Skip to content

 

আয়াতুল কুরসি বাংলা অনুবাদ, অর্থ ও উচ্চারণসহ সংক্ষিপ্ত ব্যখ্যা ayatul kursi in bangla, আয়াতুল কুরসি in bangla, Ayatul Kursi Bangla Onubad

আয়াতুল কুরসি বাংলা অনুবাদ, অর্থ ও উচ্চারণসহ সংক্ষিপ্ত ব্যখ্যা ayatul kursi in bangla, আয়াতুল কুরসি in bangla, Ayatul Kursi Bangla Onubad
Table of contents

আয়াতুল কুরসি: আয়াতুল কুরসিতে ১০টি বাক্য রয়েছে

ٱللَّهُ لَاۤ إِلَـٰهَ إِلَّا هُوَ ٱلۡحَیُّ ٱلۡقَیُّومُۚ لَا تَأۡخُذُهُۥ سِنَةࣱ وَلَا نَوۡمࣱۚ لَّهُۥ مَا فِی ٱلسَّمَـٰوَ ٰ⁠تِ وَمَا فِی ٱلۡأَرۡضِۗ مَن ذَا ٱلَّذِی یَشۡفع عِندَهُۥۤ إِلَّا بِإِذۡنِهِۦۚ یَعۡلَمُ مَا بَیۡنَ أَیۡدِیهِمۡ وَمَا خَلۡفَهُمۡۖ وَلَا یُحِیطُونَ بِشَیۡءࣲ مِّنۡ عِلۡمِهِۦۤ إِلَّا بِمَا شَاۤءَۚ وَسِعَ كُرۡسِیُّهُ ٱلسَّمَـٰوَ ٰ⁠تِ وَٱلۡأَرۡضَۖ وَلَا یَـُٔودُهُۥ حِفۡظُهُمَاۚ وَهُوَ ٱلۡعَلِیُّ ٱلۡعَظِیمُ ۝٢٥٥

আয়াতুল কুরসি আরবি আয়াতুল কুরসি বাংলা অনুবাদ, অর্থ ও উচ্চারণসহ সংক্ষিপ্ত ব্যখ্যা ayatul kursi in bangla, আয়াতুল কুরসি in bangla, Ayatul Kursi Bangla Onubad ইসলাম

আয়াতুল কুরসি: বাংলা উচ্চারণ

اَ۬للَّهُ لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ ص‎
’আল্‌-লাহু লা ’ইলাহা ’ইল্‌-লা হু
اَ۬لۡحَىُّ اَ۬لۡقَيُّومُ ص۝٢٥٣‎
’আল্‌-হাই-য়ু ল্‌-কাই-য়ুম্‌
لَا تَاخُذُهُۥ سِنَةٌ وَلَا نَوۡمٌ ص‎
লা তাখুযুহু সিনাতুঁ ও্‌-ওয়ালা নাউম্‌
لَّهُۥ مَا فِى اِ۬لسَّمَٰوَٰتِ وَمَا فِى ٱلَارۡضِ ص‎
লাহু মা ফি স্‌-সামাওয়াতি ওয়ামা ফি লার্‌দ্‌
مَن ذَا اَ۬لَّذِى يَشۡفَعُ عِندَهُۥٓ إِلَّا بِإِذۡنِهِۦ ص‎
মাঁ যা ল্‌-লাযি ইয়াশ্‌ফা‘উ ‘ইন্‌দাহু ’ইল্‌লা বি’ইয্‌নিহ্‌
يَعۡلَمُ مَا بَيۡنَ أَيۡدِيهِمۡ وَمَا خَلۡفَهُمۡ ص‎
ইয়া‘লামু মা বাইনা ’আইদিহিম্‌ ওয়ামা খাল্‌ফাহুম্‌
وَلَا يُحِيطُونَ بِشَىۡءٍ مِّنۡ عِلۡمِهِۦٓ إِلَّا بِمَا شَآءَ ص‎
ওয়ালা ইয়ুহিতুনা বিশি’ই ম্‌-মিন্‌ ‘ইল্‌মিহি ’ইল্‌-লা বিমা শা’
وَسِعَ كُرۡسِيُّهُ اَ۬لسَّمَٰوَٰتِ وَٱلَارۡضَ ص‎
ওয়াসি‘আ কুর্‌সিই-ইয়ুহু স্‌-সামাওয়াতি ওয়ালার্‌দ্‌
وَلَا يَـُٔودُهُۥ حِفۡظُهُمَا ص‎
ওয়ালা ইয়া’উদুহু হিফ্‌যুহুমা
وَهُوَ اَ۬لۡعَلِىُّ اَ۬لۡعَظِيمُ ص۝٢٥٤‎
ওয়াহুওয়া ল্‌-‘আলিই-ইয়ু ল্‌-‘আযিম্‌

