Skip to content

 

(৪১টি) স্বামী স্ত্রীর গোপন কথা তথ্য রহস্য উপহার + স্বামী স্ত্রীর মিলন তথ্য বিধান তত্ত্ব + সঙ্গম করার দোয়া সময় পদ্ধতি + সহবাসের নিয়ম নীতি pdf download উপায় পদ্ধতি কৌশল উপকারিতা ও অপকারিতা [মেয়ে/ছেলে সন্তান কিভাবে নিতে হয়? সহ]

⭐⭐⭐⭐⭐ (৪১টি) স্বামী স্ত্রীর গোপন কথা তথ্য রহস্য উপহার + স্বামী স্ত্রীর মিলন তথ্য বিধান তত্ত্ব + সঙ্গম করার দোয়া সময় পদ্ধতি + সহবাসের নিয়ম নীতি pdf download উপায় পদ্ধতি কৌশল উপকারিতা ও অপকারিতা [মেয়ে/ছেলে সন্তান কিভাবে নিতে হয়? সহ] সূচিপত্রঃ ১। যৌবনে উপনিত হবার পরিচয় ২। স্তন ও ঋতুর জন্মকথা ৩। ঋতুস্রাবের সময় নিষিদ্ধ কাজসমূহ ৪ । বীর্য বা ধাতুর জন্মকথা ৫। সঙ্গম পদ্ধতি ৬। মিলা মিশার স্থান কেমন হবে ৭। কেমন বেশে মিলামিশা করবেন ১১। রোযার মধ্যে সঙ্গম ১২। রোযা রেখে দিনে সহবাস করা হারাম.. ১৩। গর্ভ অবস্থায় সঙ্গম ১৪ । নিয়ম পালনের সহজ উপায় ১৫। কেমন স্ত্রীর সাথে সঙ্গম করলে কেমন ফল হয়.. ১৬ । বিধবা নারীতে সঙ্গম করতে দোষ কি? ৮। কোন মাসে কত দিন পরে সঙ্গম করলে স্বাস্থ্য ভাল থাকে ৯। কোন সময়ে কেমন অবস্থায় সঙ্গম করা নিষেধ, ১০ । মিলামিশা করার উত্তম সময় কখন ১৭। সঙ্গমের উপকারিতা ১৮ । নবীদের নারী সঙ্গম কেমন ছিল ১৯ । অসময়ে ও নিয়ম ছাড়া সঙ্গমের দোষ ২০। সন্তানের স্বভাব মন্দ হয় কেন ২১। উত্তম স্বভাবের সন্তান হয় কিসে ২২। অতি সঙ্গমের অপকারীতা ২৩। সঙ্গমের পর কি কাজ করা কর্তব্য ২৪ । বেহেস্তী হুরের সঙ্গম সম্পর্কিত ২৫। গর্ভ সঞ্চারের ইতিকথা ২৬। গর্ভের মধ্যে সন্তান কিরূপে বেঁচে থাকে. ২৭। রূহ কি জিনিস ও উহার স্বরূপ কি? ২৮ । কালের দৃষ্টি বা বাঁঝা রোগ ২৯ । বাঁঝা স্ত্রীর গর্ভ হবার ঔষধ ৩০। ইচ্ছা মত পুত্ৰ কণ্যার জন্মদান ৩১ । সন্তান জন্মাবার দোষ নিবারণ ৩২। অতিরিক্ত রক্তস্রাব নিবারণ ৩৩ । সাদা ধাতুস্রাব নিবারণ ৩৪ । সহজ প্রসব ব্যবস্থা ৩৫ । স্তন্য দুগ্ধ বৃদ্ধির আমল ৩৬ ৷ স্তন্য দুগ্ধ কমাতে হলে ৩৭ । শিশুর সেবা যত্ন ৩৮ । শরীরের রং উজ্জ্বল করা ৩৯। চির যৌবন লাভের ঔষধ ৪০। স্তন শক্ত সুন্দর ও সুশ্রী করার ঔষধ ৪১। সংযম গ্রহণ ও রিপূ দমন। ট্যাগঃ স্বামী স্ত্রীর গোপন কথা pdf, স্বামী স্ত্রীর গোপন তথ্য, স্বামী স্ত্রীর গোপন রহস্য, স্বামী স্ত্রীর গোপন উপহার, স্বামী স্ত্রীর একান্ত গোপনীয় কথা, স্বামী স্ত্রীর একান্ত গোপন কথা, স্বামী স্ত্রীর মিলন, রমজান মাসে স্বামী-স্ত্রীর মিলন করা যাবে কি, ইসলামিক ভাবে স্বামী স্ত্রীর মিলন, স্বপ্নে স্বামী স্ত্রীর মিলন দেখলে কি হয়, স্বামী স্ত্রীর মিলন তত্ত্ব pdf, স্বামী স্ত্রীর মিলন তথ্য, স্বামী স্ত্রীর মিলনের উপকারিতা, স্বামী স্ত্রীর মিলনের স্বপ্ন দেখলে কি হয়, স্বামী স্ত্রীর মিলন বিধান pdf, ইসলামিক স্বামী স্ত্রীর মিলন, স্বামী স্ত্রীর মধুর মিলন ও আদর্শ দাম্পত্য জীবন pdf, স্বামী স্ত্রীর মধুর মিলন ও দাম্পত্য জীবন, স্বামী স্ত্রীর মধুর মিলন ও আদর্শ দাম্পত্য জীবন, আদর্শ স্বামী স্ত্রীর কর্তব্য ও মিলন তথ্য, ইসলামের দৃষ্টিতে স্বামী স্ত্রীর মধুর মিলন ও আদর্শ দাম্পত্য জীবন, স্বামী স্ত্রীর মিলনের ইসলামিক নিয়ম, স্বামী স্ত্রীর মধুর মিলন বই ইসলামিক, ইসলামে স্বামী স্ত্রীর মধুর মিলন, ইসলামের দৃষ্টিতে স্বামী স্ত্রীর মধুর মিলন pdf, স্বামী ও স্ত্রীর মিলন বিধান, স্বামী-স্ত্রীর দায়িত্ব-কর্তব্য ও মধুর মিলন pdf, পরিপূর্ণ স্বামী স্ত্রীর কর্তব্য ও মধুর মিলন pdf, স্বামী-স্ত্রীর দায়িত্ব-কর্তব্য ও মধুর মিলন, স্বামী স্ত্রীর মিলন করলে কি হয়, স্বামী স্ত্রী মিলনের জলসা, স্বামী স্ত্রীর মিলনের সম্পর্কে জানতে চাই, স্বামী স্ত্রীর দাম্পত্য জীবন বা মধুর মিলন, স্বামী স্ত্রীর মধুর মিলন বই ডাউনলোড pdf, স্বামী স্ত্রীর মিলন তত্ত্ব pdf download, স্বামী স্ত্রীর মিলনের নিয়ম কানুন, স্বামী স্ত্রীর মধুর মিলন বই pdf download, স্বামী স্ত্রীর মধুর মিলন হাদিস, স্বামী স্ত্রীর মধুর মিলন pdf book, স্বামী-স্ত্রীর মিলনের যতো সুফল। মেয়ে/ছেলে সন্তান কিভাবে নিতে হয়, সঙ্গম করার পদ্ধতি, ইসলামে সঙ্গম, সঙ্গমের উপকারিতা, সঙ্গম করার উপায়, সঙ্গম করার কৌশল, সঙ্গম করার নিয়ম, সঙ্গম কিভাবে করে, কখন সঙ্গম করলে বাচ্চা হয়, কীভাবে সঙ্গম করলে বাচ্চা হয়, সঙ্গম করার সঠিক নিয়ম, সঙ্গমের নিয়ম, সঙ্গমের নিরাপদ সময়, সঙ্গমের পদ্ধতিবাচ্চা নেওয়ার জন্য সহবাসের পদ্ধতি, স্ত্রী সহবাসের নিয়ম, স্বামী স্ত্রীর সহবাসের নিয়ম pdf, সহবাসের কত দিন পর বাচ্চা পেটে আসে, অতিরিক্ত সহবাসের ক্ষতিকর দিক, অতিরিক্ত সহবাসের ক্ষতি, অতিরিক্ত সহবাসের কুফল, সহবাসের আনন্দ পাওয়ার উপায়, সহবাসের আগে আদা খেলে কি হয়, সহবাসের আগে ও পরে করণীয়, সহবাসের আগে ও পরে কি করনীয়, সহবাসের ইসলামিক নিয়ম, সহবাসের ইসলামী নিয়ম, ইসলামে সহবাসের উত্তম সময়, ইসলামে সহবাসের নিষিদ্ধ সময় কখন, ইসলামে সহবাসের নিষিদ্ধ সময়, ইসলামে সহবাসের নিয়ম, ইসলামের দৃষ্টিতে সহবাসের নিষিদ্ধ সময়, ইসলামে সহবাসের নিষিদ্ধ দিন, ইসলামের দৃষ্টিতে সহবাসের নিয়ম, ইসলামের দৃষ্টিতে সহবাসের সঠিক নিয়ম, ইসলামের দৃষ্টিতে স্ত্রী সহবাসের নিয়ম, সহবাসের উত্তম সময়, সহবাসের উপযুক্ত সময়, সহবাসের উত্তম দিন, সহবাসের উপযুক্ত সময় ও দিন, সহবাসের উপকারিতা ও অপকারিতা, বাচ্চা নেওয়ার জন্য সহবাসের উপযুক্ত সময়, স্বামী স্ত্রীর সহবাসের উপকারিতা, গর্ভাবস্থায় সহবাসের উপকারিতা, প্রতিদিন সহবাসের উপকারিতা ও অপকারিতা, নিরাপদ সহবাসের উপযুক্ত সময়, কত বছর বয়সে মেয়েরা সহবাসের উপযোগী হয়, সহবাসের দোয়া ও নিয়ম, ইসলাম ও সহবাস, ইসলামে সহবাসের নিয়ম ও পদ্ধতি, সহবাসের পর কি খাওয়া যায়, সহবাসের সঠিক নিয়ম।

বিষয়ঃ খামারিয়ানের আজকের এই পোষ্টটিতে আলোচনা করা হবে, (৪১টি) স্বামী স্ত্রীর গোপন কথা, তথ্য, রহস্য, উপহার + স্বামী স্ত্রীর মিলন তথ্য বিধান তত্ত্ব + সঙ্গম করার দোয়া নিয়ম সময় পদ্ধতি উপকারিতা + সহবাসের নিয়ম নীতি সময় উপায় পদ্ধতি কৌশল উপকারিতা ও অপকারিতা [মেয়ে/ছেলে সন্তান কিভাবে নিতে হয়? সহ] সম্পর্কে, আশা করি শে অবধি সাথেই থাকবেন।
ট্যাগঃ স্বামী স্ত্রীর গোপন কথা pdf, স্বামী স্ত্রীর গোপন তথ্য, স্বামী স্ত্রীর গোপন রহস্য, স্বামী স্ত্রীর গোপন উপহার, স্বামী স্ত্রীর একান্ত গোপনীয় কথা, স্বামী স্ত্রীর একান্ত গোপন কথা, স্বামী স্ত্রীর মিলন, রমজান মাসে স্বামী-স্ত্রীর মিলন করা যাবে কি, ইসলামিক ভাবে স্বামী স্ত্রীর মিলন, স্বপ্নে স্বামী স্ত্রীর মিলন দেখলে কি হয়, স্বামী স্ত্রীর মিলন তত্ত্ব pdf, স্বামী স্ত্রীর মিলন তথ্য, স্বামী স্ত্রীর মিলনের উপকারিতা, স্বামী স্ত্রীর মিলনের স্বপ্ন দেখলে কি হয়, স্বামী স্ত্রীর মিলন বিধান pdf, ইসলামিক স্বামী স্ত্রীর মিলন, স্বামী স্ত্রীর মধুর মিলন ও আদর্শ দাম্পত্য জীবন pdf, স্বামী স্ত্রীর মধুর মিলন ও দাম্পত্য জীবন, স্বামী স্ত্রীর মধুর মিলন ও আদর্শ দাম্পত্য জীবন, আদর্শ স্বামী স্ত্রীর কর্তব্য ও মিলন তথ্য, ইসলামের দৃষ্টিতে স্বামী স্ত্রীর মধুর মিলন ও আদর্শ দাম্পত্য জীবন, স্বামী স্ত্রীর মিলনের ইসলামিক নিয়ম, স্বামী স্ত্রীর মধুর মিলন বই ইসলামিক, ইসলামে স্বামী স্ত্রীর মধুর মিলন, ইসলামের দৃষ্টিতে স্বামী স্ত্রীর মধুর মিলন pdf, স্বামী ও স্ত্রীর মিলন বিধান, স্বামী-স্ত্রীর দায়িত্ব-কর্তব্য ও মধুর মিলন pdf, পরিপূর্ণ স্বামী স্ত্রীর কর্তব্য ও মধুর মিলন pdf, স্বামী-স্ত্রীর দায়িত্ব-কর্তব্য ও মধুর মিলন, স্বামী স্ত্রীর মিলন করলে কি হয়, স্বামী স্ত্রী মিলনের জলসা, স্বামী স্ত্রীর মিলনের সম্পর্কে জানতে চাই, স্বামী স্ত্রীর দাম্পত্য জীবন বা মধুর মিলন, স্বামী স্ত্রীর মধুর মিলন বই ডাউনলোড pdf, স্বামী স্ত্রীর মিলন তত্ত্ব pdf download, স্বামী স্ত্রীর মিলনের নিয়ম কানুন, স্বামী স্ত্রীর মধুর মিলন বই pdf download, স্বামী স্ত্রীর মধুর মিলন হাদিস, স্বামী স্ত্রীর মধুর মিলন pdf book, স্বামী-স্ত্রীর মিলনের যতো সুফল। মেয়ে/ছেলে সন্তান কিভাবে নিতে হয়, সঙ্গম করার পদ্ধতি, ইসলামে সঙ্গম, সঙ্গমের উপকারিতা, সঙ্গম করার উপায়, সঙ্গম করার কৌশল, সঙ্গম করার নিয়ম, সঙ্গম কিভাবে করে, কখন সঙ্গম করলে বাচ্চা হয়, কীভাবে সঙ্গম করলে বাচ্চা হয়, সঙ্গম করার সঠিক নিয়ম, সঙ্গমের নিয়ম, সঙ্গমের নিরাপদ সময়, সঙ্গমের পদ্ধতিবাচ্চা নেওয়ার জন্য সহবাসের পদ্ধতি, স্ত্রী সহবাসের নিয়ম, স্বামী স্ত্রীর সহবাসের নিয়ম pdf, সহবাসের কত দিন পর বাচ্চা পেটে আসে, অতিরিক্ত সহবাসের ক্ষতিকর দিক, অতিরিক্ত সহবাসের ক্ষতি, অতিরিক্ত সহবাসের কুফল, সহবাসের আনন্দ পাওয়ার উপায়, সহবাসের আগে আদা খেলে কি হয়, সহবাসের আগে ও পরে করণীয়, সহবাসের আগে ও পরে কি করনীয়, সহবাসের ইসলামিক নিয়ম, সহবাসের ইসলামী নিয়ম, ইসলামে সহবাসের উত্তম সময়, ইসলামে সহবাসের নিষিদ্ধ সময় কখন, ইসলামে সহবাসের নিষিদ্ধ সময়, ইসলামে সহবাসের নিয়ম, ইসলামের দৃষ্টিতে সহবাসের নিষিদ্ধ সময়, ইসলামে সহবাসের নিষিদ্ধ দিন, ইসলামের দৃষ্টিতে সহবাসের নিয়ম, ইসলামের দৃষ্টিতে সহবাসের সঠিক নিয়ম, ইসলামের দৃষ্টিতে স্ত্রী সহবাসের নিয়ম, সহবাসের উত্তম সময়, সহবাসের উপযুক্ত সময়, সহবাসের উত্তম দিন, সহবাসের উপযুক্ত সময় ও দিন, সহবাসের উপকারিতা ও অপকারিতা, বাচ্চা নেওয়ার জন্য সহবাসের উপযুক্ত সময়, স্বামী স্ত্রীর সহবাসের উপকারিতা, গর্ভাবস্থায় সহবাসের উপকারিতা, প্রতিদিন সহবাসের উপকারিতা ও অপকারিতা, নিরাপদ সহবাসের উপযুক্ত সময়, কত বছর বয়সে মেয়েরা সহবাসের উপযোগী হয়, সহবাসের দোয়া ও নিয়ম, ইসলাম ও সহবাস, ইসলামে সহবাসের নিয়ম ও পদ্ধতি, সহবাসের পর কি খাওয়া যায়, গর্ভাবস্থায় সহবাসের সঠিক নিয়ম।

(৪১টি) স্বামী স্ত্রীর গোপন কথা, তথ্য, রহস্য, উপহার + স্বামী স্ত্রীর মিলন তথ্য বিধান তত্ত্ব + সঙ্গম করার দোয়া নিয়ম দোয়া সময় পদ্ধতি উপকারিতা + সহবাসের নিয়ম নীতি সময় উপায় পদ্ধতি কৌশল উপকারিতা ও অপকারিতা [মেয়ে/ছেলে সন্তান কিভাবে নিতে হয়? সহ]

আজকে আমরা আলোচনা করবঃ

(৪১টি) স্বামী স্ত্রীর গোপন কথা তথ্য রহস্য উপহার + স্বামী স্ত্রীর মিলন তথ্য বিধান তত্ত্ব + সঙ্গম করার দোয়া সময় পদ্ধতি + সহবাসের নিয়ম নীতি pdf download উপায় পদ্ধতি কৌশল উপকারিতা ও অপকারিতা [মেয়ে/ছেলে সন্তান কিভাবে নিতে হয়? সহ]

কোরআন হাদিসের দৃষ্টিতে স্বামী স্ত্রীর গোপন উপহার (ইচ্ছামত পুত্র-কণ্যার জন্মদান পদ্ধতিসহ)
মূল লেখকঃ মোসাম্মৎ শাহিনা আখতার (মণি)

সূচিপত্রঃ

১। যৌবনে উপনিত হবার পরিচয় ২। স্তন ও ঋতুর জন্মকথা ৩। ঋতুস্রাবের সময় নিষিদ্ধ কাজসমূহ ৪। বীর্য বা ধাতুর জন্মকথা ৫। সঙ্গম পদ্ধতি ৬। মিলা মিশার স্থান কেমন হবে ৭। কেমন বেশে মিলামিশা করবেন ১১। রোযার মধ্যে সঙ্গম ১২। রোযা রেখে দিনে সহবাস করা হারাম.. ১৩। গর্ভ অবস্থায় সঙ্গম ১৪। নিয়ম পালনের সহজ উপায় ১৫। কেমন স্ত্রীর সাথে সঙ্গম করলে কেমন ফল হয়.. ১৬। বিধবা নারীতে সঙ্গম করতে দোষ কি? ৮। কোন মাসে কত দিন পরে সঙ্গম করলে স্বাস্থ্য ভাল থাকে ৯। কোন সময়ে কেমন অবস্থায় সঙ্গম করা নিষেধ, ১০। মিলামিশা করার উত্তম সময় কখন ১৭। সঙ্গমের উপকারিতা ১৮। নবীদের নারী সঙ্গম কেমন ছিল ১৯। অসময়ে ও নিয়ম ছাড়া সঙ্গমের দোষ ২০। সন্তানের স্বভাব মন্দ হয় কেন ২১। উত্তম স্বভাবের সন্তান হয় কিসে ২২। অতি সঙ্গমের অপকারীতা ২৩। সঙ্গমের পর কি কাজ করা কর্তব্য ২৪। বেহেস্তী হুরের সঙ্গম সম্পর্কিত ২৫। গর্ভ সঞ্চারের ইতিকথা ২৬। গর্ভের মধ্যে সন্তান কিরূপে বেঁচে থাকে. ২৭। রূহ কি জিনিস ও উহার স্বরূপ কি? ২৮। কালের দৃষ্টি বা বাঁঝা রোগ ২৯। বাঁঝা স্ত্রীর গর্ভ হবার ঔষধ ৩০। ইচ্ছা মত পুত্ৰ কণ্যার জন্মদান ৩১। সন্তান জন্মাবার দোষ নিবারণ ৩২। অতিরিক্ত রক্তস্রাব নিবারণ ৩৩। সাদা ধাতুস্রাব নিবারণ ৩৪। সহজ প্রসব ব্যবস্থা ৩৫। স্তন্য দুগ্ধ বৃদ্ধির আমল ৩৬ ৷ স্তন্য দুগ্ধ কমাতে হলে ৩৭। শিশুর সেবা যত্ন ৩৮। শরীরের রং উজ্জ্বল করা ৩৯। চির যৌবন লাভের ঔষধ ৪০। স্তন শক্ত সুন্দর ও সুশ্রী করার ঔষধ ৪১। সংযম গ্রহণ ও রিপূ দমন।

(৪১টি) স্বামী স্ত্রীর গোপন কথা, তথ্য, রহস্য, উপহার + স্বামী স্ত্রীর মিলন তথ্য বিধান তত্ত্ব + সঙ্গম করার দোয়া নিয়ম দোয়া সময় পদ্ধতি উপকারিতা + সহবাসের নিয়ম নীতি সময় উপায় পদ্ধতি কৌশল উপকারিতা ও অপকারিতা [মেয়ে/ছেলে সন্তান কিভাবে নিতে হয়? সহ]

প্রসঙ্গ কথাঃ

স্থানঃ ডাবী হামিদা বেগমের শোবার ঘর। মাগরিবের নামায শেষে হামিদা বেগম বসে আছেন বারান্দায়। এমন সময় ননদী ফরিদা বেগমের অনুপ্রবেশ।

ফরিদাঃ আস্সালামু আলাইকুম। আসতে পারি ভাবী?

