Skip to content

 

Wait...❤😘 Show love? ⬇⬇⬇

40 টি ঈমান কি কারণে নষ্ট হয়? ঈমান ভঙ্গের কারণ সমূহ pdf, ঈমান ভঙ্গের কারণ বই, ঈমান ভঙ্গের দশটি কারণ pdf, ঈমান ভঙ্গের ১০টি কারণ, ইসলাম ও ঈমান ভঙ্গের কারণ, ঈমান পরিপন্থী কিছু আধুনিক ধ্যান-ধারণা

40 টি ঈমান কি কারণে নষ্ট হয়? ঈমান ভঙ্গের কারণ সমূহ pdf, ঈমান ভঙ্গের কারণ বই, ঈমান ভঙ্গের দশটি কারণ pdf, ঈমান ভঙ্গের ১০টি কারণ, ইসলাম ও ঈমান ভঙ্গের কারণ, ঈমান পরিপন্থী কিছু আধুনিক ধ্যান-ধারণা।

বিষয়: ঈমান কি কারণে নষ্ট হয়? 40 টি ঈমান ভঙ্গের কারণ সমূহ pdf, ঈমান ভঙ্গের কারণ বই, ঈমান ভঙ্গের দশটি কারণ pdf, ঈমান ভঙ্গের ১০টি কারণ, ইসলাম ও ঈমান ভঙ্গের কারণ, ঈমান পরিপন্থী কিছু আধুনিক ধ্যান-ধারণা।

নামাজ শুরু করা বা অজু করার পর কিছু কাজ করলে যেমন নামাজ বা অজুু নষ্ট হয়ে যায়, ঠিক তেমনি ঈমান আনার পর কিছু কথা, কাজ ও বিশ্বাস আছে, যা সম্পাদন করলে বা পোষণ করলে ঈমান নষ্ট হয়ে যায়।

ঈমান ভঙ্গের কারণগুলো মূলত তিন প্রকার। ১. বিশ্বাসগত, ২. কর্মগত এবং ৩. উক্তিগত।

প্রত্যেক মুমিনের জন্য অবশ্যই ঈমান ভঙ্গের কারণ গুলো জানা অতীব জরুরি। ঈমান কি কারণে নষ্ট হয়, আলেমরা এ ব্যাপারে অনেক লম্বা আলোচনা করেছেন। এখানে উল্লেখযোগ্য কিছু ঈমান ভঙ্গের কারণ সমূহ ও ঈমান পরিপন্থী কিছু আধুনিক ধ্যান-ধারণা। নিয়ে আলোচনা করা হলোো:

  • জনগণকে সকল ক্ষমতার উৎস মানা, জনগণকে আইনের উৎস মানা ঈমান পরিপন্থী। কেননা ইসলামী আকীদা-বিশ্বাসে আল্লাহ্‌কেই সর্বময় ক্ষমতার উৎস স্বীকার করা হয় এবং বিধান দেয়ার অধিকার একমাত্র আল্লাহর।
  • ইসলামের বিপক্ষে কাফিরদেরকে সাহায্য করা। যেটা আজ আমাদের সমাজে প্রবল আকারে ধারণ করেছে।

আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমাদের পিতা ও ভাইও যদি ঈমানের বিপরীতে কুফরিকে বেছে নেয়, তবে তাদের অন্তরঙ্গরূপে গ্রহণ করো না। তোমাদের মধ্যে যারা তাদের অন্তরঙ্গরূপে গ্রহণ করে, তারাই সীমালঙ্ঘনকারী’ (সূরা তাওবা ৯: ২৩)।

  • প্রচলিত গণতন্ত্রে জনগণকেই সকল ক্ষমতার উৎস এবং জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত প্রতিনিধিদেরকে আইন বা বিধানের অথরিটি বলে স্বীকার করা হয়, তাই প্রচলিত গণতন্ত্র-এর ধারণা ঈমান আকীদার পরিপন্থী।
  • সমাজতন্ত্রে নিখিল বিশ্বের কোন সৃষ্টিকর্তা বা খোদা আছে বলে স্বীকার করা হয় না, তাই নাস্তিকতা নির্ভর এই সমাজতন্ত্রের মতবাদে বিশ্বাস করা ঈমান আকীদা পরিপন্থী।
  • কাউকে দ্বীন-শরিয়তের ঊর্ধ্বে মনে করা। যেমন- মারেফতের ধোঁয়া তুলে নিজেকে ইসলামের হুকুম আহকামের ঊর্ধ্বে মনে করা। বাতেনিভাবে নামাজ-রোজা আদায়ের কথা বলা।

