Skip to content

 

[৮০ টি লিস্ট] সগিরা গুনাহ কাকে বলে? সগিরা গুনাহ সমূহ কি কি? সগিরা গুনাহ লিস্ট, কবিরা ও সগিরা গুনাহ

সগিরা গুনাহ কাকে বলে সগিরা গুনাহ সমূহ কি কি সগিরা গুনাহ লিস্ট, কবিরা ও সগিরা গুনাহ

৮০ টি সগিরা গুনাহ লিস্ট, সগিরা গুনাহ সমূহ কি কি? সগিরা গুনাহ কাকে বলে? কবিরা ও সগিরা গুনাহ।

কবিরা ও সগিরা গুনাহ

কবিরা অর্থ বড়, ছগিরা অর্থ ছোট। ছগিরা গুনাহ মানে ছোট পাপ, কবিরা গুনাহ মানে বড় পাপ।  

সগিরা গুনাহ হলোো—এমন গুনাহ, যার ব্যাপারে সরাসরি শাস্তির নির্দেশ আসেনি। আল্লাহর পক্ষ থেকে কোনো ধরনের জাহান্নামের কথা আসেনি। সেগুলো হলোো সগিরা গুনাহ। কবিরা গুনাহ কমন। কবিরা গুনাহগুলো ছাড়া বাকি সবগুলোই হলোো সগিরা গুনাহ।

সগিরা গুনাহর পরিমাণ অনেক। একজনের সঙ্গে সামান্য কোনো নেতিবাচক কাজে যুক্ত হলোেন, কিংবা কারও সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলেন, কিংবা অনিচ্ছাকৃত কারও ক্ষতি করে ফেললেন—এসব হলোো সগিরা গুনাহ। এমন আরও অনেক ব্যাপার আছে (যেগুলো) সগিরা গুনাহ। যেগুলোর জন্য সুনির্দিষ্টভাবে শাস্তির কথা এসেছে, হারামের কথা এসেছে—সেসব হলোো কবিরা গুনাহ। এর বাইরে যত গুনাহ আছে, সেসব কবিরা গুনাহ।

ছগীরা গুনাহের সংজ্ঞায় ওলামায়ে কেরাম বিভিন্ন মতামত পেশ করেছেন। যেমন ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, প্রত্যেক যে সকল পাপের জন্য জাহান্নামের শাস্তি, আল্লাহর গযব, লা‘নত প্রভৃতির কথা উল্লেখিত হয়েছে, তা কবীরা গুনাহ। এমন গুনাহের সংখ্যা ৭০টির মত (তাফসীর কুরতুবী ৫/১৫৯)। ছগীরা গুনাহের উদাহরণ যেমন- বেগানা নারীর প্রতি অনৈতিক দৃষ্টি নিক্ষেপ, কাউকে গালি প্রদান, হিংসা করা, প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয়া ইত্যাদি।

কবিরা গুনাহ কাকে বলে? কিংবা কবিরা গুনাহ কী? 230 টি কবিরা গুনাহের তালিকা জানতে এই পোষ্ট দেখুন: https://khamarian.com/230-টি-কবিরা-গুনাহের-তালিকা/

সগীরা গোনাহের বিবরণ ও তার একটি তালিকা নিম্নে সগীরা বা ছোট গোনাহের একটি মোটামুটি তালিকা পেশ করা হলো। তবে উল্লেখ্য যে, এই তালিকার মধ্যকার অনেক গোনাহকে অনেকে কবীরা গোনাহ বলেও আখ্যায়িত করেছেন।

আবার পূর্বে উল্লেখিত কবীরা গোনাহের তালিকায় উল্লেখিত কোন কোন গোনাহকে সগীরা গোনাহ বলেও আখ্যায়িত করা হয়েছে।

আসলে একটি গোনাহকে তার চেয়ে বড় গোনাহের তুলনায় ছোট বলা যায়, আবার তার চেয়ে ছোট গোনাহের তুলনায় তাকে বড় গোনাহও বলা যায়। আবার এক হিসেবে কোন গোনাহই ছোট নয়, কেননা সেটাওতো আল্লাহরই নাফরমানী।

