Skip to content

 

Wait...❤😘 Show love? ⬇⬇⬇

সন্তান লাভের দোয়া/সন্তান না হওয়ার দোয়া

সন্তান লাভের দোয়া/সন্তান না হওয়ার দোয়া

বিষয়: সন্তান লাভের দোয়া/সন্তান না হওয়ার দোয়া।
হ্যাশট্যাগ: #সন্তান লাভের দোয়া #সন্তান না হওয়ার দোয়া।

যার কোন সন্তান হয় না তার জন্য কিছু কথা

যার ছেলে মেয়ে কোন সন্তানই হয় না তাকে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো চিন্তা করতে হবে-

১. সন্তান না হওয়াই তার জন্য ভাল। আল্লাহ পাক প্রত্যেকেরই কল্যাণ চান এবং সব কিছুর রহস্য তাঁর জানা আছে। সে মতে তার সন্তান না হওয়ার মধ্যেই কল্যাণ রয়েছে, যা আল্লাহ অবগত আছেন।

২. সন্তান থাকলে যে সব পেরেশানী হয় সেগুলো চিন্তা করে মনে করবে যে, আল্লাহ আমাকে সে সব পেরেশানী থেকে মুক্তি দিতে চেয়েছেন। বস্তুতঃ সন্তান দেয়া যেরকম আল্লাহ্র নেয়ামত, সন্তান না দেয়াও এক একম নেয়ামত। সুতরাং সন্তান না হওয়ার জন্য শুকরিয়ার মনোভাব রাখতে হবে, না শুকরিয়ার মনোভাব নয়।

৩. সন্তান না হওয়ার কারণে স্ত্রীর প্রতি অসন্তুষ্ট হওয়া অন্যায়। কারণ এটা স্ত্রীর এখতিয়ারভুক্ত বিষয় নয়, এটা স্ত্রীর কোন অন্যায় নয়। এজন্য আল্লাহর প্রতিও নারাজ হওয়া যাবে না। কেননা আল্লাহ হয়ত এরই মধ্যে তার কল্যাণ নিহিত রেখেছেন।

৪. একথা মনে করবে না যে, সন্তান ও বংশধর না থাকলে আমার নাম টিকে থাকবে না। মূলতঃ আল্লাহর প্রিয় বান্দা হতে পারলেই নাম টিকে থাকে, সন্তান দ্বারা নয় বরং সন্তান হয়ে যদি খারাপ হয় তাহলে উল্টা বদনামী হয়ে থাকে।

৫. সন্তান লাভের জন্য নিম্নোক্ত আমলগুলো করা যায়-

সন্তান লাভের দোয়া/সন্তান না হওয়ার দোয়া

(ক) এই দু’আ করবে-

رَبِّ لَا تَذَرۡنِیۡ فَرۡدًا وَّاَنۡتَ خَیۡرُ الۡوٰرِثِیۡنَ 

উচ্চারণ: রাব্বি লা-তাযারনী ফারদাওঁ ওয়া আনতা খাইরুল ওয়ারিছীন।

অর্থ: হে আমার প্রতিপালক, তুমি আমাকে বংশধরহীন রেখ না, তুমিই উত্তম উত্তরাধিকারী।

(সূরা আম্বিয়াঃ ৮৯)

(খ) উঠতে বসতে সর্বক্ষণ পাঠ করবে-البارى المصور (আল-বা’রিয়ূল মুসাওওয়ারু)।

(গ) প্রত্যেক নামাযের পর তিনবার পড়বে-

 رَبِّ هَبۡ لِیۡ مِنۡ لَّدُنۡکَ ذُرِّیَّۃً طَیِّبَۃً ۚ اِنَّکَ سَمِیۡعُ الدُّعَآءِ

উচ্চারণ: রাব্বি হাবলী মিল্লাদুনকা যুররিইইয়াতান তাইয়িবাতান ইন্নাকা ছামী‘উদ্দু‘আই।

অর্থ: হে আমার প্রতিপালক! তুমি নিজ অনুগ্রহে আমাকে উত্তম আওলাদ দান কর। অবশ্যই তুমি দু’আ শ্রবণকারী।

(সূরা আলে ইমরানঃ ৩৮)

(ঘ) বন্ধা মহিলা সাত দিন পর্যন্ত রোযা রাখবে এবং পানি দ্বারা ইফতার করবে এবং ইফতার করার পর ২১ বার নিম্নোক্ত আয়াত পাঠ করবে, তাহলে আল্লাহ চাহেতো গর্ভ সঞ্চার হবে।

أَوْ كَظُلُمَٰتٍۢ فِى بَحْرٍۢ لُّجِّىٍّۢ يَغْشَىٰهُ مَوْجٌ مِّن فَوْقِهِۦ مَوْجٌ مِّن فَوْقِهِۦ سَحَابٌ ۚ ظُلُمَٰتٌۢ بَعْضُهَا فَوْقَ بَعْضٍ إِذَآ أَخْرَجَ يَدَهُۥ لَمْ يَكَدْ يَرَىٰهَا ۗ وَمَن لَّمْ يَجْعَلِ ٱللَّهُ لَهُۥ نُورًا فَمَا لَهُۥ مِن نُّورٍ.