আল্লা-হু লা- ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল হা’ইয়ুল ক্বাইয়ূম। লা তা’খুযুহু সিনাতুঁ-ওয়ালা নাউম। লাহু মা ফিস-সামা-ওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ। মাং যাল্লাযী ইয়াশফাউ’ ই’ন্দাহু ইল্লা বি-ইযনিহ। ইয়া’লামু মা বাইনা আয়দীহিম ওয়ামা খালফাহুম, ওয়ালা ইউহী’তুনা বিশাইয়িম-মিন ই’লমিহী ইল্লা বিমা-শা’-আ; ওয়াসিআ’ কুরসি-ইয়ুহুস-সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ; ওয়ালা ইয়াউদুহু হি’ফযুহুম, ওয়া হুওয়াল আ’লিইয়ুল আ’যীম।

আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ আয়াতুল কুরসি বাংলা অনুবাদ, অর্থ ও উচ্চারণসহ সংক্ষিপ্ত ব্যখ্যা ayatul kursi in bangla, আয়াতুল কুরসি in bangla, Ayatul Kursi Bangla Onubad ইসলাম

আয়াতুল কুরসি: বাংলা অর্থ

“আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, [তিনি] চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী/সবকিছুর ধারক। তাঁকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না ও নিদ্রাও নয়। আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু রয়েছে, সবকিছু তাঁরই। কে [আছে এমন] যে তাঁর কাছে তাঁর অনুমতি ছাড়া সুপারিশ করবে? তাঁদের সামনে কী আছে ও পিছনে কী আছে তিনি [তা] জানেন এবং তিনি যা ইচ্ছা করেন তা ছাড়া তাঁরা তাঁর (আল্লাহর) জ্ঞানের কিছুই আয়ত্ব করতে পারে না। তাঁর কুরসি[খ] আকাশ ও পৃথিবীকে পরিবেষ্টিত করেছে এবং সেগুলো সংরক্ষণ করতে তাঁর কষ্ট হয় না। এবং তিনিই সর্বোচ্চ ও সর্বমহান।”

অত্র আয়াতে ১০ টি বাক্য রয়েছে। যার প্রত্যেকটি আল্লাহ সুবহানাহু তাআ’লার একত্ববাদের স্বীকৃতি, তাঁর সুমহান গুনাবলি, সর্বোচ্চ ক্ষমতা এবং বৈশিষ্টাবলী আলোচনা করা হয়েছে-

  1. আল্লাহু লা- ইলাহা ইল্লা হু- তিনিই আল্লাহ যিনি ব্যতিত ইবাদতের উপযুক্ত আর কোনো ইলাহ নেই।
  2. আলহাইয়্যুল কাইয়্যুম- তিনি সদা জীবিত এবং বিদ্যমান।
  3. লা তা’খুজুহু সিনাতুও ওয়ালা নাউম- আল্লাহ তাআ’লা তন্দ্রা ও নিন্দ্রা থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত।
  4. লাহু মা ফিসসামাওয়াতি ওয়া মা ফিল আরদ্বি- আকাশ এবং জমিনে যা কিছু রয়েছে তার সবই আল্লাহ তাআ’লার মালিকানাধীন।
  5. মানজাল্লাজি…বিইজনিহি- সৃষ্ট কোনো বস্তুই আল্লাহ তাআ’লার চেয়ে বড় নয় বিধায় এমন কে আছে যে তাঁর সামনে তাঁর অনুমতি ব্যতিত সুপারিশ করতে পারে?
  6. ইয়া’লামু… খালফাহুম- মানুষের জন্মের পূর্বে এবং জন্মের পরের যাবতীয় বিষয় সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা জানেন।
  7. ওয়ালা ইউহিতুনা…বিমাশা আ- সমস্ত সৃষ্টির জ্ঞান মিলে একত্রিত হয়ে আল্লাহ তাআ’লার জ্ঞানের কোনো একটি অংশ বিশেষকেও পরিবেষ্টন করতে পারে না।
  8. ওয়াসিআ’… ওয়াল আরদ্বি- তাঁর কুরসি এতো বড় যে, সাত আসমান ও সাত জমিনকে পরিবেষ্টন করে আছে।
  9. ওয়া লা ইয়াউদুহু হিফজুহুমা- আল্লাহ তাআ’লার নিকট এত বৃহৎ দু’টি সৃষ্টি আসমান-জমিনের হেফাজত করা কোনো কঠিন কাজ নয়।
  10. ওয়া হুয়াল আলিয়্যুল আজিম- তিনি অতি উচ্চ এবং অতি মহান। তার চেয়ে শ্রেষ্ঠ আর কেউ নেই।
আয়াতুল-কুরসি-বাংলা-অর্থ

