Skip to content

 

(৮টি) হাঁস মুরগির রোগ ও প্রতিকার pdf, হাঁস মুরগির রোগ ও চিকিৎসা, হাঁস মুরগির ওষুধ, হাঁস মুরগি পালন প্রশিক্ষণ

হাঁস মুরগির রোগ ও প্রতিকার pdf, হাঁস মুরগির রোগ ও চিকিৎসা, হাঁস মুরগির ওষুধ, হাঁস মুরগি পালন প্রশিক্ষণ
Table of contents

হাঁস-মুরগির রোগ ও প্রতিকার

হাঁস-মুরগি পালনে রোগ ব্যাধি একটি বড় সমস্যা। তাই জানা প্রয়োজন হাঁস মুরগির রোগ ও প্রতিকার সমূহ কি। বাংলাদেশে প্রতি বছরে বিভিন্ন রোগে বহু হাঁস-মুরগি মারা যায়। এতে কৃষকেরা আর্থিকভাবে অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এথেকে রেহাই পেতে হলে হাঁস-মুরগিকে রোগের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। হাঁস-মুরগির রোগের ব্যাপারে বিশেষ ভাবে মনে রাখতে হবে যে, চিকিৎসার চেয়ে রোগ প্রতিষেধক ব্যবস্থা নেয়া উত্তম। হাঁস-মুরগির নানা প্রকার সংক্রামক ও ছোঁয়াচে রোগে আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে কতকগুলি রোগ অত্যন্ত মারাত্মক। কারণ এ সমস্ত রোগে হঠাৎ আক্রান্ত হয়ে অতি অল্প সময়ে অনেক হাঁস-মুরগি মারা যায়।

নিম্নে আমাদের দেশের হাঁস-মুরগির কয়েকটি প্রধান রোগ যেমন-রানীক্ষেত, বসন্ত, গ্যামবোরো, মারেক্স, ডাক প্লেগ, কলেরা, রক্ত আমাশয়, কৃমি সম্মন্ধে আলোচনা করা হল। এ ছাড়া ভিটামিনের অভাবজনিত কারণে ও হাঁস মুরগি নানা প্রকার রোগে ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

হাঁস মুরগির রোগ ও প্রতিকারঃ

১. রানীক্ষেত

মোরগ-মুরগির সংক্রামক রোগের মধ্যে রানীক্ষেত সবচেয়ে মারাত্মক। আমাদের দেশে প্রতি বছরে এ রোগে অসংখ্য মোরগ-মুরগি মারা যায়। কোন এলাকায় রানীক্ষেত রোগ দেখা দিলে ৫-৭ দিনের মধ্যে সমস্ত এলাকার মোরগ-মুরগি মারা যেতে থাকে। বছরের যে কোন সময় এ রোগ দেখা দিতে পারে। তবে সাধারণত শীতের আগ থেকে শুরু করে শীতের শেষভাগ পর্যন্ত এ রোগের আক্রমন বেশি দেখা যায়। এক প্রকার ভাইরাস দ্বারা রানীক্ষেত রোগ হয়। গ্রামাঞ্চলে এ রোগকে চুনা পায়খানা রোগও বলা হয়।

রানীক্ষেত রোগের লক্ষন

১. আক্রান্ত মোরগ-মুরগির মলের রঙ সাধারণত সাদা চুন, সবুজ-হলদে মিশ্রিত বা লালচেও হতে পারে।

২. ডিম পাড়া বন্ধ হয়ে যায়।

৩. খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দেয় এবং মাথা নিচু করে, চোখ বন্ধ অবস্থায় ঝিমাতে থাকে।

৪. মুখ হা করে নিঃশ্বাস নেয় এবং নাক মুখ দিয়ে শ্লেষ্মা ঝরে। শ্বাস্ নেয়ার সময় অনেক

৫. সময় কক্ কক্ শব্দ করে।

৬. মাথার ঝুটি, কানে লতি, গলার ফুল কালো রঙ এর হয়ে যায়। অনেক সময় আক্রান্ত মুরগির ঘাড় বেঁকে যায়।

৭. মুরগি নিস্তেজ হয়ে পরে, পাখা নিচের দিকে ঝুলে পড়ে, ঠোঁট ও বুক মাটিতে লাগিয়ে বসে থাকে। পাতলা মল পেছনের পালকে লেগে থাকে।

৮. রোগ দেখা দেয়ার দু একদিনের মধ্যেই মুরগি মারা যায়। দু-একটা সেড়ে

তাদের স্বাস্থ্য ও উৎপাদন আগের মত হয় না।

রানীক্ষেত রোগের প্রতিকার

১. মৃত মুরগিকে আগুনে পুড়ে বা মাটির নিচে পুতে ফেলতে হবে।

২. জীবাণু নাশক ওষুধ যেমন-আয়োমান ১-২% পানির সাথে মিশিয়ে খামারের যাবতীয় সরঞ্জামাদি নিয়মিত পরিস্কার করতে হবে।

