তাহিয়্যাতুল উযূ নামায
♦ উযূ করার পর অঙ্গ শুকানোর পূর্বেই দুই রাকআত নফল নামায পড়া উত্তম। এই নামাযকে “তাহিয়্যাতুল উযূ” বা ‘শুক্কুল উযূ’ও বলা হয়।
♦ এই নামাযের অনেক ফযীলত, এমনকি এই নামায আদায়কারীর জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাওয়ার কথাও সহীহ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে।
♦ ফজরের নামাযের ওয়াক্তে বা কোন মাকরূহ কিংবা হারাম ওয়াক্তে এই নামায পড়বে না।
♦ এই নামাযের নিয়ত এভাবে করা যায়- বাংলায়ঃ দুই রাকআত তাহিয়্যাতুল উযূর নিয়ত করছি।
দুখুলুল মসজিদ বা তাহিয়্যাতুল মসজিদ-এর নামায
♦ মসজিদে প্রবেশ করলে এবং মাকরূহ বা হারাম ওয়াক্ত না হলোে মসজিদের তথা আল্লাহর তাযীমের উদ্দেশ্যে দুই রাকআত সুন্নাত নামায পড়তে হয়, এই নামাযকে ‘তাহিয়্যাতুল মসজিদ’ বা ‘দুখূলুল মসজিদ বলা হয়।
♦ এক দিনে একবার এই নামায পড়াই যথেষ্ট।
♦ মসজিদে প্রবেশ করে বসার পূর্বেই এই নামায পড়ে নেয়া উত্তম আগে বসে তারপর এই নামায পড়লেও হয়, তবে তাতে ছওয়াব কমে যায়।
♦ কেউ কেউ মনে করে আগে বসে তারপর উঠে এই নামায পড়তে হয়, এ ধারণা ঠিক নয়।
♦ ওয়াক্ত সংকীর্ণ থাকলে কিংবা প্রবেশ করতঃ দ্রুত অন্য কোন সুন্নাত অথবা ফরয নামায পড়লে সেই ফরয বা সুন্নাতের দ্বারাও এই নামাযের হক আদায় হয়ে যায় এবং তার ছওয়াব লাভ হয়।
♦ ওয়াক্ত সংকীর্ণ বা নিষিদ্ধ (যেমন ফজরের ওয়াক্ত বা মাকরূহ ওয়াক্ত বা হারাম ওয়াক্ত) হওয়ার দরুণ এই নামায পড়তে না পারলে এর বিকল্প হিসেবে দোয়াটি চারবার পড়ে নিবেঃ سبحان الله والحمد لله ولا اله إلا الله والله أكبر অর্থ্যাৎ ‘সুবহানাল্লাহ ওয়ালহামদুলিল্লাহ ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আববার’।
♦ তারপর একবার দুরূদ শরীফ পড়ে নিবে।
♦ এই নামাযের নিয়ত এভাবে করা যায়- আরবীতেঃ نويت أن أصلى لله تعالى বাংলায়ঃ দুই রাকআত তাহিয়্যাতুল মসজিদের/দুখলুল মসজিদের নিয়ত করছি।
সূত্র: আহকামে যিন্দেগী।