আয়াতুল কুরসি: সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা

  1. এই আয়াতের প্রথমেই বলা হয়েছে যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য বা ইবাদাতের যোগ্য কেউ নেই।
  2. এরপর আল্লাহর গুণাবলি বর্ণনা হয়েছে। اَلْـحَيُّ শব্দের মাধ্যমে জানানো হয়েছে যে, তিনি সর্বদা জীবিত (চিরঞ্জীব)। قَيُّوْمُ শব্দের অর্থ দুটি অর্থ, একটি হচ্ছে চিরস্থায়ী, আরেকটি হচ্ছে, সবকিছুর ধারক, অর্থাৎ তিনি নিজে বিদ্যমান থেকে অন্যকেও বিদ্যমান রাখেন এবং নিয়ন্ত্রণ করেন।
  3. অতঃপর বলা হয়েছে তাকে তন্দ্রা ও নিদ্রা স্পর্শ করতে পারে না, অর্থাৎ মহাবিশ্বের নিয়ন্ত্রণ তাকে ক্লান্ত করে না।
  4. পরের অংশে বলা হয়েছে, আল্লাহ আকাশ এবং পৃথিবীর সবকিছুর মালিক এবং তিনি যা কিছু করেন তাতে কারও আপত্তি করার অধিকার নেই। তাঁর অনুমতি ছাড়া তার কাছে সুপারিশ করার ক্ষমতাও কারো নেই।
  5. বলা হয়েছে, আল্লাহ অগ্র-পশ্চাৎ যাবতীয় অবস্থা ও ঘটনা সম্পর্কে অবগত। অগ্র-পশ্চাৎ বলতে এ অর্থ হতে পারে যে, তাঁদের জন্মের পূর্বের ও জন্মের পরের যাবতীয় অবস্থা ও ঘটনাবলি আল্লাহ জানেন। অথবা এই অর্থও হতে পারে যে, ‘অগ্র’ বলতে মানুষের কাছে প্রকাশ্য, আর ‘পশ্চাৎ’ বলতে বোঝানো হয়েছে যা অপ্রকাশ্য বা গোপন।
  6. আল্লাহ যাকে যে পরিমাণ জ্ঞান দান করেন সে শুধু ততটুকুই পায়। পরের অংশে বলা হয়েছে তাঁর কুরসি তথা সিংহাসন এতই বড় যে, তা সমগ্র আকাশ ও পৃথিবীকে পরিবেষ্টিত করে রেখেছে। এ দুটি বৃহৎ সৃষ্টি এবং আকাশমণ্ডল ও পৃথিবীর রক্ষণাবেক্ষণ করা তাঁর জন্য সহজ। শেষ অংশে আল্লাহকে “সুউচ্চ সুমহান” বলা হয়েছে।

আয়াতুল কুরসি কি? ও তা পাঠের গুরুত্ব

★ পবিত্র কুরআনের দ্বিতীয় সূরা আল বাকরার ২৫৫ তম আয়াতটি Ayatul kursi (আয়াতুল কুরসি) নামে নাম ডাকা হয়। আয়াতুল কুরসি (আরবি: آية الكرسي‎‎ আয়াত আল-কুরসি, অর্থ: “সিংহাসনের স্তবক”)।

★ আয়াতুল কুরসি সমগ্র মহাবিশ্বের উপর আল্লাহর পূর্ণ ক্ষমতা ঘোষণা করা হয়েছে এবং কীভাবে কোনো কিছু বা কাউকেই আল্লাহর সাথে তুলনীয় বলে গণ্য করা হয় না তা উদ্ধৃত করা হয়েছে।

★ আয়াতুল কুরসিতে তাওহীদ, ইখলাস, আল্লাহর ইসমে আযম, আল্লাহর ক্ষমতা ও সিফাত, ‘আল্লাহর কুরসির’ মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় বর্ণিত হয়েছে।