৩. জীবাণু ও ছত্রাকমুক্ত শুকনো লিটার বা বিছানা মেঝেতে দিতে হবে।

৪. প্রতিষেধক টিকা রানীক্ষেত রোগের হাত থেকে মোরগ-মুরগিকে রক্ষা করার একমাত্র পন্থা। বাংলাদেশের সর্বত্র পশু সম্পদ অফিসের মাধ্যমে এ টিকা বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়।

রানীক্ষেত রোগের টিকা দু প্রকার, যথা-

১. ছোট বাচ্চার জন্য বি, সি, আর, ডি, ভিঃ

বাচ্চা ফুটার পর প্রথম ৭ দিনের মধ্যে এ টিকা দিতে হয়। তবে একদিনের বাচ্চাকেও এ টিকা দেয়া যায়। ১৫ দিন পর আবার একটি বুষ্টার ডোজ টিকা দেয়া ভালো।

ব্যবহার পদ্ধতিঃ শিশির টিকা বীজ ৩ মিঃ লিঃ পরিমান বিশোধিত পানিতে গুলে এটি ড্রপার দিয়ে বাচ্চার প্রতি চোখে ১ ফোঁটা করে দিতে হয়।

২. বড় মুরগিরর জন্য আর, ডি, ভিঃ

দু মাস বয়সের সকল মোরগ-মুরগিকে এ টিকা দিতে হয়। এরপর ৬ মাস অন্তর এটিকা দিতে হয়। কিন্তু, আধুনিক ডিম পাড়া মুরগির খামারে পুলেটকে ১৮ সপ্তাহে ডিম পাড়ার ঘরে স্থানান্তর করার পরই একবার আর, ডি, ভি, দিতে হয়। রোগাক্রান্ত মোরগ মুরগিকে টিকা দেয়া ঠিক নয়।

ব্যবহার পদ্ধতিঃ টিকাবীজের শিশিতে ১০০ সিসি পরিমান বিশোধিত পানি নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে মোরগ-মুরগির রানের মাংসে ১ সিসি করে ইনজেকশন দিতে হয়। তবে আধুনিক পদ্ধতিতে টিকা বীজ মুরগীর পানীয় জলের সাথে মিশ্রন করে বা পালে স্প্রে করেও এ টিকা দেয়া যায়। এসব ক্ষেত্রে টিকা প্রস্তুতকারীর নির্দেশ মোতাবেক ব্যবহার করা উচিত।

হাঁস মুরগির রোগ ও প্রতিকার pdf, হাঁস মুরগির রোগ ও চিকিৎসা, হাঁস মুরগির ওষুধ, হাঁস মুরগি পালন প্রশিক্ষণ

হাঁস মুরগির রোগ ও প্রতিকারঃ

২. বসন্ত রোগ

বসন্ত মোরগ মুরগির একটি সংক্রামক রোগ। যে কোন বয়সে এ রোগ হতে পারে। তবে,

এ রোগে বাচ্চার মৃত্যুহার খুব বেশি। বছরের যে কোন সময়ে এ রোগ হতে পারে। তবে,

আমাদের দেশে সাধারণত আশ্বিন থেকে ফাল্গুন মাস এ রোগ বেশি দেখা যায়। ফাউল পক্স

ভাইরাস নামক এক প্রকার ভাইরাস এ রোগের কারণ।

See also  মুরগির খাবার তালিকা, মুরগির খাবার তৈরি, মুরগির খাবার তৈরির উপাদান, মুরগির খাদ্য তালিকা ও মুরগির খাদ্য তৈরির উপাদান

বসন্ত রোগ রোগের লক্ষণ

১. সাধারণত শরীরের পালকবিহীন স্থানে, ঠোঁটের পাশে, মাথার ঝুঁটিতে, গলার ফুলে, কানের লতি ও চোখের পাতায় গুটি বা ফোস্কা উঠে।

২. গুটিগুলো প্রথমে লাল ও পরে কালো রঙ ধারণ করে। অনেক সময় এ গুলোতে পুঁজ হয় ও পেকে ঘা হতে দেখা যায়। শরীরের অন্যান্য অংশেও এ গুটি উঠতে পারে।

৩. মুখে ঘা হয় বলে খাওয়া কমে যায়।

8. ডিম পাড়া কমে যায়।

৫. চোখ-মুখে ঘা হল, ফুলে উঠে চোখ অন্ধ হয়ে যেতে পারে।

বসন্ত রোগের প্রতিকার

১. মশা-মাছি থেকে মুরগির পালকে রক্ষা করতে হবে। কারণ, মশামাছি রোগের বিস্তার লাভে সহায়তা করে।

