🛑মুসলমানেরা অশিক্ষিত এবং পশ্চাৎপদ!
🔷উত্তর :-ইসলাম এত দ্রুত বিকাশ লাভ করার অন্যতম কারণ হল, ইসলাম উদারতা, সহজ-সরল রীতি ও আদর্শের দিকে আহবান জানায়।
ইসলাম মানুষকে তার বিবেক ও জ্ঞানকে কাজে লাগাতে উৎসাহিত করেছে। মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে মানুষের প্রতি প্রথম বাণী হল, “পড়”।
আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “জ্ঞানার্জন করা প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরয।” এই নির্দেশকে পালন করতে গিয়ে অতি অল্প সময়ে বিরাট এক সভ্যতা প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেল। মুসলমানগণ দিকে দিকে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিল। প্রতিষ্ঠিত হল বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়।
ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, বিভিন্ন আবিস্কার, চিকিৎসা, অংক, ফিজিক্স, জ্যোতির্বিদ্যা, ভূগোল, নির্মাণ শিল্প, সাহিত্য ও ইতিহাসে মুসলমানগণ পৃথিবীর নেতৃত্ব প্রদান করেছে। জ্ঞান-বিজ্ঞানে বিভিন্ন শাখায় তাদের রচিত গ্রন্থগুলো শত শত বছর ধরে ইউরোপের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্ঞান-গবেষণার মূল উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়ে এসেছে।
মধ্যযুগে মুসলিম মনিষীদের আবিষ্কৃত অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ইউরোপে প্রবেশ করে। তম্মধ্যে জ্যামিতি, আরবী সংখ্যা, শূন্যের ধারণা (যাকে অংকের প্রাণ বলা হয়) ইত্যাদি। অনুরূপভাবে আধুনিক আবিষ্কারের ক্ষেত্রেও মুসলমানগণ ঐতিহাসিক অবদান রেখেছে যার হাত ধরে আজকের ইউরোপ নব নব আবিস্কার আর বিজ্ঞানের উৎকর্ষ সাধন করতে সক্ষম হয়েছে। সে সব আবিষ্কারের অন্যতম হল, স্টার ল্যাব, উচ্চতা পরিমাপক যন্ত্র, নৌপথের মানচিত্র ইত্যাদি।