Skip to content

 

স্ত্রীর কারণে সংসারে অশান্তি কেন হয়? 10 টি কারন এবং স্ত্রী হিসেবে দাম্পত্য জীবন সুখী করার উপায়

স্ত্রীর-কারণে-সংসারে-অশান্তি-কেন-হয়-ও-স্ত্রী-হিসেবে-দাম্পত্য-জীবন-সুখী-করার-উপায়

আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ, আপনাদের সকলকে স্বাগতম, আজকে আমরা আলোচনা করব, স্ত্রীর কারণে সংসারে অশান্তি কেন হয় তার 10 টি কারণ স্ত্রী হিসেবে দাম্পত্য জীবন সুখী করার জন্য যে 10 টি কাজ কখনোই করা উচিত নয়।

বিবাহিত জীবনে অনেক ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে তাকে আমরা অনেকেই জানি। আর সমস্যা হতেই পারে কারণ সবার দাম্পত্যে একটি মানুষের বিবাহিত জীবন একরকম না, প্রত্যেকটা মানুষ আলাদা, একজনের সাথে আরেকজনের সকল বিষয়ে মিল সচরাচর থাকতে পারে না।

কিন্তু সমস্যা তখনই হয় যখন আমরা সম্পূর্ণ কাল্পনিক এবং পারফেক্ট কাপল হিসেবে নিজেদেরকে ভাবতে থাকি। তখনই দেখা দেয় সম্পর্কে মহামারী সমস্যা।

কিন্তু সব সমস্যা নেই শুধু একজনের দোষ থাকে না, দোষ থাকে উভয়েরই।

কিন্তু নিজের দোষটা অনেকেই মেনে নিতে পারেন না। আর না পারেন কনসিডার করতে। আর পারেন না বলেই সমস্যা আরো বেশি খারাপ রূপ ধারণ করে।

কিন্তু এমন কিছু বিষয় থাকে যা কখনোই বিবাহিত জীবনে বলা বা করা ঠিক নয়, বিশেষ করে নারীদের মন একটু কোমল হয় আবার তারা অনেক বেশি কল্পনাবিলাসী হয়ে থাকে তাই তারা অনেক কিছুই মনে করেন বা বলে থাকেন যা আসলে ভুল।

এরকম 10টি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব যে বিষয়গুলো একজন স্ত্রীর কখন করা উচিত নয়।

স্ত্রীর কারণে সংসারে অশান্তি কেন হয় 10 টি কারন এবং স্ত্রী হিসেবে দাম্পত্য জীবন সুখী করার উপায়

স্ত্রীর কারণে সংসারে অশান্তি কেন হয় এবং স্ত্রী হিসেবে দাম্পত্য জীবন সুখী করার উপায়:

1. কথায় কথায় মিথ্যা বলবেন না

মিথ্যা আমরা কমবেশি সকলেই বলে থাকি, সহজে মিথ্যা বলে না তা কিন্তু নয়। কিন্তু স্ত্রীরা একটু বেশি মিথ্যা বলে থাকে, অপ্রয়োজনীয়’ ও অকারণে কথায় কথায় মিথ্যা বলবেন না। এত করে স্বামী-স্ত্রীর ভেতরে দূরত্ব তৈরি হয়।

2. স্বামীকে কখনো পারফেক্ট হিসেবে চাইবেন না

অনেক স্ত্রী আছেন যিনি স্বামীকে প্রিন্স চার্লি হিসেবে স্বামীকে আশা করতে থাকেন। প্রথমেই বলা হয়েছে যে অনেক মেয়েরাই স্বপ্নবিলাসী হয়ে থাকে। তারা মনে করেন তাদের স্বামী হবে রূপকথার সেই ঘোড়ায় চড়ে আসা রাজপুত্র, যে তার সব কথা শুনবে, আর সব অসম্ভবকে সম্ভব করে দেবে। এরকমটা না ভাবাই ভালো।

