Skip to content

 

সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্যে আবেদন চিঠির (10টি) নমুনা।

সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্যে আবেদন চিঠির (10টি) নমুনা। -khamarian.com

আজকে আমরা আলোচনা করবঃ

◾ জনগণের অভাব-অভিযোগ, স্থানীয় কোনো সমস্যা, জনগুরুত্বপূর্ণ কোনো বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে অনেক সময় সংবাদপত্রের শরণাপন্ন হতে হয়। কেউ কেউ ব্যক্তিগতভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেও যথাযথ প্রতিকার পেতে ব্যর্থ হন। তাই সমস্যার আশু সমাধানের জন্যে ঊর্ধ্বতন মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পত্র-পত্রিকায় চিঠি লিখতে হয়।

◾ বিভিন্ন পত্রিকায় চিঠিপত্র কলামে সেইসব চিঠি গুরুত্ব দিয়ে ছাপা হয়ে থাকে। যেমন : ইত্তেফাকের ‘চিঠিপত্র’, প্রথম আলোর ‘পাঠকের অভিমত’, জনকণ্ঠের ‘সম্পাদক সমীপে’ ইত্যাদি। প্রকাশিত চিঠির বক্তব্য ও দায়দায়িত্ব লেখকের ওপর বর্তায়। সম্পাদক প্রকাশিত চিঠির কোনো দায়দায়িত্ব নেন না। এসব কলামের নিচে তাই লেখা থাকে—’মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য আসলে দুটো চিঠি লিখতে হয় :

১. সংশ্লিষ্ট পত্রিকার সম্পাদককে অনুরোধ করে পত্র, এবং

২. পত্রিকায় প্রকাশের জন্য পত্র।

◾ পত্রলেখক যে সংবাদপত্রে চিঠিটি প্রকাশ করতে চান, সেই পত্রিকার সম্পাদককে অনুরোধ জানিয়ে একটি চিঠি লিখতে হয়। এই চিঠি সংক্ষিপ্ত হওয়াই ভালো। সম্পাদককে সম্বোধন করা ছাড়াও যথাস্থানে তারিখ এবং নিচে প্রেরকের নাম, ঠিকানা ও স্বাক্ষর দিতে হয়। অনুরোধপত্রের সঙ্গে প্রকাশিতব্য চিঠি যুক্ত করে পাঠাতে হয়।

◾ পত্রিকায় প্রকাশিতব্য চিঠিটাই মূলচিঠি। বিষয়বস্তু অনুযায়ী সেটি তথ্যসমৃদ্ধ, যুক্তিযুক্ত, বাস্তবভিত্তিক হওয়া উচিত। প্রাসঙ্গিক বিষয় এমনভাবে উল্লেখ করতে হবে, যাতে কর্তৃপক্ষ বিষয়টির গুরুত্ব অনুভব করে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণে অগ্রসর হয়। সমস্যা ও বিষয়বস্তুর ওপর নির্ভর করে চিঠি বড় বা ছোট হয়। চিঠির বক্তব্য যথাযথ, বিষয়ানুগ, বাহুল্যবর্জিত ও সংক্ষিপ্ত হওয়াই বাঞ্ছনীয়। এ ধরনের চিঠিতে সাধারণত ভাবাবেগ প্রকাশের সুযোগ নেই। বক্তব্যের পারম্পর্য এবং ভাষার শুদ্ধতার প্রতি তাই বিশেষ মনোযোগ দিতে হয়।

১. বিদ্যুৎ বিভ্রাটের আশু প্রতিকার চেয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য পত্র।

তারিখ : ১২.৪.২০২০
সম্পাদক
দৈনিক করতোয়া
বগুড়া।

বিষয় : সংযুক্ত পত্রটি প্রকাশের জন্য আবেদন।

জনাব,
আপনার বহুল প্রচারিত পত্রিকার চিঠিপত্র কলামে প্রকাশের জন্যে ‘আক্কেলপুরে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের প্রতিকার চাই’শিরোনামে একটি চিঠি পাঠাচ্ছি।
আশা করি, এলাকার জনগুরুত্বপূর্ণ চিঠিটি প্রকাশে আমরা আপনার আনুকূল্য থেকে বঞ্চিত হব না।