হামিদা : ওয়া আলাইকুমুস্ সালাম আস বোন।

ফরিদাঃ বিয়ের পর স্বামীর বাড়ী হতে ফিরে এসে চাঁদনী রাতে বারান্দায় বসে হামিদার মুখের দিকে চেয়ে বলল মনে আছে কি ভাবী?

হামিদাঃ স্নেহমাখা কণ্ঠে শুধালেন কি সে কথা বোন?

ফরিদা বললঃ “ঐ যে বিয়ের তারিখের আগে আপনার উপদেশের শেষে বলেছিলেন- স্বামী সহবাস সম্পর্কিত কতকগুলো কথা বলবার ইচ্ছা থাকল। তা আর একদিন বলবো- বোন।

হামিদা বলেনঃ মনে থাকবে না কেন? খুবই মনে আছে।”

ফরিদাঃ “আচ্ছা, তবে আজকে সে বিষয় একটু ভাল করে খুলে বলতে অনুরোধ করছি।

হামিদাঃ “যে কথা বলবো মনে করেছি বোন, তা বলব বলব বলেও কিন্তু এতদিন বলিনি। কারণ, ওসব কথা শুনে যদি তুমি আমাকে নিলর্জ্জ মনে কর, তাই। যা হোক সেসব বিষয় শিখবার তোমার এখন উপযুক্ত সময় হয়ে এসেছে। তাই আজ বলছি তবে শুন, এতে লজ্জার বিষয় তো কিছুই নেই। দয়াময় আল্লাহ তা’আলার কুদরতে কোথা থেকে কিভাবে আমরা এ জগতে এসেছি আমরা কেমন করে সৃষ্টি হয়েছি। আমাদের আত্মাটা কি জিনিস- এসব কথার মূল তত্ত্ব অনুসন্ধান করতে লজ্জার কোন কারণ নেই। মানুষের রক্ত বীর্য- খুবেই তুচ্ছ অথচ ঘৃণিত বস্তু থেকে, এমন সুন্দর সুশ্রী একটা মানুষ সৃষ্টি হওয়া-আল্লাহর বিশেষ কারিগরী ও মহা বিস্ময়ের কথা বৈ কি? যাক সে কথা। ছোট বেলা থেকে দেহতত্বের কথা জেনে শুনে সাবধান হয়ে চলা উচিত।

.ফরিদাঃ নীরবে ভাবীর মুখের দিকে চেয়ে রইল। হামিদা কিছুক্ষণ চুপ থেকে আবার বলতে লাগলেন, “সে অনেক কথা বোন, অনেক বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব কথা। যা হোক পবিত্র হাদীস শরীফে এবং ডাক্তারী গ্রন্থ সমূহে এ বিষয়ে যতটুকু বিবরণ পাওয়া গেছে, তা এখন সবই বলছি মনযোগ দিয়ে শোন। আর সে মোতাবেক নিজের জীবন ও স্বামী সন্তানের জীবন গঠন করবে এই আমার আশা, তাতে তুমিই সুখি হবে।

১. যৌবনে উপনিত হবার পরিচয়ঃ

মহামহিম আল্লাহ তা’লার অপার মহিমায় এতটুকু ক্ষুদ্র বীজের ভিতরে যেমন অত বড় গাছটা লুকিয়ে থাকে, তা মাটি, পানি ও সূর্যের আলো – পেলেই গজিয়ে উঠে। এরপর আস্তে আস্তে ডালপালা ও ফল হয়- গাছ হয়। শিশুৱ মানষিকতাও তেমনি; প্রথমে উহা ঘুমিয়ে থাকে। এরপর শরীর। বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শিশুর মনে নানা প্রকার খেয়াল ও নানা ভাবের উদয় হয়। শিশুর হৃদয়ের সঙ্গে যে সরু রগগুলোর সংযোগ রয়েছে, সেগুলো কম্পিউটারের সংযোগের মত। হৃদয়ের মধ্যে যে খেয়াল বা প্রবৃত্তির উদয় হয়, তা ঐ তার দিয়ে বিদ্যুতের মত খুব দ্রুতবেগে শরীরে সঞ্চারিত হয়। এতেই বীজের যেমন মাটি, পানি ও আলো দেবার মত করে কাজ হয়। এতেই অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বৃদ্ধির সাথে সাথে লিঙ্গাদিও পূর্ণতা প্রাপ্ত হতে থাকে। এভাবে মানুষের যৌবনকাল দেখা দিয়ে থাকে। যৌবনকাল নারী পুরুষ সকলের জীবনে এক অমূল্য সম্পদ। এর প্রতি অবহেলা করলে মানুষের, জীবন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়।

ফুল যেমন না ফুটলে তার গন্ধ সুবাস পাওয়া যায় না, আর ফুটলেই বেশ উহা পাওয়া যায়। তেমনি অপ্রাপ্ত বয়সে ছেলে-মেয়েদের মণি বা ধাতু সাধারণতঃ দেখা যায় না। আর যৌবন প্রাপ্তি হলেই উহা দেখা যায়। ঠিক মানুষও বয়ঃপ্রাপ্ত হওয়া মানে যেন সে অবাঞ্ছিত ফুলটি ফুটল আর কি! ফুল ফুটলে আগে যেমন তার পাঁপড়ী খোলে, মানুষ বয়ঃপ্রাপ্ত হলে তেমনি তার কতকগুলো চিহ্ন দেখা যায়। এগুলোকে যৌবন চিহ্নত বলে।

ছেলেরা বয়ঃপ্রাপ্ত হলে শরীরের গঠন মোতাবেক তাদের যৌবন চিহ বীর্যপাত, গর্ভোৎপাদন ও স্বপ্নদোষ। আর মেয়েরা বয়ঃপ্রাপ্ত হলে ত দের যৌবনচিহ্ন হল বীর্যপাত, গর্ভধারণ, ঋতু ও স্বপ্নদোষ। আর যদি এগুলোর কোন লক্ষ্যণই পাওয়া না যায়, তবে ছেলেমেয়ে নির্বিশেষে পনর বার পূর্ণ হলে, বয়ঃপ্রাপ্ত ধরা হয়ে থাকে। এছাড়া তাদের যৌবনের আরো কতকগুলো সাধারণ লক্ষণ আছে। পুরুষের জন্য যেমন, গোঁফ, দাড়ি। মলিাদের জন্য স্তনের উচ্চতা ও স্থূলতা, বগল ও গুপ্তস্থানের রোমাসি ইত্যাদি। যদিও ইসলামী শরীয়ত এটাকে সমর্থন করে না।

২. স্তন ও ঋতুর জন্মকথাঃ

জগতের প্রসিদ্ধ চিকিৎসক মহাত্মা আবু আলী ইবনে সীনা লিখেছেন, শরীরেই যৌবনকালে মানুষের মনে যে খাহেশ বা প্রবৃত্তি জন্মে, তা সব শরীরেই আকাশের বিজলীর মত খুব দ্রুতবেগে ছুটতে থাকে। শরীরের যে যে অংশে তা বেশী যায়, সেই সেই অংশেই যৌবনচিহ্ন প্রথমে দেখা দেয়; অর্থাৎ দাড়ি, গোঁফ ইত্যাদি উঠে।

মেয়েদের রেহমে বা সন্তান জন্ম হবার থলির সঙ্গে নলের মত দুটি রগের সংযোগ আছে। স্তনের সঙ্গে এ রগ দুটির যোগ রয়েছে। মনের ইচ্ছাশক্তির প্রবলতার সাথে সাথে কিছু পরিমাণ রক্ত সেই নল দিয়ে স্তনের ভিতর যেয়ে জমা হয়। তাতেই ধীরে ধীরে মাংস স্থূল হয়ে স্তনের সৃষ্টি হয়।

গর্ভ-থলির নিকটে ঐ নল দুটির সাথে আরো ছোট দুটি থলির মত আছে। তাকে বলে রক্ত থলি। ক্ষুদ্র কণার মত রক্ত-কণাগুলো আস্তে এসে এ রক্ত-থলিতে জমা হয়। এই রক্ত কণাই পরে ধীরে ধীরে রক্ত বা হায়েয নাম ধরে প্রতি মাসে এক বার, যোনি পথ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে থাকে। হায়েয হলেই মেয়েরা সম্পূর্ণ প্রাপ্ত বয়স্ক বা বালেগা হয়।

ফরিদাঃ ভাবী, হায়েযের সময় পেটে এত ব্যথা হয় কেন?

হামিদাঃ ভুক্ত জিনিস থেকে যেমন ধাতু পয়দা হয়, তেমনি হায়েযের রক্তও পয়দা হয়। চিংড়ি মাছের ডিমের মত হাজার হাজার রক্ত কণা ঐ রক্ত থলিতে এসে ধীরে ধীরে জমা হয়। এই রক্ত কণা ফেটে ফেটে ঐ নল দিয়ে গর্ভ থলির ভেতর গিয়ে ঋতুস্রাব হয়। এ জন্যই ঋতুর সময় বড্ড পেট ব্যথা করে, আর স্তন টনটন করে, সমস্ত শরীর ভারী ভারী ও শীত শীত করে।

মেয়েদের নয় বছর থেকে পঞ্চান্ন বছর পর্যন্ত হায়েয হয়ে থাকে। হায়েযের সময়সীমা প্রতিবার তিন দিন হতে সর্বোচ্চ দশ দিন পর্যন্ত থাকে। অর্থাৎ কারো ৩ দিন, কারো ৫ দিন, কারো ৭ দিন দশ দিনের বেশী কারো হায়েয হয় না। যদি ১০ দিনের বেশী কারো রক্তস্রাব দেখা যায়, তবে বেশী দিনগুলোকে এস্তেহাযা (রক্তস্রাবজনিত এক প্রকার রোগ) বলে। সাধারণতঃ প্রত্যেক মাসেই মেয়েদের একবার হায়েয হয়। কারো এর ব্যতিক্রমও হয়ে থাকে। অর্থাৎ ছয় মাসে এক বছরে অথবা দুই বছর পরও হতে পারে।

৩. ঋতু স্রাবের সময় নিষিদ্ধ কাজসমূহঃ

ঋতুস্রাব অর্থ হায়েয। হায়েযের সময় মেয়েদের শরীরে একটু একটু জ্বর জ্বর ভাব হয়। সুতরাং ঋতুর সময় ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করা কিংবা ভিজা স্যাঁত স্যাঁতে মাটিতে শোয়া বা অন্য কোন মতে শরীরে ঠাণ্ডা লাগানো স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই আশংকাজনক। এ জন্যই শরীয়তের হুকুম হল হায়েযের কটা দিন মেয়েদের গোসল করার কোন প্রয়োজন নেই। মাত্র হাত মুখ ধুয়ে পানাহার করবে। ইসলামী শরীয়তের ফেকহার প্রসিদ্ধ কেতাব সমূহের ইহাই অভিমত।

বাসি, ঠাণ্ডা খাবার খাবে না-গরম ভাত, গরম পানি খাবে। পেশাবের পর গরম পানি দিয়ে পেশাবের রাস্তা পরিষ্কার করবে। কাছা দেওয়া রক্ত মাখা নেকড়া রোজ দু’একবার সাবান দিয়ে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে নেবে।

হায়েযের সময় শরীরে ঠাণ্ডা লাগলে তলপেটে খুব ব্যথা বেদনা হয়; কারো বা হায়েয পর্যন্ত বন্ধ হয়ে যায়। আবার এতে বন্ধা রোগও দেখা দিতে পারে। হায়েযের সময় ভারী কোন কাজ করলে, যথা— ঢেকীতে ধান ভানলে, মাটি কাটলে, দৌড়াদৌড়ি ও অতি জোরে চিল্লাচিল্লি বা হাসাহাসি করলে, অনেকক্ষণ বেগপূর্ণ বাতাসে থাকলে, স্বামী সহবাস করলে, ঋতুবর্তীর স্বাস্থ্য নষ্ট হয়ে যায়। হায়েযের সময় অতি পরিশ্রম করায় যেমন

ক্ষতি, গর্ভ অবস্থায় একেবারে পরিশ্রম না করায় তেমনি ক্ষতি এ কথাগুলো সব সময় মনে রাখবে।

হায়েযের সময় মাথায় তেল না মাখা, শরীরে সুগন্ধি না লাগান, চোখে সুরমা না দেওয়া, সাজসজ্জা না করা, সাধারণ বেশে থাকা মোস্তাহাব। স্বামীর সঙ্গে শোয়া বা দিনে ঘুমান উচিত নয়। তবে নাজায়েযও নহে। হায়েযের সময় সহবাস করা হারাম রা নিষিদ্ধ। যে ঘরের মাটি স্যাঁত স্যাঁতে, ভিজা খুবই ঠাণ্ডা, সে ঘরে চৌকি খাট ছাড়া শোবে না। চৌকি না থাকলে বিছানার নীচে খড়-কুটা ইত্যাদি বিছিয়ে নেবে। এসব নিয়ম পালন না করলে হায়েযা নারীর নিজের যেমন ক্ষতি হয়, তার সন্তানাদি হলে তাদের মধ্যেও তেমনি নানা প্রকার রোগ সৃষ্টি হতে পারে। অতএব, পূর্ব সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

৪. বীর্য বা ধাতুর জন্মকথাঃ

আমরা যা কিছু খেয়ে থাকি, তার কিছু অংশ মলমূত্র ও ঘামের সঙ্গে বের হয়ে যায়। আর তার সার অংশটুকু দিয়ে শরীরের রক্ত সৃষ্টি হয়। সেই রক্তের সার নিয়ার্স থেকে মাংস-মাংসের সার নিয়ার্স থেকে কচি হাড়- কচি হাড় থেকে হাড়ের ভিতরের শাঁস, তা থেকে সৃষ্টি হয় ধাতু বা মণি। শত ফোটা রক্তের সার নির্যাস থেকে এক ফোঁটা ধাতু পয়দা হয়। ভুক্ত বস্তুসমূহ থেকে ধাতু সৃষ্টি হতে প্রায় ৪০ দিন সময় লাগে।

বয়ঃপ্রাপ্ত হবার সাথে সাথেই মানুষের শরীরে ধাতু সৃষ্টি হয়। তুমি কি জান ঘি—তৈরি হয় কোত্থেকে? যদি বলি দুধ থেকে। দুধের মধ্যে যেমন ঘি মিশে থাকে, মানুষের সব শরীর জুড়েই তেমনি ধাতু মিশে থাকে। যৌবন জোয়ারের সাথে সাথে ইচ্ছা শক্তিও খুব বৃদ্ধি পায়, আর পুংলিঙ্গ ও স্ত্রীলিঙ্গও সে সাথে ধীরে ধীরে বড় হয়।

মেয়েদের ধাতু পাতলা, কিঞ্চিৎ হলদে, যেখানে পড়ে, গোল হয়ে পড়ে। পুরুষের ধাতু খুব গাঢ়, এবং সাদা; আর যেখানে পড়ে, লম্বালম্বী হয়ে পড়ে।

চিকিৎসা বিজ্ঞানের পুস্তকে আছে, খুব নরম এবং হালকা লম্বা দুটো রগ কোঁকড়া হয়ে পুরুষের অণ্ডকোষ তৈরি হয়েছে। বয়ঃপ্রাপ্ত হলে তাতে এক রকম লালা জন্মে। উহা সহবাসকালে মনের ইচ্ছাশক্তির সঙ্গে যোগ হয়ে লিঙ্গ দিয়ে স্ত্রীগর্ভ থলিতে চলে যায়। সন্তান জন্মাবার মূলই রয়েছে ঐ লালা। তাই যদি কারো অণ্ডকোষ ফেলে দেয়া হয়, তবে শত সহস্রবার সহবাস করলেও তাতে সন্তান জন্মাতে পারে না। যেমনি মুরগীর উপর খাসি মোরগ উঠায় মুরগী যে আণ্ডা পাড়ে তাতে বাচ্চা ফুটে না। এখানেও ঠিক তদ্রুপ মনে করবে।

পুরুষের মত মেয়েলোকের অণ্ডকোষ না থাকলেও তাদের গর্ভথলির সঙ্গে লাগা ডানপাশে যে একটি মোটা নলের মত রগ আছে, তার মধ্যে কতক অংশে হায়েযের রক্ত প্রবেশ করে। এই রক্তটুকুর যে গুণ, পুরুষের অণ্ডকোষের রসেরও সে গুণ। সন্তান জন্মাইতে এই রক্ত আর পুরুষের অণ্ডকোষের রস এক সমান কাজ করে।

‘সব বীর্য বা ধাতুতেই সন্তান জন্ম হয় না। সাধারণতঃ খুব গাঢ় নির্দোষ ধাতুতেই সন্তান জন্মায়। এরূপ ধাতুজাত সন্তান হৃষ্টপুষ্ট, বলিষ্ঠ ও সবলদেহ বিশিষ্ট হয়ে থাকে। আর অতিরিক্ত সহবাস স্বপ্নদোষ, কিংবা রোগের দরুণ পিতামাতার উভয়েরই কিংবা একের ধাতু দূষিত বা তরল হলে, ওতে – প্রায়ই সন্তান জন্মে না, জন্মিলেও প্রায়ই বাঁচে না এবং বাঁচলেও প্রায় জীর্ণশীর্ণ ও স্বাস্থ্যহীন হয়ে থাকে। অতএব, পিতামাতার কর্তব্য যে, অতিরিক্ত ধাতু ক্ষয় করতঃ স্বীয় ও সন্তানের জীবন নাশ যেন না করেন। আর স্বপ্নদোষ কিংবা অন্য কোন রোগের দরুণ ধাতু তরল দূষিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিলে উপযুক্ত চিকিৎসা দ্বারা প্রতিকার করে নেওয়া একান্ত কর্তব্য। এতে দাম্পত্য জীবন সুখে শান্তিতে ভরে উঠে। সংসার হয়ে উঠে সন্দুর চেয়ে সুন্দরতম।