২. প্রতিষেধক টিকা দ্বারা এ রোগ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। যে কোন বয়সের মোরগ মুরগিকে এ টিকা দেয়া চলে। সাধারণত ৪-৬ সপ্তাহ বয়সে বসন্ত রোগের টিকা দেয়া হয়। পশু সম্পদ অধিদপ্তরের মাধ্যমে এ টিকা বিতরণ করা হয়।

৩. ক্ষত বা ফোস্কায় ডেটল, পটাস ইত্যাদি দিয়ে পরীক্ষা পরিস্কার করে জীবাণু নাশক ক্রীম বা পাউডার লাগালে সুফল পাওয়া যায়।

বসন্ত রোগের টিকা ব্যবহার পদ্ধতি

শিশির (ভায়ালের) টিকাবীজ প্রথমে বিশোধিত পানিতে ভালোভাবে মিশিয়ে টিকা তৈরি করতে হবে। একটি দু মুখ বিশিষ্ট সুচ ঐ মিশ্রিত টিকায় ডুবিয়ে মুরগির পাখার ভেতর দিকে পালকবিহীন ত্রিকোণার স্থানে ছিদ্র করে এ টিকা দিতে হয়। সাধারণত বছরে ১ বারে টিকা দিতে হয়।

হাঁস মুরগির রোগ ও প্রতিকারঃ

৩. গামবোরো রোগ

এ রোগটি অপেক্ষাকৃত নুতন। ১৯৬২ সালে আমেরিকার গামবোরো নামক স্থানে প্রথম ধরা পড়ে। এজন্যে একে গামবোরো রোগ বলা হয়। এটি একটি ভাইরাসজনিত রোগ এবং ২- ৬ সপ্তাহ বয়সের বাড়ন্ত বাচ্চা এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রক্ষাকারী ‘বার্সা ফেব্রিকাস’ অঙ্গ এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ফলে মুরগির রোগ প্রতিরোধা ক্ষমতা হ্রাস পায়। এজন্যে এ রোগকে ‘সংক্রামক বার্সা’ ও বলা হয়। সাধারণত উষ্ণ অঞ্চলে এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি। আমাদের দেশেও বর্তমানে গ্রামবোরো রোগের রোগের প্রকোপ খুব বেশি। এ রোগে বাচ্চার মৃত্যুহার কম হলেও ব্যাপকহারে ক্ষতিসাধন করে।

গামবোরো রোগের লক্ষল

১. আক্রান্ত বাচ্চাগুলো ঘরের বা ব্রুডারের কোণে জড়ো হয়ে থাকে।

বাচ্চা দুর্বল হয়ে ঝিমাতে থাকে বা মাটিতে শুয়ে পড়ে।

২. সাদা রঙ এর পাতলা পায়খানা হয়, মলে রক্ত ও থাকতে পারে।

খাদ্য গ্রহণ হ্রাস পায় ও দেহের ওজন বৃদ্ধি অনেকাংশে কমে যায় বা শরীর শুকিয়ে যায়।

৩. রোগের উপসর্গ ৫-৭ দিন থাকতে পারে।

৪. মৃত বাচ্চা কেটে পরীক্ষা করলে অনেক সময় মাংস কালো রঙ এর দেখা যায়। চামড়ার নিচে প্রথমত রানের মাংসে ছোট ছোট ফোঁটার মত রক্তপাত মুক্ত স্থান লক্ষ্য করা যায়। এ রোগে বৃক্ক আক্রান্ত হয়ে ধুসর বর্ণের হয়ে যায়।

গামবোরো রোগের প্রতিকার

১. বাচ্চাকে নিয়মিত টিকা দান ব্যতীত এ রোগের কোণ চিকিৎসা নেই।

২. আক্রান্ত বাচ্চাকে মেরে ফেলে, তা পুড়িয়ে বা পুতে ফেলা প্রয়োজন।

৩. জীবাণু নাশক ওষুধ ব্যবহার করে খামারের প্রতিটি জিনিষ গামবোরো ভাইরাস মুক্ত করতে হবে।

৪. উন্নত খামার ব্যবস্থা ও খাদ্যে পর্যাপ্ত ভিটামিন সরবরাহ এ রোগ দমনে সাহায্যে করে।

গামবোরো টিকা ব্যবহার পদ্ধতি

১. বাচ্চাকে ৩ সপ্তাহ বয়সের পূর্বেই এ রোগের টিকা দিতে হয়। কোন কারণে সম্ভব না হলে ৬ সপ্তাহ বয়সে অবশ্যি বাচ্চাকে টিকা দিতে হবে।