উচ্চারণ: আও কাজুলুমা-তিন ফী বাহরিল লুজ্জিইয়িইঁ ইয়াগশা-হু মাওজুম মিন ফাওকিহী মাওজুম মিন ফাওকিহী ছাহা-বুন জু লুমা-তুম বা‘দুহা-ফাওকা বা‘দিন ইযাআখরাজা ইয়াদাহূলাম ইয়াকাদ ইয়ারা-হা- ওয়া মাল লাম ইয়াজ‘আলিল্লা-হু লাহূনূরান ফামালাহূমিননূর।

(النور – 40)

যার পুত্র সন্তান হয় না তার জন্য কিছু কথা

১. পুত্র না হওয়ার মধ্যেই তার কল্যাণ- এথা চিন্তা করবে।

২. পুত্র সন্তানের কারণে মানুষ যেসব পেরেশানীর সম্মুখীন হয় সেগুলো চিন্তা করবে, তাহলে সান্ত্বনা পাবে এবং আল্লাহ্র প্রতি শোকর আসবে এই ভেবে যে, আল্লাহ আমাকে সে সব পেরেশানী থেকে হয়ত নাজাত দিতে চান। বাস্তবেও দেখা যায় পুত্র সন্তানই বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে মাতা-পিতার অবাধ্য হয়ে থাকে, পক্ষান্তরে কন্যা সন্তান মাতা-পিতার অনুগত ও ফরমাবরদার হয়ে থাকে।

৩. পুত্র সন্তান না হওয়ার কারণে স্ত্রীর প্রতি অসন্তুষ্ট হওয়া এবং তার সাথে দুর্ব্যবহার করা অন্যায়। কারণ এটা স্ত্রীর এখতিয়ারভুক্ত বিষয় নয়, সে চাইলেই তার গর্ভে পুত্র সন্তান আনতে পারে না। এর জন্য আল্লাহ্র প্রতিও নারাজ হওয়া যাবে না। কেননা আল্লাহ হয়ত এরই মধ্যে তার কল্যাণ নিহিত রেখেছেন, যা হয়ত তার জানা নেই, তার বুঝে আসছে না, কিন্তু আল্লাহ সব জানেন, সব বুঝেন, তিনি অত্যন্ত হেকমতওয়ালা।

৪. শাহ ওয়ালীউল্লাহ (রহঃ) বলেছেনঃ যে মেয়েলোকের কন্যা ব্যতীত ছেলে না হয় তার পেটের উপর হাতের আঙ্গুল দিয়ে একটা গোল বেষ্টনী আঁকবে, তারপর আঙ্গুল দিয়ে সেই বেষ্টনীর মধ্যে ঢ় শব্দটি সত্তর বার লিখবে এবং মুখেও বলতে থাকবে, তাহলে আল্লাহ চাহেতো পুত্র সন্তান লাভ হবে।

যার সন্তান মারা যায় তার জন্য কিছু কথা

যার সন্তান মারা যায় তার সান্ত্বনা লাভের জন্য নিম্নোক্ত কয়েকটি বিষয় চিন্তা করতে হবে-

১. যে সন্তান মারা গিয়েছে তার মরে যাওয়াই ভাল ছিল, সে বেঁচে থাকাটা তার জন্য খারাপ ছিল। এটা তার বুঝে না আসলেও আল্লাহ তা’আলা সব কিছু জানেন ও বুঝেন, তিনি অত্যন্ত হেকমতওয়ালা।

২. এই সন্তানের কারণে মানুষ কত রকম পেরেশানী ও মুসীবতের সম্মুখীন হয় সেগুলো চিন্তা করে মনে করবে যে, আল্লাহ আমাকে সে সব পেরেশানী থেকে মুক্তি দেয়ার জন্যই হয়ত আমার সন্তানের মৃত্যু ঘটিয়েছেন, কাজেই এটা আমার প্রতি আল্লাহ্র এক অনুগ্রহ।

৩. সন্তানের মৃত্যুর কারণে যে কষ্ট হয় তার বিনিময়ে ছওয়াব অর্জিত হয়। বিশেষ করে নাবালেগ সন্তানের মৃত্যু হলে সে সন্তান পরকালে তার নাজাতের ওছীলা হয়ে দাঁড়াবে, সে সন্তান জাহান্নাম ও তার মাঝে আঁড়

হয়ে দাঁড়াবে। এক হাদীছের বর্ণনা অনুযায়ী বড় সন্তানের মৃত্যু হলেও সে কারণে যে কষ্ট হবে তার বিনিময়ে আল্লাহ তাআলা জান্নাত দান করবেন।

সমাপ্ত: সন্তান লাভের দোয়া/সন্তান না হওয়ার দোয়া।
সূত্র: আহকামে যিন্দেগী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright Notice

কপি করা নিষিদ্ধ!