৫. সহবাস/সঙ্গম/মিলনের পদ্ধতি

ফরিদা বলল ভারীঃ আমরা মেয়ে মানুষ, সন্তানের অত কথা কি আমাদের মাথায় ধরে। সে পেঁচাল পরে শুনবো এখন আসল দরকারী কথাগুলো আগে বলুন।

হামিদা বললঃ “অত ব্যস্ত হয়েছ কেন বোন? দরকারী তো সবই। আচ্ছা তবে তোমার মধুর মিলনের মধুর বাণীগুলো আগে থেকেই সেরে নিই। এখন. তোমার মুখখানি একটু ওদিকে ফিরিয়ে আড়-নয়নে কান পেতে শোন—আমার পুঁথি আমি পড়ে যাই। না হয় লজ্জা পাবে তো! বেশেতের মাঝে যত সুখের সামগ্রী মৌজুদ আছে, তার মধ্যে হরদের সাথে –সহবাসই হবে বেশি সুখের, বেশী আনন্দের। সে বেহেশতের সুখ-সামগ্রীর কিঞ্চিৎ নমুনা পৃথিবীতে নর-নারীর সঙ্গম’ মাত্র। এজন্য পৃথিবীতে যত মজার জিনিস দেখা যায়, তার মধ্যে উপযুক্ত নর-নারীর সঙ্গমের চেয়ে মজার জিনিস আর একটিও দেখা যায় না। অতি মজার খাদ্য সামগ্রী কিংবা সুখের বাদশাহী, সবই এর কাছে তুচ্ছ বা মূল্যহীন। এটা মধুর নিয়ামত ইহা আল্লাহ মহাদান। দয়াময় আল্লাহ তা’য়ালা ধনী দরিদ্র সকলকে সমানভাবে এ নিয়ামত দান করেছেন। সাবধান। এ নিয়ামতের না-শুকুরী ও  নাফরমানী করবে না। এর অপব্যবহার করো না। এ নিয়ম লংঘন করো না। যদি কর, তবে তুমি মানুষ নও, অজ্ঞান পশু সমতুল্য বলে বিবেচিত হবে, জীবন হবে তোমার দুঃখময়।

বোন তুমি পশুর মত জীবন যাপন করতে চাও কি? অযথা আমোদ- প্রমোদে দিন কাটাতে এ দুনিয়ায় আসনি। তোমার উপর মানব জীবনে অনেক দায়িত্ব রয়েছে। তবে সব সময় তুমি মানুষের মত মানুষ হয়ে চলবে, ‘আল্লাহ তা’য়ালা তোমা থেকে আরো মানুষ পয়দা করে তাঁ’র সৃষ্টির ধারাবাহিকতা বজায় রাখবেন-এ হচ্ছে তার একমাত্র উদ্দেশ্য। পশুর মত আচার ব্যবহার করলে পশুতে আর তোমাতে প্রভেদ কি? তোমার জীবনের কোন মূল্য রইল না।

মা-বাপ। বিশেষ করে মায়েরই স্বভাব-চরিত্র ও মনের মতিগতি মতে সন্তানের স্বভাব-চরিত্র গঠিত হয়। সন্তানের শারীরিক ও মানসিক ভাল- মন্দের জন্য মা-বাপই নির্ভর স্থল। মা-বাপ ইচ্ছা করলে ভাল সন্তান, ইচ্ছা করলে মন্দ সন্তান জন্ম দিতে পারেন। সুতরাং পশুর মত নিয়ম নেই, রীতি নেই- যেমন ইচ্ছা তেমনি উল্টা-পাল্টা ভাবে সময়ে অসময়ে স্থানকাল ‘বিবেচনা না করে, সন্তান জন্ম দেওয়ার কাজ করা কারো জন্যই উচিত নয়। নিয়ম-কানুন মেনে নিয়ে সঙ্গম করলে শরীর খুব ভাল থাকে, স্বাস্থ্য ভাল স্বামী-স্ত্রীর গোপন উপহার হয়, শক্তি ও বল বাড়ে, শরীরের কান্তি বাড়ে, রং ফেরে, আর কেউ ও শীগগীর বুড়ো হয়ে যায় না। সন্তানাদিও উত্তম হয়।

কেউ কেউ বলেন যে, সন্তান ভাল মন্দ হওয়া, কানা খোঁড়া হওয়া, ছেলে কি মেয়ে হওয়া সব আল্লাহর ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল এতে মানুষের কোনো হাত নেই। আমি বলি হাত নেই সত্য, কিন্তু সেই ঐতিহাসিক কথা `কি শুননি। যখন আল্লাহ, তা’আলা আদম (আঃ)কে বেহেশত থেকে তিনটি গন্দমের বীজ পাঠিয়ে দিয়ে বলে দিলেন, খুব যত্ন ও চেষ্টা করে এই এই নিয়মে এই বীজ বুনো। ফল আমিই দেবো। যেমন বীজ বুনবে, তেমনি ফল পাবে। এতেই বুঝা যায় যে, সন্তান ভালমন্দ হওয়াতে মা-বার্পের কোন অধিকার আছে কি না, ভেবে দেখো।

যেমন বীজ ও ক্ষেত দিয়েছেন আল্লাহ তা’য়ালা। এখন ওতে উপযুক্ত সময়ে উপযুক্ত নিয়মে বীজ বুনে, যত্ন করে নিংড়ায়ে উত্তম ফসল তৈরি করা আমাদের অবশ্য কর্তব্য। আমরা যেমন ভাবে বীজ বুনব তেমনি ফলন পাবো। যেমন কবির ভাষায় :- যে যেমন কর্ম করে, সে তেমন সুখ হরে।

৬. সহবাস/সঙ্গম/মিলনের স্থান কেমন হবে?

নর-নারী মধুর মিলন হওয়া চাই গোপন এবং নিরালা নির্জন স্থানে। রাত হোক দিন হোক, খোলা ফাঁকা স্থানে কিংবা যেখানে উপরে চালা নেই- দিনে রোদ, রাতে তারার আলো পড়ে- এমন স্থানে দুর্গন্ধময় স্থানে নয়, বাতাস বন্ধ স্থানে নয়, ভাল বাতাস চলাচল করে- এমন স্থানে নর- নারীর সঙ্গে মিলামিশা করবে প্রকাশ্য স্থানে নয়।

কোন মুরব্বী, মান্যব্যক্তি, বুঝদার ছেলে মেয়ে যেন কাছে না থাকে, কেউ হঠাৎ দেখে ফেলতে পারে, কারো নযরে পড়ে, কোন প্রকার লজ্জায় পড়তে হয়—এমন স্থানে মিলা মিশা করবে না। নিশ্চিত নির্ভর স্থানে মিলা- মিশা করবে।

যেখানে বিষম ঝগড়া বিবাদ, হৈ চৈ বা শিশুর কাঁন্না শোনা যায়, কিংবা কারো কাকুতি মিনতি ও কাঁন্না শুনা যায়, সেখানে সঙ্গম করবে না। কারণ তাতে মনে ভয় ভীতি কি উচাটন ও চঞ্চলতা আসতে পারে। তাই এমতাবস্থায় সঙ্গম করলে তাতে সঙ্গমের পুরো সাধ পাওয়া যায় না। আর তাতে গর্ভ সঞ্চার হলেও ভাল সন্তান হয় না- তীরু ও কাপুরুষ সন্তান হবার আশঙ্কাই থাকে বেশী।

নর-নারীতে দিনে দুপুরে মিলতে গেলে শরমে পড়বার অনেকটা ভয় থাকে। যাতে কারো দৃষ্টি না পড়ে-তেমন সতর্কতার সঙ্গে দিনেও সঙ্গম করতে বাঁধা নেই। তবে নেয়ে খেয়ে ভরাপেটে সঙ্গম করা উচিৎ নয়। কারণ এতে উদরাময়ের নিশ্চিত সম্ভাবনা থাকে।

সঙ্গমের সময় পাঠের দোয়া– স্বামীর সঙ্গে স্ত্রীর মিলনের আগে দোয়া না পড়লে শয়তান এসে স্বামীর সাথে সঙ্গমের কাজে শরীক হয় ইহাই হাদীসে প্রমাণ। তাই ওতে যত সব দুষ্ট বদমাশ ও নাফরমান সন্তান জন্ম হয়ে থাকে। তাই বলি তুমি উত্তম-খুব উত্তম সন্তানের মুখ দেখতে চাইলে মিলনের আগে উত্তম সন্তান হবার নিয়ত করে এই দোয়া পাঠ করা উচিৎ। দোয়া এই-

اللهم أعطنا ولدا صالحا . بسم الله اللهم جنبنا الشيطان وجنب الشيطان ما رزقتنا . بسم الله

উচ্চারণ –আল্লাহুম্মা আতিনা ওয়ালাদান সালিহান। বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা জান্নিবনাশ শায়তানা, ওয়া-জান্নিবিশ, শায়তানি মিম্মা রাযাকতানা। বিসমিল্লাহি।

অর্থ- হে আল্লাহ, আমাদিগকে সৎ ও নেক সন্তান দান কর। আল্লাহর নামে (আরম্ভ করছি)। হে আল্লাহ, আমাদিগকে শয়তানের হাত থেকে রক্ষা কর এবং আমাদের জন্য যা কিছু হালাল করছ, তা হতে তুমি শয়তানকে দূরে রাখ। আল্লাহর নামে আরম্ভ করছি।

এই দোয়া পড়েই সঙ্গম কাজ শুরু করবে। আগে দোয়া পড়তে মনে না থাকলে, মণি বা বীর্য বের হলেই চটপট মনে মনে মাত্র বিসমিল্লাহ; বলে ফেলবে। তা হলে শয়তান কাছে আসতে পারবে না, সন্তান মন্দ হবারও ভয় থাকবে না।

৭. কেমন বেশে সহবাস/সঙ্গম/মিলন করবেন?

যেদিন স্ত্রী স্বামীর সঙ্গে মিলনের ইচ্ছা হবে-বিশেষ করে সোম, বৃহস্পতি ও শুক্রবার রাতে তেল মেখে মাথার চুল পরিপাটি করবে। দাঁত মেজে সুরমা, সুগন্ধি লাগিয়ে পরিষ্কার কাপড় চোপড় পরবে। যতদূর সম্ভব নিজেকে খুব সাজাবে, পান খাবে, দারুচিনি, লবঙ্গ, এলাচি, খুশবুদার মসল্লা চিবাবে। খুব সুন্দরী মেয়েলোক হলেও যদি তার মুখে দুর্গন্ধ থাকে, অথবা অপরিষ্কার পেতনীর মত চলে, তবে সে স্ত্রীর প্রতি স্বামীর মন আকৃষ্ট হয় না, বরং স্বামীর মনে ঘৃণা ও রাগ জন্মে। বর্তমান যুগে যদি স্ত্রী খুব সুন্দরী ফোঁটা ফুলটির মত ফিটফাট হয়ে চলে, তবে স্বামী খুব পছন্দ করেন। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন মতে না চলার দোষে অনেক স্ত্রীলোক স্বামী ভক্তি হারায় মারপিটও খায়। স্ত্রীলোকের সাজ-সজ্জা করা কোন দোষের কথা নয়, বরং ইসলাম ধর্মের বিধি বিধান এই যে, স্বামী যেমন পছন্দ করে, স্ত্রী সেই রকম নিজেকে সাজাবে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ভাবে চলবে।

এরপর এশার নামাজ পড়ে স্বামীর কাছে যাবে। সঙ্গমের আগে অযু বা তায়াম্মুম করা এবং পরে ঘুমাতে হলে তায়াম্মুম করে ঘুমান ভাল। না হয় পারিবারিক অসুস্থতা দেখা দিতে পারে।

৮. কোন মাসে কত দিন পরে সঙ্গম করলে স্বাস্থ্য ভাল থাকে?

সুফী সাধক হযরত বোয়ালী কলন্দর সাহেবের একটি মতামত নিন্মরূপঃ বৈশাখ ও জৈষ্ঠ্য (গরমের মৌসুমে) ১৫ দিন পরে, আর সারা বছর ৭ দিন পর পর সহবাস করবে। কিন্তু বর্তমান যুগে ভরা যৌবনে বিয়ের পরে বছর খানেক পর্যন্ত তিন দিন পরে পরে সবাস করলেও বিশেষ কোন ক্ষতি হয় না। কারণ দিন দিন কালের গতি, প্রকৃতি ও আ. হাওয়ার পরিবর্তন হচ্ছে কিনা। তাই দিন দিন মানুষের প্রকৃতি ও স্বভাব বদলে যাচ্ছে যাচ্ছে।

না হলে দাদী সাহেবার মুখে শুনেছি-দাদা ‘সাহেব নাকি ১০ বছরের সময় কাপড় পরা শুরু করেছিলেন, আর ২১ বছরের সময় তাঁর খৎনা করা হয়েছিল। সেকালে সঙ্গমের নিয়ম ছিল যেমন- কবির ভাষায়ঃ

মাসে এক, বছরে বার,
এর চেয়ে যত কমাতে পার।

কিন্তু বর্তমানে সে নিয়ম আর খাটে কই? বর্তমানে শিশুরা যেমন মায়ের দুধ না ছাড়তেই নিজ হাতে কাপড় পরা শুরু করে, তেমনি বালেগ হলেই, আর যৌবন জোয়ার থামিয়ে রাখতে পারে না। তাই আজকাল কবির ভাষায় বলতে গেলে—

বাংলার নারী, কুড়ি হলে বুড়ী।
পুরুষের ত্রিশে, দাঁত পড়ে খসে।

মেয়েদের ·১২/১৪, আর পুরুষদের ২০/২৭ বছরের আগে সঙ্গম করা উচিত নয়। কারণ, এর আগে জনেন্দ্রিয় আদৌ পুৰ্ণত্ব প্রাপ্ত হয় না। মনের মধ্যে কুচিন্তা—আসতে না দিলে ঐ বয়সের মধ্যে স্বপ্নদোষের মত রোগ হবারও কোন ভয় নেই।

৯. কোন সময়ে কেমন অবস্থায় সহবাস/সঙ্গম/মিলন করা নিষেধ?

পবিত্র ইসলামী শরীয়ত ও যাবতীয় চিকিৎসা বিজ্ঞানের, পুস্তকাদিতে নিম্নবর্ণিত অবস্থায় সহবাস বা সঙ্গম করা নিষিদ্ধ। নিষেধ হচ্ছে— ১। মাগরেবের ওয়াক্তে, ২। ফজরের ওয়াক্তে, ৩। প্রতি চাঁদের অসমাবস্যায় এবং পুর্ণিমায়, ৪। চাঁদের ১ম, ১৫ ও শেষ তারিখে, ৫। দূর দেশে যাবার নিয়ত করলে রাতে, ৬। মাসজিদে, ৭। প্রকাশ্য স্থানে, ৮। ফলবান গাছের তলে, ৯। সঙ্গমের মর্ম বুঝে এমন কাউকে কাছে রেখে, ১০। কেবলার দিকে মাথা কি পা রেখে, ১১। পায়খানার রাস্তায়, ১২। হায়েয-নেফাসের সময়, ১৩। হায়েয-নেফাসের রক্ত বন্ধ হলে, গোসল করে নামাযের তাহরীমা বাঁধতে যতক্ষণ সময় লাগে, ততক্ষণের মধ্যে সঙ্গম করা নিষেধ, ১৪। স্বপ্নদোষের পর বিনা গোসলে, ১৫। খাবার পর ঘন্টার মধ্যে ভরা পেটে, ১৬। ক্ষুধার্ত অবস্থায়, ১৭। দাঁড়িয়ে, ১৮। উলঙ্গ হয়ে, ১৯। গুপ্ত স্থানের দিকে দৃষ্টি দিয়ে ২০। খুব বৃদ্ধ অবস্থায়, ২১। দুর্বল শরীরে ২২। কুষ্ঠ, গরমী, প্রমেহ ও যক্ষ্মা রোগ থাকলে, ২৩। নাবালেগ অবস্থায়, ২৪। কারো করুণ কাঁন্না শোনা যাবার পর, ২৫। মনে কোন শোক কি রাগ থাকলে, ২৬। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য থাকলে, ২৭। ঝড়- তুফান ও বজ্ৰ (ঠাটা) পড়বার সময় এবং ২৮। সূর্য ও চন্দ্র গ্রণের সময় সহবাস করা কোন মতেই উচিৎ নহে ‘বরং নিষিদ্ধ।

১০. সহবাস/সঙ্গম/মিলন করার উত্তম সময় কখন?

যুগ বরেণ্য ফক্বীহ আবুল লাইস সাহেবের বুস্তানুল আরেফীন ও কুনিয়া কেতাব সমূহে বর্ণিত রয়েছে যে, স্বামী-স্ত্রীতে মিলনের খুব উত্তম সময় শেষ রাতে, শেষ রাতেই মানুষের কামভাবের উদয় হয় বেশি। তাই শেষ রাতের মিলনেই বেশী আনন্দ পাওয়া যায়।

চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য বিজ্ঞান মতে, শেষ রাতের মিলনে মনের তৃপ্তি হয়; শরীর খুব ভাল থাকে। শেষ রাতের মিলনে প্রায়ই পুত্র সন্তান জন্মে এবং সন্তান হৃষ্টপুষ্ট হয়।

হাদীসের ভাষ্য মতে— শেষ রাত্রে গর্ভ সঞ্চার হলে খুব উত্তম সন্তান হয়।

জগতে যত খ্যাতনামা ব্যক্তিবর্গ-আম্বিয়া, আওলিয়া, ধার্মিক, শ্রেষ্ঠ ও উত্তম ব্যক্তিগণ – স্বর্গীয় শুভক্ষণে-শেষ রাতেই মায়ের উদরে জন্মলাভ করেছেন।

খেয়েই ভরা পেটে স্বামী-স্ত্রীতে মিলবে না; এমনি শুয়ে থাকবে, তারপর শেষ রাতে যখন বেহেশতের হাওয়া এসে জগৎটাকে একেবারে মধুময় করে দেবে, চতুর্দিকে শান্তি ছড়িয়ে যাবে, তখন উঠে আল্লাহর নাম স্মরণ করে সহবাসের আনন্দ উপভোগ করতে চেষ্টা করবে, আর তাতে হবে তুমি পরিতৃপ্ত।

ক্ষণিক উত্তেজনায় মত্ত হয়ে যখন তখন অশুভক্ষণে স্বামী-সহবাস করে এত বড় মহাকল্যাণ থেকে বঞ্চিত হওয়া কি বুদ্ধিমানের কাজ হবে?

