Skip to content

 

10 টি সকাল সন্ধ্যার আমল

10 টি সকাল সন্ধ্যার আমল

নিম্নে 10 টি সকাল সন্ধ্যার আমল এর উল্লেখ করা হলোঃ

সকাল সন্ধ্যার আমল-১

যে ব্যক্তি সকালে সূরা ইয়াসীন পাঠ করবে সে সন্ধ্যা পর্যন্ত সুখে স্বস্তিতে থাকবে, আর সন্ধ্যায় পাঠ করলে সকাল পর্যন্ত সুখে স্বস্তিতে থাকবে সূরা ইয়াসীন পাঠের আরও বহু ফযীলত রয়েছে। তন্মধ্যে একটি হল একবার সূরা ইয়াসীন পাঠ করলে দশ খতম কুরআনের ছওয়াব পাওয়া যায়।

সকাল সন্ধ্যার আমল-২

যে ব্যক্তি প্রতি রাতে সূরা ওয়াকেয়া পাঠ করবে, সে অনাহারে থাকবেনা, আল্লাহ তাআলা তার রিযিকের অভাব দূর করে দিবেন। (শুআবুল ঈমান)

সকাল সন্ধ্যার আমল-৩

সন্ধ্যার সময় বাচ্চা ও শিশুদেরকে ঘরে নিয়ে যাবে- বাইরে রাখবে না। কেননা এ সময় দুষ্ট জিনেরা চলাফেরা করে।

সকাল সন্ধ্যার আমল-৪

নিচের দোয়াটি সন্ধ্যায় পাঠ করলে সকাল হওয়া পর্যন্ত তার উপর হঠাৎ কোনো বিপদ আসবে না। আর যে তা সকালে তিনবার বলবে সন্ধ্যা পর্যন্ত তার উপর হঠাৎ কোনো বিপদ আসবে না।’ (আবু দাউদ, তিরমিজি, ইবনে মাজাহ, মুসনাদে আহমাদ)

উচ্চারণ : ’বিসমিল্লাহিল্লাজি লা ইয়াদুররু মাআসমিহি শাইউন ফিল আরদি ওয়া লা ফিস-সামায়ি ওয়া হুয়াস সামিউল আলিম।’

অর্থ : ‘আল্লাহর নামে, যার নামের বরকতে আসমান ও জমিনের কোনো বস্তুই ক্ষতি করতে পারে না, তিনি সর্বশ্রোতা ও মহাজ্ঞানী।’

সকাল সন্ধ্যার আমল-৫

যদি কেউ সকাল ও সন্ধ্যায় সাতবার এই দোয়াটি পাঠ করে এবং ঐ রাতেই বা দিনই তার মৃত্যু হয় তবে সে জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাবে। [সুনানে আবু দাউদ: ৫০৭৯]

উচ্চারণ: “আল্লাহুম্মা আজিরনী মিনান্ নার।”

অর্থ: হে আল্লাহ! আমাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করুন।

সকাল সন্ধ্যার আমল-৬

ইমাম মুসলিম (২৬৯২) আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ (উচ্চারণ: সুবহা-নাল্লা-হি ওয়া বিহামদিহী) (অর্থ: আমি আল্লাহর প্রশংসাসহ পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি) সকালে একশত বার ও সন্ধ্যায় একশত বার পড়বে, কিয়ামতের দিন তার চেয়ে উৎকৃষ্ট কিছু কেউ নিয়ে আসতে পারবে না। তবে সে ব্যক্তি ছাড়া যে তার মত বলবে বা তার চেয়ে বেশি আমল করবে।”

সকাল সন্ধ্যার আমল-৭

যে ব্যক্তি সকালে উপনীত হলে বলে সেটা তার জন্য ইসমাইলের বংশধর একজন দাসমুক্তির সমান, তার জন্য দশটি সওয়াব লেখা হয়, তার দশটি গুনাহ মাফ করা হয়, তার ১০ স্তর মর্যাদা উন্নীত করা হয় এবং সন্ধ্যা হওয়া পর্যন্ত এটি তার জন্য শয়তান থেকে সুরক্ষাকারী হয়। যদি সন্ধ্যায় উপনীত হলে এ বাক্যগুলো পড়ে তাহলে সকাল হওয়া পর্যন্ত সে ব্যক্তি সমধরণের সওয়াব পায়। [আবু দাউদ]

উচ্চারণ: লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্‌দাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু, ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর)।

অর্থ: এক আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন উপাস্য নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই, সমস্ত প্রশংসাও তাঁর, আর তিনি সকল কিছুর ওপর ক্ষমতাবান।

সকাল সন্ধ্যার আমল-৮

যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসী পাঠ করবে, তার জান্নাতে প্রবেশ করায় মৃত্যু ব্যতীত আর কোন কিছু অন্তরায় থাকবে না। [মু‘জাম তাবারানি : ২৮২২]

উচ্চারণ- আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল ক্বাইয়্যুম। লা তাঅ খুযুহু সিনাতুঁও ওয়া লা নাওম। লাহু মা ফিস্ সামাওয়াতি ওয়া মা ফিল আরদ্বি। মাং জাল্লাজি ইয়াশফাউ ইংদাহু ইল্লা বি-ইজনিহি। ইয়ালামু মা বাইনা আইদিহিম ওয়া মা খালফাহুম, ওয়া লা ইউহিতুনা বিশাইয়্যিম্ মিন ইলমিহি ইল্লা বিমা শাআ ওয়াসিআ কুরসিইয়্যুহুস্ সামাওয়াতি ওয়াল আরদ্বি, ওয়া লা ইয়াউদুহু হিফজুহুমা ওয়া হুওয়াল ‘আলিয়্যুল আজিম।’

