Skip to content

 

Wait...❤😘 Show love? ⬇⬇⬇

সমন্বিত হাঁস মুরগি ও মাছ চাষ ব্যবস্থাপনা + মাছ ও হাঁস চাষ পদ্ধতি একসাথে, হাঁস ও মাছ সমন্বিত চাষ + মুরগি ও মাছ সমন্বিত চাষ, মাছ ও মুরগি চাষ পদ্ধতি একসাথে, মুরগি ও মাছের খামার

ও হাঁস চাষ পদ্ধতি একসাথে মিশ্র চাষ হাঁস ও মাছ সমন্বিত চাষ মুরগি ও মাছ সমন্বিত চাষ
Table of contents

বিষয়: সমন্বিত হাঁস মুরগি ও মাছ চাষ ব্যবস্থাপনা + মাছ ও হাঁস চাষ পদ্ধতি একসাথে, হাঁস ও মাছ সমন্বিত চাষ + মুরগি ও মাছ সমন্বিত চাষ, মাছ ও মুরগি চাষ পদ্ধতি একসাথে, মুরগি ও মাছের খামার।
হ্যাশট্যাগ:#সমন্বিত হাঁস মুরগি ও মাছ চাষ ব্যবস্থাপনা#মাছ ও হাঁস চাষ পদ্ধতি একসাথে#হাঁস ও মাছ সমন্বিত চাষ#মুরগি ও মাছ সমন্বিত চাষ,#মাছ ও মুরগি চাষ পদ্ধতি একসাথে#মুরগি ও মাছের খামার

হাঁস ও মুরগির সমন্বিত চাষ কি?

বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে পুকুরে হাঁস-মুরগি ও মাছ একই সময়ে উৎপাদন করার পদ্ধতিকে সমন্বিত চাষ বলা হয়।

বাংলাদেশে পুকুরের সংখ্যা প্রায় ১৩ লক্ষের উপরে। এসব পুকুরের অধিকাংশই মজা বা অব্যবহৃত অবস্থায় রয়েছে। অর্থাভাবে সার ও মাছের খাদ্য সরবরাহ করতে না পারায় এসব পুকুরে উৎপাদন খুব কম বা নেই বললেই চলে।

অন্যদিকে এদেশে হাঁস-মুরগি পালন বহুল প্রচলিত। এক হিসাবে দেখা গেছে, বাংলাদেশে প্রায় নিয়মিত ১৪ কোটি ৫০ লক্ষ মুরগি, ১ কোটি ৯০ লক্ষ হাঁস আছে। কিন্তু হাঁস-মুরগির বিষ্ঠা উৎপাদনমূলক কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে না।

পুকুরে হাঁস-মুরগির সমন্বিত চাষ পদ্ধতিতে হাঁস-মুরগির বিষ্টা পুকুরের জৈব সার উৎপাদক ও সরাসরি মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। হাঁস-মুরগি-মাছ সমন্বিত চাষ পদ্ধতিতে পুকুরে সার ও খাদ্য সরবরাহ ছাড়াই মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায়।

তাছাড়া পুকুরে পানির উপর হাঁস-মুরগির ঘর তৈরি করা হয়। এ জন্য হাঁস-মুরগি পালনে বাড়তি জমির প্রয়োজন হয় না।

হাঁস ও মাছ সমন্বিত চাষে: উপকারিতা

  1. হাঁসের বিষ্ঠা উৎকৃষ্ট সার, পুকুরে হাঁস পালন করলে মাছের জন্য কোনো সম্পূরক খাদ্য সরবরাহের প্রয়োজন হয় না।
  2. কোনো কোনো মাছ এবং হাঁসের বিষ্ঠা সরাসরি খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে।
  3. পানিতে পড়ে যাওয়া হাঁসের খাদ্য মাছের সম্পূরক খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
  4. হাঁস পুকুরের শামুক, ঝিনুক খেয়ে ফেলে। ফলে মাছকে আক্রান্ত করে এমন কিছু পরজীবীর জীবনচক্র বিনষ্ট হয়ে যায়।
  5. এছাড়া হাঁস পুকুরের ব্যাঙ, মশা ও অন্যান্য জলজ পোকা খেয়ে পুকুরের পরিবেশ ভালো রাখে।
  6. হাঁস পুকুরে সাঁতার কাটার সময় বাতাস থেকে অক্সিজেন পানিতে মিশে যায়। এ অক্সিজেন মাছের জন্য প্রয়োজনীয়।
  7. খাদ্যের অন্বেষণে হাঁস পানিতে ডুব দিয়ে পুকুরের তলায় মাটি নাড়াচাড়া করে মাটির সারবস্তু পানিতে মিশিয়ে দেয়। ফলে পানির উৎপাদিকা শক্তি বেড়ে যায়। এ প্রক্রিয়ার ফলে পুকুরের তলায় মাটিতে জমে থাকা বিষাক্ত গ্যাস বের হয়ে যায়।