আল্লাহ বলেন, ‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীন পূর্ণাঙ্গ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দ্বীন হিসেবে মনোনীত করলাম’ (সূরা মায়িদা ৫: ৩)।

  • গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ইত্যাদি তন্ত্রমন্ত্রকে মুক্তির পথ মনে করা এবং একথা বলা যে, ইসলাম সেকেলে মতবাদ, এর দ্বারা বিজ্ঞানের চরম উৎকর্ষের এই যুগে উন্নতি অগ্রগতি সম্ভব নয়- এটা কুফরী।
  • “ধর্ম নিরপেক্ষতা”-এর অর্থ যদি হয় কোন ধর্মে না থাকা, কোন ধর্মের পক্ষ অবলম্বন না করা, কোন ধর্মকে সমর্থন দিতে না পারা, তাহলোে এটা কুফরী মতবাদ। কেননা ইসলাম ধর্মে থাকতেই হবে, ইসলামের পক্ষ অবলম্বন করতেই হবে, ইসলামী কার্যক্রমকে সমর্থন দিতেই হবে। আর যদি ধর্মনরিপেক্ষতার অর্থ হয় রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত না করা, তাহলোে সে ধারণাও ইসলামী আকীদা-বিশ্বাসের পরিপন্থী। কেননা, ইসলামী আকীদা বিশ্বাসে ক্ষমতা ও সামর্থ্য থাকলে ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্ঠা করা ফরয। আর কোন ফরযকে আস্বীকার করা কুফরী। যদি ধর্মনিরপেক্ষতার অর্থ শুধু এতটুকু হয় যে, সকল ধর্মাবলম্বীরা নিজ নিজ ধর্ম-কর্ম পালন করতে পারবে, জোর জবরদস্তী কাউকে অন্য ধর্মে প্রবেশ করানো যাবে না, তাহলোে এতটুকু ধারণা ইসলাম পরিপন্থী হবে না।
  • ডারউইন-এর বিবর্তনবাদে বিশ্বাস করা কুফরী অর্থাৎ, একথা বিশ্বাস করা যে, বিবর্তন অনুযায়ী ক্রমান্বয়ে পরিবর্তন হতে হতে এক পর্যায়ে বানর থেকে মানুষ সৃষ্টি হয়েছে। এরূপ বিশ্বাস ইসলাম ও ঈমান পরিপন্থী। ইসলামী আকীদা বিশ্বাসে আল্লাহ তা’আলা নিজ হাতে সর্ব প্রথম হযরত আদম (আঃ) কে সৃষ্টি করেছেন এবং তাঁর থেকেই মনুষ্য জাতির বিস্তৃতি ঘটেছে।
  • ইসলামের কোনো বিধানকে আন্তরিকভাবে অপছন্দ করা যদিও বাহ্যিকভাবে ইসলামের ওপর আমল করা হোক না কেন। যেমন- পর্দার হুকুমকে অপছন্দ করা কিংবা উপযুক্ত ব্যক্তির একাধিক বিয়েকে অপছন্দ করা। এমনিভাবে জিহাদ বা আল্লাহর পথে সংগ্রামকে অপছন্দ করা।.

আল্লাহ বলেন, ‘অতএব, তোমার পালনকর্তার কসম, সে লোক ঈমানদার হবে না, যতক্ষণ না তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যাপারে আপনাকে বিচারক বলে মনে না করে। এরপর আপনার মীমাংসার ব্যাপারে নিজের মনে কোনো রকম সঙ্কীর্ণতা পাবে না এবং তা সন্তুষ্টচিত্তে কবুল করে নেবে’ (সূরা নিসা ৪: ৬৫)।

