Skip to content

 

Wait...❤😘 Show love? ⬇⬇⬇

সংগম/সহবাসের সুন্নাত, আদব ও বিধি-নিষেধ সমূহ

সংগম/সহবাসের সুন্নাত, আদব ও বিধি-নিষেধ সমূহ

বিষয়: সংগম/সহবাসের সুন্নাত, আদব ও বিধি-নিষেধ সমূহ।
হ্যাশট্যাগ: সংগম/সহবাসের সুন্নাত, আদব ও বিধি-নিষেধ সমূহ।

সংগম/সহবাসের সুন্নাত, আদবঃ

১. সংগম শুরু করার পূর্বে নিয়ত সহীহ করে নেয়া; অর্থাৎ, এই নিয়ত করা যে, এই হালাল পন্থায় যৌন চাহিদা পূর্ণ করা দ্বারা হারামে পতিত হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে, তৃপ্তি লাভ হবে এবং তার দ্বারা কষ্ট সহিষ্ণু হওয়া যাবে, ছওয়াব হাছেল হবে এবং সন্তান লাভ হবে।

২. কোন শিশু বা পশুর সামনে সংগমে রত না হওয়া।

৩. পর্দা ঘেরা স্থানে সংগম করা।

৪. সংগম শুরু করার পূর্বে শৃঙ্গার (চুম্বন, স্তন মর্দন ইত্যাদি) করবে।

৫. বীর্য, যৌনাঙ্গের রস ইত্যাদি মোছার জন্য এক টুকরা কাপড় রাখা।

৬. বিসমিল্লাহ বলে কার্য শুরু করা।

৭. শয়তান থেকে পানাহ চাওয়া। উভয়টিকে একত্রে এভাবে বলা :

بسم الله اللهم جنبنا الشيطان وجنب الشيطان ما رزقتنا

অর্থঃ আমি আল্লাহর নাম নিয়ে এই কাজ আরম্ভ করছি। হে আল্লাহ, শয়তানকে আমাদের থেকে দূরে রাখ এবং যে সন্তান তুমি আমাদেরকে দান করবে তার থেকেও শয়তানকে দূরে রাখ।

৮. সংগম অবস্থায় বেশী কথা না বলা।

৯. সংগম অবস্থায় স্ত্রী-যোনীর দিকে নজর না দেয়া। হযরত ইবনে ওমর (রাঃ) সংগম অবস্থায় স্ত্রী-যোনীর দিকে দৃষ্টি দেয়া উত্তেজনা বৃদ্ধির সহায়ক বিধায় এটাকে উত্তম বলতেন।

১০. বীর্যপাতের সময় নিম্নোক্ত দোয়া পড়বে-

اللهم لا تجعل للشيطان فيما رزقتني نصيبا

অর্থঃ হে আল্লাহ, যে সন্তান তুমি আমাদেরকে দান করবে তার মধ্যে শয়তানের কোন অংশ রেখ না।

১১. বীর্যের প্রতি দীর্ঘ দৃষ্টি না দেয়া।

১২.বীর্যপাতের পরই স্বামীর নেমে না যাওয়া বরং স্ত্রীর উপর অপেক্ষা করা, যেন স্ত্রীও তার খাহেশ পূর্ণ মাত্রায় মিটিয়ে নিতে পারে।

১৩. সংগম শেষে পেশাব করে নেয়া জরুরী।

১৪.সংগমের পর সাথে সাথে গোসল করে নেয়া উত্তম। অন্ততঃ উযূ করে নেয়া।

১৫.স্বপ্নদোষের পর সংগম করতে হলে পেশাব করে নিবে এবং যৌনাঙ্গ ধুয়ে নিবে।

১৬.এক সংগমের পর পুনর্বার সংগমে লিপ্ত হতে চাইলে যৌনাঙ্গ এবং হাত ধুয়ে নিতে হবে।

১৭. সংগমের পর অন্ততঃ কিছুক্ষণ ঘুমানো উত্তম।

১৮. জুমুআর দিন সংগম করা মোস্তাহাব ৷

১৯.সংগমের বিষয় কারও নিকট প্রকাশ করা নিষেধ। এটা একদিকে নির্লজ্জতা, অন্যদিকে স্বামী/স্ত্রীর হক নষ্ট করা।

হায়েয নেফাস অবস্থায় সহবাস/সংগম ইত্যাদির বিধি-নিষেধঃ

* হায়েয নেফাস অবস্থায় যৌন সংগম থেকে বিরত থাকা ফরয এবং যৌন সংগমে লিপ্ত হওয়া হারাম।

* হায়েয অবস্থায় স্বামীর সঙ্গে একত্রে শয়ন ও একত্রে পানাহার অব্যাহত রাখা সুন্নাত। (এতে মাজুসী বা অগ্নিপূজকদের বিরুদ্ধাচরণ করা হয়।)

* পুরাতন আকর্ষণহীন কাপড়-চোপড় পরিহিত থাকবে, যাতে তাকে দেখলে স্বামীর উত্তেজনা হ্রাস পায়, বৃদ্ধি না ঘটে।

* হায়েয নেফাস অবস্থায় নামায পড়বে না।

* নামাযের সময়ে উযূ করে নামাযের স্থানে নামায আদায় পরিমাণ সময় বসে থেকে সুবহানাল্লাহ, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ পড়তে থাকবে, যেন ইবাদতের অভ্যাস বজায় থাকে। এটা মোস্তাহাব।

* হায়েয অবস্থায় মহিলা প্রতি নামাযের ওয়াক্তে সত্তর বার পড়া।

এস্তেগফার জানাবাত (বে-গোসল) অবস্থার বিশেষ বিধি-নিষেধ সমূহঃ

* জানাবাত অবস্থায় নখ, কাটা বা নাভির নীচের হাজামত (ক্ষৌরকার্য) বানানো মাকরূহ। (মাকরুহ হলো যে কাজ করা জায়েজ আছে কিন্তু না করাই উত্তম।)

* জানাবাত অবস্থায় মসজিদে গমন করা, কাবা শরীফ তওয়াফ করা, কুরআন শরীফ স্পর্শ করা বা তিলাওয়াত করা এবং নামায পড়া নিষেধ। তবে দোয়া হিসেবে কোন আয়াত পড়তে পারে।

* জানাবাত অবস্থায় কালিমা, দুরূদ শরীফ, যিকির, এস্তেগফার বা কোন ওজীফা পাঠ করতে নিষেধ নেই।

* জানাবাত অবস্থায় কুলি করা ব্যতীত পানি পান করা মাকরূহ তানযীহী। (মাকরূহ তানযীহী যা না করলে ভালো কিন্তু করলেও পাপ বা শাস্তি নেই।)

* জানাবাত অবস্থায় হাত ধোয়ার পূর্বে কিছু পানাহার করা মাকরূহ তানযীহী।

সমাপ্ত: সংগম/সহবাসের সুন্নাত, আদব ও বিধি-নিষেধ সমূহ।
সূত্র: আহকামে যিন্দেগী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright Notice

কপি করা নিষিদ্ধ!