হাঁস ও মাছ সমন্বিত চাষে: হাঁসের ঘর

  • হাঁসের ঘর নির্মাণ করার জন্য পুকুরের নিরিবিলি জায়গা বেছে নিতে হয়। পুকুরের পাড় থেকে দূরে যেখানে পানির গভীরতা বেশি সেখানে হাঁসের ঘর তৈরি করা উচিত। তাতে শুষ্ক মৌসুমে পুকুরের পানি কমে গেলেও হাঁসের ঘর শুকনো জায়গায় পড়ে না। পানির উপরে ভাসমান অথবা স্থায়ী দুই জাতের ঘর তৈরি করা যায়। পুকুরের পাড়েও ঘর তৈরি করা যায়।
  • সাধারণত প্রতিটি পূর্ণ বয়স্ক হাঁসের জন্য ২,৭০০ বর্গসেন্টিমিটার জায়গার দরকার। অর্থাৎ যদি ৩০টি হাঁসের জন্য ঘর নির্মাণ করতে হয় তবে ঘরটির আয়তন কমপক্ষে১০ বর্গমিটার হওয়া উচিত, ঘরের উচ্চতা ২.২৫ মিটার।
  • ঘরের ছাদ টিন, খড়, ছন দ্বারা তৈরি করা যায়। তবে ঘরের মেঝে বাঁশের বাতা দ্বারা এমনভাবে তৈরি করতে হয় যাতে হাঁসের বিষ্ঠা সরাসরি পানিতে পড়ে যায়। মেঝেতে পর পুকুরের উপর হাঁসের ঘর তৈরি করা যায়, হাঁসের জন্য আলাদা জমির প্রয়োজন হয় না।
  • জলজ উদ্ভিদ দমনেও মাছ ও হাঁস চাষে হাঁসের অনেক ভূমিকা রয়েছে।
  • পর সাজানো বাঁশের বাতার দূরত্ব ১ সেন্টিমিটার হওয়া উচিত। কারণ, দূরত্ব বেশি হলে তাতে হাঁসের পা আটকে যেতে পারে। হাঁসের সম্পূর্ণ বিষ্ঠা সরাসরি পানিতে না পড়লে পানি দিয়ে তা পরিষ্কার করে দিতে হবে।
See also  রুই জাতীয় মাছের পোনা চাষ

হাঁস ও মাছ সমন্বিত চাষে: জাত নির্বাচন

সমন্বিত চাষ পদ্ধতিতে ইন্ডিয়ান রানার বা খাকি ক্যাম্বেল্ ও জিডিং জাতের হাঁস পালার জন্য নির্বাচন করা হয়। কারণ, ইন্ডিয়ান রানার বছরে ২০০ থেকে ২৫০টি, জিন্‌ডিং ও খাকি ক্যাম্বেল্২৩০ থেকে ২৫০টি ডিম দিয়ে থাকে।