২. এ টিকা পানীয় জলের সাথে মিশিয়ে পান করতে দেয়া হয়। টিকা প্রস্তুতকারীর পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করা উচিৎ |

৩. এ টিকা অন্য কোন রোগের টিকার সাথে মিশিয়েও ব্যবহার করা যায়।

হাঁস মুরগির রোগ ও প্রতিকার pdf, হাঁস মুরগির রোগ ও চিকিৎসা, হাঁস মুরগির ওষুধ, হাঁস মুরগি পালন প্রশিক্ষণ

হাঁস মুরগির রোগ ও প্রতিকারঃ

৪. মারেক্স রোগ

মুরগির শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ‘হারস’ শ্রেণীর ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট টিউমার জাতীয় এক প্রকার রোগ। পৃথিবীর প্রায় সবদেশেই উন্নত বিদেশি জাতের মোরগ মুরগিকে এ রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। কিন্তু, আমাদের দেশি জাতের মুরগিতে সচরাচর এ রোগ হতে দেখা যায় না। মনে হয় বিদেশি মুরগি এ দেশে আমদানীর সময় এ রোগটিও দুর্ভাগ্যবশত আমদানী করা হয়েছে। বিভিন্ন বয়সের মোরগ মুরগি এ রোগ দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। ব্রয়লার পালনে মারেক্স রোগ একটি গুরুতর সমস্যার সৃষ্টি করে। অল্প বয়সের বাচ্চা এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয় এবং তাদের মৃত্যুর হারও বেশি। আবার, ২-৫ মাস বয়সের পুলেট ও এ রোগে আক্রান্ত হয়। মানুষ যে ‘হারস’ ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়, মারেক্স ভাইরাস ও অনেকটা তারই অনুরূপ। কিন্তু মারেক্স ভাইরাস মানুষ বা অন্য কোণ স্তণ্যপায়ী প্রাণীকে আক্রমন করতে দেখা যায়নি। আক্রান্ত মুরগির ডিম থেকে বাচ্চার মধ্যে রোগ বিস্তারের প্রমাণ নেই। আক্রান্ত বাচ্চার প্রত্যক্ষ সংস্পর্শে বা তাদের নিকটের বাতাসের মাধ্যমে এ রোগ ছড়ায়। আক্রান্ত ব্রয়লারের লিটারে এ ভাইরাস পাওয়া গিয়াছে।

মারেক্স রোগের লক্ষণ

১. বাচ্চার আংশিক বা পূর্ণ পক্ষাঘাত এ রোগের একটি প্রধান উপসর্গ।

২. যেহেতু এ ভাইরাস স্নায়ুতন্ত্রকে আক্রমন করে, কাজেই শরীরের বিভিন্ন অংশ, যেমন—পা, পাখা ও ঘাড়ে পক্ষাঘাত দেখা দিতে পারে।

৩. খাওয়া বন্ধ করে দেয়।

৪. মাংসপেশী ধীরে ধীরে শুকিয়ে যায় ও চোখ প্রথমে সাদা বর্ণের হয়, পরে অন্ধ হয়ে যায়।

৫. শেষ অবস্থায় বাচ্চা দুর্বল হয়ে শুয়ে পরে বা চক্রাকারে ঘুরতে থাকে।

৬. মৃত বাচ্চা কেটে পরীক্ষা করলে আক্রান্ত স্নায়ু বিশেষ করে পায়ের বড় স্নায়ুতে সাদা বর্ণের ফুলা দানার মত গুঁটি বা টিউমার লক্ষ্য করা যায়।

৭. প্রকট আকারের মারেক্স রোগে শরীরের ভেতরের বিভিন্ন অঙ্গে বা পেশীতে ও টিউমার দেখা যায়।

মারেক্স রোগের প্রতিকার

১. নিয়মিত টিকা দান করা ব্যতীত এ রোগের আর কোন প্রতিকার নেই।

২. বিশেষ প্রজননের মাধ্যমে মারেক্স রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন মোরগ-মুরগি সৃষ্টি করা সম্ভব। সেদিকেও চেষ্টা করা উচিত।

See also  সমন্বিত হাঁস মুরগি ও মাছ চাষ ব্যবস্থাপনা + মাছ ও হাঁস চাষ পদ্ধতি একসাথে, হাঁস ও মাছ সমন্বিত চাষ + মুরগি ও মাছ সমন্বিত চাষ, মাছ ও মুরগি চাষ পদ্ধতি একসাথে, মুরগি ও মাছের খামার