  • ইসলাম মসজিদের ভিতর সীমাবদ্ধ থাকবে, ইসলাম ব্যক্তিগত ব্যাপার, ব্যক্তিগত জীবনে এটাকে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে, সমাজ বা রাষ্ট্রীয় জীবনে এটাকে টেনে আনা যাবে না- এরূপ বিশ্বাস করা কুফরী। কেননা, এভাবে ইসলামের ব্যাপকতাকে অস্বীকার করা হয়। ইসলামী আকীদা-বিশ্বাস অনুযায়ী কুরআন-হাদীসে তথা ইসলামে মানুষের ব্যক্তিগত, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় যাবতীয় ক্ষেত্রের সকল বিষয়ে শাশ্বত সুন্দর দিক নির্দেশনা রয়েছে।
  • নামায রোযা, হজ্জ, যাকাত, পর্দা করা ইত্যাদি ফরয সমূহকে ফরয তথা অত্যাবশ্যকীয় জরুরী মনে না করা এবং গান, বাদ্য, সুদ, ঘুষ ইত্যাদি হারাম সমূহকে হারাম মনে না করা এবং এগুলোকে মৌলভীদের বাড়াবাড়ি বলে আখ্যায়িত করা কুফরী। কেননা কোন ফরযকে ফরয বলে অস্বীকার করা বা কোন হারামকে জায়েয মনে করা কুফরী।
  • দ্বীন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়া। দ্বীনের হুকুম আহকামকে বোঝা মনে করা। মৌলিকভাবে দ্বীনকে অপছন্দ করা।

আল্লাহ বলেন, ‘যে ব্যক্তি তার প্রতিপালকের নিদর্শনাবলি দ্বারা উপদিষ্ট হয়েও তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় তার অপেক্ষা অধিক অপরাধী আর কে? আমি অবশ্যই অপরাধীদের শাস্তি দিয়ে থাকি’ (সূরা সাজদা ৩২: ২২)।

  • নবী সা:-এর আনীত সংবিধানের চেয়ে অন্য কোনো সংবিধানকে পূর্ণাঙ্গ মনে করা কিংবা অন্য কোনো সংবিধানকে ইসলামের সংবিধান থেকে উত্তম মনে করা। যেমন- বর্তমান যুগে ইসলামের বিধানকে অচল মনে করা। ইসলামের বিধানকে বর্বর বলে আখ্যায়িত করা, আর মানবরচিত সংবিধানকে উত্তম ও যুগোপযোগী মনে করা। অথচ ইসলাম সবসময় সব যুগের জন্য পারফেক্ট।
  • টুপি, দাড়ি, পাগড়ী, মসজিদ, মাদ্রাসা, আলেম মৌলভী ইত্যাদিকে তুচ্ছ জ্ঞান করা, এগুলোকে হেয় দৃষ্টিতে দেখা, এগুলো নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রুপ করা মাৱাৱক গোমরাহী। ইসলামের কোন বিষয়- তা যত সামান্যই হোক- তা নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রুপ করলে ঈমান নষ্ট হয়ে যায়।

আল্লাহ বলেন, ‘তুমি তাদের প্রশ্ন করলে তারা নিশ্চয়ই বলবে- আমরা তো আলাপ-আলোচনা ও ক্রীড়া-কৌতুক করছিলাম। বলো, তোমরা কি আল্লাহ, তাঁর আয়াত ও তাঁর রাসূলকে বিদ্রূপ করছিলে?’ তোমরা অজুহাত দেয়ার চেষ্টা করো না। তোমরা তো ঈমান আনার পর কুফরি করেছ’ (সূরা তাওবা ৯: ৬৫-৬৬)।

  • আধুনিক কালের নব্য শিক্ষিতদের কেউ কেউ মনে করেন যে, কেবল মাত্র ইসলমই নয়- হিন্দু, খৃষ্টান, ইয়াহুদী, বৌদ্ধ নির্বিশেষে যে কোন ধর্মে থেকে মানবতা, মানব সেবা পরোপকার প্রভৃতি ভাল কাজ করলে পরকালে মুক্তি হবে। এরূপ বিশ্বাস করা কুফরী। একমাত্র ইসলাম ধর্ম অনুসরণের মধ্যেই পরকালীন মুক্তি নিহিত- একথায় বিশ্বাস রাখা ঈমানের জন্য জরুরী।
  • মুশরিক-কাফিরদের কাফির মনে না করা। হাল জামানায় এর প্রসার কল্পনাতীত। স্বয়ং তথাকথিত আলেমদেরও এ ব্যাপারে শৈথিল্য ব্যাপক। আল্লাহ হিফাজত করুন।

