রান্ত রোগী নিয়মিত রসুন খান, তারা অনেক বেশি অ্যাকটিভ থাকেন৷
রসুন খেলে রক্ত পরিশোধ ক্ষমতা বাড়ে
প্রতিদিন দুই কোয়া রসুন খালি পেটে খেলে রক্তের পরিশোধনক্ষমতা বেড়ে গিয়ে রক্ত চলাচলে স্বাভাবিক গতি ফিরে আসে, তাতে শরীর ভালো থাকে, নিরোগ দেহের জন্য সাবলীল রক্ত চলাচল অত্যন্ত কার্যকর একটি উপায়।
রসুন খেলে ত্বক সুস্থ থাকে
প্রতিদিন দুই কোয়া রসুন খালি পেটে খেলে ত্বক ভালো থাকে, ত্বকে বার্ধ্যকের ছাপ পড়ে না, চেহারায় কোনো দাগ থাকলে কমে যায়।
রসুন ত্বক ভালো রাখতে সহায়তা করে শরীরে অবাঞ্ছিত ফোলা বা গোটা
অনেকের শরীরে বিভিন্ন জায়গায় ফোলা পিণ্ড থাকে, বাড়ে কমে না, ব্যথাও করে না, কিন্তু ফোলাটা মিশেও না, এমন ফোলা বা গোটা শরীর থেকে মুছে ফেলতে প্রতিদিন ছয়-আট কোষ রসুন সকালে খালি পেটে এবং দুপুর ও রাতে খাবার পর দুইটি করে রসুন কোষ খেলে ফোলাটা ধীরে ধীরে মিশে যাবে। অথবা দুই কোয়া রসুন হালকা করে ভেজে তা খেতে হবে।
রসুনে উপস্থিত অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট ‘সেল ড্যামেজ’ ও ‘এজিং’ রোধ করে। ব্রেনের সেল ড্যামেজ কম হয়ে আলঝেইমারস ও ডিমেনশিয়ার মতো রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
রসুন খেলে চুলের জন্য কি হয়?
রসুনের রস চুলের যত্নে খুবই উপকারী। এ ক্ষেত্রে রসুনের উপকারিতা জেনে আপনি অবাক হবেন। চুলের যত্নে রসুনের উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা কম।
রসুনের তেলের সাথে কাঁচা রসুনের সিরাম বা রস ব্যবহার করলে বেশ উপকার পাওয়া যায়। এছাড়া ডিমের সাদা অংশের সাথে রসুনের রস ও তেল মিশিয়ে চুলে দিলে তা চুল পড়া প্রতিরোধে দারুণ কাজ করে।
তাছাড়া রসুনের কোয়া শুকিয়েও ব্যবহার করা যায়। রোদে রসুনের কোয়া শুকিয়ে তা গুড়ো করে কন্ডিশনারের সাথে ব্যবহার করলে এটি চুল পড়া প্রতিরোধ করে। এবং রসুনের রস চুলের গোঁড়া শক্ত করে।
রসুন খেলে কি হাড়ের শক্তি বাড়ে?
একটা বয়সের পর বিভিন্ন কারণে নারীদের হাড়ের শক্তি কমে যায়। প্রতিদিন ২ গ্রাম করে রসুন খেলে নারীদের শরীরে ইস্ট্রোজেনের মাত্রায় ভারসাম্য থাকে, যাঁদের কম থাকে, তাঁদের কিছুটা বাড়ে। ফলে হাড়সংক্রান্ত সমস্যা অনেকটা কমে যায়। এমনকি যে নারীদের মেনোপোজ হয়ে গেছে, তাঁরাও নিয়মিত রসুন খেলে অনেক উপকার পাবেন।
ইস্ট্রোজেন লেভেল বেড়ে হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো হয় মেয়েদের৷ লেড টক্সিসিটি কমাতে কাজে লাগে৷

কাঁচা রসুন খেলে কি হয়?