যেমন ছোট সাপও ধ্বংসকারী, বড় সাপও জীবন ধ্বংসকারী- এরূপ বিচারে কোন সাপই ছোট অর্থাৎ, অবহেলার নয়।

অতএব এ দৃষ্টিভঙ্গিতে কোন পাপকেই তুচ্ছ বা ছোট মনে করতে নেই। আর সগীরা বা ছোট গোনাহের উপর হটকারিতা করলে তা কবীরা গোনাহ হয়ে দাঁড়ায়। যাহোক স্বাভাবিক ভাবে যেগুলোকে সগীরা গোনাহ বলা হয়।

তবে ছগীরা গুনাহ বার বার করলে তা কবীরা গুনাহে পরিণত হয়। যেমন হযরত ওমর ও ইবনু আববাস প্রমুখ থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, لاَ صَغِيْرَةَ فِي الْاِصْرَارِ وَلاَ كَبِيْرَةَ فِي اْلِاسْتِغْفَارِ ‘বারবার ছগীরা গোনাহ করলে সেটি আর ছগীরা থাকে না এবং ক্ষমা প্রার্থনা ও তওবা করলে আর কবীরা গুনাহ থাকে না’ (নববী, শরহ মুসলিম ২/৮৭)। যেমন পরনারীর প্রতি দৃষ্টি দেয়া ছগীরা গুনাহ। কিন্তু কেউ কেউ বার বার তাকালে তা কবীরা গুনাহ হয়ে যাবে (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৫/২৯৩)। সেজন্য রাসূল (ছাঃ) ছোট গুনাহ থেকে বেঁচে থাকতে তাকীদ করেছেন। তিনি বলেন, হে আয়েশা! ক্ষুদ্র গুনাহ থেকেও সাবধান হও। কারণ সেগুলোর জন্যও আল্লাহর নিকট জবাবদিহি করতে হবে’ (ইবনু মাজাহ হা/৪২৪৩; মিশকাত হা/৫৩৫৬; ছহীহাহ হা/৫১৩)

সগিরা গুনাহ সমূহ কি কি? সগিরা গুনাহ লিস্ট বা একটি মোটামুটি তালিকা এইঃ

১. কোন মানুষ বা প্রাণীকে লা’নত (অভিশাপ) দেয়া।

২. না জেনে কোন পক্ষে ঝগড়া করা কিংবা জানার পর অন্যায় পক্ষে ঝগড়া করা।

৩. ইচ্ছাকৃত ভাবে নামাযে হাসা বা কোন বিপদের কারণে নামাযের মধ্যে ক্রন্দন করা।

৪. ফাসেক লোকদের সাথে উঠাবসা করা।

৫. মাকরূহ ওয়াক্তে নামায পড়া

৬. কোন মসজিদে নাপাক প্রবেশ করানো।

৭. মসজিদে পাগল বা এমন ছোট শিশুকে নিয়ে যাওয়া, যার দ্বারা মসজিদের পবিত্রতা নষ্ট হওয়ার আশংকা থাকে।

৮. পেশাব পায়খানার সময় কেবলার দিকে মুখ বা পিঠ করে বসা।

৯. উলঙ্গ হয়ে গোসল করা, যদিও আটকা স্থানে এবং লোকদের অগোচরে গোসল করা হোক।

১০. কোন স্ত্রীর সাথে যিহার ক্রলে কাফফারা আদায় করার পূর্বে তার সাথে সহবাস করা। স্বামী যদি স্ত্রীকে বলে তুমি আমার উপর আমার মাতার পৃষ্ঠ দেশের মত (অর্থাৎ, মাতার পিঠের মত হারাম) এরূপ বলাকে “যিহার” বলা হয়। ইসলামপূর্ব কালে স্ত্রীকে নিজের উপর হারাম করার এটি বিশেষ পদ্ধতি ছিল। এরূপ বললে কাফফারা আদায় করার পূর্বে স্ত্রী হালাল হবে না।

১১. সওমে বেসাল করা অর্থাৎ, এমনভাবে কয়েক দিন রোযা রাখা যে, মধ্যে ইফতরীও করবে না।

১২. মাহ্কাম পুরুষ ব্যতীত নারীর জন্য সফর করা।

১৩. কেউ ক্রয়ের জন্য কথা-বার্তা বলছে বা বিবাহের প্রস্তাব দিয়েছে এখনও উত্তর মেলেনি এরই মধ্যে অন্য কারও দর বলা বা প্রস্তাব দেয়া।

