রোজার প্রকারভেদঃ
- ফরজ রোজা
- সুন্নাত/মুস্তাহাব/নফল রোজা
- মাকরুহ রোজা
- হারাম রোজা
(1) ফরজ রোজাঃ
পূর্ণ রমজান মাস রোজা রাখা ফরজ।
(2) সুন্নাত/মুস্তাহাব/নফল রোজাঃ
১| রাসূল ﷺ শাবান মাস ছাড়া অন্য কোন মাসে এত অধিক নফল রোজা পালন করেননি। তিনি পুরো শাবান মাসই রোজা রাখতেন; তিনি সামান্য কয়েক দিন ব্যতীত পূর্ণ শাবান মাস সাওম পালন করতেন।
[সহীহ মুসলিম (ইফা) :: হাদিস নং 2593]
ফযিলত→এ মাসে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে বান্দার আমলগুলো পেশ করা হয়। এ জন্য আমি চাই যে আমার আমলগুলো আল্লাহর দরবারে এমতাবস্থায় পেশ করা হোক যে আমি রোজাদার। ²
২| শাওয়াল মাসের ৬ টি রোজা।
[সহীহ মুসলিম (ইফা) :: হাদিস নং 2629]
ফযিলত→এই ছয়টি রোজা রাখার সাওয়াব, পূর্ণ একবছর নফল রোজা রাখার সমান সাওয়াব পাওয়া যায়।
[সহীহ মুসলিম (ইফা) :: হাদিস নং 2593]
৩| যিলহজ্জ মাসের প্রথম আটদিন রোযা রাখা হজ্জপালনকারী ও হজ্জপালনকারী নয় সকলের জন্য মুস্তাহাব।
[তিরমিযী শরিফ (ইফা) :: হাদিস নং ৭৫৫]
অন্য যে কোন সময়ের নেক আমলের চেয়ে এ দশদিনের নেক আমল আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়।
৪| যিলহজ্জ মাসের ৯ তারিখ আরাফার দিন।
[সহীহ মুসলিম (ইফা) :: হাদিস নং ২৬১৫]
ফযিলত→ এই রোজার দ্বারা পিছনের এক বৎসর এবং সামনের এক বৎসর এর গোনাহ মাফ হয়ে যায়।
[সহীহ মুসলিম (ইফা) :: হাদিস নং ২৬১৫]
৫| মহাররম মাসের ৯,১০ বা ১০,১১ তারিখ আশুরা রোজা।
[সহীহ মুসলিম (ইফা) :: হাদিস নং ২৬১৫]
ফযিলত→
পূর্ববর্তী বছরের গুনাহসমূহের কাফফারা হয়ে যায়।
[সহীহ মুসলিম (ইফা) :: হাদিস নং ২৬১৫]
৬| চন্দ্র মাসের তেরো, চৌদ্দ ও পনের তারিখে রোযা রাখা।
[তিরমিযী শরিফ (ইফা) :: হাদিস নং ৭৫৯]
ফযিলত→ এ রোযাগুলোর মর্যাদা বা সাওয়াব সারা বছর রোযা রাখার সমতুল্য।
[আবু দাউদ শরিফ (ইফা) :: হাদিস নং ২৪৪১]
৭। প্রতি মাসে যে কোন তিন দিন করে সাওম পালন করা।
[সহীহ মুসলিম (ইফা) :: হাদিস নং ২৬১৫]
ফযিলত→কেউ যদি প্রতি মাসে তিন দিন সিয়াম পালন করে তবে তা যেন সারা বছরই সিয়াম পালন করা হলো।
[সহীহ মুসলিম (ইফা) :: হাদিস নং ২৬১৫]
[তিরমিযী শরিফ (ইফা) :: হাদিস নং ৭৬০]
৮| প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোজা।
[তিরমিযী শরিফ (ইফা) :: হাদিস নং ৭৪৩]
ফযিলত→প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার আল্লাহর দরবারে বান্দার আমল পেশ করা হয়। রাসূল চাইতেন রোজা অবস্থায় তাহার আমলসমূহ আল্লাহর কাছে পেশ করা হোক।
[তিরমিযী শরিফ (ইফা) :: হাদিস নং ৭৭৫]
৯। প্রত্যক মাসেই কিছু রোজা রাখা উত্তম, কোন মাস সাওম পালন থেকে খালি না থাকা মুস্তাহাব।
[সহীহ মুসলিম (ইফা) :: হাদিস নং ২৬১৫]
ফযিলত→ এমন কোন মাসও অতিবাহিত হয়নি যাতে রাসূল ﷺ অন্তন কিছু রোযা রাখেন নি।
[সহীহ মুসলিম (ইফা) :: হাদিস নং ২৬১৫]
১০| সওমে দাউদ বা দাউদ (আ) এর মত এক দিন পর পর রোজা রাখা।
[ইবনে মাজাহ (তাও:পাব) :: হাদিস নং ১৭১২]
ফায়দা→রোযাসমূহের মধ্যে দাঊদ (আঃ)-এর রোযা আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয়।
[ইবনে মাজাহ (তাও:পাব) :: হাদিস নং ১৭১২]
নোট: যেই ৫ দিন রোজা রোজা রাখা হারাম সেই ৫ দিন ব্যাতীত যে কোন দিন নফল রোজা রাখা যায়।
(3) মাকরুহ রোজা অর্থাৎ যেসব করা সঠিক না
১. চন্দ্র মাসের ৩০ তারিখ রোজা রাখা
২. আশুরা উপলক্ষে শুধুমাত্র একদিন রোজা রাখা
৩. শুধুমাত্র শুক্রবার রোজা রাখা
৪. শুধুমাত্র শনিবার রোজা রাখা
৫. সন্দেহের দিন রোজা রাখা
(4) হারাম রোজা অর্থাৎ যেসব করা নিষিদ্ধ
১. ঈদুল ফিতরের দিন
২. ঈদুল আজহার দিন
৩. ঈদুল আজহার পরবর্তী তিন দিন
৪. প্রতিদিন রোজা রাখা
৫. সেহরি-ইফতার না করে টানা রোজা
৬. স্বামীর উপস্থিতিতে তার অনুমতি ব্যাতীত স্ত্রীর নফল রোজা রাখা।
♦নফল সিয়াম পালনকারী ব্যক্তির জন্য দ্বিপ্রহরের পূর্বে সাওমের নিয়ত করা বৈধ। নফল সাওম পালনকারী ব্যক্তির জন্য বিনা ওযরে সাওম ভঙ্গ করা জায়েয। অবশ্য সাওম পূর্ণ করা তার জন্য উত্তম। উক্ত নফল সাওম ভঙ্গ করলে পরবর্তীতে কাযা আদায় করা ওয়াজিব।
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ১৪/ সিয়াম (রোজা) (كتاب الصيام)
হাদিস নাম্বার: 2585
♦রমযান ব্যতীত অন্য মাসেও নবী (ﷺ) এর সাওম পালন এবং কোন মাস সাওম পালন থেকে বিরত না থাকা মুস্তাহাব।
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ১৪/ সিয়াম (রোজা) (كتاب الصيام)
হাদিস নাম্বার: 2589