বিনীত-

মজিদ মাহমুদ
আক্কেলপুর, বগুড়া ।

আক্কেলপুরে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের প্রতিকার চাই

বগুড়া জেলার সুত্রাপুর উপজেলার প্রত্যন্ত এবং অবহেলিত অঞ্চল আক্কেলপুর। এ অঞ্চলের মানুষের মতো এত অবহেলিত সম্ভবত বাংলাদেশের আর কোনো অঞ্চলের মানুষ নেই। অনেক সরকার এসেছে, গেছে, কিন্তু আক্কেলপুরের মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। এই এলাকায় বিদ্যুৎ এসেছে ১৯৯৬ সালে। নিয়মিত বিদ্যুৎ পাওয়ার আশায় সবাই বাসা-বাড়িতে সংযোগ নিয়েছে, কেউ লেদ মেশিন, কেউ স্টুডিও, কেউ ফটোস্ট্যাটের মেশিন কিনে দোকান খুলেছেন। এখন সবার মাথায় হাত। বিদ্যুৎ এই আছে তো এই নেই। বিদ্যুতের এই ভেলকিবাজির কারণে এ অঞ্চলের মানুষের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে। ব্যবসা- বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছে, স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ার দারুণ ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। তা ছাড়া বিদ্যুৎ না থাকার কারণে এলাকায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই বেড়ে গিয়ে আইন-শৃঙ্খলার মারাত্মক অবনতি ঘটেছে। তাই এলাকাবাসীর মনে প্রশ্ন— ‘আক্কেলপুরের বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান হবে কি?’ কবে শেষ হবে এই গভীর অমানিশার কাল?

বিষয়টি নিয়ে আমরা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেও প্রতিকার পেতে ব্যর্থ হয়েছি। তাই সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের আকুল আবেদন- আক্কেলপুরের বিদ্যুৎ বিভ্রাটের প্রতিকার হোক। অবিলম্বে জনগণের স্বার্থে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।

নিবেদক-

এলাকাবাসীর পক্ষে,
মজিদ মাহমুদ
সুত্রাপুর উপজেলা
আক্কেলপুর, বগুড়া।

২. বন্যার্তদের সাহায্যের আবেদন জানিয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য পত্র।

তারিখ : ১৪.৮-২০২০
সম্পাদক
দৈনিক ইত্তেফাক
১ আর. কে. মিশন রোড, ঢাকা।

বিষয় : সংযুক্ত পত্রটি প্রকাশের জন্য আবেদন।

জনাব,
আপনার বহুল প্রচারিত জনপ্রিয় ‘দৈনিক ইত্তেফাক’ পত্রিকায় এইসঙ্গে প্রেরিত পত্রটি প্রকাশ করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণে সহায়তা করলে বাধিত হব।

বিনীত-

মো. নুরুল ইসলাম
সোনাগাজী, ফেনী।

ফেনী-সোনাগাজী অঞ্চলের বন্যার্তদের জন্য মানবিক সাহায্যের আবেদন।

ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলা নদী-উপকূলীয় একটি নিম্নাঞ্চল। প্রতিবারের মতো এবারও সর্বনাশা বন্যার গ্রাস থেকে রক্ষা পায়নি। এবারের বন্যা স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা। অবিরাম বৃষ্টির ফলে স্থানীয় মাতামুহুরী নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে গিয়ে পুরো উপজেলা আজ ভয়াবহ বন্যাকবলিত। পাহাড়ি ঢল আর আসাম- ত্রিপুরা থেকে নেমে আসা পানিতে ভেসে গেছে এই এলাকার সমস্ত অবকাঠামো। রাস্তা-ঘাট, ঘরবাড়ি, ফসলের জমি, গবাদিপশুসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পানিবন্দি হাজার হাজার মানুষ খাদ্য, বস্ত্র, আশ্রয়ের অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছে। চারদিকে পানি অথচ বিশুদ্ধ পানীয় জলের খুবই অভাব। বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার কারণে এলাকায় দেখা দিয়েছে ডায়রিয়া, কলেরা, টাইফয়েড, আমাশয় ইত্যাদি পানিবাহিত রোগ। অবিলম্বে সরকারি উদ্যোগে দুর্গত এলাকায় খাদ্য, পানীয় জল ও চিকিৎসার ব্যবস্থা না করলে হাজার হাজার মানুষকে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে না।