১৪. বাইরে থেকে শহরে যে মাল আসছে সেটা শহরের বাইরে গিয়ে ক্রয় করা। (এভাবে মধ্যস্বত্ব ভোগীর কারণে শহরে এসে মালের দাম বৃদ্ধি পায়)।

১৫. জুমুআর (প্রথম) আযান হওয়ার পর ক্রয়-বিক্রয় করা এবং অন্যান্য দুনিয়াবী কাজ করা। অবশ্য জুমুআর দিকে চলন্ত অবস্থায় বেচা-কেনা করলে তাতে পাপ হবে না, কারণ অনুরূপ ক্রয়-বিক্রয় জুমুআর নামাযের জন্য ব্যাঘাত ঘটায় না।

১৬. শখ করে কুকুর লালন-পালন করা। মালামাল ও ফসল সংরক্ষণের জন্য কিংবা শিকারের উদ্দেশ্যে কুকুর পালন করা জায়েয।

১৭. অতি নগন্য বস্তু চুরি করা।

১৮. দাঁড়িয়ে পেশাব করা।

১৯. গোসল খানায় কিংবা পানির ঘাটে পেশাব করা।

২০. নামাযে সাদল করা অর্থাৎ, অস্বাভাবিক ভাবে কাপড় ঝুলিয়ে রাখা।

২১. গোসল ফরয- এরূপ অবস্থায় আযান দেয়া।

২২. গোসল ফরয- এরূপ অবস্থায় বিনা ওজরে মসজিদে প্রবেশ করা।

২৩. গোসল ফরয- এরূপ অবস্থায় মসজিদে বসা।

২৪. নামাযের মধ্যে কোমরে হাত রেখে দাঁড়ানো।

২৫. নামাযে লম্বা চাদর এমনভাবে শরীরে জড়ানো যাতে হাত বের করা মুশকিল হয়।

২৬. নামাযে অযথা শরীর নিয়ে খেলা করা অর্থাৎ, বিনা প্রয়োজনে কোন অঙ্গ নাড়াচাড়া করা বা কাপড় ওলট-পালট করা।

২৭. নামাযীর সামনে তার দিকে তাকিয়ে বসা বা দাঁড়ানো।

২৮. নামাযে ডানে বামে অথবা উপরের দিকে তাকানো।

২৯. মসজিদে দুনিয়াবী কথা-বার্তা বলা।

৩০. ইবাদত নয় এরূপ কোন কাজ মসজিদে করা।

৩১. রোযা অবস্থায় স্ত্রীর সাথে নিরাভরণ হয়ে জড়াজড়ি করা।

৩২. রোযা অবস্থায় স্ত্রীকে চুমু দেয়া। (যদি আরও আগে বেড়ে যাওয়ার আশংকা থাকে)।

৩৩. নিকৃষ্ট মাল দ্বারা যাকাত আদায় করা।

৩৪. গলার পশ্চাদ্দিক থেকে প্রাণী জবেহ করা।

৩৫. পঁচা মাছ অথবা মরে ভেসে ওঠা মাছ খাওয়া।

৩৬. বিনা প্রয়োজনে সরকার কর্তৃক দ্রব্যমূল্য নির্দ্ধারণ করে দেয়া।

৩৭. বালেগা বোধ সম্পন্ন নারীর পক্ষে ওলীর এজাযত ব্যতীত বিবাহ বসা (যদি ওলী অহেতুক বিবাহে বাধা দেয়ার না হয়)।

৩৮. “নেকাহে শেগার” করা। অর্থাৎ এমন বিবাহ যাতে মহরের টাকা পয়সার পরিবর্তে নিজের মেয়েকে বিবাহ দেয়া হয়।

৩৯. স্ত্রীকে একের অধিক তালাক দেয়া।

৪০. স্ত্রীকে বিনা প্রয়োজনে বায়েন তালাক দেয়া এবং (বরং রেজয়ী তালাক দেয়া উচিত।)