অর্থ : (তিনিই) আল্লাহ, যিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তিনি জীবিত, সবকিছুর ধারক। তাঁকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না এবং ঘুমও নয়। সবই তাঁর, আসমান ও জমিনের মধ্যে যা কিছু রয়েছে। কে আছ এমন- যে সুপারিশ করবে তাঁর কাছে তাঁর অনুমতি ছাড়া? (চোখের সামনে কিংবা পিছনে যা কিছু রয়েছে সে সবই তিনি জানেন। তাঁর জ্ঞানের সীমা থেকে কোনো কিছুকেই তারা পরিবেষ্টিত করতে পারবে না, কিন্তু ‘হ্যাঁ’, তিনি যতটুকু ইচ্ছা করেন তা ছাড়া। সমগ্র আসমান এবং জমিনকে পরিবেষ্টিত করে আছে তাঁর সিংহাসন। আর সেগুলোকে ধারণ (নিয়ন্ত্রণ) করা তাঁর জন্য কঠিন নয়। তিনিই সর্বোচ্চ এবং সর্বাপেক্ষা মহান।’ (তারগীব ৬৫৫)

সকাল সন্ধ্যার আমল-৯

যে ব্যক্তি দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে দিনের শুরুতে সাইয়্যিদুল ইস্তেসফার পাঠ করবে, সে ঐ দিনে ইন্তিকাল করলে জান্নাতী হবে, আর যদি সন্ধ্যায় পাঠ করে এবং এ রাতেই তার ইন্তিকাল হয়, তাহলে সে জান্নাতী হবে। [সহিহ বুখারী : ৬৩০৬]

উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা আন্তা রাব্বি লা ইলাহা ইল্লা আন্তা খালাকতানি, ওয়া আনা আবদুকা ওয়া আনা আলা আহদিকা ওয়া ওয়াদিকা মাসতাত্বাতু, আউজুবিকা মিন শারি মা সানাতু, আবুউ লাকা বি-নিমাতিকা আলাইয়্যা ওয়া আবুউ বিজামবী ফাগফিরলি ফাইন্নাহু লা ইয়্যাগফিরুজ জুনুবা ইল্লা আন্তা।’

অর্থ : ‘হে আল্লাহ! তুমিই আমার প্রতিপালক। তুমি ছাড়া কোনো সত্য উপাস্য নেই। তুমিই আমাকে সৃষ্টি করেছ, আমি তোমার দাস। আমি তোমার প্রতিশ্রুতি ও অঙ্গীকারের উপর যথাসাধ্য প্রতিষ্ঠিত আছি। আমি যা করেছি, তার মন্দ থেকে তোমার কাছে আশ্রয় চাচ্ছি। আমার উপর তোমার যে সম্পদ রয়েছে, তা আমি স্বীকার করছি এবং আমার অপরাধও আমি স্বীকার করছি। সুতরাং তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও, যেহেতু তুমি ছাড়া আর কেউ পাপ ক্ষমা করতে পারে না।’

সকাল সন্ধ্যার আমল-১০

আবু দাউদ তাঁর সুনান গ্রন্থে (৫০৬৮), তিরমিযি তাঁর সুনান গ্রন্থে (৩৩৯১), নাসাঈ তাঁর সুনানে কুবরা গ্রন্থে (১০৩২৩) আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি সকাল বেলা বলতেন:

উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা বিকা আসবাহ্‌না ওয়াবিকা আমসাইনা ওয়াবিকা নাহ্‌ইয়া, ওয়াবিকা নামূতু ওয়া ইলাইকান নুশূর)। (অর্থ: হে আল্লাহ! আপনার অনুগ্রহে আমরা সকালে উপনীত হয়েছি। আপনার অনুগ্রহে আমরা বিকালে উপনীত হয়েছি। আপনার দ্বারা আমরা বেঁচে থাকি। আপনার দ্বারা আমরা মৃত্যুবরণ করি। আপনার কাছেই আমাদের প্রত্যাবর্তন।) এবং যখন সন্ধ্যাতে উপনীত হতেন তখন বলতেন:

উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা বিকা আমসাইনা, ওয়া বিকা আসবাহ্‌না, ওয়া বিকা নাহ্‌ইয়া, ওয়া বিকা নামূতু ওয়া ইলাইকাল মাছির)। (অর্থ: হে আল্লাহ! আপনার অনুগ্রহে আমরা সন্ধ্যায় উপনীত হয়েছি। আপনার অনুগ্রহে আমরা সকালে উপনীত হয়েছি। আপনার দ্বারা আমরা বেঁচে থাকি। আপনার দ্বারা আমরা মৃত্যুবরণ করি। আপনার কাছেই আমাদের প্রত্যাবর্তন।) আলবানী সহিহ সুনানে তিরমিযি গ্রন্থে হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন।

সূত্রঃ আহকামে জিন্দেগী।

আল্লাহ তাআলা আমাদের সকাল সন্ধ্যার আমল সমূহ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright Notice

কপি করা নিষিদ্ধ!