হাঁস ও মাছ সমন্বিত চাষে: পুকুর প্রস্তুতকরণ

  • পুকুর মাছ চাষের উপযোগী করতে হয়। এ জন্য পুকুর থেকে রাক্ষুসে মাছ যেমন— শোল, বোয়াল, গজার, আইড় ও টাকি সরিয়ে ফেলতে হবে। পুকুরে অবাঞ্ছিত মাছের জন্য রোটেনন্ ৩৫ গ্রাম প্রতি শতাংশে ব্যবহার করা হবে অথবা পানি নিষ্কাশন করে মাছ অপসারণ করা হয়।
  • পুকুর থেকে জলজ আগাছা শিকড়সহ তুলে ফেলতে হবে। পুকুরের তলদেশে হতে কাদা, পচা পাতা আবর্জনা পরিষ্কার করতে হয়। পুকুরের তলদেশ যদি অসমান থাকে তা সমান করে দিতে হবে। পুকুর পাড় উঁচু নিচু থাকলে তা সমান করে দিতে হবে। পুকুর পাড়ে বেশি জঙ্গল থাকলে কিছু কেটে আরো বাতাসের ব্যবস্থা করতে হবে।
  • পুকুরের পানি নিষ্কাশন করার পর প্রতি শতকে ১ কেজি চুন ছিটিয়ে দিতে হয়। পুকুরে যদি বিষ প্রয়োগ করা হয় তাহলে বিষ প্রয়োগের ৭ দিন পর চুন ব্যবহার করতে হবে। চুন ব্যবহারের ৭ দিন পর পুকুরের উপর নির্মিত ঘরে হাঁসের বাচ্চা আনা যাবে। হাঁসের বাচ্চা আনার ১০ থেকে ১২ দিন পর পুকুরে মাছ ছাড়তে হবে। সমন্বিত চাষ পদ্ধতিতে পুকুর প্রস্তুতকরণের পর সঠিকভাবে মাছের প্রজাতি নির্বাচন করা প্রয়োজন।

হাঁস ও মাছ সমন্বিত চাষে: পুকুরে মাছের জাত নির্বাচন

এ চাষ পদ্ধতিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ মাছের খাদ্য পুকুরের তলায় জমা হয়। এ জন্য মৃগেল, কালবাউস ও কমন্কার্প জাতীয় মাছ ছাড়তে হয়। কারণ, এ জাতীয় মাছ পুকুরের তলায় জমাকৃত খাদ্য খায়। এছাড়া পুকুরে গ্রাস্কার্প মাছ ছাড়া ভালো।

হাঁস ও মাছ সমন্বিত চাষে: মাছের ওজন পরীক্ষা

প্রতি মাসে একবার জাল টেনে মাছের ওজন পরীক্ষা করে দেখতে হয়। মাছের বৃদ্ধি কম হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্থানীয় মৎস্য কর্মকর্তার পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।

হাঁস ও মাছ সমন্বিত চাষে: মাছ ধরা

সাধারণত ১০ থেকে ১২ মাস পর মাছ বিক্রি উপযোগী হয়। এ সময় মাছ বাজারজাত করে পুনরায় ৭-৮ সেন্টিমিটার আকারে সিল্ভার কার্পের পোনা ছাড়তে হয়।

See also  হাঁস মুরগি পালনের গুরুত্ব, সুবিধা, উপকারিতা ও প্রয়োজনীয়তা

হাঁস ও মাছ সমন্বিত চাষে: মাছের রোগ দমন

মাছের রোগ দেখা দিলে চিকিৎসা করা বেশ কঠিন। বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে পুকুর প্রস্তুতকরণ মাছের রোগ দমনের প্রধান শর্ত। তবে রোগ দেখা দিলে স্থানীয় মৎস্য কর্মকর্তার পরামর্শ নেওয়া উচিত।