★ পবিত্র কুরআনের শ্রেষ্ঠতম আয়াত হলোো আয়াতুল কুরসি। এ আয়াতি পাঠের মাধ্যমে অনেক ফজিলত হাসিল করা সম্ভব। আয়াতুল কুরসি তে আল্লাহতায়ালার আটটি সিফাত অথাৎ গুন বর্ণনা করা হয়েছে।

★ আবু জর জুনদুব ইবনে জানাদাহ (রা:) রাসূল (সা:)-কে জিজ্ঞেস করেছিলেন, হে আল্লাহর রাসূল (সা:)! আপনার প্রতি সবচেয়ে মর্যাদাসম্পন্ন কোন আয়াতটি নাজিল হয়েছে? রাসূল (সা:) বলেছিলেন, আয়াতুল কুরসী।

★ হাদিস অনুসারে আয়াতুল কুরসিকে কুরআনের সর্বশ্রেষ্ঠ আয়াত হিসেবে গণ্য করা হয়।

★ আয়াতটিকে কুরআনের অন্যতম শক্তিশালী আয়াত হিসাবে বিবেচনা করা হয় কারণ কেউ যখন এটি পাঠ করে, তখন সে আল্লাহর মাহাত্ম্য নিশ্চিত করে বলে বিশ্বাস করা হয়।

★ যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যা এই আয়াতটি পাঠ করবে সে জ্বিন ও শয়তানদের অনিষ্ট থেকে আল্লাহর নিরাপত্তায় থাকবে; এটি দৈনিক আদখার নামেও পরিচিত।

★ জ্বিন ও শয়তান থেকে মুক্তি ও সুরক্ষার জন্য এটি ঝাড়ফুঁকে ব্যবহৃত হয়। যেহেতু এটি বিশ্বাস করা হয় যে আয়াতটি আধ্যাত্মিক বা শারীরিক সুরক্ষা প্রদান করে, তাই প্রায়শই মুসলমানরা ভ্রমণে বের হওয়ার আগে ও ঘুমাতে যাওয়ার আগে এটি পাঠ করে। আয়াতটি সারাদিনের জন্য খাবিস (জ্বিনদের দ্বারা যৌন নিপীড়ন) থেকে সুরক্ষা এবং বেঁচে থাকার জন্যও ব্যবহৃত হয়।

★ প্রত্যেক নামাজের পর আয়াতটি পাঠ করলে জান্নাতে প্রবেশ করা যাবে বলে বিশ্বাস করা হয়।

আয়াতুল কুরসি: সবচেয়ে মর্যাদাসম্পন্ন আয়াত

“ উবাই ইবনে কাব থেকে বর্ণিত, নবি মুহাম্মদ তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘তোমার কাছে কুরআনে কোন আয়াতটি সর্বমহান?’ ইবনে কাব উত্তরে বললেন বলেছিলেন, ‘’আল্-লাহু লা ’ইলাহা ’ইল্‌-লা হু ওয়া ’আল্‌-হাই-য়ু ল্‌-কাই-য়ুম্‌…’ (আয়াতুল কুরসির প্রথমাংশ)। তারপর নবি মুহাম্মাদ নিজ হাত দ্বারা ইবনে কাবের বুকে [হালকা] আঘাত করে বলেন: ‘আবুল মুনযির (ইবনে কাব)! তোমার জ্ঞান আনন্দদায়ক হোক’। ”

সুনানে আবু দাউদ ১৪৬০, iHadis.com (সহীহ)

“ ইবনুল আসকার মুক্ত দাস থেকে ইবনুল আসকার সূত্রে বর্ণিত, তিনি ইবনুল আসকাকে বলতে শুনেছেন, নবি মুহাম্মাদ মুহাজিরদের (হিজরত করে মক্কা থেকে যারা মদিনায় গিয়েছিলেন) আঙিনায় তাঁদের নিকট আসলেন। তখন এক ব্যক্তি তাঁকে প্রশ্ন করলো, কুরআনের কোন আয়াতটি সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ণ? নবি মুহাম্মাদ বলেন, ‘’আল্-লাহু লা ’ইলাহা ’ইল্‌-লা হু ওয়া ’আল্‌-হাই-য়ু ল্‌-কাই-য়ুম্‌…’ (আয়াতুল কুরসির প্রথমাংশ)। ”

সুনান আবু দাউদ, ৪০০৩ (সহীহ)