বন্যাকবলিত সোনাগাজী অঞ্চলের জনজীবনের বিপর্যস্ত অবস্থা বিবেচনা করে অতিসত্বর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের কৃপাদৃষ্টি প্রার্থনা করছি।

নিবেদক-

সোনাগাজী উপজেলাবাসীর পক্ষে,
মো. নুরুল ইসলাম
কুটিরহাট, সোনাগাজী
ফেনী।

৩. পানীয় জলে আর্সেনিক দূষণের ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য পত্র।

তারিখ : ২৪.১২.২০২০
সম্পাদক
দৈনিক জনকণ্ঠ
২৪/এ ইস্কাটন রোড, ঢাকা।

বিষয় : সংযুক্ত পত্রটি প্রকাশনার আবেদন।

জনাব,
আপনার বহুল প্রচারিত ‘জনকণ্ঠ’ পত্রিকায় নিম্নলিখিত পত্রটি প্রকাশ করলে কৃতার্থ হব।

নিবেদক -.

মো. জাহাঙ্গীর হোসাইন
তেঁতুলিয়া, পঞ্চগড় ।

আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জল চাই

আমরা সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার অধিবাসী। এই এলাকার সবগুলো টিউবওয়েলের পানিতে ভয়াবহ রকম আর্সেনিকের দূষণ রয়েছে। সম্প্রতি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ পরীক্ষা চালিয়ে আর্সেনিকযুক্ত অধিকাংশ টিউবওয়েলকে লাল রং দিয়ে চিহ্নিত করে এবং এগুলোর পানি ব্যবহার অযোগ্য বলে ঘোষণা করেছে। শুষ্ক মৌসুমে এই এলাকার পুকুর ও কুয়াতে পানি থাকে না। বাধ্য হয়ে মানুষকে নলকূপের পানির ওপর নির্ভর করতে হয়। অথচ আজ সেই নলকূপের পানি ক্ষতিকর আর্সেনিক আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। ফলে তেঁতুলিয়া এলাকায় বিশুদ্ধ পানীয় জলের অভাব তীব্র আকার ধারণ করেছে। অজ্ঞতাবশত গ্রামের সাধারণ মানুষ আর্সেনিকযুক্ত পানি ব্যবহার করে জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি বাড়িয়ে চলেছে। বিশেষজ্ঞগণের অভিমত, এ মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে এলাকার মানুষকে রক্ষা করতে হলে দ্রুত বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা করা উচিত। এ অবস্থায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এলাকাবাসীর প্রত্যাশা, পরিস্থিতির গুরুত্ব উপলব্ধি করে যথাশীঘ্র সম্ভব আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জল সরবরাহ করার পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। এটা জনগণের মানবিক আবেদন। আশা করি, কর্তৃপক্ষ মানবিক আবেদনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবেন।

নিবেদক –

তেঁতুলিয়া গ্রামবাসীর পক্ষে,
মো. জাহাঙ্গীর হোসাইন
তেঁতুলিয়া, পঞ্চগড় ।

৪. ‘বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ’ পালনের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য পত্র।

তারিখ: ৭.৮.২০২০
সম্পাদক
দৈনিক আমার দেশ
বিসিআইসি ভবন
কারওয়ান বাজার, ঢাকা।

বিষয় : সংযুক্ত পত্রটি প্রকাশের জন্য আবেদন।

জনাব,
আপনার বহুল প্রচারিত দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায় জনগুরুত্বপূর্ণ পত্রটি প্রকাশ করলে বিশেষভাবে বাধিত হব।

