Skip to content

 

Wait...❤😘 Show love? ⬇⬇⬇

সভা/মজলিসের সুন্নাত ও আদব সমূহ

সভা/মজলিসের সুন্নাত ও আদব সমূহ

বিষয়: সভা/মজলিসের সুন্নাত ও আদব সমূহ।
হ্যাশট্যাগ: #সভা/মজলিসের সুন্নাত ও আদব সমূহ।

সভা/মজলিসের সুন্নাত ও আদব সমূহঃ

* কোন পাপের মজলিস হলে সেখানে যাবে না। অনন্যোপায় অবস্থায় গেলে কিংবা যাওয়ার পর জানলে বা যাওয়ার পর পাপ কাজ শুরু হলে ঢলে আসবে। সম্ভব না হলে মনে মনে যিকির আযকারে লিপ্ত হবে- উক্ত পাপ কাজে বা কথায় মনোযোগ দিবে না। এ নিয়ম ঐ সময় প্রযোজ্য, যখন পাপ কথা বা কাজ খাস ঐ মজলিসে হয়। আর যদি পাপ কাজ খাস ঐ মজলিসে না হয়- দূরে হয়, তবুও অনুসরণীয় ব্যক্তির পক্ষে সেখান থেকে চলে আসা উত্তম।

* উত্তম পোশাক পরিধান করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে মজলিসে গমন করা উত্তম।

* মজলিসে পৌঁছে সালাম করবে, যদি মজলিসের লোকেরা দ্বীনী তা’লীম ও যিকির তিলাওয়াতে লিপ্ত না থাকেন কিংবা এমন কথা ও কাজে লিপ্ত না থাকেন যে সময় সালাম দিলে ব্যাঘাত ঘটবে।

* বয়স, ইলম, ও বুযুর্গীতে অগ্রসরদেরকে মজলিসে সামনে বসতে দেয়া সুন্নাত। বয়স এবং ইলম- এ দুয়ের মধ্যে ইলম অধিক মর্যাদার হকদার। অতএব আলেম নন- এরূপ বয়সী লোকের চেয়ে কম বয়সী অথচ আলেম- তাকেই মজলিসে বসা, পথ চলা, কথা বলা সব ক্ষেত্রে প্রাধান্য দিতে হবে।

* বয়স ও ইল্‌মে কম- এরূপ লোকেরা মজলিসে বয়স বা ইল্‌মে বড়দের চেয়ে আগে বেড়ে কথা বলবে না।

* মজলিসে পৌঁছে যেখানেই স্থান হয় সেখানেই বসে যাওয়া। লোকদেরকে ঠেলে মধ্যে বা সামনে গিয়ে বসা কিংবা অপরকে তার স্থান থেকে সরিয়ে সেখানে বসা মাকরূহ। অবশ্য মজলিসের লোকেরা যদি তাকে এরূপ আগে বাড়িয়ে দেয় তাহলে তা মাকরূহ হবে না।

* অনুমতি ব্যতীত দু’জন ব্যক্তিকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে তাদের মাঝখানে না বসা। কেননা তাদের মধ্যে বিশেষ আন্তরিকতা বা কোন গোপন কথা থাকতে পারে।

* যখন মজলিসে কোন ব্যক্তি আগমন করে এবং তার বসার স্থান সংকুলান না হয়, তখন সেখানে বসা লোকদের উচিত একটু চেপে বসে জায়গা প্রশস্ত করে আগন্তুক ব্যক্তির জন্য স্থান করে দেয়া।

* আগন্তুক ব্যক্তি প্রকৃত সম্মানার্হ্য ব্যক্তি হলে তার সম্মানার্থে কিংবা আগন্তুকের উদ্দেশ্যে না দাঁড়ালে কোন ক্ষতি হওয়ার বা হাজত পূর্ণ না হওয়ার আশংকা থাকে এরূপ প্রয়োজনে দাঁড়ানোর অনুমতি আছে। আগন্তুক স্নেহভাজন ব্যক্তি হলেও স্নেহ প্রদর্শনার্থে দাঁড়ানো যায়।

* কেউ মজলিস থেকে উঠে গেলে এবং পুনরায় তার উক্ত স্থানে ফিরে আসার সম্ভাবনা থাকলে তার স্থানে অন্য কেউ বসবে না।

* ওয়াজ-নছীহত ও বয়ানের মজলিস হলে সকলে খুব মিলে মিশে বসবে।

* মজলিস কেবলামুখী হওয়া উত্তম।

* কোন মজলিসে তিনজন লোক থাকলে একজনকে বাদ দিয়ে অপর দুজনে একান্তে কোন কথা বলবে না, কেননা এতে তৃতীয়জন এই ভেবে মনে ব্যথা পেতে পারে যে, তাকে তাদের কথা শোনার অযোগ্য ভাবা হচ্ছে।

* মজলিসে কারও দিকে পা বাড়িয়ে বসা বে-আদবী।

* কোন মোবারক মাহফিলে যাওয়ার জন্য গোসল করে নেয়া উত্তম

* মশওয়ারার মজলিস হলে প্রথমে এই দোয়া পড়ে নিবে-

اللهم الهمنا مراشد أمورنا وأعذنا من شرور أنفسنا ومن سيئات أعمالنا –

অর্থ : হে আল্লাহ, আমাদের জন্য সঠিক বিষয়টি আমাদের অন্তরে উদিত করে দাও এবং নসের ধোঁকা হতে ও কুকর্ম হতে আমাদেরকে রক্ষা কর।

* মজলিস শেষে নিম্নোক্ত দোয়া পড়ে নিলে উক্ত মজলিসে সংঘটিত পাপ-ত্রুটির কাফ্ফারা হয়ে যায়।

سبحانك اللهم وبحمدك أشهد أن لا إله إلا أنت أستغفرك واتوب اليك –

সমাপ্ত: সভা/মজলিসের সুন্নাত ও আদব সমূহ।
সূত্র: আহকামে যিন্দেগী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright Notice

কপি করা নিষিদ্ধ!