Skip to content

 

Wait...❤😘 Show love? ⬇⬇⬇

হাঁস মুরগি পালনের গুরুত্ব, সুবিধা, উপকারিতা ও প্রয়োজনীয়তা

হাঁস মুরগি পালনের গুরুত্ব, সুবিধা, উপকারিতা ও প্রয়োজনীয়তা

হাঁস মুরগি পালনের গুরুত্ব, সুবিধা, উপকারিতা ও প্রয়োজনীয়তাঃ

প্রাগৈতিহাসিক যুগে মুরগি পালনের সূচনা আমাদের দেশে হয়েছিল স্রেফ লড়াই দেখে আনন্দ উপভোগ করার জন্য। আমাদের মধ্যে মুরগি পালনের ঝোঁক এবং তার থেকে দু পয়সা রোজগার করার চিন্তা ঠিক কবে থেকে মুরু তার সঠিক দিন-ক্ষণের হিসাব এখন বলা সম্ভব নয়। তবে একথা ঠিক যে, মুরগির মাংস খেতে ভালো, বাংলাদেশ ও তার প্রতিবেশী দেশের মানুষেরা অনেক আগেই তা আবিষ্কার করেছিল। লড়াই এবং সুস্বাদু মাংস এই দুটি গুণের বিচারেই মুরগি ধীরে ধেির মানুষের গৃহস্থালি জীবনের সাথে জড়িয়ে যায়। মানুষের বেঁচে থাকতে হলে খাদ্য চাই। কেবল খেলেই হবে না, সেই সাথে দেখতে হবে যাতে শরীরের পুষ্টি সাধন হয়। যে দেশের মানুষ দু বেলা পেটভরে খেতে পায় না তাদের কাছে পুষ্টিকর খাবার স্বপ্নের ব্যাপার। শারীর-বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে জানালেন মুরগির ডিম এবং মাংস পুষ্টির অভাব অনেকখানি পূরণ করে। উৎপাদন নেই, সেই সাথে অভাব অর্থের। সকল দিক বিবেচনা করে অর্থনীতিবিদরা জানালেন বাড়িতে ছোটো-খাটো পোলট্রি করলে একদিকে পুষ্টির অভাব মিটবে, অপর দিকে দুটো পয়সাও আয় হবে।

বাস্তব অভিজ্ঞতাই মানুষকে আরও সচেতন করেছে। বর্তমানে তার উদ্দেশ্য হলো কত অল্প মূলধনে লাভজনকভাবে মুরগি পালন করা যায়। তা হলে দেখা যাক, পোলট্রি শব্দের প্রকৃত অর্থ কি? যে সমস্ত জীব বা পাখীকে ডিম এবং মাংস খাবার উদ্দেশ্যে সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক উপায়ে পালন করা হয় তাকেই পোলট্রি বলে। আমাদের মূলধনের বড় অভাব। কাজেই বড় আকারে পোলট্রি করার কথা না ভেবে ঘরে সামান্য টাকার মুরগি পালন করলে তাতে লাভ অনেক। বাড়ির চাহিদা মেটে, তারপর যেটা উদ্ধৃত্ত থাকে সেটা বাজারে বিক্রি করে খরচ বাদ দিয়ে দুটো পয়সা হাতে আসে।

See also  মুরগি পালন প্রশিক্ষণ সিরিজঃ বাছাইযোগ্য মোরগ-মুরগির লক্ষণ, ভালো খারাপ মুরগি চেনার উপায় + বাজে মুরগি বাছাই ছাঁটাই

বাড়িতে মুরগি পালন করা লাভজনক উৎপাদন কাজ। জায়গা খুব কম লাগে। বাড়ির ভিটেতে কিছুটা জায়গা প্রায় সবারই রয়েছে। সেখানে পালন করবার কোন অসুবিধা হতে পারে না। ছোট শহরে জায়গার অভাব থাকলেও বাড়িতে উঠান সবার থাকেই। বড় বড় শহরে জায়গার তীব্র অভাব। সে সমস্যারও সমাধান করেছেন বিজ্ঞানীরা। বাড়ির ছাদে ঘর করে ভালোভাবেই মুরগি পালন করা যায়। তা হলে দেখা যাচ্ছে অন্যান্য পশু-পাখী পালন করার অসুবিধা থাকলেও মুরগির ক্ষেত্রে গ্রাম, শহর এবং মহানগরীতেও কোন বিশেষ অসুবিধা হয় না। মুরগি পালনের মাধ্যমে আমরা নানা রকম উপকার পেয়ে থাকি। যেমন-