‘হে মুমিনগণ! তোমরা ইহুদি ও খ্রিষ্টানদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। তারা পরস্পরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে কেউ তাদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করলে সে তাদেরই একজন বলে গণ্য হবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ পাপাচারী সম্প্রদায়কে সৎপথে পরিচালিত করেন না’ (সূরা মায়িদা ৫: ৫১)।

  • কোন বুযুর্গ বা পীর মুরশিদ সম্বন্ধে এই আকীদা রাখা যে, তিনি সব সময় আমাদের অবস্থা জানেন! তিনি সর্বত্র হাযির নাযির।
  • কোন পীর বুযুর্গকে দূর দেশ থেকে ডাকা এবং মনে করা যে, তিনি জানতে পেরেছেন।
  • কোন পীর বুযুর্গের কবরের নিকট সন্তান বা অন্য কোন উদ্দেশ্য চাওয়া। সন্তান দেয়ার মালিক আল্লাহ, পীর বুযুর্গ নয়। আল্লাহ এবং বান্দার মধ্যে কাউকে মাধ্যম স্থির করা। যেমন- নিজে সরাসরি কোনো কিছু আল্লাহর দরবারে না চেয়ে অন্যের মাধ্যম ধরে চাওয়া। এ কথা মনে করা যে, নিজে চাইলে পাওয়া যাবে না, পীর চেয়ে দিলে পাওয়া যাবে।

আল্লাহ বলেন, ‘তারা আল্লাহকে ব্যতীত যার ইবাদত করে তা তাদের ক্ষতিও করতে পারে না, উপকারও করতে পারে না। তারা বলে, এরা আল্লাহর কাছে আমাদের সুপারিশকারী। বলো, তোমরা কি আল্লাহকে আকাশমণ্ডলি ও পৃথিবীর এমন কিছুর সংবাদ দিচ্ছ, যা তিনি জানেন না? তিনি মহান, পবিত্র এবং তারা যাকে শরিক করে তা থেকে তিনি ঊর্ধ্বে’ (সূরা ইউনুস ১০: ১৮)।

  • পীর বা কবরকে সাজদা করা।

.আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সাথে অংশীদার করা ক্ষমা করেন না। তা ব্যতীত অন্যান্য অপরাধ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন; এবং যে কেউ আল্লাহর সাথে শিরক করে সে এক মহাপাপ করে’ (সূরা নিসা ৪: ৪৮)। ‘কেউ আল্লাহর সাথে শিরক করলে অবশ্যই আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করবেন এবং তার আবাস জাহান্নাম। আর জালিমদের জন্য কোনো সাহায্যকারী নেই’ (সূরা মায়িদা ৫:৭২)।

  • কোন বুযুর্গের নাম অজীফার মত জপ করা।
  • কোন পীর বুযুর্গের নামে শিরনী, ছদকা বা মান্নত মানা।
  • কোন পীর বুযুর্গের নামে জানোয়ার জবেহ করা।
  • কারও দোহাই দেয়া।
  • কারও নামের কছম খাওয়া বা কিরা করা।
  • আলীবখ্শ, হোছাইন বখ্শ ইত্যাদি নাম রাখা।
  • নক্ষত্রের তা’ছীর (প্রভাব) মানা বা তিথি পালন করা।
  • জ্যোতির্বিদ, গণক, ঠাকুর বা যার ঘাড়ে জিন এসেছে তার নিকট হাত দেখিয়ে অদৃষ্ট সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা। তাদের ভবিষ্যদ্বাণী ও গায়েবী খবরে বিশ্বাস স্থাপন করা ৷
  • কোন জিনিস দেখে কু-লক্ষণ ধরা বা কু-যাত্রা মনে করা, যেমন অনেকে যাত্রা মুখে কেউ হাঁচি দিলে বা যাত্রা মুখে কোন মেয়ে মানুষ বা কাল কলসি দেখলে বা যাত্রা মুখে হোচট খেলে কু-যাত্রা মনে করে থাকে।
  • কোন দিন বা মাসকে অশুভ মনে করা।
  • মহররমের তা’জিয়া বানানো।
  • এরকম বলা যে, খোদা রসূলের মর্জি থাকলে এই কাজ হবে বা খোদা রাসূল যদি চায় তাহলোে এই কাজ হবে। (বরং এভাবে বলা সহীহ যে, খোদা চাইলে হবে বা খোদার মর্জি থাকলে হবে।)
  • এরকম বলা যে, উপরে খোদা নীচে আপনি (বা অমুক)
  • কাউকে “পরম পূজনীয়” লেখা।
  • জাদু করা বা কুফরি কালাম করা।