৩. জীবাণুমুক্ত শুকনো লিটার মেঝেতে ব্যবহার করতে হবে।

৪. খামারের ব্যবস্থাপনা উন্নতমানের করতে হবে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

৫. খামারে ভাইরাসমুক্ত পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে।

মারেক্স রোগের টিকা ব্যবহার পদ্ধতি

১. মারেক্স ভাইরাস টিকা সাধারণত বাচ্চা ফুটার প্রথম দিনেই দেয়া হয়। এটিকা অত্যন্ত ফলপ্রসু এবং ব্রয়লার বাচ্চাকে এ রোগের হাত থেকে বহুলাংশে রক্ষা করতে পারে।

২. চোখে ড্রপারের সাহায্যে ফোঁটা দেয়া হয়।

৩. এ টিকার সাথে অন্য কোন টিকা বা ওষুধের মিশ্রন করা যায় না।

৪. টিকা প্রস্তুতকারীর নির্দেশ মোতাবেক ব্যবহার করতে হবে।

হাঁস মুরগির রোগ ও প্রতিকারঃ

৫. হাঁসের প্লেগ রোগ

হাঁসের প্লেগ একটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ। একপ্রকার ভাইরাস এ রোগ সৃষ্টি করে। প্রায় সব বয়সের হাঁস এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। খুব দ্রুত গতিতে এ রোগ পালে ছড়িয়ে পড়ে এবং এক সাথে অনেক হাঁস আক্রান্ত হতে পারে। এ রোগে মৃত্যুর হার খুব বেশি। বছরের যে কোন সময় এ রোগ দেখা দিতে পারে। তবে, আমাদের দেশে বর্ষার শেষে এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি। আক্রান্ত হাঁসের মল-মূত্র ও ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি থেকে সুস্থ্য হাঁস আক্রান্ত হয়। আক্রান্ত হাঁস যে জলাশয় ব্যবহার করে তার পানি ও এ রোগের ভাইরাস দ্বারা দূষিত হয়। রোগ-জীবাণু ডিমের মাধ্যমে হাঁসের বাচ্চাকে সংক্রামিত করতে পারে।

প্লেগ রোগের লক্ষণ

১. হঠাৎ করে হাঁস মারা যেতে পারে।

২. খাদ্য গ্রহণ ও ডিম পাড়া কমে যায়।

৩. নাক-মুখ, ও চোখ দিয়ে তরল পদার্থ ঝড়ে। চোখ প্রথমে সাদা বর্ণের হয়, পরে অন্ধ হয়ে যায়।

৪. পাতলা পায়খানা হয় ও মলদ্বারের চারিপার্শ্বের পালকে লেগে থাকে।

৫. পা ও পাখা দুর্বল হয়ে আক্রান্ত হাঁস বুকের উপর ভর দিয়ে বসে পড়ে।

প্লেগ রোগের প্রতিকার

১. ডাক প্লেগ টিকা নামক এক প্রকার টিকা দিয়ে এ রোগের হাত থেকে হাঁসকে বাঁচাতে হয়। এ রোগের কোন চিকিৎসা নেই।

২.  রুগ্ন হাঁসকে সুস্থ্য হাঁস থেকে পৃথক করে রাখতে হবে এবং বাহিরে যেতে দেয়া উচিত নয়। আক্রান্ত হাঁসের ব্যবহৃত যাবতীয় জিনিসপত্র অত্যন্ত ভালোভাবে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।

৩. আক্রান্ত হাঁসির ডিম ফুটানে উচিত নয়।

প্লেগ রোগের টিকা ব্যবহারের পদ্ধতি

১. এ টিকা পশু সম্পদ অধিদপ্তর সরবরাহ করে থাকে। দু সপ্তাহ বয়সে প্রথমবার প্রতি

হাঁসের বুকের মাংসে ১ সিসি করে মিশ্রিত টিকা ইনজেকশন দিতে হয়।

২. আবার ৫ সপ্তাহের সময় অনুরূপ ভাবে টিকা দিতে হয়। একে বুষ্টার ডোজ টিকা বলে।

৩. টিকা প্রস্তুতকারীর নির্দেশমত ব্যবহার করা উচিত।

হাঁস মুরগির রোগ ও প্রতিকার pdf, হাঁস মুরগির রোগ ও চিকিৎসা, হাঁস মুরগির ওষুধ, হাঁস মুরগি পালন প্রশিক্ষণ

