বিষয়: স্বামীকে বশ করার পদ্ধতি ও মাসায়েল।
হ্যাশট্যাগ: #স্বামীকে বশ করার পদ্ধতি ও মাসায়েল।
স্বামীকে বশ করার পদ্ধতি ও মাসায়েল
* স্বামীকে বশীভূত করার অর্থ যদি এই হয় যে, স্বামী স্ত্রীর বাধ্যগত হয়ে থাকবে, তার কথায় স্বামী উঠা-বসা করবে এবং স্ত্রী স্বামীর নাকে রশি লাগিয়ে ঘুরাতে পারবে, এরকম বশীভূত করতে চাওয়া ঠিক নয়। এরকম বশীভূত করার জন্য কোন তাবীজ তুমার করাও হারাম। কেননা, এটা শরী’আতের উদ্দেশ্যের পরিপন্থী।
শরীয়ত চায় স্বামী স্ত্রীর উপর কর্তৃত্ব করবে এবং স্ত্রী স্বামীর অনুগত ও বাধ্যগত থাকবে। তবে হ্যাঁ স্বামী যদি স্ত্রীর প্রতি অসন্তুষ্ট হয়, তাকে যথাযথ ভাল না বাসে, তার হক আদায়ে ত্রুটি করে, তাহলে তাকে বশীভূত করতে চাওয়া এই অর্থে যে, সে স্ত্রীর প্রতি যেন সন্তুষ্ট হয়ে যায়, স্ত্রীকে যেন যথার্থ ভালবাসে, তার হকসমূহ যেন আদায় করে, এরূপ বশীভূত করতে চাওয়া অন্যায় নয়।
স্বামীকে এরূপ বশীভূত করার সবচেয়ে উত্তম পন্থা হল স্ত্রী স্বামীর সাথে খোশামোদ-তোশামোদ করে চলবে, স্বামীর কল্যাণ ও স্বামীর খেদমতের জন্য নিজেকে সম্পূর্ণ নিবেদিত করে দিবে। একথা মনে রাখা দরকার যে, জোরপূর্বক স্বামীকে বশীভূত করা যায় না। কোন স্ত্রী জোর জবরদস্ত্রী করে রাগারাগি করে, জিদ ধরে, তর্কাতর্কি করে, ঝগড়া ফ্যাসাদ করে স্বামীকে স্থায়ীভাবে বশীভূত করতে পারে না। একমাত্র খোশামোদ- তোশামোদ করেই স্বামীকে অনুগত করা যায়।
তবে হ্যাঁ, এভাবেও যদি স্বামীকে সন্তুষ্ট করতে না পারে, তখন কুরআন হাদীছের যে কোন ঝাড়-ফুঁক বা তাবীজ ব্যবহার করলে করতে পারে। যেমন নিম্নোক্ত (সূরা বাকারাঃ ১৬৫) আয়াত পাঠ পূর্বক কোন মিষ্টান্ন দ্রব্যে দম করে স্বামীকে খাওয়ানো হলে ইনশাআল্লাহ স্বামী স্ত্রীর প্রতি মেহেরবান হয়ে যাবে।
وَ مِنَ النَّاسِ مَنۡ یَّتَّخِذُ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰهِ اَنۡدَادًا یُّحِبُّوۡنَهُمۡ کَحُبِّ اللّٰهِ ؕ وَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اَشَدُّ حُبًّا لِّلّٰهِ ؕوَ لَوۡ یَرَی الَّذِیۡنَ ظَلَمُوۡۤا اِذۡ یَرَوۡنَ الۡعَذَابَ ۙ اَنَّ الۡقُوَّۃَ لِلّٰهِ
তবে উল্লেখ্য যে, অবৈধ স্থানে এরকম করলে কোন আছর হবে না।
সমাপ্ত: স্বামীকে বশ করার পদ্ধতি ও মাসায়েল।
সূত্র: আহকামে যন্দেগী।