- সকালে খালি পেটে কাঁচা রসুন খেলে ঠান্ডা লাগার প্রকোপ কমে।
- কাঁচা রসুন রক্তে শর্করার পরিমাণ ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
- ভাইরাস ও সংক্রমণজনিত রোগ প্রতিরোধে কাঁচা রসুন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
- স্নায়ুবিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে কাঁচা রসুন কার্যকর।
- যকৃত ও মুত্রাশয়ের কাজ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
- নিউমোনিয়া, ব্রংকাইটিস জাতীয় রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।

পরিমিত পরিমাণে রসুন খেলে কি হয়?
- বাতের ব্যথা উপশমেও রসুনের ব্যবহার উপকারী।
- এটি আর্থ্রাইটিস রোগীদের জন্য একটি নিখুঁত ওষুধ। এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য বাতের ব্যথায় দারুণ উপশম দেয়। রসুনকে আপনার ডায়েটের অংশ করে বাতের ব্যথায় উপশম পেতে পারেন।
- সর্দি-কাশির চিকিৎসায়ও রসুন একটি কার্যকর ওষুধ।
- তাড়াতাড়ি শ্বাসকষ্টের রোগেও রসুন উপকারী।ছত্রাক সংক্রমণেও রসুন খুবই উপকারী।
- অনেক সময় পায়ের আঙ্গুলের মাঝে ছত্রাকের সংক্রমণ হয়। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কাঁচা রসুন ব্যবহার করলে এ ধরনের রোগ দূরে থাকে এবং সেই স্থানে কাঁচা রসুন পিষে খেলেও উপকার পাওয়া যায়।
- লবঙ্গের মতো রসুনও দাঁতের ব্যথায় খুবই উপকারী। আক্রান্ত দাঁতে রসুনের তেল লাগালে দাঁতের ব্যথা উপশম হয়। এতে সংক্রমণের ঝুঁকিও কমে।
- রসুনের ব্যবহার হজম প্রক্রিয়াকেও শক্তিশালী করে। এতে উপস্থিত অনেক পুষ্টি উপাদান খাবার হজমে সাহায্য করে।
- এর পাশাপাশি অনেক গবেষণায় এটাও বলা হয়েছে যে রসুনের ব্যবহার ক্যান্সার প্রতিরোধেও সাহায্য করে। যারা রসুন ব্যবহার করেন তাদের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়।
- তবে কোনও কিছু অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া প্রয়োজন। কারণ প্রত্যেক খাবারের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও থাকে। ফলে এ বিষয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।

অতিরিক্ত পরিমাণে রসুন খেলে কি হয়?
- লিভারে বিষক্রিয়া তৈরি করতে পারে রসুন। রক্ত পরিশোধন, চর্বি ও প্রোটিন বিপাক, শরীর থেকে অ্যামোনিয়া অপসারণ ইত্যাদি হলোো লিভারের অন্যতম কাজ।
- গবেষণা বলছে, রসুনে থাকা অ্যালিসিন নামক উপাদান লিভারে বিষক্রিয়া তৈরি করতে পারে। তাই অতিরিক্ত রসুন খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
- রসুনে রয়েছে সালফার, যা পেটে গ্যাস তৈরি করে। তাই খালি পেটে রসুন খেলে ডায়রিয়া হতে পারে।
- রক্তের ঘনত্ব কমায় রসুন। তাই যারা ওয়ারফারিন, অ্যাসপিরিন ইত্যাদি ওষুধ সেবন করেন; তাদের অতিরিক্ত রসুন খাওয়া উচিত নয়। এতে রক্ত অতিরিক্ত পাতলা হতে পারে।
- রক্তচাপ কমে যেতে পারে অতিরিক্ত রসুন খেলে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘদিন রসুন খেলে ঘাম বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
- গর্ভবতী নারী রসুন খেলে প্রসব বেদনা বেড়ে রক্তক্ষরণ হতে পারে। এ ছাড়াও শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো মায়েরাও রসুন খাবেন না। এতে দুধের স্বাদ পাল্টে যেতে পারে।
- নারী যৌনাঙ্গে ইস্টজনিত প্রদাহের চিকিৎসা চলাকালীন রসুন খাওয়া থেকে দূরে থাকুন। রসুন নারী যৌনাঙ্গের সংবেদনশীল টিস্যুতে অস্বস্তি সৃষ্টি করে।
- অতিরিক্ত রসুন খেলে হাইফিমা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ফলে আইরিস ও কর্নিয়ার মাঝে রক্তক্ষরণ ঘটে দৃষ্টিশক্তি হারানোর ঝুঁকি বাড়ে।
- যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের প্রকাশিত গবেষণা অনুযায়ী, খালি পেটে কাঁচা রসুন খেলে বুক জ্বালাপোড়া, বমিভাব ও বমি হতে পারে।
- হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, রসুনের এমন কিছু উপাদান আছে, যা জিইআরডি বা গ্যাস্ট্রোয়েসোফাজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ হওয়ার কারণ।

রসুনের আচারের খেলে কি হয়?