নিবেদক-

সুজিত কুমার দে
মরেলগঞ্জ, বাগেরহাট।

বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ পালনের প্রয়োজনীয়তা

মানুষের জীবনে বৃক্ষের প্রয়োজনীয়তা কতটুকু, তা আমরা কখনো ভেবে দেখি না। ডাঙায় তোলা মাছের যেমন প্রাণহীন ছটফট অবস্থা হয়, সে তুলনায় বৃক্ষহীন পৃথিবীতে মানুষের অবস্থা হবে আরো ভয়াবহ। সবুজ বৃক্ষ আমাদের অক্সিজেন দিয়ে প্রাণ রক্ষা করে। পৃথিবীর পরিবেশকে সুস্থ ও শীতল রাখে। শুধু তাই নয়, বৃক্ষ আমাদের ফুল দেয়, ফল দেয়, শীতল ছায়া দেয়। গৃহ নির্মাণ, আসবাবপত্র, সবকিছুর জন্য আমরা প্রকৃতির অকৃপণ দান বৃক্ষের ওপরই নির্ভরশীল। তাই সবুজ বনভূমিকে বলা হয় পৃথিবীর ফুসফুস। আমাদের দেশে প্রয়োজনের তুলনায় বৃক্ষ ও বনভূমির পরিমাণ খুবই কম। যে-কোনো দেশে মোট ভূখণ্ডের পঁচিশ শতাংশ বনভূমি থাকা দরকার। অথচ আমাদের দেশে আছে মাত্র সতেরো শতাংশ। তারপরও প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে কেটে ফেলে আমরা সবুজ বনভূমি উজাড় করে চলেছি। এরকম অবস্থা চলতে থাকলে যে-কোনো সময় আমরা ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে পারি। তাই শীঘ্রই সরকারি- বেসরকারি উদ্যোগে আমাদের বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ পালনের মধ্য দিয়ে প্রচুর বনায়ন করতে হবে। ‘একটা গাছ কাটলে তিনটি গাছের চারা লাগাতে হবে’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

বিনীত—

মরেলগঞ্জ গ্রামবাসীর পক্ষে,
সুজিত কুমার দে
মরেলগঞ্জ, বাগেরহাট।

৫. ডাকঘর স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য পত্র।

২.১.২০২০
সম্পাদক
দৈনিক আজাদী
৯ সিডিএ এভিনিউ
মোমিন রোড, চট্টগ্রাম

বিষয় : সংযুক্ত পত্রটি প্রকাশের জন্য আবেদন।

জনাব,
আপনার স্বনামধন্য বহুল প্রচারিত দৈনিক আজাদী’ পত্রিকায় নিম্নোক্ত জনগুরুত্বপূর্ণ পত্রটি প্রকাশ করলে কৃতার্থ হব।

নিবেদক –

মো. রফিকুল ইসলাম
মোহনপুর, কিশোরগঞ্জ।

ডাকঘর চাই

কিশোরগঞ্জ জেলার মোহনপুর একটি জনবহুল গ্রাম। এ গ্রামে প্রায় বিশ হাজার লোকের বসবাস। এখানে রয়েছে রবিশস্য ও তরিতরকারির বিশাল পাইকারি বাজার, কৃষি ব্যাংক, গ্রামীণ ব্যাংক, একটি হাইস্কুল, দুটি প্রাইমারি স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসাসহ সরকারি-বেসরকারি নানা অফিস। গ্রামের অনেক লোক দেশ-বিদেশে চাকরি ও ব্যবসা-বাণিজ্য করে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এখানে কোনো ডাকঘর নেই। এখান থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে থানা সদরে একটা ডাকঘর রয়েছে। সেখান থেকে একজন ডাকপিয়ন সপ্তাহে মাত্র একদিন চিঠি বিলি করতে আসে। তাই জরুরি চিঠিপত্র, মানিঅর্ডার সময়মতো পাওয়া যায় না। এতে জনগণের দুর্ভোগের শেষ নেই। একটা ডাকঘরের অভাবে মোহনপুর গ্রামের বিশাল জনগোষ্ঠী নিদারুণ কষ্ট পাচ্ছে। ডাক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আকুল আবেদন, কিশোরগঞ্জ জেলার মোহনপুরে ডাকঘরের একটা শাখা স্থাপন করা হোক। এতে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে। পাশাপাশি জনগণেরও দুর্ভোগ লাঘব হবে।