হাঁস মুরগির রোগ ও প্রতিকারঃ

৬. কলেরা রোগ

কলেরা হাঁস-মুরগির একটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ। এক প্রকার ব্যাক্টেরিয়া এ রোগের কারণ। এ রোগ সাধারণত ৪ মাসের বেশি বয়সের হাঁস-মুরগিকে আক্রান্ত করে। অনেক সময় কোনরূপ রোগ লক্ষণ দেখা দেয়ার আগেই কিছু সংখ্যক হাঁস-মুরগি হঠাৎ পালে মৃত অবস্থায় দেখা যায়। এ রোগ অনেক সময় হঠাৎ আরম্ভ হয় এবং অনেক হাঁস-মুরগি এক সাথে মারা যায়।

কলেরা রোগের লক্ষণ

১. সবুজ-হলদে রঙের পাতলা পায়খানা দেখা যায়।

২. হঠাৎ খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেয়। জ্বরের জন্য পানি পিপাসা বৃদ্ধি পায়।

৩. শ্বাস কষ্ট হয় ও ওজন হ্রাস পায়।

৪. মাথার ঝুটি ও চোখ-মুখ ফুলে উঠে ও নীল বর্ণ ধারণ করে।

৫নাক দিয়ে পুঁজের মত তরল পদার্থ নির্গত হয়। রোগের লক্ষণ প্রকাশ পাবার ২/৩ দিনের মধ্যে হাঁস-মুরগি মারা যায়। আবার অনেক সময় এ রোগ পালের দীর্ঘ দিন অবস্থান করতে পারে।

কলেরা রোগের প্রতিকার

১. প্রধানত খাদ্য ও পানীয় জলের মাধ্যমে এ রোগ বিস্তার লাভ করে। এ ছাড়া অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে একসাথে অনেক বেশি হাঁস-মুরগি রাখলেও এ রোগ সহজে ছড়িয়ে পড়ে।

২. রুগ্ন হাঁস-মুরগিকে আলাদা করে ফেলতে হবে।

৩. স্বাস্থ্যসম্মত ব্যবস্থাপনার দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। খাদ্য ও পানি অবিশ্যি জীবাণুমুক্ত হতে হবে। খাদ্য ও পানির পাত্র নিয়মিত পরিস্কার করতে হবে।

৪. এ রোগ প্রতিরোধের জন্য এক প্রকার উন্নত মানের টিকা পশু সম্পদ অধিদপ্তর সরবরাহ করে। প্রতি বোতলে ১০০ সিসি টিকা থাকে।

কলেরা রোগের টিকা ব্যবহার পদ্ধতি

১. মোরগ-মুরগিকে আড়াই থেকে তিন মাস বয়সে ১ সিসি করে রানের মাংসে ইনজেকশন দিতে হয়। দু সপ্তাহ পর আরেক বার টিকা দিলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ৬- ৯ মাস পর পর এ টিকা দিতে হয়। হাঁসের বেলায় দেড় মাস বয়সে প্রথম বার বুকের মাংসে টিকা দিতে হয়। এবং এরপর ৬-৯ মাস অন্তর টিকা দিলেই চলে।

২. আক্রান্ত হাঁস মুরগিকে যে কোন এন্টিবায়োটিক যথা-টেরামাইসিন ইনজেকশন দিয়ে চিকিৎসা করা যেতে পারে। টেরামাইসিন আধা সিসি হাঁস মুরগির রানে বা বুকের মাংসে পর পর ৩ দিন ইনজেক্শন দিলে ভালো ফল পাওয়া যায়। সালফা জাতীয় ওষুধ, যথা—এমবাজিন ৩০৭২ সি, সি ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৩-৫ দিন খাওয়ালেও সুফল পাওয়া যায়।

হাঁস মুরগির রোগ ও প্রতিকারঃ

৭. রক্ত আমাশয় রোগ

মোরগ মুরগির পরজীবী রোগের মধ্যে রক্ত আমাশয় বা কক্সিডিওসিস অত্যন্ত মারাত্মক। সব বয়সের মুরগিতে এ রোগ হতে পারে। তবে সাধারণত ২ মাস বয়সের কম বাচ্চাগুলোই এ রোগে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। রুগ্ন হাঁস মুরগির মলমূত্র খাদ্য ও পানি, পরিচর্যাকারীদের পোষাক, জুতা ইত্যাদির মাধ্যমে বাহির থেকে রোগ জীবাণু খামারে প্রবেশ করে। ইঁদুর, তেলাপোকা, বা অন্যান্য জীবজন্তু যেমন-কুকুর, শেয়াল ইত্যাদির মাধ্যমেও খামারে এ রোগ প্রবেশ করতে পারে।

রক্ত আমাশয় রোগের লক্ষণ

১. ছোট বাচ্চা এ রোগে আক্রান্ত হলে রক্তশূণ্যতা দেখা দেয়।

২. রক্ত মিশ্রিত পাতলা পায়খানা করে।

৩. খাদ্য ও পানি গ্রহণ বন্ধ করে দেয় ও নির্জীব হয়ে পড়ে। ফলে ৩-৪ দিনের মধ্যে শতকরা ৮০ ভাগেরও বেশি বাচ্চা মারা যেতে পারে।

See also  (১১টি) মুরগির জাত পরিচিতি, মুরগির জাত কি কি? দেশি মুরগি চেনার উপায়, একটি দেশি মুরগি বছরে কতটি ডিম দেয়? কোন মুরগি কত দিনে ডিম দেয়? কোন জাতের মুরগি বেশি ডিম দেয়?