রসুনের উপকারিতা অনেক হলোেও অনেকে কাঁচা রসুন খেতে পারেন না। সেক্ষেত্রে রসুনের আচার হতে পারে একটি দারুণ সমাধান। রসুনের আচারের রয়েছে দারুণ উপকারিতা। যার মধ্যে অন্যতম কয়েকটি উপকারিতা হলো:
- উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বেশ কার্যকর।
- যক্ষ্মা রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, পাশাপাশি হজমশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে।
- পরিপাকতন্ত্র ভালো রাখতে সাহায্য করে।
- স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে রসুনের আচার কার্যকরী। এছাড়াও কোলন ক্যান্সার, গলব্লাডার ক্যান্সারসহ অন্যান্য ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধেও বেশ উপকারী রসুনের আচার।
- চোখে ছানি পড়া রোধে রসুনের আচার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
- রসুনের আচার দেহের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন ক্ষতিকর ভাইরাসকে ধ্বংস করতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
শেষকথা:
রসুনের বিভিন্ন ডোজ হয়ে থাকে, রান্নায় ও নানা ভর্তায় রসুনের উপস্থিতি থাকে।
অনেকের ধারণা, অ্যাজমার জন্যও রসুন উপকারী, কিন্তু ব্যাপারটা ভিন্ন, এ ক্ষেত্রে অ্যান্টিফাঙ্গাল সক্রিয়ভাবে কাজ করে কিন্তু অ্যালার্জিক অ্যাজমা থাকলে রসুন অ্যালার্জি বাড়াতে পারে কারও কারও ক্ষেত্রে। এ ছাড়া অস্ত্রোপচারের আগে বা পরে রসুন এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শই দেন বিশেষজ্ঞরা।
অনেকের রসুনে অ্যালার্জি হয়ে থাকে, আর নিয়মিত এটি খেলে যদি কোনো অসুবিধা বোধ করেন, তখন রসুন না খাওয়াই ভালো, তবে স্বাস্থ্য রক্ষায় প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি এটি নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন।
রসুনের অনেক গুণ। চোখ ভালো রাখা থেকে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। নিয়মিত রসুন খেলে শরীরের নানা উপকার হয়।
খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ শতকে চীন ও ভারতে রক্ত পাতলা রাখার জন্য এর প্রচলন দেখা যায়। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক হিপোক্রেটিস একে ব্যবহার করেছিলেন সারভাইকাল ক্যান্সারের চিকিৎসায়৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, কাঁচা রসুন খেলে হার্ট অনেক বেশি সুস্থ থাকে৷ হৃদরোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে৷
অনেক ধরনের রসুন বাজারে পাবেন, তার মধ্যে দেশি এককোষী রসুন সবচেয়ে ভালো।