নিবেদক-

মোহনপুর গ্রামবাসীর পক্ষে,
মো. রফিকুল ইসলাম
মোহনপুর, কিশোরগঞ্জ।

৬. সড়ক দুর্ঘটনা রোধকল্পে অভিমত জানিয়ে পত্রিকায় প্রকাশের জন্যে পত্র।

তারিখ : ১২.৬.২০২০

সম্পাদক
দৈনিক যুগান্তর
ঢাকা।

বিষয় : সংযুক্ত পত্রটি প্রকাশের জন্য আবেদন।

জনাব,
আপনার বহুল প্রচারিত ‘দৈনিক যুগান্তর’ পত্রিকায় নিম্নলিখিত পত্রটি প্রকাশ করলে বাধিত হব।

বিনীত-

মো. আবুল হোসেন
কলেজ রোড, দিনাজপুর।

সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিকার চাই

‘একটা দুর্ঘটনা— সারা জীবনের কান্না’ —এ স্লোগানটি নির্মম বাস্তবতানির্ভর। আজকাল আমাদের দেশে সড়ক দুর্ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন টিভির পর্দায় আর পত্রিকার পাতা খুললেই চোখে পড়ে সড়ক দুর্ঘটনার মর্মান্তিক খবর। এতে কত মূল্যবান প্রাণ অকালে ঝরে পড়ছে, কত পরিবার পথে বসছে, সেই অশ্রুসজল করুণ মুখের হিসাব কেউ রাখে না। পিতার কাঁধে পুত্রের লাশ অথবা অপ্রাপ্ত বয়স্ক পুত্রের সামনে পিতার রক্তাক্ত নিথর দেহ এই অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। সাধারণত আমাদের দেশে সড়ক দুর্ঘটনাগুলো কয়েকটি কারণে হয়ে থাকে : ক. ত্রুটিযুক্ত গাড়ি; খ. অনভিজ্ঞ বা নেশাখোর ড্রাইভার; গ. ধারণ ক্ষমতার অধিক মাল বা যাত্রী বহন; ঘ. ওভারটেকিং বা চালকদের দায়িত্বহীনতা; ঙ. ট্রাফিক আইন না মানার মানসিকতা ইত্যাদি। এই সমস্যা সমাধানে বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি আরো কতিপয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার। যেমন: রাস্তা সংস্কার, ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নয়ন, পরিবহণ সংশ্লিষ্ট সবাইকে যানবাহনবিধি ও আইন সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং মিডিয়াগুলোতে সড়ক দুর্ঘটনা সম্পর্কে সচেতনতামূলক প্রচারের ব্যবস্থা করা।

আশা করি, উপর্যুক্ত কারণগুলো চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ এবং সুপারিশমালা বাস্তবায়ন করলে সড়ক দুর্ঘটনা অনেকাংশে রোধ করা সম্ভব হবে।

নিবেদক –

এলাকাবাসীর পক্ষে,
মো. আবুল হোসেন
কলেজ রোড, দিনাজপুর।

৭. আসন্ন বর্ষা মৌসুমের পূর্বে এলাকার রাস্তা সংস্কারের জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য পত্র।

.তারিখ : ১৬.৩.২০২০
সম্পাদক
দৈনিক সমকাল
১৩৬ তেজগাঁও শিল্প এলাকা
ঢাকা।

বিষয় : সংযুক্ত পত্রটি প্রকাশের জন্য আবেদন।

জনাব,
আপনার বহুল প্রচারিত দৈনিক সমকাল’ পত্রিকায় নিম্নলিখিত পত্রটি প্রকাশ করলে বিশেষভাবে বাধিত হব।