৪. বাড়ন্ত ও বয়স্ক মোরগ-মুরগির মধ্যে মৃত্যুর হার বেশি না হলেও ওজন কম বাড়ে, খাওয়ায় অরুচি হয়, ডিম পাড়া কমে যায় ও পাতলা পায়খানা হয় ইত্যাদি উপসর্গ দেখা যায়।

রক্ত আমাশয় রোগের প্রতিকার

১. আক্রান্ত পাখিকে আলাদা করতে হবে।

২. ছোট বাচ্চা ও বড় মোরগ মুরগি কোন সময়ই একত্রে রাখা উচিত নয়। এতে রোগ ছড়াতে পারে।

৩. ভেজা স্যাত স্যাঁতে ঘরে রাখলে মোরগ মুরগি সাধারণত এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। এজন্যে সবসময় শুকনো লিটার ব্যবহার করা প্রয়োজন।

৪. বাচ্চা ঘরের মেঝেতে না রেখে খাঁচা বা তারের জালের খাঁচায় পালন করলে এ রোগের প্রাদুর্ভাব কমে যায়।

৫. স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে উন্নত ব্যবস্থাপনার দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

৬. প্রতিকার হিসেবে এ রোগের বহু ওষুধ বাজারে পাওয়া যায়। তারমধ্যে সালফা জাতীয় ওষুধই সবচেয়ে কার্যকরী

৭. নিয়মিত খাবার এবং পানির সাথে সালফা মিথাজিন ১৬%, ই, এম, বি-৩, এমবাজিন জাতীয় ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করলে এ রোগের আক্রমন থেকে মুরগিকে রক্ষা করা যায়।

৮. খাবারের সাথে স্বল্প মাত্রায় সালফাকুইনো ক্যালিন বাচ্চাকে ক্রমাগত প্রথম ৮ সপ্তাহ খাওয়ালে এ রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।

৯. এ রোগের এক প্রকার টিকা বাচ্চাকে ৩-৫ দিন বয়সে দেয়া হয়। কিন্তু এ টিকার ব্যবহার এখনও ব্যাপক ভাবে শুরু হয়নি বা জনপ্রিয়তা লাভ করেনি।

১০. পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং শুকনো পরিবেশই রোগ-প্রতিরোধের প্রধান উপায়।

হাঁস মুরগির রোগ ও প্রতিকার pdf, হাঁস মুরগির রোগ ও চিকিৎসা, হাঁস মুরগির ওষুধ, হাঁস মুরগি পালন প্রশিক্ষণ

হাঁস মুরগির রোগ ও প্রতিকারঃ

৮. কৃমিরোগ

হাঁস- মুরগি বিভিন্ন প্রকার কৃমি রোগে আক্রান্ত হতে পারে, যেমন- গোলকৃমি, ফিতাকৃমি, সুতাকৃমি, ইত্যাদি। এর মধ্যে গোল কৃমির প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। সব বয়সের মুরগিই এ কৃমিতে আক্রান্ত হতে পারে। এ রোগে মৃত্যুর হার কম হলেও ব্যাপকভাবে আর্থিক ক্ষতি সাধন করে। কারণ, আক্রান্ত হাঁস মুরগির উৎপাদন কমে যায়।

কৃমি রোগের লক্ষণ

১. খাওয়া দাওয়া ও ওজন কমে যায়।

২. ডিম পাড়া বন্ধ হয়ে যায়।

৩. রক্ত শূণ্যতার কারণে মাথার ঝুঁটি, গলার ফুল ফ্যাকাসে দেখায়।

৪. পালক উস্‌কো খুস্কো হয়ে যায়।

৫. পাতলা পায়খানা হয় এবং অনেক সময় তা রক্ত মিশ্রিত ও থাকতে পারে।

৬. কখনও কখনও পায়খানার সাথে কৃমি বের হয়ে আসতে দেখা যায়।

কৃমি রোগের প্রতিকার

১. সাধারণত খাদ্যের সাথে বা স্যাঁতসেঁতে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ থেকে কৃমির ডিম হাঁস-মুরগিরর শরীরে প্রবেশ করে।