আল্লাহ বলেন, ‘সুলাইমান কুফরি করেননি, কুফরি তো করেছিল শয়তানরাই। তারা মানুষকে জাদু শিক্ষা দিত’ (সূরা বাকারা ২: ১০২)।

  • “কষ্ট না করলে কেষ্ট (শ্রীকৃষ্ণ) পাওয়া যায় না” বলা বা “জয়কালী নেগাহবান ” ইত্যাদি বলা।
  • কোন পীর বুযুর্গ, দেও পরী, বা ভূত ব্রাহ্মণকে লাভ লোকসানের মালিক মনে করা। কোন পীর বুযুর্গের দরগাহ বা কবরের চতুর্দিক দিয়ে তওয়াফ করা।
  • কোন পীর বুযুর্গের দরগাহ বা বাড়ীকে কাবা শরীফের ন্যায় আদব-তা’যীম করা।

‘জেনে রাখো, অবিমিশ্র আনুগত্য আল্লাহরই প্রাপ্য। যারা আল্লাহর পরিবর্তে অন্যকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করে তারা বলে- আমরা তো এদের পূজা এ জন্যই করি যে, এরা আমাদের আল্লাহর সান্নিধ্যে নিয়ে যাবে।’ তারা যে বিষয়ে নিজেদের মধ্যে মতভেদ করছে আল্লাহ তার ফায়সালা করে দেবেন। যে মিথ্যাবাদী ও কাফির আল্লাহ তাকে সৎপথে পরিচালিত করেন না’ (সূরা জুুমার ৩৯: ৩)।

উপরে উল্লিখিত কারণগুলো ঈমান কি কারণে নষ্ট হয়? বা ঈমান ভঙ্গের কারণ হিসেবে কাজ করে। ওই হালতে মৃত্যু হলোে জাহান্নামে থাকতে হবে। আল্লাহ তায়ালা আমাদের হিফাজত করুন। আমীন।

See also  ঈমানের শাখা imaner shakha

40 টি ঈমান ভঙ্গের কারণ সমূহ pdf, ঈমান ভঙ্গের দশটি কারণ pdf

বিঃ দ্রঃ অত্র লিখনীতে যেসব বিষয়কে কুফরী বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে, কারও মধ্যে তা পরিলক্ষিত হলোেই তাকে কাফের বলে ফতওয়া দিয়ে দেয়া যাবে না। কেননা কুফরের মধ্যে বিভিন্ন স্তর রয়েছে। যদিও সব স্তরের কুফরী গোমরাহী এবং যার মধ্যে তা পাওয়া যাবে সে পথভ্রষ্ট, গোমরাহ এবং আলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত বহির্ভূত, তবে কুফূরে কোন্ স্তর পাওয়া গেলে কাউকে কাফের বলে ফতওয়া দেয়া যায় তা বিজ্ঞ উলামা ও মুফ্ফীগণই নির্ণয় করতে পারেন। এ ব্যাপারে সাধারণ মানুষের পক্ষে বিজ্ঞ উলামা ও মুফ্ফীগণের স্মরণাপন্ন হওয়া ব্যতীত নিজেদের থেকে কোন ফতওয়া বা সিদ্ধান্ত প্রকাশ করা সমীচীন হবে না। কাউকে কাফের আখ্যায়িত করার জরুরী কয়েকটি মূলনীতি অত্র অধ্যায় (প্রথম অধ্যায়)-এর শেষে বর্ণনা করা হয়েছে।

পোষ্টটি লিখতে নিম্নক্তো বই/লেখকের লিখনী থেকে সাহায্য নেওয়া হয়েছে:
আহকামে জিন্দেগী (মাকতাবাতুল আবরার প্রকাশনী)
মাওলানা মুহাম্মদ হেমায়েত উদ্দীন
শায়খুল হাদীস, জামেয়া ইসলামিয়া আরার্বিয়া, তাঁতী বাজার, ঢাকা-১১০০
মুহাদ্দিছ, জামিয়া ইসলমিয়া দারুল উূলুম মাদানিয়া, ৩১২, দক্ষীণ যাত্রাবাড়ি, ঢাকা-১২৩৬

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright Notice

কপি করা নিষিদ্ধ!