হাঁস ও মাছ সমন্বিত চাষে: হাঁসের খাদ্য ব্যবস্থাপনা

  • হাঁসের প্রাকৃতিক খাদ্য- পুকুর থেকে হাঁস প্রাকৃতিক খাবার খায়। পুকুরের আগাছা, ক্ষুদে পোনা, পোকা-মাকড়, কচি ঘাস, পাতা, ঝিনুক, শামুক, ছোট মাছ ইত্যাদি খেয়ে হাঁস তার খাদ্যের প্রয়োজনের প্রায় অর্ধেক মেটায়। বাকি প্রয়োজন মেটানোর জন্য হাঁসকে সুষম খাদ্য দিতে হয়।
  • খাদ্য সামগ্রী- ভাঙা গম, গমের ভুষি, চালের কুঁড়া, তিলের খইল, সয়াবিন ও মাছের গুঁড়া একত্রে মিশিয়ে হাঁসকে খাওয়াতে হয়।
  • বাচ্চা হাঁসের খাবারে আমিষের পরিমাণ শতকরা ২১ ভাগ ও ডিম দেওয়া হাঁসের জন্য আমিষের পরিমাণ শতকরা ১৮ ভাগ রাখতে হবে। ভিটামিন মিনারেল্ প্রিমিক্স ১.৫ গ্রাম/প্রতি কেজি খাদ্যে মেলাতে হয়। হাঁসকে খাওয়ানোর সময় প্রয়োজনমতো পানি মিশিয়ে দিতে হবে।
  • খাবারের পাত্রগুলোর কাঠের, টিনের বা এ্যালুমিনিয়ামের হতে পারে। বাচ্চা হাঁসকে খাওয়ানোর জন্য পাত্রের গভীরতা কম থাকতে হবে।
  • হাঁসের খাদ্য- হাঁস ভেজা খাবার পছন্দ করে। হাঁসের খাদ্যে সবসময় পানি মিশিয়ে দিতে হয়। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খাওয়াতে হয়। হাঁসের খাদ্য ও পানি আলাদা পাত্রে দিতে হয়।
  • সাধারণত ১-২ মাস বয়স পর্যন্ত হাঁসকে দিনে ৪-৫ বার করে খাবার দিতে হয়। ৮ সপ্তাহ বয়স থেকে ২-৩ বার এবং বাড়ন্ত হাঁসকে ২ বার খাওয়াতে হয়। প্রাপ্ত বয়স্ক একটি হাঁসকে প্রতিদিন ১১০ গ্রাম খাদ্য দিলে চলে।
  • সকাল ৯টার দিকে হাঁসকে প্রথমবারের মতো খাওয়াতে হবে। তারপর পুকুরে ছেড়ে দিতে হবে। বিকালে সুর্যাস্তের আগেই আবার খাবার খাওয়াতে হবে। খাওয়ানোর পর ঘরে তুলতে হবে। রাতের জন্য পানি ও খাবার দিয়ে রাখতে হবে তাতে হাঁস রাতে ইচ্ছেমতো খাবার ও পানি খেতে পারবে।
  • সমন্বিত হাঁস ও মাছ চাষ পদ্ধতিতে পুকুরে মাছের আলাদা খাদ্য বা সার প্রয়োগ করা হয় না। কারণ, হাঁসের বিষ্ঠা ও উচ্ছিষ্ট খাদ্য মাছের খাদ্যের পরিপূরক হিসেবে কাজ করে।

হাঁস ও মাছ সমন্বিত চাষে: হাঁস-মাছের সংখ্যা নির্ণয়

  • হাঁসের সংখ্যা নির্ণয়- প্রতি শতক পুকুরে ২টি হাঁস পালন করলে পুকুরে মাছের জন্য আলাদা খাদ্য সরবরাহ করতে হয় না। হাঁসের বয়স আড়াই বছর হলে বাজারজাত ও বিক্রির ব্যবস্থা করে সমান সংখ্যক নতুন হাঁসের বাচ্চা সংগ্রহ করতে হয়।
  • মাছের সংখ্যা নির্ণয়- মিশ্র চাষ পদ্ধতিতে প্রতি শতকে ২৫টি মাছের পোনা ছাড়া যায়। হাঁস পালন পুকুরে ৮-১০ সেন্টিমিটার আকারের মাছের পোনা ছাড়তে হয়। এ আকারের মাছ হাঁসের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারে। মাছের ওজন ৪ গ্রামের কম হলে হাঁস মাছ খেয়ে ফেলতে পারে।

মুরগি ও মাছ সমন্বিত চাষ

হাঁস ও মাছ চাষ করার জন্য যে পুকুর তৈরি করা হয় ঐ পুকুরে মাছের সঙ্গে মুরগি ও চাষ করা যায়। হাঁসের মতো এক্ষেত্রেও মুরগির উচ্ছিষ্ট খাবার ও বিষ্ঠা মাছের খাদ্য ও পুকুরের জৈব সার উৎপাদক হিসেবে কাজ করে। বর্তমানে বাংলাদেশে মুরগির সংখ্যা প্রায় ১৩ কোটি ৫০ লক্ষের মতো। এদের সমন্বিত পদ্ধতিতে চাষ করে উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব।

মুরগি ও মাছ সমন্বিত চাষে: সুবিধা

  1. পুকুরের উপর মুরগির ঘর তৈরি করা হয় বলে আলাদা জায়গার প্রয়োজন হয় না।
  2. মুরগির বিষ্ঠা সরাসরি পানিতে পড়ে।
  3. মুরগির বিষ্ঠা পুকুরের সার প্রয়োগ দেয়।
See also  দেশি ছোট মাছের চাষ: মলা, চেলা ও পুঁটি মাছের চাষ, পাবদা মাছের চাষ, গুলশা মাছের চাষ, দেশি সরপুঁটির চাষ, কই মাছের চাষ