২.একটি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন খামারে কৃমির আক্রামণ খুবই কম। কাজেই, স্বাস্থ্যসম্মত ব্যবস্থাপনার দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

৩. কৃমির আক্রমণ নির্ণয় করার জন্যে মাঝে মাঝে সন্দেহজনক হাঁস-মুরগির মল অনুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে পরীক্ষা করা প্রয়োজন।

৪. প্রতি ২/৩ মাস পর পর হাঁস-মুরগিকে কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানো উচিৎ।

বাজারে অনেক প্রকার কৃমিনাশক ওষুধ পাওয়া যায়, যেমন- পাইপারেজিন, ইউভিলন, ফেনোভিজ এভিপার, কোপেন ইত্যাদি। পশু চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক এসব ওষুধ ব্যবহার করা উচিৎ।

হাঁস মুরগির টিকা সংরক্ষণ করার পদ্ধতি

টিকা ঠিকমত সংরক্ষণ না করলে এর কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই সংরক্ষণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সংরক্ষণের নিয়ম বা টিকার মেয়াদ সরবরাহ বা উৎপাদনকারীর নিকট থেকে জানতে হবে। অনেক টিকা শুধু ঠাণ্ডা এবং শুকনো স্থানে রাখলেই চলে। আবার কোন কোন টিকা হিমায়িত অবস্থায় রাখতে হয়।

হাঁস মুরগির রোগ ও প্রতিকার pdf, হাঁস মুরগির রোগ ও চিকিৎসা, হাঁস মুরগির ওষুধ, হাঁস মুরগি পালন প্রশিক্ষণ

হাঁস মুরগির কোন কোন টিকা, কিভাবে, কতদিন সংরক্ষণ করা হয়?

রাণীক্ষেত (হিমশুষ্ক), বসন্ত ও হাঁসের প্লেগ টিকা ডীপ ফ্রিজে ৬ মাস, রেফ্রিজারেটরে ১ মাস ও বরফসহ থার্মোফ্লাক্সে ১ সপ্তাহ সংরক্ষণ করা যায়। হাঁস-মুরগিরর কলেরা টিকা রেফ্রিজারেটরে অথবা থার্মোফ্লাক্সে বরফ দিয়ে ৪ ডিগ্রী সেন্ট্রিগ্রেট তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়। ঘরের ঠাণ্ডা এবং শুকনো পরিবেশে এ টিকা মাত্র ২ দিন সংরক্ষণ করা চলে। টিকা ফ্লাক্সে বরফ দিয়ে ঠাণ্ডা অবস্থায় পরিবহন করতে হয়। টিকাবীজ সংরক্ষণ, পরিবহন ও ব্যবহারের সময় সুর্যকিরন যাতে না লাগে সেদিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হবে। সুর্যকিরনে টিকার গুণাগুণ নষ্ট হতে পারে।

হাঁস মুরগির টিকা টিকার ব্যবহার এর নিয়ম

১. কেবল সুস্থ্য হাঁস-মুরগিকে টিকা দিতে হবে।

২. টিকাবীজ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের দেয়া সংরক্ষণ ও ব্যবহারের নিয়মাবলী অবশ্যি মেনে চলতে হবে।

৩. মেয়াদ উত্তীর্ণ টিকা ব্যবহার করা উচিত নয়।

৪. নির্দিষ্ট মাত্রায় ও নির্দিষ্ট পন্থায় টিকা ব্যবহার করতে হবে।

৫. টিকা পানিতে মিশ্রিত করার ২ ঘণ্টার মধ্যেই ব্যবহার করে ফেলতে হবে।

৬. সকাল বা বিকেল বেলা টিকা দেয়ার উপযুক্ত সময়।

৭. কেবল সঠিক রোগের প্রতিষেধক টিকা দিতে হবে। দুটি রোগের টিকা এক সাথে দেয়া যায় কিনা জেনে নিতে হবে।

হাঁস মুরগির রোগ ও প্রতিকার pdf, হাঁস মুরগির রোগ ও চিকিৎসা, হাঁস মুরগির ওষুধ, হাঁস মুরগি পালন প্রশিক্ষণ

আজকের হাঁস মুরগির রোগ ও প্রতিকার pdf, হাঁস মুরগির রোগ ও চিকিৎসা, হাঁস মুরগির ওষুধ, হাঁস মুরগি পালন প্রশিক্ষণ বিষয়য় পর্বটি আখানেই শেষ করছি, আশা করি পরবর্তী পর্বেও আমাদের সাথে থাকবেন।

এই ধরণের আরও পর্ব পেতে খামারিয়ান.কম নামটি মনে রাখুন ও নিয়মিত ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright Notice

কপি করা নিষিদ্ধ!