ব্যস্ত হবার কারণ কি? আল্লাহর দেওয়া বেহেশতী মেওয়া স্বামী-ধন তো ঘরেই মৌজুদ আছে। তুমি মানুষ হলে মানুষের মত শান্তশিষ্ট হও। পশুর মত চঞ্চল হয়ো না। এতে মনুষত্ব বিলুপ্ত হয়ে যায়।

১১. রোযার মধ্যে সহবাস/সঙ্গম/মিলনঃ

যাবতীয় ফিকাহ গ্রন্থের ভাষ্য মতে—

ফরিদাঃ ভাবী, রোযার মধ্যে সহবাস করা যায় কিনা।

হামিদা বললঃ হ্যাঁ, রাতে পারা যায়, দিনে নয়। রোয়ার মধ্যে শেষ রাতে সেহরী খাবার আগে সহবাস করাই উত্তম। ইফতারের পর আধপেটা খেয়ে তারাবী নামাযের পরেও করা যায়। কারণ ভরা পেটে স্বামী-স্ত্রীতে মিলন ভাল নয়। নর-নারী সকলেই তারাবী পড়া একান্ত কর্তব্য। এজন্য তারাবীর আগে মিলামিশা করলে গোসল করতে অলসতা আসতে পারে। অতএব, নামায কাযা হবার খুবই সম্ভাবনা থাকে।

এছাড়া নাপাক শরীরে গুপ্তস্থান, দু’হাত ও মুখ ধুয়ে খাওয়া-দাওয়ায় কোন দোষ নেই। সুতরাং সেহরী খাবার আগে মিলামিশা শেষে সময় থাকলে গোসল করবে; নইলে হাত মুখ ধুয়ে অমনি সেহরী খাবে তারপর গোসল করবে। গোসলের অলসতার কারণে ফজরের নামায কাযা কর। কখনও উচিত নয়।

রোযার রাতে নাপাক শরীরে শুয়ে থাকলে যদি ভোর হয়ে যায়, সূর্য উঠে যায়, তবে রোযার কোন ক্ষতি হয় না। সেহরী খেয়ে রোযার নিয়ত না করে থাকলে সজাগ হলেই কিংবা ঠিক দ্বিপ্ররের পূর্বে যখনই মনে হয়, তখনই তাড়াতাড়ি নিয়ত করে ফেলবে। রোযার মধ্যে দিনের বেলায় ঘুমে “এতেলাম (স্বপ্নদোর্য হলেও রোযার কোন ক্ষতি হয় না।

রোযার মধ্যে গোসল করবার সময় গড়গড়া করা নিষেধ। মাথা নুইয়ে মুখ নেড়ে কুলি করলেই যথেষ্ট হয়। রোযা ছাড়া অন্য সময় গোসলে গড়গড়গা করার বিধান রয়েছে। শেষ রাতে সঁহবাস আরম্ভের পর যদি পূর্বদিকে ফরসা হয়ে উঠে; তবে তখনি যৌনাঙ্গ থেকে ঝটপট পুংলিঙ্গ বের করে ফেলবে। তাহলে রোযার কোন ক্ষতি হবে না। লিঙ্গ বের করবার পর ফরসা হয়ে গেলে যদি নিজ লিঙ্গ দিয়ে মনি বের হয়, তবুও রোযা নষ্ট হয় না। ফতুয়ায়ে কাযী খান ১৯ পৃঃ দ্রঃ

১২. হায়েয-নেফাস ও রোযার সময় সহবাস/সঙ্গম/মিলনের দোষঃ

আমি পূর্বেই বলেছি হায়েয-নেফাসের সময় সহবাস করা হারাম। কামজ্বালায় অস্থির হয়ে পড়লেও করবার হুকুম নেই। যদি কেউ করে | বসে, তবে তাকে আজীবন দিন রাত ‘আস্তাগফিরুল্লা’ পড়তে হবে। অথবা এক দিনার সোনার দাম দান করলেও চলে। হায়েয কি নেফাসের প্রথম অবস্থায় করলে এক দিনার আর শেষ অবস্থায় করলে আধা দিনার দিতে হয়। প্রচলিত বাজার দর অনুপাতে স্বর্ণ বা স্বর্ণের দাম দিলেও উহা আদায় হয়ে যাবে।

হায়েয-নেফাসের সময় সহবাস করলে স্ত্রীর স্বাস্থ্যই ভঙ্গ হয় বেশি। হায়েযের সময় করলে অতিশয় রক্ত ঝরে, আর নেফাসের সময় করলে সুতিকা রোগে ধরে। স্ত্রীলোকের মাসে মাসে যে সার হয়, তাকে বলে হায়েয। আর সন্তান হলে পরে যে স্রাব হয় তাকে বলে নেফাস। হায়েযের সময় স্ত্রী যদি পুরুষের শরীরে শরীরে লাগালাগি হয়ে কাছে ঘেষে শোয়, পুরুষের শরীর শীর্ণ ও দুর্বল হয় এবং স্মৃতি শক্তি কমে যায়।

১৩. রোযা রেখে দিনে সহবাস/সঙ্গম/মিলন করা হারামঃ

যদি কেউ এভাবে সঙ্গম করে, কি করায় তবে তার রোযা নষ্ট হয়ে যায়। এ জন্য তাকে লাগালাগি ৬০ দিন পর্যন্ত কাফফারা হিসেবে রোযা রাখতে হবে। আর একদিন কাযা হিসাবে রোযা রাখতে হয়।

কেউ যদি রোযা রেখে কোন জীব-জন্তুর সঙ্গে রতিক্রিয়া করে, কিংবা হস্তমৈথুন করে, কিংবা কিছুর সঙ্গে লিঙ্গ চেপে ধরে, কিংবা উরুর মধ্যে ঘষাঘষি করে, অথবা স্ত্রীলোকে নিজ যৌনিপথে আঙ্গুল ঢুকায় বা স্ত্রীলোকে স্ত্রীলোকে সহবাস করে, তবে মণি বের হলে এক রোযার বদলে এক রোযা কাযা করলেই চলে, এতে কাফফারা লাগে না। আর যদি মণি বের না হয়, তবে রোযার কোনই ক্ষতি হয় না। কিন্তু তওবা করতে হবে যে এরূপ আর কখনও যেন না করে।

সেহরী খেয়ে স্বামী-স্ত্রী একত্রে না শুলে দিনের বেলায় নিরালা ঘরে না গেলে, কুচিন্তা না করলে, এসব পাপ থেকে সহজে বাঁচা যায়। স্বামী-স্ত্রীর যে ব্যবহারে রোযা নষ্ট না হয়, তাতে কোন প্রকার পাপ নেই। আর এতে রোযারও কোন ক্ষতি হয় না।

১৪. গর্ভ অবস্থায় সহবাস/সঙ্গম/মিলনঃ

‘গর্ভ অবস্থায় সহবাস না করে ঠিক থাকতে পারলে, না করাই ভাল। কারণ গর্ভ সঞ্চারের পর চল্লিশ দিনের মধ্যে সহবাস করলেই সহজেই গর্ভ থলির বদ্ধ মুখ খুলে গিয়ে সে গর্ভ নষ্ট হয়ে পড়বার আশঙ্কা দেখা দেয়। চার মাস পর করলে গর্ভের সন্তান মারা যাবার ভয় থাকে। পাঁচ মাস পরে করলে গর্ভের সন্তান ও গর্ভবতী দু’জনেই মারা যেতে পারে। এর কারণ, গর্ভ সঞ্চার হলে পর স্ত্রীলোকের স্তনের উপর ও নীচে হায়েযের খুন যেয়ে এমনি টাটকা ভাবে জমা হয়ে থাকে যে, সেখানে একটু জোরে চাপ লাগলে কিংবা অন্য কোন মতে আঘাত লাগলেই গর্ভিনী মারা যাওয়ার উপক্রম হয়। অতএব, সাবধান! খুব সাবধান হওয়া উচিত।

গর্ভাবস্থায় স্বামী-স্ত্রী সংযমী হতে চেষ্টা করবে। একান্ত পক্ষে সংযম হারিয়ে ফেলবার ভয় হলে, সাবধানে মনোবাসনা পূর্ণ করবে যে, কোনো মতেই যেন বুকে পেটে চাপ লাগতে না পারে।

১৪. সহবাস/সঙ্গম/মিলনের নিয়ম পালনের সহজ উপায়

বিয়ের পর বছর খানিক কি বছর দুই পর্যন্ত সহবাসের যাবতীয় নিয়ম-কানুনগুলো সব পালন করতে খুব কষ্ট বোধ হয়। কিন্তু কষ্ট করেও যদি এসব নিয়ম-কানুন পালন করা যায়, তবে স্বাস্থ্যের কোন ক্ষতি হয় না, শরীর সহজে ভেঙ্গে পড়ে না। যাবতীয় বিপদ থেকেও বাঁচা যায়। জীবন হয়ে উঠে মধুময়।

স্বামী-স্ত্রী এক ঘরে না থাকলে এসব নিয়ম পালন করা সহজ হয়। : নিত্য এক ঘরে এক বিছানায় থাকলে সাধ্য কি যে, এসব নিয়ম পালন করতে পারে? স্বামী-স্ত্রীর এক বিছানায় শোবার আগে ইচ্ছা না থাকলেও পরে আপনাআপনি সে সঙ্গম কাজ হয়ে যায়।

রোযার মধ্যে স্বামী-স্ত্রী একত্রে না শুলে, আর দিনের বেলা দু’জনে নিরালা জায়গায় না গেলে, কাছাকাছি না বসলে রোযায় সহবাসের পাপ, থেকে বাঁচা যায়। অতএব, দূরে থাকাই বাঞ্ছনীয়।

হায়েয নেফাসের কয়টা দিন. আর গর্ভ সঞ্চার হলে এবং নিষিদ্ধ সময়ে স্বামী-স্ত্রী পৃথক পৃথক দূরে দূরে থাকলে এবং মনের মধ্যে একদম কুচিন্তার স্থান না দিলে, এইসব নিয়মগুলো পালন করা খুবই সহজ হয়।

মান্নতের নিয়ত করে অথবা ফরয রোযা রেখে এবং হায়েয নেফাসের সময় ছোঁয়াছুঁয়ি তো দূরের কথা, স্বামীকে একদম কাছে আসতেও দিও না। এতে স্বামী অসন্তুষ্ট হউন, রাগ করুন- কোন পাপ নেই, ভয় নেই। স্বামী অস্থির হয়ে স্ত্রীকে ধরতে গেলে স্ত্রী যদি দূরে সরে যায়, তখন স্বামীর মনে খুব গোসসা ও রাগ হয়। কিন্তু স্বামীর কামভাব থেমে গেলে হুস হলে পর বুদ্ধিমান স্বামী সেজন্য স্ত্রীকে প্রাণের সাথে ও আনন্দের সাথে ধন্যবাদ দিয়া থাকেন; মনে মনে তিনি স্ত্রীর প্রতি খুশী হন, তার সে রাগ আর থাকে না। কামজ্বালায় অস্থির হলে অনেকেরই তখন হিতাহিত জ্ঞান থাকে না। কামুক স্বামীকে সংযম শিক্ষা দেবার ভার নেককার স্ত্রীর উপর। সে কথা তোমাকে খেয়াল রাখা কর্তব্য। আমাদের নারীদের চরিত্রের শক্তি কম বলে আমাদের অনেক পুরুষ অনেক সময় সংযম হারিয়ে চরিত্র ও স্বাস্থ্য নষ্ট করে ফেলে। আর এর জন্য আমি আমাদের নারী সমাজকেই দায়ী করবো। অবশ্য অনেক নারী পরক্ষণে এর জন্য অনুশোচনাও করে থাকেন দেখেছি।

১৫. কেমন স্ত্রীর সাথে সহবাস/সঙ্গম/মিলন করলে কেমন ফল?

নারী শুধু নিজের স্বার্থের দিকে চাইলে মনুষ্যত্বের আসামি হয়, তাই পুরুষের স্বার্থের কথাও কিছু না বলে পারছি না।

  • তরুণী দেখলে, তার সঙ্গে থাকলে, বুড়ো স্বামীও তরুণ হয়ে উঠে। তরুণীর সহবাসে স্বামীর গায়ের বল, মনের বল সবই বাড়ে।
  • যুবতীর সাধ মিটানো সহজ নয়। তাকে বুঝ দিয়ে কুল পাওয়া দায়। তাই যুবতীর স্বামী অনেক সময় শক্তি বল হারিয়ে আধমরা হয়ে পড়ে। কিন্তু কয়টা দিন রয়ে সয়ে মধ্যে মধ্যে বাদ দিয়ে সঙ্গম করলে আর কোন ভয় নেই। বরং নিজের শক্তি-বল বুঝে যুবতীর …. সহবাস করলে বুড়ো স্বামীও যোয়ান হয়।
  • বুড়ীর সঙ্গে সহবাস করলে জোয়ান স্বামীও অসময়ে বুড়ো হয়ে যায়। শরীর তার নেহাত দুর্বল হয়।
  • পাকা বুড়ীর সঙ্গে সহবাস করতে গেলে তরুণ স্বামীকেও হঠাৎ বুড়ো রোগে ধরে বসে; আর তাকে বুড়ো না করে ছাড়ে না। তাই বাধ্য হয়ে তাকে বলহীন, শক্তিহীন, স্ফূর্তিহীন ও নির্জীব হতে হয়। যৌবন কালেই যৌবন হারায়ে কবরের পথে পা বাড়ায়।

ফরিদাঃ আচ্ছা, যদি আল্লাহর হুকুম এমনি গরমিল হয়ে পড়ে- যে, যদি হাতীর খোরাক মশাকে যোগাতে হয়, তবে উপায় কি? অর্থাৎ নারী সবল এবং পুরুষ দুর্বল হয়, তখন কি করতে হবে?

হামিদাঃ যুবকই হোক, আর বুড়োই হোক, কিংবা বিধবাই হোক, স্বামী-স্ত্রী দু’জন সমান হওয়া খুবই দরকার। নইলে কোনো মতেই সুখ নেই, শান্তি নেই, স্বামী স্ত্রী দ’য়ে মিলে হয় একটা ঘর। এর দুটা অংশ (দুটা মন) দু’রকমের হলে সংসারে সুখ-শান্তি আসতে পারে না। তবে কপাল দোষে বুড়ো-জোয়ানে বিয়ে হয়ে পড়লে এই নিয়ম পালন করতে হবে। তাতে উভয় দিক রক্ষা হবে। যথা-
তরুণীর সঙ্গে বৈশাখ, জৈষ্ঠ্য ও ভাদ্র, আশ্বিনে,
যুবতীর সঙ্গে পৌষ মাসে,
বুড়ীর সঙ্গে আষাঢ়, শ্রাবণ, ফাল্গুন ও চৈত্রে,
সহবাস কর- সব দিক বজায় থাকবে।
আর রুড়ীর সঙ্গে খায়েশ হলে দু’চার মাসে একবার মাত্র সহবাস করবে।
এই নিয়ম পালন করলে শরীরের কোন ক্ষতি হবে না।

যে স্ত্রীকে দেখতে ভাল লাগে না, পছন্দ হয় না, তার সঙ্গে সহবাস করলে আস্তে আস্তে ধাতু ক্ষীণ হয়ে অসময়ে যৌবন হারাতে হয় এবং যে স্বামীকে দেখলে খায়েশ বা ভক্তি জন্মে না, তার সহবাসে সাধ মেটে না, বরং শরীর দুর্বল হয়, সোনার তবু ছাই হয়ে যায়, সংসারে শান্তি থাকে না।

আর যার জন্য পরাণ কাঁদে যাকে, না দেখলে পরাণ ফেঁটে যায়, ছাড়া যদি অন্যের সঙ্গে বিয়ে হয়, তবে তার সহবাসেও ধাতু ক্ষীণ হয়, মনটা স্ফূর্তিহীন ও নিস্তেজ হয়ে পড়ে।

বিয়ের আগে যার সঙ্গে প্রণয় হয়, তার সঙ্গে বিয়ে হলে আশেক মাশুকের মিলন হলে, তাদের সংসারে বেহেশতী সুখ বাসা বাঁধে। মন মতোয়ারা হয়, দুঃখ-তাপ দূরে যায়। মনোমত স্বামী পেলে মনে যে কত আনন্দ হয়, আর সংসারে যে কত সুখ পাওয়া যায়, তা লিখে বা মুখে বর্ণনা করে বুঝান দায়। সে শুধু উপভোগের বস্তু ও উপলব্ধি করার বিষয়।

আর যে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালবাসা নেই, দু’জনার মন দু’রকম- ঝগড়া, বিবাদ ও মনকষাকষিতে দিন কাটে, তাদের সংসার হয় যেন দোযখ। মোট কথা, সহবাস জিনিসটা মনের আনন্দের জিনিস। মনে আনন্দ না থাকলে সহবাস ভাল লাগে না। তাতে শরীর ও মনের কোন উপকার . হয় না, বরং অপকার হয়।

ফরিদা বললঃ ভাবী, আপনার কথায় বুঝা যায় যে, মেয়েদের কালো হওয়া বড় দোষের কথা। কারণ, কাল হলে কেউ আর সে স্ত্রী গ্রহণ করতে, চায় না। কালোকে নিয়ে ঘর সংসার করে কেউ সুখ পায় না- মনের সাধও মেটে না!

হামিদাঃ এ তোমার ভুল ধারণা, বোন। তোমার রং কিম্বা চামড়া কালো বা সুন্দর, সে কথা আমি বলছি না; আমি বলছি মন সুন্দরের কথা। মন যাকে পছন্দ করে, সেই সুন্দর তার সঙ্গে মিলন হলেই সুখ হয়। কারণ যে যাকে ভালবাসে সে তাকে সুন্দর দেখে। লাইলী খুবই কালো ছিল; কিন্তু মজনু তাকে বেহেশতের হরের চেয়েও বেশী সুন্দরী মনে করতো। মূল কথা, কবির ভাষায়-

কাল যদি মন্দ তবে, কেশ পাকিলে কাঁদে কেনে?

১৬. বিধবা নারীতে সহবাস/সঙ্গম/মিলন করতে দোষ কি?

সকলের স্বার্থের দিকেই দৃষ্টি দেওয়া উচিতৎ, নইলে মনুষ্যত্ব থাকে না। কেতাবে আছে বলে পুরুষের স্বার্থের কথাও কিছু বলছি।

বহু মহামনীষীদের অভিমত হলো যে বিধবা এবং যে নারীর স্বামীর সন্তান আছে, একান্ত না ঠেকলে তাকে বিয়ে করো না। কারণ অন নারীকে নিয়ে ঘর-সংসার করাতে বড় বেশী সুখ পাওয়া যায় না। তাদের সহবাসেও পুরোপুরী সাধ মেটে না; কারণ আগের স্বামীর চেয়ে বর্তমান স্বামীর আর্থিক অবস্থা যদি কিছু মন্দ হয়, কামশক্তি কম হয়, রূপ গৌরব যদি কম থাকে, তবে বর্তমান স্বামীর সহবাসে তার মন মজে কন, তাই তাতে সাধও পাওয়া যায় নেহাত কম।

আর পূর্ব স্বামীর সন্তান থাকলে তার জন্য মনটা সবাই উন্মাদনা থাকে তাতে স্বামী সম্ভোগ রস তার মধ্যে কম পয়দা হয়। তাই তার মিলনে সাহ মেটে না!