3. গৃহকর্ম করার জন্য স্বামীকে বাধ্য না করা

কিছু স্ত্রী আছেন যারা গৃহকর্ম করার জন্য স্বামীকে বাধ্য করে থাকেন। আর না করলে এটা নিয়ে তুলকালাম করে ফেললেন। ঘরে অশান্তি চলতে থাকে ঘ্যানঘ্যান চলতে থাকে। সংসারে অশান্তি কেন হয় এর জন্য সবথেকে বেশি যে জিনিসটা দায়ী থাকে সেটা হচ্ছে ঘ্যানঘ্যান করা। স্বামীকে গৃহকর্মীর জন্য খুব একটি বাধ্য করবেন না।

4. যেকোনো জিনিস স্বামীকে বারবার মনে করিয়ে দেওয়া

কিছু নারীদের এই অভ্যাস রয়েছে তারা কি করেন একই কথা বারবার বলতে থাকেন। ঘুরেফিরে একই কথা বারবার বলতে থাকেন। যতক্ষণ পর্যন্ত এটা মেনে না নেওয়া না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত তারা থামতে চায় না। তারা বুঝতে চান না যে একটা জিনিস বল আর সঙ্গে সঙ্গেই করে দেওয়া সম্ভব না। আবার অনেক সময় পুরুষরা আছেন যারা তাৎক্ষণিক কাজটা করতে চান না, হয়তো পরবর্তীতে করবেন। সেক্ষেত্রে একই জিনিস বারবার না বলাই ভাল।

5. একান্ত ব্যক্তিগত সহাবস্থান নিয়ে অতি বাড়াবাড়ি করা

স্বাভাবিক ক্ষেত্রে দেখা যায়, পুরুষের জীবনে অনেক সময় তার শারীরিক শক্তি আমি বলতে চাচ্ছি যেটা যৌনশক্তি, এটা সময় কিছুটা কম থাকে। কারন পুরুষ বাহিরে থাকে, দুশ্চিন্তা বেশি করে, পরিশ্রম বেশী করে, শরীরের যত্ন নিতে পারে না, তো অনেক সময়ই তিনি স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করতে না পারেন, কিছু স্ত্রী আছে এটা নিয়ে খুব বেশি তুলকালাম করে ফেলেন। স্বামীকে অপমান অপদস্ত করে থাকেন। এরকম করবেন না। এতে করে আপনার পারিবারিক সম্পর্ক ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।

6. আপনার স্বামীকে কখনোই আপনার পিতার মতো মনে করবেন না

সব পুরুষ হয়ে যেয়ে সেরকম ভাবাটা ঠিক হবে না। বাবা আমি কখনো এক হতে পারে না। তাই দুটি মানুষকে একসাথে মেলাবেন না। আপনার স্বামীর সাথে আপনার বাবার তুলনা করবেন না।

7. আপনার স্বামীকে অন্যদের সামনে অসম্মান করবেন না

বিবাহিত জীবনে আপনার স্বামীর কোন একটি কাজ আপনার পছন্দ না হতেই পারে। তাই বলে তার সাথে খারাপ ব্যবহার করা। অন্য মানুষের সামনে তা বলা থেকে বিরত থাকুন।

8. স্বামীকে নিজের বান্ধবীর মতো আশা করবেন না

বান্ধবী তো বান্ধবী, আর স্বামী তো স্বামীই। আপনি যদি মনে করে থাকেন আপনার স্বামীর সাথে আপনি আপনার প্রিয় বান্ধবীর মতো আচরণ করবেন, সব কথা তাকে বলবেন তাহলোে তো সমস্যা হবেই। নিজের জীবনের সবার স্থান আলাদাভাবে রাখুন। কিন্তু সবাইকে সমানভাবে ভালোবাসুন।

9. অন্যদেরকে স্বামীর আগের প্রাধান্য দেওয়া

অনেক স্ত্রী আছেন স্বামীর আগে অন্যদেরকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন, যা কখনই ঠিক নয়। সর্বক্ষেত্রে স্বামীকে সব থেকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া উচিত, তাতে করে দুজনের ভিতরে সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটবে।

10. নিজেকে সম্পূর্ণ স্বাধীন মনে করা

অধিকাংশ স্বামীর মতামত না নিয়ে নিজের ইচ্ছা স্বাধীন জীবন যাপন করা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright Notice

কপি করা নিষিদ্ধ!