বিষয়: সুপারিশ সম্পর্কে ইসলামের নীতিমালা।
হ্যাশট্যাগ: #সুপারিশ সম্পর্কে ইসলামের নীতিমালা।
কারও কার্যোদ্ধার করে দেয়ার জন্য যে সুপারিশ করা হয়, তার মধ্যে এক প্রকার সুপারিশ হল বৈধ ও ভাল সুপারিশ। এরূপ সুপারিশ করলে ছওয়াব লাভ হয়। যে কার্য উদ্ধারের জন্য সুপারিশ করা হবে উক্ত কার্য যে করবে সে যে পরিমাণ ছওয়াব লাভ করবে, সুপারিশকারী ব্যক্তিও সে পরিমাণ ছওয়াব লাভ করবে; চাই তার সুপারিশ কার্যকরী ও সফল হোক বা না হোক। আর এক প্রকার সুপারিশ হল অবৈধ ও মন্দ সুপারিশ। এরূপ সুপারিশ করলে পাপ হয়। যে অবৈধ কাজের জন্য সুপারিশ করা হবে সে কাজ করলে যে পাপ হবে অবৈধ সুপারিশেও সে পরিমাণ পাপ হবে।
বৈধ ও ভাল সুপারিশের জন্য শর্ত হলঃ
১. যার পক্ষে সুপারিশ করা হবে তার দাবী সত্য ও বৈধ হতে হবে।
২. যার নিকট সুপারিশ করা হবে, সুপারিশকারী তার উপর নিজের প্রভাব-প্রতিপত্তি খাটিয়ে চাপ ও জবরদস্তী প্রয়োগ করতে পারবে না। সারকথা- বৈধ বিষয়ের জন্য বৈধ পন্থায় সুপারিশ করা হল ভাল সুপারিশ।
সুপারিশ মন্দ এবং অবৈধ হয়ে যায় নিম্নোক্ত কারণেঃ
১. কোন অবৈধ এবং অসত্য দাবী আদায়ের জন্য সুপারিশ করলে।
২. সুপারিশের পন্থা অবৈধ হলে। সুপারিশকারী ব্যক্তি যদি নিজের প্রভাব প্রতিপত্তি ও পদবলের ভিত্তিতে যার নিকট সুপারিশ করা হবে তার উপর চাপ সৃষ্টি করে তার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে, যার ফলে অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাকে কাজ করতে বাধ্য হতে হয়, তাহলে এরূপ পন্থায় সুপারিশ করা হল অবৈধ পন্থায় সুপারিশ। এভাবে কার্যোদ্ধার করা হারাম।
সমাপ্ত: সুপারিশ সম্পর্কে ইসলামের নীতিমালা।
সূত্র: আহকামে যিন্দেগী।