তুমি গাভীর দুধ দোহন কখনও দেখেছ কি? দুধ দোহন কালে গাই যেমন পেট খিঁচিয়ে কিছু দুধ চুরি করে রাখে- বিধবা হলে নারীদের প্রকৃতিও অনেকটা তেমনি হয়ে পড়ে। পূর্ব স্বামী ও সন্তানের দিকে মনের কতক অংশ ভেঙ্গে ছুটে যায়। তাই বর্তমান স্বামীর প্রতি পুরোপুরি মন না। প্রথম স্বামীর কাছে মেয়েরা যেমন একেবারে আত্মসমর্পন করে, দ্বিতীয় স্বামীর কাছে তেমন আত্মসমর্পন করতে পারে না। এটা হওয়াটা স্বাভাবিক ব্যাপার। সধবা স্ত্রী অল্প খেয়ে অল্প পরেই সন্তুষ্ট থাকে। কিন্তু বিশ্ব লোক প্রায়ই খুব খেয়ে পরেও হায়-আফসোস করে বেড়ায়। বিধবা নদীতে দোষ মাত্র এইটুকু, নইলে সাধারণে যেমন মনে করে- বিধবা বিয়ে করলেন পতি মারা যায়; কি পতির অন্যরূপ হানি হয়, এটা ভুল ধারণা। আমাদের প্রিয় নবী (সঃ) তাঁর জীবন চরিত্র আলোচনা করলে দেখা যায় যে, মাত্র হযরত আয়েশা (রাঃ) ব্যতিত তার সকল স্ত্রীই ছিলেন বিরো তালাকপ্রাপ্তা। ইসলামী শরীয়তে বরং বিধবা বিবাহের প্রতি উৎসাহ প্রদান করেছে। নিজেই তিনি বেশ কয়েকজন বিধবাকে বিয়ে করেছেন।

১৭. সহবাস/সঙ্গম/মিলনের উপকারিতাঃ

মানুষ বয়ঃপ্রাপ্ত হলে অর্থাৎ পুরুরের প্রথম স্বপ্নদোষ এবং স্ত্রীদে প্রথম হায়েয (ঋতু) হওয়ার পর থেকে যদি অনেক দিন পর্যন্ত মাটি আটকা থাকে–উপযুক্ত সময়ে বিয়ে শাদী না হওয়ায় যদি সহবাস না করা যায়, তবে পুরুরে স্বপ্নদোষের রোগ হয়, পেটে অসুখ হয়, ধাতু ক্ষীণ হয়ে ক্রমে ধ্বজভঙ্গ রোগ জন্মে। আর স্ত্রীলোকেরও তেমনি স্বপ্নদোষ হয়-আটকা বাতু নষ্ট হয়ে শরীর ক্ষীণ হয়ে যায়। পরে ধীরে ধীরে শরীর ফ্যাকাশে, ক্তহীন, হয়ে পড়ে। স্তন শুকিয়ে যায়, মাথা গরম, বায়ু চড়া হয়, হাত- পা জ্বালা-পোড়া করে, বা অজীর্ণ জ্বর হয়, খেতে কিছু ভাল লাগে না। “রো পেট মোটা হয়, পাণ্ডু রোগ জন্মে। মাথা ধরা, মাথা ঘুরানি, শরোসান্নিক, আরও কত কি প্রকার রোগ জন্মে। মেয়েরা প্রথম বয়ঃপ্রাপ্তা হলো, না যেন ফুল ফুঠলো; কিন্তু পানির অভাবে অসময়ে সে ফোটা ফুল শুকিয়ে গেল।

উপযুক্ত বয়সে বিয়ে হলে, নিয়মিত সহবাস করলে শরীর খুব ভাল থাকে, বল বাড়ে, রূপবাড়ে দেহ হৃষ্টপুষ্ট ও নীরোগ হয়, সহজে কোন রোগে ধরে না, শরীর নষ্ট হয় না, অসময়ে বুড়ো হয়ে যায় না; কুচিন্তায় দিন কাটে না, কুকাজের দিকে মন যায় না, স্বভাব ভাল হয়, বেহায়ামী দূর হয়, গাম্ভীর্য ও মনের বল বাড়ে। উপযুক্ত সময়ে স্বামী-স্ত্রীর মিলন না হলে অনেক যুবক-যুবতীই লাজ ভয় ত্যাগ করে পাপ কাজে লিপ্ত হয়। মানুষ আধ হাত পেটের জ্বালায়, আর এক ফোটা পানির ঠেলায়, না বুঝে ধৈর্যহারা হয়ে অমূল্য জীবন মাটি করে ইহকাল ও পরকাল ধ্বংসকরে নরক বাস হয় অবধারিত।

সৃষ্টির মাঝে পুরুষ আধা আর স্ত্রীলোক আধা। বিয়ে না হলে এই দুই আধা এক সাথে জোড়া না লাগলে পুরো মানুষ হওয়া যায় না। মিলন না.. হলে মানুষের জীবনটা নেহাত অসম্পূর্ণ থেকে যায়।

সহবাসের উপকারিতা সম্বন্ধে হযরত মাওলানা আবদুল হক মুঃ দেঃ সাহেবের লিখত গ্রন্থের ৪৪১ পৃষ্ঠায় হাদীসে বর্ণিত আছে যে,
হযরত নবী করীম আলাইহিস সালাম ফরমাইয়াছেন, “দুনিয়ার মধ্যে আমার তিনটি জিনিস খুব বেশী পছন্দ। নামায, নারী এবং সুগন্ধী। নারী সহবাস আল্লাহ তা’আলার মহাদান ইহা অতি উত্তম মিষ্টি মধুর নিয়ামত। এর মধুরতার সীমা নেই। এতে বংশ বাড়ে, মানব জাতির উন্নতি হয়, মনের সাধ মেটে, স্বাস্থ্য ভাল থাকে। কেননা, শরীরের মধ্যে মনি (ধাতু) কিয়ে রাখলে এ রোগ জন্মে যে, তাতে আজীবন অশেষ দুঃখ কষ্ট ভোগ করতে হয়; হৃষ্টপুষ্ট বলবান শরীরও মাটি হয়ে যায়, ধাতু ক্ষীণ, দেহ দুর্বল ও ধ্বজভঙ্গ হয়ে ক্রমে মনুষ্যত্বের স্বাস্থ্যের হানি হয় ইত্যাদি।” শরীয়তের বিধানে বিবাহ যে ফরয হয়েছে, তার অনেক মাহাত্ম্য রয়েছে। যে কাজ মানুষের হাজার হাজার উপকার হয়, সেই কাজটা করা মানুষের উপর ফরয বা কর্তব্য হওয়া একান্ত ভাবে বাঞ্ছনীয়।

বিবাহে ধর্মের দিকে মন টানে, এবাদতে মন বসে। তাই উপযুক্ত সময়ে বিয়ে হলে মন খারাপ হয় না। নবী আলাইহিস সালাম পরিত্র হাদীসে এরশাদ করেছেন যে, অর্থাৎ “যার বিয়ে হয়নি, তার সত্তর রাকাত নামাজের চেয়ে-যার বিয়ে হয়েছে, তার দু’রাকাত নামায উত্তম।” “হে আমার উম্মত! বেশী করে সন্তান জন্মাও, তাতে আমার উম্মত বেশী হবে। কেয়ামতের দিন সকলের চেয়ে আমার উম্মত বেশী হবে বলেই আমার বুযুরগী বেশী হবে। এবং আমি তাতেই সন্তুষ্ট হব।” (আল হাদীস)

১৮. নবীদের নারী সহবাস/সঙ্গম/মিলন কেমন ছিল?

হযরত ঈসা ও ইয়াহইয়া আলাইহিস সালাম ছাড়া সমস্ত নবীই বিয়ে-সাদী করে রীতিমত সংসারধর্ম পালন করে গিয়েছেন। হযরত ঈসা (আঃ) যদিও বিবাহ করে যাননি, কিন্তু ভাবীকালে পুনরায় পৃথিবীতে তসরীফ এনে বিবাহ করবেন এবং তার সন্তান জন্মাবে। (মেশকাত)

হযরত আদম (আঃ) নিজের চোখে চল্লিশ হাজার সন্তান সন্ততি দেখে গিয়েছেন। হযরত ইব্রণীম (আঃ) পত্নী হাজেরা বিবির সাথে মিলনের বাসনায় অতদূর শাম দেশ থেকেও বোরার সোয়ারে প্রায় মক্কা শরীফে আসতেন। হযরত দাউদের (আঃ) ৯ জন স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও তিনি আর একটি বিয়ে করেন। সে ঘরে হযরত সোলায়মান (আঃ) পরদা হন। হযরত সোলায়মানের (আঃ) তিন শত স্ত্রী আর এক হাজার বাদী ছিল। আমাদের নবী আলাইহিস সালাম নয় বা এগারটি বিয়ে করেছিলেন।” আনা বাশারুম . মিকুম-আমিও (মোহাম্মদ) তোমাদের মত একজন মানুষ, ফেরেশ নই।”

কিন্তু নবীদের সঙ্গে তো আর আমাদের তুলনা হতে পারে না। তাঁরা ছিলেন সব মহাপুরুষ, মানুষ হলেও ফেরেশতার চেয়ে অনেক বড়। সাধারণ মানুষের চেয়ে হাজার হাজার গুণ বেশী শক্তি ছিল এক এক জন নবীর শরীরে। আমাদের হযরত প্রিয় নবী (সঃ) এর চল্লিশ জন পুরুষের সমান শক্তি ছিল। সুতরাং তাঁদের সঙ্গে তুলনা করে সঙ্গম করতে গেলে তো আমাদের জীবনই সারা। তবে সঙ্গমের উপকারিতা যে রয়েছে সে সম্বন্ধে তাঁদের কথা মনে হলো বলে তোমাকে জানিয়ে দিলাম। অন্য কিছু মনে করো না।

বেহেশতের উত্তম নিয়ামত হরের সাথে সহবাস বা সঙ্গম তারই যৎসামান্য নমুনা দুনিয়াতে স্ত্রী সহবাস। ইহাতে ইহকাল ও পরকালের অনেক উপকারিতা, অনেক মঙ্গল নিহিত রয়েছে। তা না হলে পৃথিবীতে যত সব মহাপুরুষ নবীদিগের উপর নারী সহবাস শুধু নিষেধ নয়, বরং একেবারে হারাম বলে হুকুম করা হতো। কিন্তু বাস্তবে তা নহে।

১৯. অসময়ে ও নিয়ম ছাড়া সহবাস/সঙ্গম/মিলনের দোষঃ

ফরিদা বললঃ ভাবী, সন্তান কানা, খোঁড়া, লেংড়া, লুলা হয় কেন?

হামিদা বললঃ কানা, খোঁড়া ইত্যাদি খারাপ সন্তান হয় কেবল উল্টাপাল্টা ভাবে কুক্ষণে সহবাস করার দোষে। সহবাস কালে শরীরের সব রগের উপরই জোর পড়ে। তাই দাঁড়িয়ে সহবাস করলে সবটা শরীর একেবারে লুলো হয়ে পড়ে। হাত-পা যেন ভেঙ্গে পড়ে, এতে স্বামী-স্ত্রী দু’জনেরই স্বাস্থ্য নষ্ট হয়। এতে সন্তান হলে সে পশুর স্বভাববিশিষ্ট বেহায়া কুলাঙ্গার হয়। দাঁড়িয়ে অনেক দিন সহবাস করলে সাংঘাতিক রূপে স্বাস্থ্য নষ্ট হয়।

স্ত্রীকে উপরে রেখে পুরুষ নীচে থেকে সহবাস করলেও ঐ দশা হয়। এতে মেয়ে সন্তান হলে বেহায়া কুলটা হয়; ছেলে হলে দুষ্ট বদমাশ হয়। উল্টা সহবাসে স্বামী কি স্ত্রী কারোরই পুরোপুরি সাধ মেটে না; অনর্থক শরীর দুর্বল হয়।

কুঁজো হয়ে সহবাস করলে বুকে পিঠে বেদনা জন্মে ও দেহের ক্ষতি হয়। সন্তান হলেও কুঁজো হয়।

বসে বসে সহবাস করলেও স্বাস্থ্য নাশ হয়। হ্যাঁ, তবে সহবাসের আ দাঁড়িয়ে কিংবা বসে বসে ছোঁয়াছুঁয়ি করলে কিংবা নিজের স্ত্রীকে বুকে করে শুলে দোষ নেই।

ডানে কি বামে কাত হয়ে সহবাস করলে গর্ভ-থলিতে বেদন! জন্মে, আর সন্তান নষ্ট হয়।

অতএব, এসব পাশবিক প্রবৃত্তির কাছেও যেয়ো না। উত্তর কি দক্ষিণ হয়ে ঠিক চিৎভাবে শুয়ে স্বামী-সহবাস করবে। এতে স্বামী-স্ত্রী দু’জনেরই শরীরই বেশ ভাল থাকে, কোনো ব্যাধি জন্মিতে পারে না, সন্তানের কোন অঙ্গহানি হয় না। উল্টা সহবাসে স্ত্রীর গর্ভ-থলিতে মনি ঠিক হয়ে বসতে পারে না, তাই সহবাসের পরে সে মনি পড়ে যায়, আর গর্ভ সঞ্চার হয় না। যদি কচিৎ গর্ভ সঞ্চার কারো হয়, তবে কানা খোঁড়া, অঙ্গহীন সন্তান হয়ে থাকে। পশুর মত যেমন ইচ্ছা তেমন সহবাস করলে সন্তানের স্বভাব ও পশুর মত হয়।

২০. সন্তানের স্বভাব মন্দ হয় কেন?

সবাসের পূর্বে বিসমিল্লাহ ও পূর্বের লিখিত দেয়াটি না পড়ে সহবাস করলে সন্তান দুঃশ্চরিত্র হয়; এবং হায়েয-নেফাসে কিংবা হায়েয-নেফাসের রক্ত বন্ধ হলে গোসলের পূর্বে সহবাস করলে সন্তান রোগা হবারই সম্ভাবনা বেশি থাকে। কারো মতে এমতাবস্থায় সহবাসের সন্তান প্রায়ই কুষ্ঠ রোগগ্রস্ত হয়।

২১. উত্তম স্বভাবের সন্তান হয় কিসে?

উত্তম সন্তান হয় ‘বিসমিল্লাহ এবং পুস্তকে লিখিত দোয়া পড়লে. এবং মা-বাপ চরিত্রবান ও ধার্মিক হলে। কারণ, মা-বাপের সঙ্গে সন্তানের প্রগাঢ় সম্পর্ক থাকে। তেঁতুল গাছে আম ফলে না- মায়ের উদর হচ্ছে যেন ক্ষেত, আর বাপের মনি হচ্ছে যেন বীজ। ক্ষেত ও বীজ ভাল হলে, আর ভাল সময় দেখে তা বুনতে পারলে ভাল ফসল না হবার কোন কারণ। থাকতে পারে না।

গর্ভ সঞ্চারের প্রথম থেকে মা যেমন সন্তান পাবার আশা ও চিন্তা করেন, সন্তান ঠিক তেমনি হয়। সহবাসকালে মা-বাপের মনের ভাবও শরীরের অবস্থা যেমন-থাকে সম্পূর্ণ না হোক, কতক হলেও সেই ভাব সেই অবস্থা সন্তানের মধ্যে নিশ্চয়ই পয়দা হয়। সুতরাং মাতা-পিতার কর্তব্য এই যে, তারা ধার্মিক সন্তান চাইলে গর্ভের প্রথম থেকে আম্বিয়া ও আওলিয়াদের জীবনী পাঠ ও ধর্ম চিন্তা, ধর্মালোচনা এবং নানারকম পূণ্য কাজে মশগুল থাকেন। কবি সন্তান চাইলে কাব্য পাঠ করেন। দার্শনিক ও বৈজ্ঞানিক সন্তান চাইলে দর্শন ও বিজ্ঞানের আলোচনা করেন। বীর সন্তান চাইলে যুদ্ধের বিবরণ পাঠ করেন। সুশ্রী সন্তান চাইলে নানা রকম কারুকার্য, সুন্দর ছবি, সুন্দর বাগ-বাগিচা, আকাশের তারা ও চাঁদের শোভা দর্শন করেন, আর খুব পরিষ্কার স্থানে থাকেন। সাহসী সন্তান চাইলে গর্ভ অবস্থায় যতদূর পারা যায়, সম্ভবতঃ মেহনতের কাজ করেন।

২২. অতি সহবাস/সঙ্গম/মিলনের অপকারিতা

আজকালকার ছেলেমেয়েরা সঙ্গদোষে নানা প্রকার কুসংস্কারে পড়ে, অসময়ে বার্ধক্য টেনে আনে। বালেগ হবার আগেই তারা ইতর ও লম্পটের সর্দার সেজ়ে বসে। তখন বিয়ে শাদী না হলেও দিনরাত কেবল কুচিন্তা করে মনটাকে উত্তেজিত করে রাখে। তারপর নানা কৌশলে দেহের অমূল্য ধন অমূল্য রতন ধাতু নিংড়িয়ে নিংড়িয়ে ফেলতে থাকে। বিয়ে হলে তো হাতে স্বর্গ পেল- আগপাছ আর ভাববার দরকার কি? মনে চায় চিরদিন তো এভাবেই সমান যাবে। তাই দিন নেই, রাত নেই, সময় অসময় নেই, কেবল লাগিয়েই রাখতে ভালবাসে, যে ধনে শত বছর বেশ সুখে চলতে পারা যায়, তারা পারলে তো একদিনেই শেষ করে ফেলে। সাবধান, ক্ষণিক উত্তেজনায় মত্ত হয়ে আধ ঘন্টা সুখের জন্য অমূল্য ধন একেবারে নিঃশেষ করো না। যৌবন জোয়ারের ঠেলায় অস্থির হয়ে অনিয়মে অতিশয় ধাতু ক্ষয় করে নানা প্রকার বিশ্রি রোগের বোঝা মাথায় নিয়ো না।

যারা যৌবনকালে সাবধান না হয়ে অতিশয় সঙ্গম করে, কিংবা কুপ্রক্রিয়ার দ্বারা অতিশয় ধাতু ক্ষয় করে, তার বিষময় ফল যৌবনকালে বা বুড়া কালেও ভাদের সে ফল অবশ্যই ভোগ করতে হয়।

প্রথম বয়সে যারা অতিশয় ইন্দ্রিয় সেবায় মত্ত হয়ে পড়ে, চল্লিশ বছ পার হতে না হতে তাদের শরীরে ঘুণে ধরে। তারপর সহজেই শরীর ভেঙ্গে পড়ে। চোখের জ্যোতিঃ কমে যায়, বুকে, পিঠে ও কোমরে বেদনা জন্মে, অরুচি ও পেটের অসুখ হয়, একটুতেই অসুখ করে, শরীর দুর্বল ও হাত পা অবশ হয়, ধাতু ক্ষীণ, ধ্বজভঙ্গ, হাঁপানী, কাশি, বাতরোগ, কানে কম শুনা, ঘন ঘন পেশাব, ধাতু ঝরা, গরমী, কুষ্ঠ, পাণ্ডু, অর্শ ইত্যাদি রোগ হয়। শুয়ে থাকতে ভাল লাগে না- বসে থাকতে কষ্ট বোধ হয়। মুখ মলিন, চেহারা শুকনা, চোখ বসা, বুক ধড়ফড় করা, মাথা ঘুরায় ও দেহ হালকা হয়ে পড়ে।

শুন ভাই আবারও বলছি সুযোগ পেলেই রাক্ষস হয়ো না, রয়ে সয়ে -সবুর করে ধাতু খরচ করো। দেখবে তোমার মত সুখী জগতে আর কেউ নেই।

২৩. সহবাস/সঙ্গম/মিলনের পর কি কাজ করা কর্তব্য?