আয়াতুল কুরসি: আল্লাহর মহান নাম সংবলিত আয়াত

“ আসমা বিনতে ইয়াযিদ থেকে বর্ণিত, নবি মুহাম্মাদ বলেছেন, আল্লাহর মহান নামসমূহ এই দুই আয়াতের মধ্যে নিহিত আছে: (অনুবাদ) ‘আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই, তিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী…’ (২:২৫৫) এবং ‘আর তোমাদের উপাস্য একমাত্র উপাস্য…’ (২:১৬৩)। ”

 সুনান আদ-দারেমী, ৩৪২৮ (সহীহ)

আয়াতুল কুরসি: বিনা বাধায় জান্নাত লাভের আয়াত

“ আবু উমামাহ আল-বাহিলি থেকে বর্ণিত, নবি মুহাম্মাদ বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রতি ফরজ নামাজ শেষে আয়াতুল কুরসি পড়ে, তাঁর জান্নাতে প্রবেশ করতে মৃত্যু ছাড়া অন্য কোনোকিছু বাধা হবে না’।

হাদিস সম্ভার ১৪৬৩, iHadis.com (সহীহ)

আয়াতুল কুরসি: শয়তান ও অনিষ্ট বিতাড়ণকারী আয়াত

“ নবি মুহাম্মাদ বলেছেন, “যে ব্যক্তি সকালে আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে সে সন্ধ্যা পর্যন্ত শয়তান থেকে রক্ষা পাবে এবং যে সন্ধ্যায় পাঠ করবে সে সকাল পর্যন্ত নিরাপদ থাকবে।”[২১] ”

 আল-হাকিম ১/৫৬২, আল তারগীব ওয়া আল তারহীব, ১/২৭৩ (সহীহ/যঈফ)

আয়াতুল কুরসি: আল্লাহর সবচেয়ে মহান সৃষ্টি

“ মুহাম্মাদ ইবনে ইসমাঈল কর্তৃক বর্ণিত যে, হুমায়দাহ আল-বারিকী আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ হতে বলেন, “আল্লাহ্ আকাশ ও পৃথিবীতে আয়তুল কুরসি অপেক্ষা মহান আর কিছু সৃষ্টি করেন নি।”

এর তাফসীরে সুফইয়ান বলেন, ‘আয়াতুল কুরসি হলো আল্লাহর কালাম। আর আকাশ ও পৃথিবীতে আল্লাহর সকল সৃষ্টি থেকে তাঁর কালাম তো মহান হবেই।’

সুনান তিরমিজী, ২৮৮৪ (সহীহ)

আয়াতুল কুরসি: কুরআন মুখস্থকরণে সাহায্যকারী আয়াত

“ মুগীরা ইবনু সুবাঈ’ হতে বর্ণিত, যিনি আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাসের সাথীদের একজন ছিলেন, তিনি বলেন, “যে ব্যক্তি [রাতে] ঘুমানোর সময় সূরা আল-বাকারার দশটি আয়াত পাঠ করবে, তবে সেই ব্যক্তি কুরআন ভুলে যাবে না [আয়াত দশটি হলোো]: এর (সুরা আল-বাকারা) প্রথম চারটি আয়াত, আয়াতুল কুরসি ও এর পরবর্তী দুইটি আয়াত এবং শেষের তিনটি আয়াত।

সুনান আদ-দারেমী, ৩৪২৪ (হাসান)
আয়াতুল কুরসি বাংলা অনুবাদ, অর্থ ও উচ্চারণসহ সংক্ষিপ্ত ব্যখ্যা ayatul kursi in bangla, আয়াতুল কুরসি in bangla, Ayatul Kursi Bangla Onubad সমাপ্ত।
পোষ্টটি লিখতে নিম্নক্তো বই/লেখকের লিখনী থেকে সাহায্য নেওয়া হয়েছে:
আহকামে জিন্দেগী (মাকতাবাতুল আবরার প্রকাশনী)
মাওলানা মুহাম্মদ হেমায়েত উদ্দীন
শায়খুল হাদীস, জামেয়া ইসলামিয়া আরার্বিয়া, তাঁতী বাজার, ঢাকা-১১০০
মুহাদ্দিছ, জামিয়া ইসলমিয়া দারুল উূলুম মাদানিয়া, ৩১২, দক্ষীণ যাত্রাবাড়ি, ঢাকা-১২৩৬

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright Notice

কপি করা নিষিদ্ধ!