৪১. হায়েয অবস্থায় তালাক দেয়া। (খোলা তালাক দেয়া যায়। অর্থের বিনিময়ে স্ত্রীকে স্বামী তালাক দিলে তাকে খোলা তালাক বলে।)

৪২. যে তুহরে সহবাস হয়েছে তাতে তালাক দেয়া।

৪৩. তালাকে রেজয়ী প্রদত্ত স্ত্রীকে সহবাস ইত্যাদি দ্বারা রুজু করা। (বরং

প্রথমে মৌখিক ভাবে রুজু হওয়া চাই।)

৪৪. স্ত্রীকে কষ্ট দেয়ার উদ্দেশ্যে ঈলা করা। ‘ঈলা’ বলা হয় কোন সময়সীমা নির্ধারণ করা ছাড়া অথবা চার মাস কিংবা তারও বেশী সময়ের জন্য স্ত্রী গমন না করার শপথ করাকে। এরূপ শপথ করার পর চার মাসের মধ্যে শপথ ভঙ্গ করলে অর্থাৎ, স্ত্রী গমন করলে শপথ ভঙ্গ করার কাফ্ফারা দিতে হবে এবং স্ত্রী বহাল থাকবে- তালাক হবে না। আর চার মাসের মধ্যে উক্ত স্ত্রীকে ব্যবহার না করলে চার মাস শেষ হওয়ার সাথে সাথে উক্ত স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে।

৪৫. সন্তানদেরকে কোন মাল ইত্যাদি দেয়ার ক্ষেত্রে সমতা রক্ষা না করা।

৪৬. বিচারক কর্তৃক বাদী বিবাদী উভয় পক্ষের শুনানী ও তাদের প্রতি মনোযোগ প্রদানে সমতা রক্ষা না করা।

৪৭. কোন যিম্মি কাফেরকে কাফের বলে সম্বোধন করা। (যদি সে এরূপ সম্বোধনে কষ্টবোধ করে।)

৪৮. বাদশার এনআম কবূল না করা।

৪৯. যার হালাল সম্পদের পরিমাণ কম-হারামের পরিমাণ বেশী, বিনা ওজরে তাহকীক-তদন্ত ছাড়া তার দাওয়াত ও হাদিয়া গ্রহণ করা।

৫০. কোন প্রাণীর নাক কান প্রভৃতি কেটে দেয়া।

৫১. জবর দখলকৃত জমিতে প্রবেশ করা, এমনকি নামাযের জন্য হলোেও।

৫২. কোন মুরতাদ বা অমুসলিম রাষ্ট্রের কাফেরকে তিন দিন পর্যন্ত তওবা করতঃ মুসলমান হওয়ার দাওয়াত প্রদান করার পূর্বে হত্যা করে দেয়া।

৫৩. নামাযে পাঠ করার জন্য কোন বিশেষ সূরা নির্ধারিত করা।

৫৪. নামাযে যে সাজদায়ে তিলাওয়াত ওয়াজিব হয় সেটাকে বিলম্বিত করা বা ছেড়ে দেয়া।

৫৫. বিনা প্রয়োজনে একাধিক মুরদারকে এক কবরে দাফন করা।

৫৬. জানাজার নামায মসজিদের ভিতরে পড়া।

৫৭. ডানে কিংবা বায়ে ফটো রেখে নামায পড়া বা ফটোর উপর সাজদা করা।

৫৮. স্বর্ণের তার দিয়ে দাঁত বাঁধাই করা।

৫৯. মৃত ব্যক্তির চেহারায় চুমু দেয়া।

৬০. ইসলাম বিরোধী কোন সম্প্রদায়ের নিকট অস্ত্র বিক্রয় করা।

৬১. বালেগদের জন্য নিষিদ্ধ- এমন কোন পোশাক শিশুদেরকে পরিধান করানো।

৬২. স্ত্রীর সাথে এমন কারও সামনে সংগম করা যে বোঝেঝ এবং হুশ রাখে, যদিও সে ঘুমিয়ে থাকে। (খুব ছোট শিশুর বেলায় ভিন্ন কথা)