সহবাসের পর কর্তব্য বা যা যা করতে হয় তা হচ্ছে- ১। স্বামী-স্ত্রী আলাদা আলাদা নেকড়া দিয়ে গুপ্তস্থান মুছে ফেলা, ২। পেশাব করা, ৩। অল্প গরম পানি দিয়ে গুপ্তস্থান ধোয়া (ঘন্টা খানেক পর ঠাণ্ডা পানিতে ধোয়া যায়), ৪। ঠাণ্ডা পানি দিয়ে হাত-মুখ ধোয়া, ৫। গোসলের পর কোন মিষ্ট জিনিস খাওয়া, (যেমন শিন্নি, পায়েস, মিঠাই, চিনি, বাতাসা, মধু—এসব গরম দুধ দিয়ে খেলে বেশ উপকার হয়।), ৬। কোন বলকারী জিনিস খাওয়া (যেমন – তাজা গোশত, কবুতরের বাচ্চার জুষ ইত্যাদি ) এবং ৭। পরিশেষে কিছুক্ষণ ঘুমানো দরকার।

২৪. বেহেশতী হুরের সহবাস/সঙ্গম/মিলন সম্পর্কিতঃ

জাগতিক সহবাস সম্বন্ধে অনেক কথাই বললাম। এই সঙ্গে আরও একটা কথা মনে পড়ে গেল, তাও আবার বলছি শুন। দুনিয়ার সতীনের কথা শুনলে হিংসা দ্বেষে মরা সতীনও খাড়া হয়- এ তা নয়। বেশেতী হূরের কথা পুরুষের খুব আনন্দের কথা। তাদের স্বার্থের কথা হলেও আমরা মেয়ে মানুষেরাও সে হূরের হাল-হকিকত শুনতে উৎসুক। তাই বলছি- তুমিও সে মতে মনকে বড় কর।

এক একজন পুরুষ বেহেশতের মধ্যে ৭০/৭২ জন করে হূর পাবেন। একদিকে দুনিয়ার স্ত্রী, আরেক দিকে সেই হরগণ থাকবেন। দুনিয়াতে মেয়েদের যতই বিয়ে হোক, বেহেশতে যেয়ে আল্লাহ যে স্বামীর সঙ্গে তার বিয়ে দিবেন তার সঙ্গেই তার বাস করতে হবে। বেহেশতী পুরুষ এক সময়েই স্ত্রী ও হূরগণের সঙ্গে সঙ্গম করবেন। কিন্তু তবুও তাদের শরীর কখনো দুর্বল হবে না। বরং যতই সঙ্গম করবে, ততই তাদের শরীরের কান্তি ফুটে উঠবে, রূপ বাড়বে, শক্তি বৃদ্ধি হবে। আর জাগতিক সঙ্গমের চেয়ে ৭০ গুণ বেশি সাধ পাওয়া যাবে। কিন্তু এখন স্বামী সঙ্গমে কয়েক দিনের মধ্যেই মেয়েদের রূপ নষ্ট হয়ে যায়, আর শরীর ভেঙ্গে পড়ে; তখন এমন হবে না। তখন সহবাস শেষ হলেই স্ত্রীলোকের শরীর অবিবাহিতা যুবতী মেয়েদের মত হবে- যেন কেউ এর আগে স্পর্শ করেনি। বেহেশতী স্ত্রী-পুরুষদের চিরদিন এভাবে- এমন সুখেই কাটবে। দুনিয়াতে মানুষ বুড়ো হয়, রোগে শোকে শরীর ক্ষীণ হয়, কিন্তু সেখানে তা হবে না। বরং দিন দিন শরীর আরো ভাল হবে। (হাদীস)।

ফরিদাঃ ভাবী হুর কেমন জিনিস?

হামিদাঃ শুন হূর অতি রূপসী মেয়েলোক। আহা ভাই! হূরের মত অমন সুন্দর কি আর কিছু আছে? কোরআন শরীফের কত যায়গায় আল্লাহ তা’আলা নিজেই সে হুরের প্রশংসা করেছেন। যেমন :

 خود مقصورات في الـخـيـام * لم يطمثهن انس قبلهم ولا جان * كائهن الياقوت والمرجان

বেহেশতের তাবুতে অবস্থান কারিনী হূরগণ মানব বা জ্বিন কেহই তাদের ছোয়নি। ইয়াকুত ও মণিমুক্তার মত সুন্দর উজ্জ্বল তাদের শরীরের রং।

مالا عين رأت ولا أذن سمعت (حديث)

“অমন রূপ কেউ কখনও চোখে দেখেনি বা (এ কথা) কানেও শোনেনি।” (হাদীস)

বেহেশতী পুরুষের জন্য আয়নার দরকার হবে না। হূরের সর্ব শরীর বুক, মুখ ও চেহারার নুরানী আলোতেই তাদের আয়নার কাজ হবে। আকাশের বড় উজ্জ্বল তারার চেয়ে হুরদের মাথার চুল বেশি উজ্জ্বল ও পরিষ্কার। তাদের সমস্ত শরীর মেশক জাফরানের সুবাস ভরা, কস্তুরী গন্ধে মাখা। তাদের একবিন্দু থুথুও পৃথিবীতে পড়লে সমস্ত পৃথিবী একেবারে মেশকুময় সুগন্ধে ভরে যেতো। একবিন্দু রূপের আলো পৃথিবীতে পড়লে পৃথিবীতে আঁধার বলে কিছু থাকতো না। তাদের এক এক হাতে দশ গাছা করে সুন্দর মণিমুক্তার চুড়ী থাকবে।

একদিন ফেরেশতা হযরত জিব্রাইল (আঃ) হূরের রূপ দেখে বেহুশ হয়ে পড়ে গিয়েছিলেন। (হাদীস)

হূরের গর্দানে লেখা আছে- “যে ব্যক্তি আমার মত সুন্দরী রূপসী হূর লাভ করতে চায়, তার কর্তব্য সে যেন আল্লাহ তা’য়ালার বন্দেগী করো। “যে যত বেশী দরুদ পড়বে সে তত বেশী হূর পাবে।” (হাদীস)

এহেন হূরের সাথে সঙ্গমে বেহেশতী পুরুষদের দুঃখ-তাপ সব দূর হয়ে যাবে, চেহারা উজ্জ্বল হবে, মুখে নুরানী দীপ্তি, শরীরে সোনার কান্তি ভাসবে। নারী পুরুষ সকলেই হবে সেথায় পরিতৃপ্ত। তবে বেহেস্তে হুরদের চেয়েও বেহেশতীদের নিকট যাহা আকর্ষণীয় হবে তা হলো আল্লাহর দিদার। তাই তো, বাউল কবি মাহতাব বলেন–

চাই না তোমার বেহেস্ত দোযখ, চাই না তোমার হুরপরী,
দিদার আশায়, মাহতাব অধম, “প্রেম সাগরে বাই তরী।
প্রভু থাকিও পাশে শেষ প্রলয়ে।
(দীউয়ানে মাহ্তাব—১ম)

২৫. গর্ভ সঞ্চারের ইতিকথাঃ

গর্ভ কি রূপে হয়— ফরিদা বললেন- ভাবী, পেটের মধ্যে সন্তান কি ভাবে জন্ম হয়?

হামিদা বললেনঃ মেয়েলোকদের তলপেটের ডান পাশে সন্তান সৃষ্টি হবার একটি থলি আছে। তার আকার প্রায় মধ্যম রকমের লম্বা লাউয়ের মতই- তবে কিছু বাঁকা। গর্ভ সঞ্চারের আগে সেটা ফুটবলের ব্লাডারের খালি চামড়াটার মত ‘বিজলী’ পানিতে ভরা থাকে। গর্ভ-থলির মুখখানি কেবল সরু, কিন্তু ভিতরের দিকটা খুব বড়। আর শামুকের ভিতরে যেমন কতকগুলো পেঁচ বা থাক আছে, স্ত্রীলিঙ্গ বা যৌনিপথের ভিতরেও সেই রকম তিনটা পেঁচ বা থাক আছে। ঐ গর্ভ থলির মুখের সাথে যৌনিপথের এই তৃতীয় থাকটা লাগা।

সঙ্গম কালে গর্ভ থলির মুখ খুলে যায়, যখন স্বামী-স্ত্রীর মনি একত্র হয়ে ঐ থলিতে গিয়ে পড়ে—তাতেই গর্ভ সঞ্চার হয়। কেউ কেউ বলে’ স্বামীর মনি যৌনিপথের এই প্রথম থাকে পড়লে তাতে সন্তান হয় না- পড়ে যায়। দ্বিতীয় থাক পড়লে তাতে প্রায়ই কন্যা সন্তান জন্মে, আর তৃতীয় থাকে পড়লে তাতে পুত্র-সন্তান হয়ে থাকে।

সঙ্গম করলেই যে গর্ভ হয়, তা নয়। সঙ্গমের পর স্বামী-স্ত্রীর মনি প্রায়ই পড়ে যায়। সহবাস কালে যদি স্বামীর পুরো কামভাব আসে আর পুরো সাধ মেটে, তাহলে স্বামীর মণি একেবারে গর্ভথলির মুখে যেয়ে পড়ে। তা প্রায়ই নিষ্ফল হয় না— তাতেই নিখুঁত পুত্র-সন্তান জন্ম হয়।

মেয়েদের হায়েয হয়ে পবিত্র হয়ে গেলে, পর গর্ভথলিটি কেমন হয়?- যেমন সদ্য ফোটা ফুলটি। তখন সঙ্গম করলে গর্ভ হবার খুবই সম্ভাবনা -থাকে। হায়েয থেকে পাক হলে সপ্তাহ দুই পর গর্ভথলির মুখখানি ফুলের কলির মত কুঞ্চিত হয়ে খুঁজে থাকে। তখন সঙ্গম করলে সহজে গর্ভ হয় না। হায়েযের সময় সঙ্গম করা হারাম, মহাপাপ। করলেও তাতে গর্ভ হয় না। ঝরনার পানির উপর প্রসাব করে দিলে যেমন ভেসে যায়, হায়েয অবস্থায় সহবাস করলেও তেমনি হায়েযের খুনে স্বামীর মণি ভেসে বেরিয়ে যায়। এতে কখনই গর্ভ সঞ্চারণ হতে পারে না।

গর্ভের চিহ্ন— গর্ভ হলে প্রথমে মেয়েদের শরীর খুব দুর্বল লাগে, হাত পা যেন ভেঙ্গে পড়তে চায়। খেতে কিছুই ভাল লাগে না। খেয়েও যেন পেট ভরে না। মাছের গন্ধ, ভাতে গন্ধ, শুধু শুধু বমি আসে। কোন রোগ বলে বোধ হয় না। তবুও শরীর শুকিয়ে যায়। হায়েয বন্ধ হয়ে যায়। ক্রমে স্তনের বোটা কালো হয়—স্তন খুব বড় ও উচু হয়ে ওঠে।

তারপর তিন মাসের মধ্যে স্তন টনটনে মোটা আর পেট ভারি হয়ে উঠে। চার মাসের কালে ঢেকে ঢুকে খুব সামলিয়ে চললেও পেট উচু দেখা যায়। দূর থেকে অনেকেই উহা টের পেয়ে যায়।

স্তনে দুগ্ধের জন্মকথা– গর্ভ সঞ্চার হলে মেয়েদের হায়েয বন্ধ হয়ে যায়। সেই বন্ধ রক্তের কতক অংশ সর্বশরীরে ছড়িয়ে গর্ভবতীর শরীর হৃষ্টপুষ্ট দেখায়। আর কতক রক্ত স্তনে গিয়ে ঘনীভূতঃ হয়ে স্তন মোটা, ও ভারী হয়, আর তাতে সন্তানের পানের জন্য ধীরে ধীরে দুধ জন্মে।

খালি গর্ভ— ঋতুকালে (হায়েযের সময়) অতি ঠাণ্ডা লাগালে, বরফ খেলে কিংবা অতিরিক্ত স্বামী সঙ্গম করলে অথবা অন্য কোন রোগ থাকলে, দু’চার মাস পর্যন্ত ঋতু বন্ধ থাকে। তাতে পেটটি গর্ভের মতো ভারী হয়। জরায়ুতে রক্ত জমে উদরী হলে কিংবা উদরে পানির সঞ্চার হলেও অনেকের পেট গর্ভের মত ভারি দেখা যায় এ কিন্তু গৰ্ভ নয়। এই কৃত্রিম গর্ভেও প্রকৃত গর্ভের মত অনেক চিহ্ন দেখা যায়; যথা-ঋতু বন্ধ হয়, স্তনের বোটা কালো হয়, রক্তের চাকা পেটের মধ্যে সন্তানের মত নড়াচাড়া করে ইত্যাদি। কিন্তু উহা শারীরিক অসুস্থতার কারণ হয়ে থাকে।

গর্ভস্থ শিশুর দেহ কিরূপে গঠন হয়— গর্ভ সঞ্চার হলে প্রথমে মা- বাপের মনি গর্ভ-থলির মধ্যে একটি বিন্দুর মত ভাসতে থাকে। চল্লিশ দিনের মধ্যে ঐ মণি একটি রক্তের পিণ্ডের মত হয়। দুই চল্লিশ বা ৮০ দিনে ঐ রক্তের পিণ্ড মাংস হয়ে দেহ তৈরি হয়ে যায়। তিন চল্লিশ দিনে হয়ে ঐ রক্তের পিও মাংস অর্থাৎ চার মাসে ঐ দেহে প্রাণ আসে।

বাপের মণিতে সন্তানের হাড়, রগ, মণি, মজ্জা। আর মায়ের মণিতে রক্ত, মাংস, চামড়া ও লোম পয়দা হয়। আর তাতে আল্লাহ তা’আলার অনুদান হচ্ছে-রূহ, আয়ু, সুখ-দুঃখ, বল, বুদ্ধি, ধন, মান ও মৃত্যু ইত্যাদি।
যেমন-কবির ভাষায়ঃ

মায়ের চার, বাপের চার আল্লাহর দেওয়া দশ
আঠার মোকামের মাঝে বান্দা করে শুধু চায়।

সঙ্গমের কালে মায়ের মণি আগে বেরুলে সন্তানের শরীরের রং হয় মায়ের মত-শরীরও নরম হয় মায়ের শরীরের মত। বাপের মণি আগে বেরুলে শিশুর দেহের বর্ণ হয় বাপের মত আর তেমনি একটু শক্ত হয়।

পুত্র কন্যার লক্ষণ- পুত্র সন্তান হলে মেয়েদের প্রায়ই ডান স্তনে আগে দুধ জন্মে, আর দুধ খুব ঘন হয়। গর্ভবতীর চলতে ফিরতে খুব বেশী কষ্ট মালুম হয়। চেহারা ধলা হয়ে উঠে এবং ডান উরু একটু বেশী ভারী ভারী মনে হয়। মেয়ে সন্তান হলে, প্রায়ই এর উলটা নিশানা সকল দেখা যায়। আর মাথা ঘোরে, শরীর ভারি ভারি লাগে, গা বমি বমি করে খেলে বমি আসে। মেয়ের প্রসব বেদনা অনেকক্ষণ থাকে। পুত্র প্রসব করতে বিলম্ব হয় না।

২৬. গর্ভের মধ্যে সন্তান কিরূপে বেঁচে থাকে?

ফরিদাঃ ভাবী, আপনি বলেছেন, চার মাস হলেই গর্ভস্থ সন্তানের দেহে রূহ আসে। আচ্ছা, তবে বাকী ছ’মাস সন্তান কি খেয়ে আর কিরূপে বড় হয়ে থাকে, তা তো বুঝে আসে না, বলবেন কি?

হামিদাঃ সন্তানের নাভির সঙ্গে আর ফুলের সঙ্গে গুড়গুড়ি হুক্কার নলের মত যে একটা নাড়ী বাঁধা থাকে আল্লাহ তা’আলার কুদরতে সেটা দিয়েই তার সব খাওয়া দাওয়ার কাজ চলে। ঐ মায়ের রক্তে সন্তানের দেহ পুষ্ট হয়। গর্ভবর্তীর আটকা হায়েযের রক্ত ফুলের মধ্যে জমে থাকে, আর গর্ভবতী হামেশা যা খায়, তার কতক রক্তও ঐ ফুলের মধ্যে যায় এবং ফুল থেকে উহা ঐ নাভির নল দিয়ে সন্তানের পেটে যায়। এতেই সন্তান বেঁচে থাকে। এতেই তার দেহ পুষ্ট ও বড় হয়ে থাকে।

আমাদের খাওয়া জিনিসগুলির সার অংশটুকু শরীরের মধ্যে মিশে যায়, এর অংশবিশেষ পেশাব-পায়খানা ও ঘামের সঙ্গে বেরিয়ে যায়। গর্ভস্থ সন্তানেরও তেমনি পেটের দুষিত ছাঁকা রক্তগুলো আল্লাহ তা’আলার কুদরতে সেই নাভি-নল দিয়ে আবার ঐ ফুলের মধ্যে আসে। তারপর ফুল থেকে ধীরে ধীরে মায়ের শরীর দিয়ে বেরিয়ে যায়। এটা আল্লাহ তা’আলার বড় আশ্চর্য কারিগরি।

ফরিদাঃ আচ্ছা, তাতো বুঝলাম। তবে সন্তান পাঁচ ছয় মাস, পেটের মধ্যে চুপ করে থাকে কি করে?

হামিদাঃ গর্ভ থলির মুখ বন্ধ থাকে, তারপর সন্তানের নাক, মুখ, কফ বিজলায় আটকা থাকে, তাই শব্দ করিতে পারে না। কিন্তু শব্দ করতে পারলেও তাতে তার কোনরূপ কষ্টবোধ হয় না। আল্লাহর কুদরতে সে যেন ঘুমের মত এক প্রকার ধ্যানে নিবন্ধ থাকে। তার শব্দ করার কোন দরকার হয় না। যেমন আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কুরআন মজীদের ঘোষণা করেন :

هو الذي يصوركم في الأرحام كيف يشاء

অর্থাৎ “ধন্য সেই আল্লাহ তা’আলা, যিনি মায়ের পেটের মধ্যে যেমন ইচ্ছা তেমনই সন্তান পয়দা করেন, তার শক্তির সীমা নেই যার কুদরতের পার নেই।

রূহের অবস্থা– হাদীসে বর্ণিত রয়েছে যে, আল্লাহ তা’আলা সকল মানুষের আত্মা একদিনেই পয়দা করে আরশের নীচে সবুজ বর্ণের লণ্ঠের মধ্যে সোনার ময়নার আকার বানিয়ে রেখে দিয়েছেন। যখন কোন স্ত্রীলোকের গর্ভ হয়, তখনি আল্লাহ তা’আলা তার পাহারাদার স্বরূপ একজন ফেরেশতা নিযুক্ত করে দেন। মাতার গর্ভে সন্তানের দেহ সম্পূর্ণ তৈরি হয়ে গেলে সেই লণ্ঠন থেকে একটি আত্মাকে (রুহ) ঐ দেহের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে দেওয়া হয়। সে মানুষের বোধের গম্য নহে, আল্লাহর কুদরতের প্রকাশ মাত্র।

যখন এক ফেরেশতা আল্লাহর হুকুমে রূহ্ আনবার জন্য আরশের নীচে যায়, তখন রূহ সেই ফেরেশতার কাছে মায়ের উদরের গর্ভাবস্থার কথা, দেহ ও দুনিয়ার সব বৃত্তান্ত জানতে পায়। তাতে সে দুঃখে ও ভয়ে আল্লাহর দরবারে খুব কাকুতি-মিনতি করে কেঁদে কেঁদে বলে, ‘মা’বুদ। তুমি আমাকে সাধ করে সৃজন করেছ, আদর করে আপনার কাছে রেখেছ। এখন আমাকে সে দূর দুর্নিয়ায় ফেলে দাও কেন? দুনিয়া যে তোমাকে ভুলবার স্থান, কষ্ট-ক্লেশের স্থান, পাপে লিপ্ত হবার স্থান। দুনিয়াতে নর-নারী, রাজা-প্রজা, ধনী-দরিদ্র সকলের মনেই একটা না একটা দুঃখ থাকে। তবে কেন এমন শান্তিহীন স্থানে আমাকে পাঠিয়ে দাও, মা’বুদ। পৃথিবীতে যেয়ে তোমার কথা মনে হলে তখন তোমাকে কোথায় পাবো মা’বুদ?