১. ডিম

খাদ্য হিসাবে এবং সেই সাথে বাচ্চা ফোটাবার জন্যে ডিম প্রয়োজন। দুধের পরেই ডিম একটা আদর্শ খাদ্য। দুধের মতো ডিমও প্রতিদিন খাওয়া চলে। একটা কাঁচা ডিম হজম হতে সময় লাগে দেড় ঘন্টা, আধাসিদ্ধ দু ঘন্টা, এবং পুরো সিদ্ধ ডিম প্রায় তিন ঘন্টা। ডিমে প্রোটিন শতকরা ১৩.৩ ভাগ, চর্বি ১৩.৩ ভাগ, শ্বেতসার ০.১ ভাগ, খনিজ পদার্থ ১.০ ভাগ, ক্যালসিয়াম ০.০৬ ভাগ, ফসফরাস ০.২২ ভাগ এবং লৌহগঠিত পদার্থ প্রতি ডিমে ২.১ মিলিগ্রাম পাওয়া যায়। এ ছাড়াও এ, বি, ডি এবং কিছু পরিমাণে সি, ই, কে ভিটামিন। ডিমের মধ্যে যে চর্বি থাকে তাকে মাখনের সাথে তুলনা করা চলে। তাই ডিম আমাদের শরীরের পক্ষে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

২. মাংস

মুরগির মাংস অন্য সমস্ত জীবজন্তুর থেকে বলকারক। পাশ্চাত্ত্য চিকিৎসা-বিজ্ঞানীদের মতে বাচ্চা মুরগির মাংসের জুস-এর মতো উপকারী খাদ্য (পথ্য) আজও আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে মোরগ-মুরগির মাংস পুষ্টিকারক, বীর্যবর্ধক, বায়ুনাশক, বাত পিত্ত ক্ষয় বমি ও বিষমজ্বর নিবারক বলে চিহ্নিত।

৩. বিষ্ঠা

এটা জমির পক্ষে উৎকৃষ্ট সার। গুণাগুণ বিচার করলে অন্যান্য পশু-পাখীর বিষ্ঠা থেকে মুরগির বিষ্ঠা অনেক বেশি মূল্যবান। দৈনিক একটি মুরগি যে পরিমাণ বিষ্ঠা ত্যাগ করে তা প্রায় ৬৫ গ্রাম। কৃষি-বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা করে দেখেছেন প্রতি ১৫/১৬ কেজি বিষ্ঠার মধ্যে ৩২ গ্রাম অর্গানিক নাইট্রোজেন, ২০০ গ্রাম ফস্ফোরিক এসিড এবং ১০০ গ্রাম পটাশ থাকে। এর সাথে যদি রাসায়নিক সার ‘সুপার ফসফেট’ মিশিয়ে দেওয়া যায় তাহলে সারের গুণাগুণ অনেকখানি বেড়ে যায়। মিশিয়ে দেবার গড় হিসেব হলো যদি খামারে ১০০টি মুরগি থাকে তবে তাদের প্রতিদিনের বিষ্ঠার সাথে ১ কেজি ৩০০ গ্রাম পরিমাণ ‘সুপার-ফসফেট’ মেশানো চলে। এবার মুরগির সংখ্যা হিসেব করে ‘সুপার-ফসফেট’ কম বা বেশি মেশানো যায়।

See also  (৮টি) হাঁস মুরগির রোগ ও প্রতিকার pdf, হাঁস মুরগির রোগ ও চিকিৎসা, হাঁস মুরগির ওষুধ, হাঁস মুরগি পালন প্রশিক্ষণ

৪. পালক

শীতপ্রধান দেশে এর পালকে গদি, বালিশ, লেপ, এমনকি পোশাক পর্যন্ত তৈরী হয়ে থাকে। তবে আমাদের দেশে যে পালক একেবারে মূল্যহীন সেকথা ঠিক নয়। ঘর-দোর পরিষ্কার করা অথবা ধুলো-বালি ঝাড়ার জন্যে এক ধরনের পালকের ঝাড়ন বাজারে পাওয়া যায়। বাড়িতে এই ধরনের ঝাড়ন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। মোটর গাড়ির ধুলো ঝাড়তেও এই ঝাড়ন ব্যবহার হয়ে থাকে।

৫. হাড়

মুরগির হাড় খুবই নরম সরু, আর পরিমাণে যা পাওয়া যায় সেটা খুবই সামান্য। কাজেই এ নিয়ে আর কেউ মাথা ঘামায় না। তবে জমির পক্ষে এটা ভালো সার। সরু এবং নরম হওয়ার ফলে সহজে গুঁড়ো করা যায় এবং জমিতে তাড়াতাড়ি মিশে গিয়ে উৎকৃষ্ট সারে পরিণত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright Notice

কপি করা নিষিদ্ধ!