মুরগি ও মাছ সমন্বিত চাষে: মুরগির ঘর তৈরি

  • পুকুরের নিরিবিলি জায়গা মুরগির ঘর তৈরির জন্য নির্বাচন করতে হবে।
  • জায়গাটা আলো বাতাসপূর্ণ থাকতে হবে। প্রয়োজনে জঙ্গল কেটে পরিষ্কার করে দিতে হবে।
  • পুকুরের উপর মুরগির ঘর তৈরি করলে ঘরের মেঝে বাতা দিয়ে তৈরি করতে হবে। মেঝেতে একটি বাতা হতে অন্যটির সামান্য দূরত্ব থাকা উচিত যাতে বাতার ফাঁকে মুরগির পা ঢুকে না পড়ে। আবার ফাঁক দিয়ে মুরগির বিষ্ঠা ও উচ্ছিষ্ট খাবার সরাসরি পানিতে পড়তে পারে।
  • ঘর আয়তকার হওয়া উচিত এবং পুকুরের পানির গভীরতা কমপক্ষে ১ মিটার হতে হবে যাতে শুকনো মৌসুমে পানি কমে গেলেও মুরগির বিষ্ঠা ও উচ্ছিষ্ট খাদ্য পানিতে পড়তে পারে।
  • দীর্ঘ স্থায়িত্বের জন্য ঘর দোচালা করাই ভালো। ঘরের মেঝে থেকে ২০০-২৫০ সেন্টিমিটার উঁচুতে চালা দিতে হবে। ঘরের চারদিক ৬০ সেন্টিমিটার উচ্চতা পর্যন্ত বাঁশের শক্ত চাতাই দিয়ে ঘিরে দিতে হবে যেন ঘরে ঠিকভাবে আলো বাতাস আসে। শীত অথবা গ্রীষ্মকালে ছনের ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা সহজ।

মুরগি ও মাছ সমন্বিত চাষে: প্রজাতি নির্বাচন

অধিক মাংস উৎপাদনের জন্য স্টারব্রো ব্রয়লার জাতীয় মুরগি উত্তম। অধিক ডিম উৎপাদনের জন্য স্টার ক্রস্, ইসা ব্রাউন্ ও লোহম্যান জাতীয় লেয়ার মুরগি নির্বাচন করা যেতে পারে।

মুরগি ও মাছ সমন্বিত চাষে: পুকুর প্রস্তুতকরণ

হাঁস ও মাছের অনুরূপ।

মুরগি ও মাছ সমন্বিত চাষে: মুরগির ও মাছের খাদ্য ও মুরগির সংখ্যা

  • মুরগি খাদ্য: মুরগির খাদ্য গম, চাউলের কুঁড়া, তিলের খইল, মাছের গুঁড়া ও লবণ মিশিয়ে তৈরি করা হয়। ব্রয়লার মুরগির সুষ্ঠু বৃদ্ধির জন্য এবং ডিম পাড়া মুরগির ডিম উৎপাদনের হার বৃদ্ধির জন্য এদেরকে সুষম খাদ্য দিতে হবে। যা পূর্বের (হাঁস ও মাছ চাষ এ) বর্ণনা করা হয়েছে।
  • মাছের খাদ্য: সমন্বিত চাষ পদ্ধতিতে মাছের খাদ্য ব্যবস্থাপনায় তেমন ঝামেলা নেই। কারণ, মুরগির বিষ্ঠা ও উচ্ছিষ্ট খাবার পুকুরের পানিতে পড়ে। এ বিষ্ঠা ও উচ্ছিষ্ট মাছের খাদ্য হিসেবে পুকুরে ব্যবহৃত হয়। এক্ষেত্রে মাছের খাদ্য ও সার সরবরাহের প্রয়োজন হবে কিনা সেটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে পুকুরের মুরগির ঘনত্ব বা সংখ্যা উপর।
  • মুরগির সংখ্যা: প্রতি শতক পুকুরে ২টি মুরগি পালন করলে মাছ উৎপাদনের জন্য কোনো প্রকার সার বা খাদ্যের প্রয়োজন হয় না। মুরগির এ ঘনত্বে পুকুরের পানিও দূষিত হয় না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright Notice

কপি করা নিষিদ্ধ!