তখন আল্লাহ তা’আলা তাকে সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, “পেয়ারা বান্দা কেঁদো না, কয়টা দিন মাত্র তুমি দুনিয়া থেকে বেড়িয়ে আসবে, এই আমার ইচ্ছা। এখন তুমি আমার খুব কাছে থেকে যেমন আমাকে ভয় ভক্তি কর, ভালবাস, ভুলতে পার না, পৃথিবীতে যেয়ে অত না হোক, যদি মধ্যে মধ্যেও আমাকে একটু একটু মনে কর, তাহলে আমি নিশ্চয়ই তোমাকে খুশী করবো। আমার সাধের বাগান বেহেশতের বাদশাহী তোমাকে দেবো। এখন তুমি দুনিয়াতে যেয়ে একটু ঝাল-মুখ করে না এলে বেহেশতের সুস্বাদু মেওয়া তোমার কাছে মজা লাগবে কেন? কিন্তু খবরদার! পরিজনের মায়ায় কি কোন লোকের ভালবাসায় কিংবা ধন-মালের লালসায় আমাকে একেবারে ভুলে যেয়ো না।” তা হলে কিন্তু তোমার দুঃখের সীমা থাকবে না। পবিত্র কুরআনে ঘোষণা হয়েছে যে, যথাঃ

فاذكروني أذكركم واشكرولى ولا تكفرون

অর্থাৎ ‘তোমরা আমাকে স্মরণ কর, আমি তোমাদিগকে স্মরণ করব: আমার নিয়ামতের শুকর কর, নাশুকুর করো না।’

কিন্তু বোন! তখনকার সেই ভাব, সেই কথা এখন আমাদের মনে আছে কি? এখন আমরা আল্লাহকে একেবারে ভুলে গেছি। হাঁয়! আফসোস! কবির ভাষায় বলতে গেলে এইভাবে বলতে হয়।

“পশু পক্ষী ডাকে সদা, আদম হয়ে ডাকে না খোদা।

এ কেমন আদম সৃজন।

২৭. রূহ কি জিনিস ও উহার স্বরূপ কি?

ফরিদা বললঃ ভাবী, আমাদের রূহ কি?

হামিদা” বললঃ রূহ কেমন জিনিস, কি জিনিস, এর উত্তর দেওয়া যেমন কঠিন, বুঝতেও তেমনি কঠিন। সাধারণ লোককে বুঝালেও বুঝে উঠতে পারে না। এ এক কঠিন প্রশ্ন। এ শুধু উপলব্ধি করার বিষয় নার বিষয় নয়। তবুও তোমার প্রশ্নে জবাবে বলছি শুন, যেমনঃ রূহ সম্পর্কে তত্ত্বজ্ঞানী গণের মাঝে বহু মতভেদ আছে, যেমনঃ তত্ত্বজ্ঞানী হযরত মাওঃ শিবলী নো’মানী সাহেবের ‘আল গাযযালীর ১০৬ পৃষ্ঠায় বর্ণিত আছে- রাসায়নিক শাস্ত্রকারগণের মতে দেহ আর রূহ এ দুটা ভিন্ন ভিন্ন জিনিস নয়, বরং একই জিনিস। কতকগুলো ঔষধ একত্রে জ্বাল দিলে যেমন ভিন্ন রকমে একটা ঔষুধের সৃষ্টি হয় এবং কতকগুলো তার যথাযথভাবে একত্রে জোড়া দিয়ে সাজালে যেমন একটা হারমনিয়াম তৈরি হয়- ঠিক বীর্য ইত্যাদি তেমনিভাবে আব, আতশ, খাক, বাদ- মা-বাপের রক্ত, কতকগুলো জিনিস একত্রে জড়িত ও মিশ্রিত হয়ে একটা জিনিস পয়দা হয়- যা চলতে পারে, হাসতে পারে, সব বুঝে। এর নাম হচ্ছে আত্মা বা রূহ।

হযরত ইমাম গাযযালী সাহেবের এহইয়াউল উ’লুম ও ‘মসনদে সাগীর’ ও ‘মনদে কবীর’ এবং মহাত্মা আবু আলী সীনা ইয়াসাতে রূহ সম্বন্ধে বিস্তারিত বিবরণ লিখেছেন। কিন্তু রূহ, কি জিনিস, রূহের স্থায়িত্ব কি- তা কেউই প্রকাশ করেননি-তত্ত্বজ্ঞানী আরস্ততালও না- এ,এক বড় তাজ্জবের কথা।

ফল কথা, ঘুম একটা বাস্তব বস্তু, কিন্তু তার কোন আকার নেই, তা চোখেও দেখা যায় না-রূহও সেই রকম একটা আকারহীন বস্তু। বাতাসের আকার আছে, তা অনুভব করা যায়, কিন্তু রূহ বাতাসের মত হাল্কা বস্তু হলেও তার আকার নেই, রং-ও গন্ধ নেই। পৃথিবীর বহু কিছুই আমরা অনুভব করি, কিন্তু তার আকার দেখতে পাই না, রূহও ঠিক তেমনি একটি বস্তু মনে কর। : আকাশের বিজলী যেমন একটা অত্যন্ত শক্তিশালী বস্তু, মানুষের আত্মা তার চেয়েও বেশী শক্তিশালী। একটা বস্তু কিন্তু সেটা নিস্তেজ অচল দেহের সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়েছে বলে বিজলীর মত ধাঁ করে দেহ দিয়ে আর পালাতে পারে না। কিন্তু মাটির তৈরি দেহ এত ভারি হলেও আত্মা তাকে এক আধ ঘন্টা ঘোড়ার মত বেগে দৌড়িয়ে নিয়ে যেতে পারে, যেমন মানুষ দৌড়াতে পারে। আত্মা শক্তির একটা অংশ। যাকে আমরা ‘খেয়াল বা ইচ্ছা শক্তি বলি, সেটা আকাশের দিকে ছেড়ে দিয়ে দেখো, সে এক পলকে লক্ষ যোজন দূরে কত লাখ বার যেতে আসতে পারে। আত্মা কি জিনিস, তা বুঝবার ও বুঝাবার শক্তি যখন আমাদের নেই, তখন ওর আলোচনাও সঙ্গত বলে মনে হয় না। মনে করতে হবে উহা আল্লাহর বিশেষ এক সৃষ্টি, যার মাঝেই অন্তর্নিহত রয়েছে আল্লাহর যাবতীয় সৃষ্টির রহস্য। আর আল্লাহর সৃষ্টির সব রহস্য বুঝা মানুষের পক্ষে আদৌ সম্ভব নহে।

২৮-ক. অসময়ে গর্ভস্রাব বা অকালে সন্তান নষ্ট হওয়াঃ

ফরিদা বললঃ ভাবী, চার পাঁচ মাসেই অনেকের গর্ভে নষ্ট হয়ে সন্তান পড়ে যায়, এর কারণ কি?

হামিদা বললেনঃ “চার পাঁচ মাসে গর্ভ নষ্ট হলে তাকে দেশীয় ভাষায় বলে কাঁচা যাওয়া। নানা দোষে মেয়েদের সন্তান নষ্ট হয়। যথাঃ

অনেক সময়ে গর্ভবতীর কোন প্রকার শক্ত রোগ হলে, ভেজাল ওষুধ খেলে, শক্ত পরিশ্রম করলে, কিংবা কোন প্রকার পেটে আঘাত লাগলে, অসময়ে পেটের সন্তান নষ্ট হয়। কিন্তু গর্ভাবস্থায় অল্প পরিশ্রমের কাজ করলে, তাতে কোনো ক্ষতি নেই, বরং উপকার আছে। আবার হায়েযের সময় খুব বেশি পরিশ্রম করলে কিন্তু স্বাস্থ্যহানি ঘটে, অনেক পরিবারে আদর সোহাগের বৌ গর্ভবতী হলে গ্লাসটিতে পানিটুকু পর্যন্ত ঢেলে খায় না। আলসে কুঁড়ে হয়ে রাতদিন’ শুয়ে বসে পেটপুজা করে কাটায়। এ কিন্তু মোটেই ভাল নয়। এতে সন্তান প্রসবের সময় কষ্ট হয়।

গর্ভের প্রথম অবস্থায় খুব সচেতন হয়ে চলতে হয়। চুলার উপর থেকে সিদ্ধ ধানের টিন নামান, অসাধ্য শ্রম করা, অনেকক্ষণ বারা ভানা, জাহাজে, গাড়ীতে কি অন্য কোনো সোয়ারিতে ঝাঁকি খেয়ে খেয়ে বহুদূরের পথ যাওয়া কিংবা সারা রাত জেগে থাকা উচিত নয়। এই ধরণের কাজ করলে সন্তান নষ্ট হবার ভয় থাকে।

গর্ভবতীর যদি খুব অস্থিরতা লাগে, মাথা ঘুরায়, কি সময় সময় বেহুশ হয়ে পড়ে, আর পেট বেদনা করে তবে গর্ভ নষ্ট হয়ে যাবার খুবই ভয় থাকে। তখন কোন তদবীর করা উচিত।

ফরিদাঃ আচ্ছা ভাবী, এর কি ভালো কোন ঔষুধ নেই।

হামিদা বললেনঃ শোন – অবশ্যই আছে। ঔষুধ না আছে, এমন রোগ আল্লাহ তা’আলা জগতের জীবের জন্য সৃষ্টি করেন নাই। একটা রোগের জন্য শত শত প্রকার ঔষুধ আছে। এখানে দু’ একটা বলে দিচ্ছি, মনোযোগ দিয়ে শোন।

গর্ভ রক্ষার ঔষুধ– নিম্নলিখিত আয়াত লিখে গর্ভবতীর ডান পার্শ্বে রানে বেঁধে রাখলে অকালে গর্ভ নষ্ট হয়ে সন্তান নষ্ট হয়ে যায় না।

فالله خير حافظا وهو أرحم الراحمين . الله يعلم ما تخيل كل أنثى وما تغيض الأرحام وما تزداد وكل شئ عنده بمقدار

অন্য আর একটি নিয়ম– গর্ভবর্তীর পা থেকে মাথা পর্যন্ত লম্বা ৭ কিংরা ২১ নাল কুসুম রঙের সূতা নিয়ে নীচের আয়াত ও সুরা পড়ে ৯টা গেরো দিবে। তারপর উহা গর্ভিনীর কোমরে বেঁধে রাখবে। এতে আর কোন প্রকারে গর্ভ নষ্ট হবে না। আয়াত এই-

واصبر وما صبرك إلا بالله ولا تحزن عليهم . ولا تك في صبي بيتا بكرون . إن الله مع الذين ألقوا والذين هم محسنون

প্রত্যেক গেরো দেবার সময় এই আয়াত ও সুরা কুল ইয়া আইয়্যুহাল কাফেরুন।’ একবার পড়বে, তারপর ফুঁ দিয়ে গেরো আটকাবে। তবে আমলের জন্য ভাল আমেলের প্রয়োজন। তবেই উপকার পাওয়ার আশা – আছে।

ডালিমের পাতা পিষে, শ্বেতচন্দন, মধুসহ এবং দই দিয়ে গর্ভের পঞ্চম মাসে খেলে গর্ভ নষ্ট হয় না।

২৮-খ. কালের দৃষ্টি বা বাঁঝা রোগঃ

ফরিদাঃ অনেক মেয়েলোকের ঋতুকালে পেটের বেদনায় যেন প্রাণ যায়। কারো সন্তান হয় না, এর কারণ কি ভাবী?

হামিদাঃ হায়েযের সময় খুব পেটের বেদনা জন্মালে সচরাচর আমরা তাকে দেশীয় ভাষায় কালের দৃষ্টি বলে থাকি। স্ত্রীলোকের শরীর খুব ক্ষীণ, দুর্বর কি রক্ত শূণ্য হলে কিংবা কাম জ্বালায় উতলা মন থাকলে, হস্তমৈথূন করলে, হায়েযের সময় মাটিতে শুয়ে কি অন্য কোন প্রকারে শরীরে খুব বেশী ঠাণ্ডা লাগলে এই ই প্রকার কালের দৃষ্টির বেদনা জন্মে। মেয়েদের পক্ষে কঠিন রোগ, এ বেদনা যতদিন না সারে, ততদিন সন্তান হয় না। রাতদিন সহবাস করলেও গর্ভ হয় না।

গর্ভ-থলিতে কোন প্রকার রোগ থাকলে, দিন রাত শরীর লুটিয়ে খুব মেহনতের কাজ করলে, কিংবা দু’তিন সপ্তাহ ধরে অনিয়মে রক্তস্রাব /স্তেহাযা) হলেও সন্তান হয় না। আল্লাহর কুদরতে কোনো কোনো স্ত্রীলোকের আবার জন্মকাল থেকে সন্তান পয়দা হবার থলিই হয় না। তাদের গর্ভ হবে কিসে? কোন প্রকার তদবীরেও যখন তাদের কাজ হয় না। তখন বুঝবে যে এরা জনম বাঁঝা।

অনেক সময় স্বামীর দোষেও স্ত্রীর গর্ভ হয় না। মেহরোগে কিংবা অতি সহবাসে স্বামীর ধাতু পাতলা হয়ে গেলে, “অথবা স্বামীর মুত্রযন্ত্রে কি অণ্ডকোষের মধ্যে কোনো রোগ থাকলে স্ত্রীর গর্ভ সঞ্চার হয় না।

ফরিদাঃ ভাবী মোটেই সন্তান না হওয়া মেয়েদের জীবনে বড় দুঃখের কথা। সন্তান না হলে বাড়ী ঘর উজ্জালা হয় না, সংসারের সৌন্দর্য ফোটে না। বিয়ের বছর দু’ পরেও সন্তান না হলে কি জানি নেই নেই, খালি খালি, আর ভাল লাগে না। সংসার অসার, জীবন বৃথা বলে মনে হয়। আচ্ছা ভাবী, এর জন্য কি কোন প্রকার ঔষুধ নেই।

হামিদাঃ এর ঔষুধ তোমাকে শিখিয়ে দিচ্ছি। দরকার হলে অন্য মেয়েদেরও দিও।

২৯. বাঁঝা (বন্ধ্যা) স্ত্রীর গর্ভ হবার ঔষুধঃ

  • হায়েযের সময় ওলট কম্বলের মূল চূর্ণ সিঁকি তোলা করে ৩/৪ দিন খেলে বাধক বেদনা বা কালের দৃষ্টি সারে।
  • হায়েয অবস্থায় পেট বিষ করলে রোজ রাত্রে শো’বার সময় কিছু পরিমাণ কালো জিরা চুষে চুষে খাবে। কতক্ষণ চুষে ফেলে দেবে, চিবোবে না। এতে বাধক বেদনা সারে ও সন্তান লাভ হয়।
  • হায়েয হতে পাক হবার পরদিন হতে লাগালাগি তিন দিন ভোরে গোসল করে প্রতিদিন ১ তোলা আদার রস, ১ তোলা মধু, ৭টি গোলমরিচ চুর্ণ করে একত্রে খাবে। এ ভাবে তিন হায়েয পর্যন্ত খেলে চির বাঁধা নারীরও আল্লাহর রহমতে সন্তান লাভ হয়।
  • বড় এলাচি ১ তোলা, শিমুল গাছের আঠা ১ তোলা, রুমি মস্তকী ১ তোলা, তেঁতুল.২ তোলা, লাল চিনি ৫ তোলা একত্রে পিয়ে প্রত্যহ স্বামী ১ তোলা আর স্ত্রী ১তোলার কিঞ্চিৎ কম করে লাগালাগি চল্লিশদিন খেলে বাঁঝা স্ত্রীর সন্তান লাভ হয়।
  • চল্লিশটি লবঙ্গের প্রত্যেক লবঙ্গের উপর ৭ বার নিম্নের আয়াত পড়ে ফুঁ দেবে। তারপর ১টি করে লবঙ্গ প্রত্যেক রাত্রে শো’ বার সময় খেয়ে আর পানি খাবে না। হায়েয থেকে পাক হবার পরদিন থেকে স্বামী সঙ্গ আর লবঙ্গ খাওয়া শুরু করবে। ইনশাআল্লা বাঁঝা (বন্ধ্যা) নারীর সন্তান লাভ হবে।

আয়াতটি এই–

. او كظلمات في البحر تجع يغشاه موج من فوقه موج من فوقه سحاب ظلمات بعضها فوق بعض إذا أخرج يدة لم يكذراء. ومن لم يجعل الله له نورا فما له من نوره

বিঃ দ্রঃ গর্ভ সঞ্চার হবার ঔষুধ-তদবীর করে অতি মেহনত করা, দিনে ঘুমানো অতিশয় দুঃখ চিন্তা করা নিষেধ। কারণ তাতে গর্ভ নষ্ট হতে পারে।

৩০. ইচ্ছা মত পুত্র-কন্যার জন্মদানঃ

যার পুত্র হয় না, কেবল মেয়ে হয় তার পুত্র হবার জন্য -গর্ভের তিন মাস পূর্ণ হবার আগে একদিন গর্ভবর্তীর পেটের উপর খালি আঙ্গুল দিয়ে একটি গোল রেখা অঙ্কন করবে তারপর রেখার উপর দিয়ে আঙ্গুল ঘুরাবে আর ৭০ বার ইয়া ‘মাতীনু’ এই ইস্‌ম পড়বে। ইনশ আল্লা পুত্র সন্তান জন্মাবে।

৩১. সন্তান জন্মাবার দোষ নিবারণঃ

যার ছেলে বাঁচে না, তার ছেলে বাঁচানোর জন্য কতক পরিমাণ গোলমরিচ ও জৈনের উপর সোমবার দিন বারটার সময় কি দুপুর বেলা সুরা ‘ওয়াশ শামসে’ পড়ে ফুঁ দেবে। প্রত্যেকবার সুরার আগে ও পরে দরূদ পড়তে হবে। গর্ভ সঞ্চার হলে পর নারী উহা খাওয়া আরম্ভব করবে, আর সন্তানের দুধ ছাড়ান পর্যন্ত প্রত্যেক দিন খাবে; এতে সন্তান হয়ে মরবে না- পেটের মধ্যেও মরবে না। ইনশাআল্লাহ।

৩২. অতিরিক্ত রক্তস্রাব নিবারণঃ

হায়েযের নিয়ম ছাড়া যে রক্ত স্রাব হয়, তাকেই অতিরিক্ত রক্তস্রাব বলে। এর জন্য নিম্নবর্ণিত নিয়মে চিকিৎসা করা যেতে পারে। যথাঃ

অফুলা (চারা) বেল গাছের শিকড় নাভির নীচে বাঁধলে উহা বন্ধ হয়। প্রতিদিন গোল মরিচ আধ তোলা, শ্বেত আকন্দের শিকড়ের ছাল ২ তোলা, বাসি পানি দিয়ে বেটে তিন দিন খেলে অতিরিক্ত রক্তস্রাব বন্ধ হয়।

৩৩. সাদা ধাতুস্রাব নিবারণঃ

মেয়েলোকের পেশাবের রাস্তা দিয়ে সর্দির মত সাদা পানি ঝরলে, ৫/৭ বার পানের সঙ্গে ভাল জ্বৈত্রী খেলে ১ দিনেই সারে; তবুও উহা সপ্তাহ কাল খাওয়া উচিত।

৩৪. সহজ প্রসব ব্যবস্থাঃ

প্রসব বেদনা উপস্থিত হলে নিম্নলিখিত আয়াত লিখে পাক কাপড়ের টুকুরায় জড়িয়ে গর্ভিণীর বাম উরুতে বেঁধে দেবে। দেখতে দেখতে বিনা কষ্টে সন্তান প্রসব হয়ে যাবে। ইহা বহু পরীক্ষিত আমল।

إذا الشتاء النشقت . وأذنت لربها وحقت ، وإذا الأرض متشو القت ما فيها وتخلت . وأذنت لربها وحقت

  1. লজ্জাবতির শিকড় বাম উরুতে বাঁধলে কিংবা আনারসের শিকড়ের রস হাতে পায়ে মাখলেও জলদি সন্তান ভুমিষ্ট হয়।
  2. কালো জিরা খেলে পেটের মরা সন্তানও ভূমিষ্ট হয়, বেদনাও কমে। গর্ভের ৯ম মাসের ১ম হতে রোজ রোজ গোসল করলে প্রসব বেদনায় বেশী কষ্ট হয় না।