৬৩. কোন আমীর বা শাসকের অভ্যর্থনায় বের হওয়া।

৬৪. রাস্তায় এমন স্থানে দাঁড়ানো বা বসা, যাতে অন্যদের চলতে অসুবিধা হয়।

৬৫. আযান শোনার পর ওজর বা জরুরী কাজ ব্যতীত ঘরে বসে বসে একামতের অপেক্ষা করতে থাকা।

৬৬. পেট ভরার পরও অতিরিক্ত খাওয়া। (রোযা বা মেহমানের কারণে কিছু বেশী খাওয়া হলোে তা ব্যতিক্রম।)

৬৭. ক্ষুধা লাগা ছাড়াও খাওয়া। (রোগের অবস্থা ব্যতিক্রম)

৬৮. খুতবার সময় কথা বলা (বিস্তারিত জানার জন্য দেখুন ২১২ নং পৃষ্ঠা)

৬৯. মসজিদে মানুষের ঘাড়ের উপর দিয়ে সামনে যাওয়া।

৭০. মানুষের চলার পথে নাপাকী ফেলা।

৭১. মসজিদের ছাদে নাপাকী ফেলা।

৭২. নিজের সাত বৎসরের চেয়ে অধিক বয়স্ক ছেলের সঙ্গে এক বিছানায় শয়ন করা।

৭৩. অহেতুক কাজে ও কথায় সময় নষ্ট করা।

৭৪. কারও প্রশংসায় অতিরঞ্জন করা।

৭৫. কথা বলতে গিয়ে ছন্দ মিলানোর কসরৎ করা।

৭৬. হাসি-ফুর্তিতে সীমালংঘন করা।

৭৭. কারও গুপ্ত কথা ফাঁস করা।

৭৮. সাথী-সঙ্গী ও বন্ধু-বান্ধবদের হক আদায়ে ত্রুটি করা।

৭৯. ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও আপনজন ও বন্ধু-বান্ধবকে জুলুম থেকে বিরত না রাখা।

৮০. বিনা ওজরে হজ্জ বা যাকাত আদায়ে বিলম্ব করা। কেউ কেউ এটাকে কবীরা গোনাহের তালিকাভুক্ত করেছেন।

উপসংহার:

পথভ্রষ্ট হয়ে মানুষ গুনাহ করে। কখনো বড় গুনাহ তো কখনো ছোট গুনাহ। সব ধরনের গুনাহ থেকেই বেঁচে থাকা আবশ্যক। ইরশাদ হয়েছে, ‘আর তোমরা প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সব ধরনের গুনাহ ছেড়ে দাও। নিশ্চয়ই যারা গুনাহ করবে অচিরেই তাদেরকে কৃতকর্মের প্রতিফল দেয়া হবে’ (সূরা আনআম-১২০)।

ছোট গুনাহ তথা সগিরা গুনাহ তো বিভিন্ন নেকআমলে মাফ হয়ে যায়। যেমন-হাদিসে এসেছে, ‘নিশ্চয় সালাত কবিরা গুনাহ ছাড়া অন্যান্য পাপ মোচন করে’ (আরিজাতুল আহওয়াজি ২/১৪৬)।

তাছাড়া কবিরা গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার দ্বারাও সগিরা গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়। ইরশাদ হয়েছে, ‘যদি তোমরা কবিরা গুনাহ থেকে বিরত থাকো তো তোমাদের সগিরা গুনাহগুলো আমি মাফ করে দেবো’ (সূরা নিসা-৩১)। সগিরা গুনাহ অসংখ্য অগণিত। সেগুলোর সংখ্যা নিয়ে কোনো আলোচনা কোথাও নেই।

পোষ্টটি লিখতে নিম্নক্তো বই/লেখকের লিখনী থেকে সাহায্য নেওয়া হয়েছে:
আহকামে জিন্দেগী (মাকতাবাতুল আবরার প্রকাশনী)
মাওলানা মুহাম্মদ হেমায়েত উদ্দীন
শায়খুল হাদীস, জামেয়া ইসলামিয়া আরার্বিয়া, তাঁতী বাজার, ঢাকা-১১০০
মুহাদ্দিছ, জামিয়া ইসলমিয়া দারুল উূলুম মাদানিয়া, ৩১২, দক্ষীণ যাত্রাবাড়ি, ঢাকা-১২৩৬

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright Notice

কপি করা নিষিদ্ধ!