বিনীত-

শামসুল হক হায়দার
কোম্পানীগঞ্জ, নোয়াখালী।

কোম্পানীগঞ্জ-দাগনভূঁইয়া সড়কটি সংস্কার করা হোক

কোম্পানীগঞ্জ-দাগনভূঁইয়া সড়কটি দীর্ঘদিন যাবত যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অথচ এটি ফেনী এবং নোয়াখালী দুটো জেলার গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ সড়ক। প্রায় পাঁচ লাখ লোকের যাতায়াতের একমাত্র সড়কটি গত বছর বন্যায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রতিদিন ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লাসহ দেশের দূরদূরান্ত থেকে যাত্রীবাহী বাস, ট্রাক মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে এই ভাঙা সড়ক দিয়ে যাতায়াত করছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে এ সড়কে। কয়েকদিন আগে দুধমুখা পুল ও মুন্সীবাড়ির দরজায় দুটি গাড়ি দুর্ঘটনায় কবলিত হয়ে পাঁচজন লোক মারা গেছে এবং আহত হয়েছে শতাধিক। আসন্ন বর্ষার আগে এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি যদি সংস্কার না করা হয়, তবে যানচলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাবে। তাই কোম্পানীগঞ্জ- দাগনভূঁইয়া সড়কটি দ্রুত সংস্কারের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

নিবেদক-

এলাকাবাসীর পক্ষে,
শামসুল হক হায়দার
কোম্পানীগঞ্জ, বসুরহাট
নোয়াখালী।

৮. দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধকল্পে জনমত তৈরি করার জন্য সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য পত্র।

তারিখ : ২৬.৩.২০২০
সম্পাদক
দৈনিক ইত্তেফাক
১ রামকৃষ্ণ মিশন রোড
ঢাকা।

বিষয় : সংযুক্ত পত্রটি প্রকাশের জন্য আবেদন।

জনাব,
আপনার বহুল প্রচারিত ‘ দৈনিক ইত্তেফাক’ পত্রিকায় নিম্নোক্ত পত্রটি প্রকাশের বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।

বিনীত-

ইন্দ্ৰজিৎ মণ্ডল
কুমারখালী, কুষ্টিয়া।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনমনে নাভিশ্বাস

সম্প্রতি দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন পাগলা ঘোড়া জনমনে চরম নাভিশ্বাস সৃষ্টি করেছে। আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ স্বল্প আয়ের। খেটে খাওয়া এসব সাধারণ মানুষ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সংগতি রাখতে পারছে না। মানুষ এমনিতে নানারকম সমস্যায় জর্জরিত, তার ওপর দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি যেন মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু স্বল্প আয়ের মানুষ নয়, মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত সবার জীবনেই নেমে এসেছে চরম হতাশা। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য কারা দায়ী, তা খতিয়ে দেখা আজ জরুরি হয়ে পড়েছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে আসা উচিত। তা ছাড়া সর্বস্তরের মানুষের মাঝেও সচেতনতা বৃদ্ধি করা দরকার। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে জনমনে যে অসন্তোষ দানা বেঁধে উঠছে, তা যে-কোনো সময় গণবিস্ফোরণে রূপ নিতে পারে।

আশা করি, সরকারের ঊর্ধ্বতন মহল ও সংশ্লিষ্ট বিভাগ এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নেবেন। তা না হলে সরকারের পক্ষে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া খুব কঠিন হবে।

নিবেদক-

এলাকাবাসীর পক্ষে,
ইন্দ্ৰজিৎ মণ্ডল
কুমারখালী, কুষ্টিয়া।

৯. দাতব্য চিকিৎসালয়ের দুরবস্থার কথা জানিয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য পত্র।

তারিখ : ১১.২, ২০২০
সম্পাদক
দৈনিক ইনকিলাব
২/এ আর. কে. মিশন রোড
ঢাকা।

বিষয় : সংযুক্ত পত্রটি প্রকাশের জন্য আবেদন।

জনাব,
আপনার বহুল প্রচারিত ‘দৈনিক ইনকিলাব’ পত্রিকায় এইসঙ্গে প্রেরিত পত্রটি প্রকাশ করলে কৃতার্থ হব।