৩৫. স্তন্যদুগ্ধ বৃদ্ধির আমলঃ

কয়েকদিন রাত্রে শোয়ার সময় কিছু পরিমাণ কালোজিরা হাতের তালুতে কোরে মুখে দিয়ে গিলে ফেলবে চিবাবে না। এতে সন্তনে খুব দুধ হয় আমন ধানের চালের গুড়া আধসের দুধ আধসের একত্রে রোজ সপ্তাহকাল এমন খেলে সন্তান স্তনের দুধ খেয়ে ফুরাতে পারবে না।

৩৬. স্তনের দুগ্ধ কমাতে হলেঃ

কোন কারণে স্তনের দুধ কমাতে হলে পরনের কাপড় গরম পানিতে নিংড়িয়ে সেক দিলে স্তনের টাটানি বারণ হয়, সহজে দুধ বের হয়ে মেথি পিষে স্তনে লেপ দিলে স্তনের দুধ শুকিয়ে যায়। সন্তান মারা গেলে কিংবা স্তনে অসম্ভব দুধ জমলে অসহ্য যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়। সুতরাং জমাট দুধ অন্যের সবল শিশুকে পান করাবে, নইলে চিপিয়ে ফেলেদিবে।

৩৭. শিশুর সেবা যত্নঃ

স্তনের দুধ না থাকলে শিশুকে গাই কিংবা ছাগীর দুধ খাওয়াবে। কচি শিশুকে ময়দা বা চালের গুড়া ইত্যাদি খাওয়ালে তার জীবন শক্তি কমে যায়। শরীর নাশ হয়। সাত আট টি মাসের হলে অগত্যা কিছু কিছু ঢ়াত খাওয়ানো শুরু করা যেতে পারে।

আমাদের দেশে অজ্ঞান মেয়েরা শিশুর যত্ন জানে না। শিশুর সঙ্গে অনর্থক রাগে কথা বলে, চোখ রাঙ্গায়, খেঁচাখেঁচি করে, হঠাৎ টান দিয়ে কোলে লয়, জোর করে বসায়, অনর্থক কাঁদায়, জোর করে ঘুম পাড়ায়। এসব বড় অন্যায়। যতদূর সম্ভব শিশুর মন-মরজী যোগাবে, মিষ্টি ব্যবহার করবে। সুস্থিরে বসে স্তন পান করাবে। কচি শিশুর মুখে একেবারে অনেক পরিমাণে দুধ গেলে তার খুসখুসি কাশি ও বমি হয়; আরো নানা অসুখ হতে পারে।

৩৮. শরীরের রং উজ্জ্বল করাঃ

কাঁচা হলদি ও মেহদি পাতার রস শরীরে মাখলে শরীরের রং উজ্জল হয়। কাঁচা দুধে ময়দা গুলে শরীরে মাখবে, শুকালে শরীর মেজে গোসল করবে। এরূপ সপ্তাহ দু’ করলে শরীর মোলায়েম ও উজ্জ্বল হয় এবং কান্তি বাড়ে।

৩৯. চির যৌবন লাভের ওষুধঃ

গাঢ় ধাতু ক্ষীণ— সহবাসে অক্ষম যার একাধিক স্ত্রী আছে, যে কামুক রতিক্রিয়ার পাগল, কিংবা যে অতিশয় সহবাস করে অকালে যৌবনহারা ও বুড়ো হয়ে পড়েছে, তার নব-যৌবন ফিরিয়ে পেতে ইচ্ছা করলে নিম্নলিখিত ভৈষজ ঔষুধ ব্যবহার করবে।

ধাতুক্ষীণ ব্যক্তিরা এরূপ হিতকর ঔষুধ ব্যবহার না করলে অল্প দিনের মধ্যে ধ্বজভঙ্গ রোগগ্রস্ত হয়ে একেবারে তাদের জীবনের দফারফা হয়ে যাবে।

আমের পুরানা আঁটি চুর্ণ আধ তোলা আর কিছু চিনি একত্রে, রোজ খেলে ধাতু খুব গাঢ় হয়, রতিশক্তি বাড়ে। এক পোয়া দুধ, ১ তোলা ইছবগুল চূর্ণ, ২ তোলা মিছরী দিয়ে জাল দিয়ে ১ সপ্তাহ খেলে সব রকম মেহ রোগ সারে, অতিশয় দেহশক্তি বাড়ে, ধাতু পুষ্ট হয়, ইন্দ্রিয়দোষ ভাল হয়, ধ্বজভঙ্গ রোগ সেরে যায়। আঁটি হয় নাই এমন কচি আম শুকিয়ে চূর্ণ করে ১ তোলা, আর গুড় ১ তোলা একত্রে রোজ খেলে ধাতু পুষ্ট ও গাঢ় হয়, ৪০ বার স্ত্রী সঙ্গমের শক্তি জন্মে। এক সপ্তাহ খাবে। মধু, সৈন্ধব লবণ, পায়রার তাজা বিষ্ঠা একত্রে পিয়ে পুরুষাঙ্গে লেপ দিলেও আশেপাশে মর্দন করলে পুরুষাঙ্গ খুব শক্ত ও বড় হয়, এতেও রতিশক্তি বাড়ে, স্ত্রী বশ হয়। আধ পোয়া বড় কাবলী বাদাম, আধ পোয়া খোর্মা (খেজুর) বেটে ২ তোলা মিছরী, ২ তোলা ঘি তাতে মিশিয়ে আধ সের দুধ দিয়ে রাত্রে জাল দিলে হালুয়া তৈরি হলে, তারপর খুব ভোরে উঠে ঐ হালুয়া সব খেয়ে ফেলবে। এইরূপ লাগালাগি এক সপ্তাহ খাবে। এতে শতবার স্ত্রী-মিলনের শক্তি জন্মে। লাগালাগি ছ’সপ্তাহ খেতে পারলে বুড়ো জোয়ান হয়, চির যৌবন লাভ হয় শক্তি চিরস্থায়ী হয়।

যুবতীর প্রিয়তম হতে চাইলে তার সাধ মিটাতে হবে, তার সাধ মিটাতে ইচ্ছা করলে ঔষুধের এক পদ খেয়ে, দুধ ও খুব শীতল পানি খেয়ে কাজ শুরু করবে। তাহলে ঔষুধের গুণ আছে কিনা বুঝতে পারবে। মণি একেবারেই বের হয় না।

৪০. স্তন শক্ত, সুন্দর ও সুশ্রী করার ঔষুধঃ

এক তোলা পারার মধ্যে এক তোলা গন্ধক চুর্ণ দিয়ে নাড়তে নাড়তে যখন একত্রে মিশে কালো বরণ হবে, তখন আগুনে গরম করে ৪ তোলা সিদ্ধ করা বেলের আঁটির গুড়া মিশিয়ে স্তনে মালিশ করলে স্তন খুব খাড়া ও উচু হয়, বুড়ী জোয়ান জয়।

গাম্ভারী পাতার রস তেলে জ্বাল দিয়ে স্তনে দিলে, স্তন খুব উচু ও বড় হয়—স্ত্রীলোকের রূপ ফুটে উঠে।

৪১. সংযম গ্রহণ ও রিপু দমনঃ

অসংযমের পরিণাম– আল্লাহ তায়ালা নারী জিনিসটা যে পুরুষের জন্য পয়দা করেছেন, এ বড় সুন্দর, মধুর নেয়ামত। অজ্ঞান পুরুষেরাই সে নেয়ামতের অপব্যবহার করে থাকে। পুরুষের চেয়ে নারীর কামপ্রবৃত্তি বেশী হলেও নারীর ধৈর্য্য খুব বেশি। পুরুষের ধৈর্য নাই বল্লেও চলে। এ জন্যই পুরুষ নারীকে খুঁজে বেড়ায়, কিন্তু নারী সহজে ধরা দেয় না। নারীর বুক ফাটে, তবু মুখ ফোটে না। তাই আমি নারীর পক্ষ সমর্থন করে নারীর কথাই বেশি বলতে চাই।

  • সারা দুনিয়ায় এমন কোন জাতি নেই, এমন কোন ধর্ম নেই যে, সে জাতিতে কি সে ধর্মে পর-নারী সহবাস হালাল বা সিদ্ধ। বরং পৃথিবীর সব জাতিই, ছোট বড় সকলেই জানে ও মানে যে, পর-নারীর সঙ্গে মিলন মহাপাপ, নিতান্ত ঘৃণিত, জঘন্য নীচ কাজ-মহা অনায় কাজ। পর-নারীর সঙ্গে মিলিত হওয়া তো দূরের কথা-পর-নারীতে কামভারে দৃষ্টিপাত করাই মহাপাপ। নিতান্ত পাষণ্ড মুৰ্খ ব্যক্তিও একথা স্বীকার করে।
  • পর-নারীর সতীত্ব নাশ করলে পরকালে তো বিপদ আছেই, পৃথিবীতেও বহু বিপদে পড়তে হয়। লাথিগুতো খেতে হয়, আয়ু কমে যায়, লোক সমাজে মুখ দেখানো দায়, যে সে নিন্দা করে আর চোখ রাঙ্গায়, কাবুতে পেলে দফা একেবারে ঠাণ্ডা করে দেয়।
  • পর-নারীর নেশায় পড়লে শরীর নাশ হয়, কুষ্ঠ, প্রমেহ রোগ হয়। টাকা-পয়সা · ও সংসার বিনাশ হয়, মানের হানি হয়, বংশ পরস্পরায় পর্যন্ত লোকে খোটা দেয়।
  • জগতে যত আনন্দের কাজ আছে, তার মধ্যে নারীর মধু পান করাই বেশি আনন্দের কাজ- যত ব্যবসা আছে তার মধ্যে পর-নারীর কাছে যাওয়া, বেশ্যাগিরির ব্যবসা করাই বেশি নীচ ও ঘৃণিত কাজ। যতক সর্বনাশের কাজ আছে, তার মধ্যে বেশ্যার সহবাস ও পর-নারীর সঙ্গে প্রেম করাই বড় সর্বনাশের কাজ। সহজে যত মহাপাপ হয়, তার মধ্যে ব্যভিচারই সহজ। মানুষকে কুপথে নেবার জন্য শয়তানের যত রকম কৌশল জাল আছে, তার মধ্যে পর-নারীর নেশায় ফেলে কুকাজ করানোই সহজ; অথচ এটি শয়তানের বড় কাজ। এই কারণেই নিজ নারীর চেয়ে পর-নারীতে রুচি হয় বেশি। নিজের স্ত্রী ঘরে থাকলেও পর-নারীর জন্য মন উতালা। না জানি পর-নারীতে কতই মধু লেগে রয়েছে। ঘরেরটা ও পরেরটা একই জিনিস, তবু শয়তানের প্রেরণায় ঘরেরটা ভাল লাগে না। তাই পশুর ন্যায় ব্যভিচারী হতে ভাল লাগে।
  • যে পর-নারীর দিকে কু-নজরে চায়, তাকে কেউ ভাল মানুষ বলে জানে না। শে যেন সকলের চোখের শূল। পর-নারীর কাছে গেলে সাংঘাতিক কুৎসিৎ রোগ জন্মে, তা আর সারতে চায় না। সে রোগ- নিজ স্ত্রী-পুত্রের মধ্যেও প্রবেশ করে, সাত পুরুষ পর্যন্ত এর জের চলে। পর– পুরুষের অনবরত সহবাসে দুষিত নারীর যৌনিপথ উল্টিয়ে নষ্ট হয়ে যায়। কারো বা অনবরত রক্ত ঝরতে ঝরতে যৌনিতে ঘা হয়, অবশেষে জাহান্নামে চলে যায়।
  • যে পুরুষ পর-নারীর কাছে যায় তার স্ত্রীর স্বভাব নষ্ট হয়। কেউ বা মনের দুঃখে বিষ খায়। কেউ খেদে গলায় দড়ি দিয়ে সব দুঃখ জ্বালা ঠাণ্ডা করে দেয়। যে পুরুষ বেশ্যা-বাড়ী যায়, তার পরিণাম ফল যে কি হয়, আর বলা যায় না। ধন-মান তো বিনাশ হয়ই, ছুরির আঘাতে বছর বছর কত ব্যবিচারী পুরুষ যে মারা যায়, তার আর হিসাব নেই। বলাৎকারী মামলার কয়েদীও তো এদেশে নেহাত কম নয়। এ পাপপের পায়েশ্চিত্তের শেষ ইহকালে হয় না। ভোগ করতে হয়। অনন্তকাল দোযখের মহাযন্ত্রণাও ভোগ করতে হয়। তবে, তওবা করলে কবীরা গুনা মাফ হয়।
(৪১টি) স্বামী স্ত্রীর গোপন কথা, তথ্য, রহস্য, উপহার + স্বামী স্ত্রীর মিলন তথ্য বিধান তত্ত্ব + সঙ্গম করার দোয়া নিয়ম দোয়া সময় পদ্ধতি উপকারিতা + সহবাসের নিয়ম নীতি সময় উপায় পদ্ধতি কৌশল উপকারিতা ও অপকারিতা [মেয়ে/ছেলে সন্তান কিভাবে নিতে হয়? সহ]

PDF download link:

কিওয়ার্ডঃ স্বামী স্ত্রীর গোপন কথা pdf, স্বামী স্ত্রীর গোপন তথ্য, স্বামী স্ত্রীর গোপন রহস্য, স্বামী স্ত্রীর গোপন উপহার, স্বামী স্ত্রীর একান্ত গোপনীয় কথা, স্বামী স্ত্রীর একান্ত গোপন কথা, স্বামী স্ত্রীর মিলন, রমজান মাসে স্বামী-স্ত্রীর মিলন করা যাবে কি, ইসলামিক ভাবে স্বামী স্ত্রীর মিলন, স্বপ্নে স্বামী স্ত্রীর মিলন দেখলে কি হয়, স্বামী স্ত্রীর মিলন তত্ত্ব pdf, স্বামী স্ত্রীর মিলন তথ্য, স্বামী স্ত্রীর মিলনের উপকারিতা, স্বামী স্ত্রীর মিলনের স্বপ্ন দেখলে কি হয়, স্বামী স্ত্রীর মিলন বিধান pdf, ইসলামিক স্বামী স্ত্রীর মিলন, স্বামী স্ত্রীর মধুর মিলন ও আদর্শ দাম্পত্য জীবন pdf, স্বামী স্ত্রীর মধুর মিলন ও দাম্পত্য জীবন, স্বামী স্ত্রীর মধুর মিলন ও আদর্শ দাম্পত্য জীবন, আদর্শ স্বামী স্ত্রীর কর্তব্য ও মিলন তথ্য, ইসলামের দৃষ্টিতে স্বামী স্ত্রীর মধুর মিলন ও আদর্শ দাম্পত্য জীবন, স্বামী স্ত্রীর মিলনের ইসলামিক নিয়ম, স্বামী স্ত্রীর মধুর মিলন বই ইসলামিক, ইসলামে স্বামী স্ত্রীর মধুর মিলন, ইসলামের দৃষ্টিতে স্বামী স্ত্রীর মধুর মিলন pdf, স্বামী ও স্ত্রীর মিলন বিধান, স্বামী-স্ত্রীর দায়িত্ব-কর্তব্য ও মধুর মিলন pdf, পরিপূর্ণ স্বামী স্ত্রীর কর্তব্য ও মধুর মিলন pdf, স্বামী-স্ত্রীর দায়িত্ব-কর্তব্য ও মধুর মিলন, স্বামী স্ত্রীর মিলন করলে কি হয়, স্বামী স্ত্রী মিলনের জলসা, স্বামী স্ত্রীর মিলনের সম্পর্কে জানতে চাই, স্বামী স্ত্রীর দাম্পত্য জীবন বা মধুর মিলন, স্বামী স্ত্রীর মধুর মিলন বই ডাউনলোড pdf, স্বামী স্ত্রীর মিলন তত্ত্ব pdf download, স্বামী স্ত্রীর মিলনের নিয়ম কানুন, স্বামী স্ত্রীর মধুর মিলন বই pdf download, স্বামী স্ত্রীর মধুর মিলন হাদিস, স্বামী স্ত্রীর মধুর মিলন pdf book, স্বামী-স্ত্রীর মিলনের যতো সুফল। মেয়ে/ছেলে সন্তান কিভাবে নিতে হয়, সঙ্গম করার পদ্ধতি, ইসলামে সঙ্গম, সঙ্গমের উপকারিতা, সঙ্গম করার উপায়, সঙ্গম করার কৌশল, সঙ্গম করার নিয়ম, সঙ্গম কিভাবে করে, কখন সঙ্গম করলে বাচ্চা হয়, কীভাবে সঙ্গম করলে বাচ্চা হয়, সঙ্গম করার সঠিক নিয়ম, সঙ্গমের নিয়ম, সঙ্গমের নিরাপদ সময়, সঙ্গমের পদ্ধতিবাচ্চা নেওয়ার জন্য সহবাসের পদ্ধতি, স্ত্রী সহবাসের নিয়ম, স্বামী স্ত্রীর সহবাসের নিয়ম pdf, সহবাসের কত দিন পর বাচ্চা পেটে আসে, অতিরিক্ত সহবাসের ক্ষতিকর দিক, অতিরিক্ত সহবাসের ক্ষতি, অতিরিক্ত সহবাসের কুফল, সহবাসের আনন্দ পাওয়ার উপায়, সহবাসের আগে আদা খেলে কি হয়, সহবাসের আগে ও পরে করণীয়, সহবাসের আগে ও পরে কি করনীয়, সহবাসের ইসলামিক নিয়ম, সহবাসের ইসলামী নিয়ম, ইসলামে সহবাসের উত্তম সময়, ইসলামে সহবাসের নিষিদ্ধ সময় কখন, ইসলামে সহবাসের নিষিদ্ধ সময়, ইসলামে সহবাসের নিয়ম, ইসলামের দৃষ্টিতে সহবাসের নিষিদ্ধ সময়, ইসলামে সহবাসের নিষিদ্ধ দিন, ইসলামের দৃষ্টিতে সহবাসের নিয়ম, ইসলামের দৃষ্টিতে সহবাসের সঠিক নিয়ম, ইসলামের দৃষ্টিতে স্ত্রী সহবাসের নিয়ম, সহবাসের উত্তম সময়, সহবাসের উপযুক্ত সময়, সহবাসের উত্তম দিন, সহবাসের উপযুক্ত সময় ও দিন, সহবাসের উপকারিতা ও অপকারিতা, বাচ্চা নেওয়ার জন্য সহবাসের উপযুক্ত সময়, স্বামী স্ত্রীর সহবাসের উপকারিতা, গর্ভাবস্থায় সহবাসের উপকারিতা, প্রতিদিন সহবাসের উপকারিতা ও অপকারিতা, নিরাপদ সহবাসের উপযুক্ত সময়, কত বছর বয়সে মেয়েরা সহবাসের উপযোগী হয়, সহবাসের দোয়া ও নিয়ম, ইসলাম ও সহবাস, ইসলামে সহবাসের নিয়ম ও পদ্ধতি, সহবাসের পর কি খাওয়া যায়, সহবাসের সঠিক নিয়ম।
সমাপ্তঃ আজকের আলেচ্য বিষয় “(৪১টি) স্বামী স্ত্রীর গোপন কথা তথ্য রহস্য উপহার + স্বামী স্ত্রীর মিলন তথ্য বিধান তত্ত্ব + সঙ্গম করার দোয়া সময় পদ্ধতি + সহবাসের নিয়ম নীতি pdf download উপায় পদ্ধতি কৌশল উপকারিতা ও অপকারিতা [মেয়ে/ছেলে সন্তান কিভাবে নিতে হয়? সহ]” এখানেই সমাপ্ত হলো।

Copyright Notice

কপি করা নিষিদ্ধ!