বিনীত-

তৌহিদুর রহমান
মালাশিয়া, রাজবাড়ি।

বিরামপুর দাতব্য চিকিৎসালয়টির প্রতি নজর দিন

রাজবাড়ি জেলার বিরামপুর উপনগর দাতব্য চিকিৎসালয়টি ব্রিটিশ আমলে প্রতিষ্ঠিত হয়। পাংশা, মালাশিয়াসহ আশেপাশের প্রায় দশটা গ্রামের মানুষ দীর্ঘদিন এ দাতব্য চিকিৎসালয় থেকে স্বাস্থ্যসেবা লাভ করে আসছে। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে এখানকার চিকিৎসাব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। বিল্ডিংগুলো পুরানো ও জরাজীর্ণ হয়ে গেছে। নিয়মিত ঔষধ সরবরাহ নেই। আউটডোর, ইনডোর মিলিয়ে পাঁচ জন ডাক্তারের পদ শূন্য হয়ে আছে। সামান্য ঔষধপত্র যা আসে তারও ব্যবস্থাপত্র দেওয়ার কেউ নেই। একজন কম্পাউন্ডার গত তিন বছর ধরে চিকিৎসালয়টি চালাচ্ছেন।

এলাকাবাসীর দাবি, এ করুণ অবস্থা থেকে চিকিৎসালয়টিকে রক্ষা করা হোক। স্বাস্থ্যসেবা মানুষের মৌলিক অধিকার, যথাযথ কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে বিরামপুর উপনগর দাতব্য চিকিৎসালয়ের প্রয়োজনীয় সংস্কার করে জনগণের সে মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দেবেন বলে আমরা আশা রাখি।

নিবেদক-

এলাকাবাসীর পক্ষে,
তৌহিদুর রহমান
মালাশিয়া, রাজবাড়ি।

১০. গ্রন্থাগার স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশের জন্য পত্র।

তারিখ : ১.১২.২০২০
সম্পাদক
ইত্তেফাক
১ রামকৃষ্ণ মিশন রোড
ঢাকা।

বিষয় : সংযুক্ত পত্রটি প্রকাশের জন্য আবেদন।

জনাব,
আপনার বহুল প্রচারিত ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদপত্র ‘দৈনিক ইত্তেফাক’ পত্রিকায় প্রকাশের জন্য জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট একটি চিঠি এইসঙ্গে পাঠাচ্ছি। আশা করি, এটি প্রকাশ করে এলাকাবাসীর কৃতজ্ঞতাভাজন হবেন।

নিবেদক-

খায়রুল আনাম চৌধুরী
হরিনাথপুর, পলাশবাড়ি
গাইবান্ধা।

মনন বিকাশের জন্য গ্রন্থাগার চাই

গাইবান্ধা জেলার হরিনাথপুর একটি জনবহুল ও বর্ধিষ্ণু গ্রাম। এ গ্রামে প্রায় বিশ হাজার লোক বাস করে। এখানে একাধিক হাইস্কুল, বাজার, মাদ্রাসা, ব্যাংকসহ অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান আছে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, এখানে কোনো গ্রন্থাগার নেই। ফলে জ্ঞানপিপাসু ও শিক্ষার্থীদের বহুদূরে জেলা শহরে গিয়ে বই বা পত্রপত্রিকা সংগ্রহ করতে হয়। অথচ গ্রামে একটা গ্রন্থাগার বা লাইব্রেরি থাকলে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, চাকরিজীবী, সকলে অবসরে-অবকাশে জ্ঞান অর্জনের সুযোগ পেত। উঠতি বয়সী তরুণরা বই, পত্রপত্রিকা পড়ে যোগ্য নাগরিক হিসেবে নিজেদের গড়ে তোলার সুযোগ পেত। এ ব্যাপারে নানা সময়ে বিভিন্ন মহল থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করলেও আজ পর্যন্ত তা বাস্তবায়িত হয়নি। স্থানীয় বিদ্যোৎসাহীদের সম্পৃক্ত করে একটি গ্রন্থাগার স্থাপনের জন্য আমি যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আশা করি উক্ত এলাকায় একটা গ্রন্থাগার স্থাপন করে আলোকিত সমাজ গঠনে ও বিদ্যানুরাগীদের জ্ঞানপিপাসা মেটাতে এগিয়ে আসবেন।

নিবেদক-

এলাকাবাসীর পক্ষে,
খায়রুল আনাম চৌধুরী
হরিনাথপুর, পলাশবাড়ি,
গাইবান্ধা।

Copyright Notice

কপি করা নিষিদ্ধ!